আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রয়োজনীয়তা ও উপায়
আশেকে রাসুল এস এ সুলতান
জন্মিলে মরতে হবে, এটা নিরন্তর সত্য কথা। কিন্তু জন্ম হতে মৃত্যু অবধি মানুষের জীবন পরিপূর্ণতা প্রাপ্ত হওয়া অর্থাৎ সঠিক লক্ষ্যে উপনীত হওয়া অতীব জরুরি। কিন্তু এই পরিপূর্ণতার মাপকাঠি কী? এই প্রশ্নের উত্তর জানাটা প্রতিটি মানুষের জন্য একান্ত আবশ্যক, কেননা এর উত্তর জানা না থাকলে মানুষের জীবন হয় অর্থহীন এবং তার সকল কর্ম মূল্যহীন হয়ে পড়ে। হয়তোবা জাগতিকভাবে পরিপূর্ণতার অনেক মাপকাঠি থাকতে পারে। যেমন- বিভিন্ন উপায়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। কিন্তু এগুলো সবই ক্ষণস্থায়ী, কারণ মানুষের মৃত্যুর সাথে সাথে এ সমস্ত পরিপূর্ণতার অবসান ঘটে। আমাদের জীবনের মাপকাঠি তাই হতে হবে, যা আমাকে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে সহায়তা করবে। ইমান হারা হয়ে মারা গেলে আমাদের পারলৌকিক অনন্তজীবন হবে ব্যর্থ ও কঠিন আজাবের।
সুতরাং আমাদের জীবনের পরিপূর্ণতার মাপকাঠি হলো ইমানের সাথে মৃত্যুবরণ করা। ইমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে অনন্ত শান্তির জীবন লাভ হবে। জাগতিকভাবে কোনো সনদ পেতে হলে যেমন-যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সাফল্যের মাধ্যমে তা লাভ করতে হয় তেমনি ইমানের সনদ পেতে হলেও তা সারা জীবন প্রস্তুতির মাধ্যমে মৃত্যুর সময় চূড়ান্ত পরীক্ষায় সাফল্যের দ্বারা অর্জন করতে হয়। তাই রাব্বুল আলামিন বলেন, মানুষ কি মনে করে যে, মুখে মুখে ইমান এনেছি বললেই হবে, আমি কি তার পরীক্ষা নিব না? সুতরাং যে ব্যক্তি মুমেন হতে চায়, তার জীবন পার হয় পরীক্ষা দিয়ে এবং এর মাধ্যমে সে ইমানের উন্নত স্তরে উপনীত হয়। কিন্তু তার পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে তার মৃত্যুর সময় ইমানের পরীক্ষার দ্বারা। এ প্রসঙ্গে আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান বলেন, মানুষের ইমানের পরীক্ষা তার মৃত্যুর পূর্বেই হয় এবং এর মাধ্যম ফয়সালা হয় কে ইমান নিয়ে মারা যাবে, আর কে বেইমান হয়ে মারা যাবে। রাসুলে পাক (সা.) ফরমান, যার শেষ নিঃশ্বাস ইমানের সাথে বের হবে, সে হবে জান্নাতি। জাগতিক পরীক্ষার ন্যায় ইমানের পরীক্ষারও ৩টি প্রশ্ন থাকে এবং তা জিজ্ঞাসা করা হয় মানুষের মৃত্যুর সময়। যে এই প্রশ্ন তিনটির সঠিক উত্তর দিতে পারে সে ইমানের সাথে মারা যায়। প্রশ্ন তিনটি হলো-
১। তোমার প্রভু কে? ২। তোমার ধর্ম কী? ও ৩। তোমার নবি কে? হযরত রাসুল (সা.)-কে সামনে রেখে জিজ্ঞাসা করা হবে, এই ব্যক্তি কে?
