অলৌকিক কারামত- মহান মোর্শেদের দয়ায় চাকুরিতে পদোন্নতি
শাহরিয়ার মাহমুদ চৌধুরী: নবুয়তের যুগে নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে যে সকল অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল তাকে মু‘জিঝা বলা হয়, আর বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণের মাধ্যমে সংঘটিত ঘটনাকে কারামত বলা হয়। অলী-আল্লাহ্গণ আল্লাহ্র ঐশী জ্ঞান ও শক্তির অধিকারী হন, ফলে কী করলে মানুষের সমস্যা দূর হবে সে বিষয়ে তাঁরা পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকেন। সুতরাং বিশ^াসের সাথে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে, এমন কোনো সমস্যা নেই যা দূরীভ‚ত হয় না। তেমনি মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের উসিলায়ও অসংখ্য মানুষ মহান আল্লাহ্র দয়া ও সাহায্য লাভ করেছেন। অলী-আল্লাহ্গণের উসিলায় যে আল্লাহ্র দয়া পাওয়া যায়
তার বাস্তব প্রমাণ নিম্নের এই ঘটনাটি সুধী মহলের জ্ঞাতার্থে উপস্থাপন করা হলো-
আশেকে রাসুল ড. মো. আরিফ হোসেন, পিতা- মৃত মো. বেলায়েত হোসেন, গ্রাম ও ডাক- বাকাল, উপজেলা- আগৈলঝড়া, জেলা- বরিশাল। তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুর-২, ঢাকায় চাকুরি করেন। তার পদোন্নতি যাতে না হয় সেজন্য তার অফিসের একজন কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অনেক লেখালেখি করে। এতে করে পদোন্নতির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি উচ্চ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে তার পদোন্নতির বিষয়ে সুপারিশ করান। তাতেও তার পদোন্নতি হয়নি। পরিশেষে তিনি কোনো উপায়ন্তর না দেখে তার মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লাজানের কাছে এসে বিষয়টি জানান। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান তাকে দরবার শরীফে একটা মানত করে নিয়মিত ওয়াজিফা আমল করতে বলেন। দয়াল বাবাজানের নির্দেশে ড. আরিফ হোসেন একটি মানত করেন এবং নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর ওয়াজিফার আমল করতে থাকেন। প্রতিদিন তিনি এক হাজার বার দরুদ শরীফ পাঠ করতেন এবং রহমতের সময় ঘুম থেকে উঠে রহমতের ফায়েজ অর্জন করার জন্য মোরাকাবা করে খেয়ালের সাথে তার মহান মোর্শেদের নুরের কদম ধরে অঝোর নয়নে কান্নাকাটি করতেন মোর্শেদের উসিলায় আল্লাহ্র সাহায্য চাইতেন। এভাবে কিছুদিন আমল করার পর মন্ত্রণালয় থেকে তাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির সুপারিশ করে পত্র জারি করা হয়। যেদিন মন্ত্রণালয় হতে পদোন্নতির পত্র জারি হয় ঐ দিনই যে কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে লিখেছিলেন ঐ কর্মকর্তাকে শোকজের চিঠি জারি করা হয়।
মহান রাব্বুল আলামিনের অপার দয়ায় ড. মো. আরিফ হোসেন মহান মোর্শেদের উসিলায় অলৌকিকভাবে তার চাকুরির প্রমোশন পাওয়ায় মোর্শেদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই ঘটনার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারেন যে, পরম করুণাময় আল্লাহ্ যার প্রতি দয়াশীল হন, সারা দুনিয়ার মানুষও চেষ্টা করে তার কোনো ক্ষতি করতে পারেনা।
[ইসলাম বিষয়ক লেখক]