অপরূপ জ্যোতির্ময় যিনি
সাইদুর রহমান (রংপুরী)
সূফী সম্রাটের জ্যোতির্ময় নুরের চেহারা মোবারক-
বিধাতার দেওয়া এক অপরূপ মহিমা বিস্ময়
বিধর্মী অবিশ্বাসীরাও স্বীকার করিবে নিশ্চয়।
কত এলো ঋষি মনীষী তাঁর চেহারার মতো নাই
দু’চোখ বুলালে এ কথাটার সত্যতা খুঁজে পাই।
বানিয়েছেন কোন অনুপম সৌন্দর্য পিপাসু সুনিপূণ কারিগর,
এখানে রয়েছে সুপ্ত লীলা স্বরূপ মহিমা বিধাতার।
স্থূল দেহ উজ্জ্বল জ্যোতি দেহ মোবারকে শোভা পায়,
এখানে ভরেছে খোদার দেওয়া অরূপ মহিমায়।
শরীর মোবারকে শোভা পায় যার নানা রূপ শেরোয়ানি,
বুঝতে বাকি থাকে না কারো ‘সূফী সম্রাট’ তিনি।
স্নিগ্ধ কোমল চোখ দুটো থেকে জ্যোতি ছড়ায়,
প্রসস্ত ললাট ভরে রয়েছে আলোকচ্ছটায়,
নাসিকার উপর দাগ কাটা আছে সরল রেখা,
বলে দেয় যেন এ পথে পাবে খোদার দেখা।
মসৃণ তাঁর সুনিপুণ আঁকা দুইটি কপোল-গাল
বামগালে তাঁর ছোটো দুটি রেখা এমনিতে নিটোল,
জোড়া ভ্রু তাঁর রোদ্রু করোটি চোখের শোভার ডালি
ঠোঁট দুটো যেন মিলে গেছে চাঁদের ফালি
উপরের ঠোঁট শোভা পায় যেন চাঁদ শেফালি।
দাঁতের সারি তাঁর মুক্তার মতো হাসিতে মুক্তা ঝড়ে
স্মিত সে হাসির রেখা ভরে যায় অন্তরে।
নিচের ঠোঁটেতে মিলিয়ে গেছে হালকা দাঁড়ি
বুক পর্যন্ত নেমে গেছে দুপাশ বেয়ে দাঁড়ির সারি।
কান মোবারক মধ্য গড়ন কিসে শোভা পায়,
সুন্নতি চুল ঘাড় বেয়ে বেয়ে কানের লতিতে পৌছায়।
সব মিলে যেন মুখ মোবারক পূর্ণিমাকে হার মানায়।
ঘাড়খানি তাঁর কিঞ্চিত ঝুঁকে সামনে হেলে রয়-
মনে হয় যেন রয়েছেন তিনি ধ্যান ও মোরাকাবায়।
প্রশস্ত বাহু হাত মোবারক কিসে সুন্দর তায়
লম্বা অঙ্গুলির মাথা বয়ে যেনো জ্যোতি ছড়ায়
সে অঙ্গুলি ঠেঁকালে মুর্দা দিলে আল্লাহ জিকির হয়।
হাঁটার সময় লম্বা পা বেয়ে সামনে বাড়ায়
পাক কদমের নরম ছোঁয়ায় মাটি ধন্য হয়।
এ মোবারক দেহের কথা যেন ভুলিয়া না যাই কভু,
শয়নে স্বপনে জীবনে মরণে পাই যেনো গো প্রভূ।