এই প্রশ্ন তিনটির প্রথমটিই হলো তোমার প্রভু কে? আমরা যদি এই প্রশ্নটি গভীরভাবে বিশ্লেষণ করি, তবে দেখবো এর ব্যাপকতা এবং তাৎপর্য আমাদের জীবনে অনন্ত অসীম। আমাদের জীবনে এর উত্তর খুঁজে পেতে হবে এবং এর প্রতিফলন থাকতে হবে। সহজ কথায়, আমাকে চিনতে হবে কে আমার প্রভু। আমি যদি জীবদ্দশায় আমার প্রভুকে না চিনি, না দেখি, প্রভুর সাথে যোগাযোগ করতে না পারি, তবে আমার পক্ষে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমাকে যদি কোনো ব্যক্তি সমন্ধে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে আমাকে অবশ্যই ঐ ব্যক্তিকে চিনতে হবে। না চিনে যা-ই বলব তা ভুল বা অসত্য বলে পরিগণিত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দ্বিতীয় কালেমা, কালেমা শাহাদাতে আমরা বলি, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ্ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, না দেখে কি সাক্ষ্য দেওয়া যায়? জাগতিকভাবেও না দেখে কোনো সাক্ষ্য গ্রহণ যোগ্য হয় না। মুলত এই কালেমা তাদের জন্য সঠিক সামঞ্জস্যপূর্ণ, যারা ইমানের সেই স্তরে উপনীত হয়েছে, যে স্তরে গিয়ে আল্লাহ্কে দেখা যায়, আর তারা দেখেই সাক্ষ্য দেয় আল্লাহ্ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই।
মুলত আল্লাহর নৈকট্য আমাদের ধর্মের মূল শিক্ষা। যদিও সমাজের মানুষ মনে করে শরিয়তের নিয়ম কানুন মেনে চললেই ধর্মের সার্বিক দিক পালন করা হবে। কিন্তু আমাদের জানতে, বুঝতে ও মানতে হবে আল্লাহর নৈকট্য লাভ না করতে পারলে আমাদের পক্ষে ইমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করা সম্ভব হবে না। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্য কর্তব্য। আর তাই আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন, “মুমিনগণ বিশ্বাস করে তারা (দুনিয়াতে) তাদের প্রতিপালকের দিদার লাভ করবে এবং তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন করবে।“ (সূরা বাকারাহ ২ : আয়াত ৪৬)
এখন আলোচনা করা যাক, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় কী? কীভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়? আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হলে আল্লাহ্কে দেখতে হবে, চিনতে হবে এবং তাঁর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। সম্বন্ধে মহান রাব্বুল আলামিন নিজেই পবিত্র কুরআনে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, এরশাদ হয়েছে, “হে মুমিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় করো, তার নৈকট্য লাভের জন্য অসিলা অন্বেষণ করো।” ( সুরা আল মায়িদাহ ৫ : আয়াত ৩৫)
এই আয়াতে বুঝানো হয়েছে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হলে অসিলা বা মাধ্যম খুঁজতে হবে। অসিলা বলতে ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ মাধ্যম একজন ব্যক্তি যার সাহায্যে আল্লাহ্কে পেতে হয়। আর আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হলে একটা পথে চলতে হয় এবং সেই পথটা কোথায় তা বুঝাতে আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন, “আমি (আল্লাহ্) তোমাদের ক্বালবের (সপ্তম স্তরে) নাফসির মোকামে বিরাজ করি, তোমরা কী আমাকে দেখ না? (সুরা যারিয়াত ৫১ : আয়াত ২১)
মানুষের ক্বালব বা হৃদয়ের সপ্তম স্তরে আল্লাহ্ অবস্থান করেন। আল্লাহ্কে পেতে হলে সেই স্তরে পৌছাতে হবে সুনির্দিষ্ট রাস্তা দিয়ে, আর এই রাস্তাটা হৃদয়ের ভিতরেই। সেই অজানা পথে চলতে হলে এবং গন্তব্যে তথা আল্লাহর নিকট পৌছাতে হলে অবশ্যই একজন মাধ্যম বা পথ প্রদর্শক প্রয়োজন, যিনি মানুষকে আল্লাহর নিকট পৌঁছিয়ে দিতে পারেন। কারণ তিনি সেই পথ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। তাদেরকেই আল্লাহ্ অসিলা বলেছেন যারা মানুষকে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে সক্ষম। আর এই অসিলা হলো নবুয়তের যুগে নবি-রাসুলগণ আর বেলায়েতের যুগের ইমাম, মোজাদ্দেদ, অলী-আল্লাহ্গণ। এর ভিন্ন আর কোনো উপায় নেই। মানুষ যদি মনে করে তার পথ প্রদর্শক প্রয়োজন নেই, সে একা একা আল্লাহ্কে পাবে তবে সে হবে পথ হারা। আর খাঁটি মোর্শেদ পাওয়া চরম ভাগ্যের ব্যাপার। তাই আল্লাহ্ বলেন,“আল্লাহ্ যাকে গোমরাহ করেন, আপনি কখনো তার জন্য কোনো (মোর্শেদ) পথ প্রদর্শনকারী অভিভাবক পাবেন না।” (সুরা আল কাহাফ ১৮ : আয়াত ১৭)
মহান সংস্কারক যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজান বলেন, “তিনিই প্রকৃত মোর্শেদ যিনি নিজে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-কে পেয়েছেন এবং অপরকে পরিচয় করিয়ে দিতে সক্ষম।” তাই বুঝা যায়, আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথই হলো সিরাতুল মুস্তাকিম, আর এপথে চলতে হলে অবশ্যই মোর্শেদ বা পথ প্রদর্শক প্রয়োজন। কুরআনের ভাষায়, “আমাদের সহজ সরল পথে পরিচালিত কর, তাদের পথে যাদের তুমি অনুগ্রহ করেছ।” ( সুরা আল ফাতিহা ১: আয়াত ৫ ও ৬) এর ব্যতিক্রম কোনো রাস্তা নেই। যারা বলে মোর্শেদের প্রয়োজন নেই, তারা মুলত গভীর ভ্রান্তির মধ্যে নিমজ্জিত আছে। যিনি মহান মালিক তাকে যদি আমরা চিনতে না পারি, তবে আমাদের পক্ষে ইমান নিয়ে মারা যাওয়া অসম্ভব। তাই যিনি মাবুদ মাওলাকে কাছে পেতে চান তিনি অবশ্যই মোর্শেদ এর খোঁজ করবেন এবং মোর্শেদের অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ব্রত হবেন।
আমরা যদি অতীতের দিকে তাকাই তবে দেখব, একটি আসমানি কিতাব থাকা অবস্থায় যখন একজন নবি এসেছেন, তখন সমকালীন যুগের মানুষকে ঐ নবি বা রাসুলের অনুসরণ করতে হয়েছে। হযরত রাসুল (সা.) যখন রাসুল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন, তখন পূর্বের সকল আসমানি কিতাব ছিল, তথাপি আরবের মানুষকে রাসুল (সা.)-কে অনুসরণ করতে হয়েছে। বিষয়টা একটু অনুসন্ধিৎসু মনে চিন্তা করা প্রয়োজন। রাসুল (সা.)-কে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে সিরাজাম মুনিরা অর্থাৎ প্রজ্বলিত প্রদীপ। আমাদের চিন্তা করা দরকার, কেন আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-কে প্রজ্বলিত প্রদীপ বললেন? প্রজ্জলিত প্রদীপ হলো সেই প্রদীপ, যা জলন্ত এবং যার সংস্পর্শে অন্য নিভানো প্রদীপ জ্বলে ওঠে। মুলে হযরত রাসুল (সা.)-এর হৃদয়ে নুরে মোহাম্মদির নুর বিদ্যমান ছিল এজন্য তাঁকে সিরাজাম মুনিরা বলে, যাঁর সংস্পর্শে আরবের পাপাচারী মানুষের হৃদয় ইমানের নুরে প্রজ্জলিত হয়ে নুরে নুরানি হয়েছে, আর এই বর্বর লোকেরা পাপাচার ত্যাগ করে আদর্শপূর্ণ আলোকময় চরিত্রের অধিকারী হয়েছেন। আল ইমানু নুরুন অর্থাৎ ইমান জ্যোতির্ময়, একথার বাস্তবতা তাদের মাঝে পরিলক্ষিত হয়েছে।
হযরত রাসুল (সা.) ছিলেন সাহাবিদের মোর্শেদ, যিনি তাদের প্রায়োগিক ধর্ম শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি তাদের শিক্ষা দিয়েছেন এলমুল ক্বালব অর্থাৎ- হৃদয় হতে হৃদয়ে স্থানান্তরের বিদ্যা এবং যা অর্জন করতে হয় ধ্যানের বা মোরাকাবার মাধ্যমে। মুলে সাহাবিরা হযরত রাসুল (সা.)-এর চেহারা মোবারকের ধ্যান করতেন এবং এভাবে রাসুল (সা.)-এর মহাপবিত্র হৃদয় হতে সাহাবিদের হৃদয়ে ফায়েজ ওয়ারেদ হয়ে তাদের হৃদয় পুতপবিত্র হয়ে ক্রমান্বয়ে তাদের আলোকময় চরিত্রের অধিকারী করে দিয়েছিল। বিশ্বনবি হযরত রাসুল (সা.) ছিলেন আত্মার ডাক্তার, যার এত্তেহাদি তাওয়াজ্জোর প্রভাবে পাপিষ্ঠ মানুষের হৃদয়ে আল্লাহর জজবাহ পয়দা হয়ে যেত, আর তাদের চরিত্রের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটতো। এভাবে রাসুল (সা.)-এর প্রজ্বলিত হৃদয়ের মাধ্যমে সাহাবিদের হৃদয়ে ইমানের নুর প্রজ্বলিত হয়ে যেত। হযরত রাসুল (সা.) সাহাবিদের ইমান অর্জন করার বিদ্যা শিক্ষা দিতেন। এই বিদ্যা যারা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে পেরেছিলেন তারা শিক্ষক তথা মোর্শেদ হিসাবে রাসুল (সা.)-এর উপস্থিতি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। এই কারণে তারা রাসুল (সা.)-এর প্রতি অধিক মনোযোগী ছিলেন কারণ তারা বুঝতে পেরেছিলেন ইমান অর্জন করতে হলে মোর্শেদের বিকল্প নেই। পক্ষান্তরে যারা রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা ঠিকভাবে গ্রহণ করেননি, তারা পরবর্তীতে কিতাব সর্বস্ব হয়ে গিয়ে মোর্শেদের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করেছেন এবং তাদের মাধ্যমে কারবালার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
ইমান অর্জনের বিদ্যা হৃদয় হতে হৃদয়ে আলোকিত হওয়ার মাধ্যমে অর্জিত হয়, বই কিতাব পড়ে কিংবা দোয়া কালাম পড়ে তা সম্ভব নয়। যেমন, একটা নিভানো বাতি একা একা জ্বলতে পারে না, তাকে জ্বালাতে হলে একটা জ্বলন্ত বাতির সংস্পর্শে নিতে হয়। তেমনি একজন মানুষের হৃদয়ে ইমানের নুর জালাতে হলে তাকে নুরে মোহাম্মদির নুরের সংস্পর্শে যেতে হবেই। এর বিকল্প কোনো পথ নেই। তাই রাসুল (সা.)-এর পড়ে এই নুর ছিল হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহুর সিনা মোবারকে এবং সবাইকে হযরত আলী (রা)-কে মোর্শেদ মেনে ইমান চর্চা করতে হয়েছে, আর যারা মানতে পারেনি তাদের মাধ্যমেই ফেতনা প্রকাশ পেয়েছে। এই সিরাজাম মুনিরার নুর ছিল হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও ইমাম হোসাইন (রা.)-এর হৃদয়ে; আর যারা তাঁদেরকে মোর্শেদরূপে স্বীকার করেছেন, তারাই হয়েছেন মু’মেন। এই নুর ছিল বড় পির হযরত আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.), হযরত নক্সবন্দি (রহ.), হযরত মুজাদ্দেদ আলফেসানি (রহ.), হযরত খাজা মাইনুদ্দিন চিশতি (রহ.), হযরত ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহম্মদ (রহ.)-এর সিনা মোবারকে। সমকালীন জামানার মানুষকে তাঁদের মোর্শেদ মেনে আল্লাহর নৈকট্য করতে হয়েছে।
বর্তমানে এই সিরাজাম মুনিরা তথা নুরে মোহাম্মদির নুর রয়েছে আমাদের মহান মোর্শেদ মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানের মহাপবিত্র সিনা মোবারকে। তাঁর সংস্পর্শে গিয়ে তাঁর সুমহান শিক্ষা গ্রহণ করে অগণিত মানুষ আল্লাহ্ ও রাসুলের দিদার ও নৈকট্য লাভ করছেন এবং প্রকৃত আশেকে রাসুল হয়ে মুমিনে পরিণত হচ্ছেন। এ জামানায় আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে ইমানের সাথে মৃত্যুবরণ করতে হলে সবাইকে তাঁর সান্নিধ্য লাভ করা অপরিহার্য। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁকে মোর্শেদরূপে গ্রহণ করে তাঁর সুমহান শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আমাদের ইমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন।