জ্ঞানীগুণী বিজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান
মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের গৌরবময় জীবন দর্শন এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কার সম্পর্কে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মনীষীগণ ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁর লিখিত কালজয়ী তাফসীর শরীফ ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ও বিভিন্ন অমূল্য গ্রন্থসমূহে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রফেসর-সহ বিশ্বের বহুসংখ্যক মনীষী ও পণ্ডিতগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ
সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মির্জা গোলাম হাফিজ বলেন, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) হুজুর কেবলা একজন মহাজ্ঞানী আধ্যাত্মিক সাধক। ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান: আল্লাহ কোন পথে?’ নামক গ্রন্থখানা পবিত্র কুরআন, হাদিস ও সুফিতত্ত্বে পরিপূর্ণ এক অমূল্য জ্ঞান ভাণ্ডার। গ্রন্থখানার নামকরণ ‘আল্লাহ কোন পথে?’- মহান স্রষ্টা আল্লাহকে জানার ও পাওয়ার একমাত্র সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে সক্ষম বিধায় এর নামকরণ অতি চমৎকার ও যুক্তিসঙ্গত হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ গ্রন্থে যে বিষয়গুলো সন্নিবেশিত রয়েছে, তার বিজ্ঞান সম্মত ও তথ্যবহুল ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে জনমনে আবহমানকাল ধরে যে প্রশ্নের উদ্রেক হতো তার অবসান ঘটানো হয়েছে।
সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া
সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া বলেন, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান সকল কুসংস্কার, অন্ধত্ব, গোঁড়ামী ও ধর্মব্যবসায়ীদের থেকে শান্তির ধর্ম ইসলামকে রক্ষা বিশেষ করে যুব সমাজকে কুসংস্কার, অজ্ঞতা, হিংস্রতা ও অন্ধকার থেকে মুক্ত করে আত্মার পরিশুদ্ধি দিতে এবং আলোর সন্ধান দেখাতে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমান বিশ্বে মানবিক মূল্যবোধের প্রচণ্ড অবক্ষয় সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রকট হয়ে উঠেছে। একে অপরের প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ বা ভালোবাসা নেই। মানুষের মাঝে শান্তি এবং পরমত সহিষ্ণুতার সবচেয়ে বেশি অভাব। মানবকুল রক্ষার্থে আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে মহামানবগণকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নবুয়তের যুগে বিশ্বের প্রথম নবি হযরত আদম (আ.) হতে আখেরি নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বর এবং অসংখ্য অলী-আওলিয়াদেরকে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সত্যের পথে আনয়নের জন্য প্রেরণ করেছেন। প্রকৃত ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এই সূফী সাধক পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে সন্তানের উপর মায়ের অধিকার এবং স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কেও সঠিক ব্যাখ্যা দান করে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ তথা নারীর অধিকার সম্পর্কে সর্বদা সোচ্চার।
হাইকোর্ট বিভাগের বর্তমান বিচারপতি সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্তমান বিচারপতি সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম বলেন, হযরত রাসুল (সা.)-এর সুমহান শিক্ষা ও আদর্শ সম্বলিত মোহাম্মদী ইসলামকে পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজান এই সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় ঘেরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ইসলামকে বিশ্ব মানবতার জন্য একটি কল্যাণকর ও আদর্শ ধর্মরূপে প্রেরণ করেছেন। ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইতিহাসের ঘটনা প্রবাহ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম বিরোধী ব্যক্তি বা মহলের চক্রান্তে ইসলামের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে। ফলে মানুষ ইসলামের মূল আদর্শ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণেই বিশ্বে মানবজাতি তথা মুসলমানজাতি একে অন্যের বিরুদ্ধে দ্বিধাদ্বন্ধে লিপ্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে হানাহানি ও রক্তপাত ঘটাচ্ছে, তা কোনো ক্রমেই কাম্য নয়। আর এই সকল সমস্যা নিরসনের জন্য পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে নবি-রাসুলগণ সমকালীন যুগের মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই ছিলেন আল্লাহর বন্ধু। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত রাসুল (সা.)-এর পর থেকে নবুয়তের যুগ সমাপ্ত হয়েছে এবং খুলে গেছে বেলায়েত বা বন্ধুত্বের দ্বার। এ যুগের হেদায়েতকারী হলেন অলী-আল্লাহগণ। মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেহলাজান মহান আল্লাহর বাণী ও রাসুল (সা.)-এর আদর্শ মানুষের নিকট পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য সূফী সম্রাট হুজুর মানুষকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর ওয়াজিফা পালনের মাধ্যমে আত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জন করে আদর্শ চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রয়াত মনিরুজ্জামান মিঞা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রয়াত মনিরুজ্জামান মিঞা বলেন, একজন বিশিষ্ট সূফী হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান ‘আল্লাহ কোন পথে?’ বইটি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সাধারণভাবে আমাদের মনে যেসব প্রশ্নের উদয় হয়, এসব প্রশ্নের উত্তর এই বই-এর প্রধান আকর্ষণ। বইটি আগাগোড়া পড়লে কেবল ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যাবে তা-ই নয়। এর বিভিন্ন ব্যাখ্যা ও বক্তব্য মনের দরজাকেও অনেক প্রশস্ত করবে। এই বই থেকে আমি অনেক লাভবান হয়েছি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর এবং ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামসুল হক
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামসুল হক বলেন, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) হুজুর একজন মহান সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক সাধক। তিনি ইসলামের কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে পবিত্র কুরআন, হাদিস ও তাসাউফের দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান আল্লাহ কোন পথে?’ নামক মূল্যবান গ্রন্থখানার পাণ্ডুলিপি আমি অধ্যয়ন করে দারুণভাবে আনন্দিত ও মুদ্ধ হয়েছি। সূফী সম্রাট হযরত মাওলানা মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) হুজুরের প্রকাশ্য নির্দেশনায় লিখিত এ গ্রন্থখানি সত্যিই অমূল্য সম্পদ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ম. আবদুল আজিজ খান
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ম. আবদুল আজিজ খান বলেন, ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন পথে?’ বইখানা সূফী সম্রাটের আত্মিক সাধনা এবং এলমে লাদুন্নির স্পষ্ট স্বাক্ষর রাখে। বইখানিতে আল্লাহর পরিচয়, আল্লাহর অস্তিত্ব, পৃথিবীর সৃষ্টি- এরূপ অনেক জটিল প্রশ্নের উত্তর আছে। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী এ বইখানা রচনা করে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের প্রকৃত উপকার সাধন করেছেন। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গোলাম রহমান
খুলনা বিশ্ববিদ্যায়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে?’ এই গ্রন্থে এটাই প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তায়ালার অসীম দয়ায় এ যুগের জন্য মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) হুজুর কেবলাজান সত্যিই একজন অলীয়ে মোজাদ্দেদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের উপর অগাধ পাণ্ডিত্য ও অপরিসীম আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী এ মহান সাধকের তত্ত্বাবধানে লিখিত গ্রন্থখানা সত্যিই একটি দুর্লভ ও মূল্যবান জ্ঞান সম্ভ্রার। গ্রন্থখানার মাঝে মানব জীবনের নতুন পথ সূচনা বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শাহ মোহাম্মদ ফারুক
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর শাহ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ইসলামের মর্মকথাকে বুঝতে এবং আমাদের জীবনকে সুন্দর, শান্তিময় ও সফল করে পড়ে তুলতে ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে?’ এই বইটি সহায়ক হোক এবং সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুরের শুভ প্রচেষ্টার মাধ্যমে মহান আল্লাহ মাবুদ আমাদেরকে তাঁর সৃষ্টি জগতের উদ্দেশ্য পূরণের সুযোগ দিন, এই কামনা করি।
হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আলী আসগর খান
হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আলী আসগর খান বলেন, এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে সমগ্র মানবকুল তথা মানবজাতিকে ন্যায় ও সঠিক পথে পরিচালিত করার লক্ষ্যে মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবি-রাসুল ও আওলিয়ায়ে কেরাম প্রেরণ করেছেন এবং তাঁদের প্রচেষ্টায় মানুষ আল্লাহর প্রেমে সিক্ত হয়ে, এই পৃথিবীতে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে অবাধ বিচরণ, বসবাস ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে নিজেদেরকে ব্যাপৃত করে; আল্লাহ্র মাহাত্ম্য ও গুণগানে রত থেকে এই অবিনশ্বর পৃথিবীতে জীবনযাপন করছে। মানুষ যাতে আল্লাহ প্রদত্ত বিধানাবলী ও মহানবি হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে নিজেদের পার্থিব ও পরলৌকিক জীবন পরিচালনায় ব্রতী হয়ে আল্লাহ ও রাসুল প্রেমে সিক্ত হয়- সেজন্য সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর নিজের জীবনকে সমাজে প্রচলিত পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরীফের পরিপূর্ণ বিষয়গুলোকে সংস্কার করে হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর শান্তির ইসলাম জগতে পুনরায় তুলে ধরেছেন বলেই, তাঁকে মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
হইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আফজাল হোসেন আহমেদ
হইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আফজাল হোসেন আহমেদ বলেন, মহান স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইসলামকে মানব জাতির জন্য একটি আদর্শ ধর্মরূপে প্রেরণ করেছেন। তাই ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্ম পালন করেই রাসুল পাক (সা.)-এর সাহাবিগণ আদর্শ মানুষে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান বিশে^ আমরা যে ইসলামকে দেখতে পাই, তা ইতিহাসের নিষ্ঠুর ঘটনা প্রবাহের ফলশ্রুতি। আর এই আদর্শ থেকে বিচ্যুতিই সারাবিশে^র মুসলমানদের অধঃপতন ও দুরবস্থার কারণ। হযরত রাসুলে পাক (সা.)-এর আদর্শ মোহাম্মদী ইসলামের হারিয়ে যাওয়া গৌরবকে পুনর্জাগারিত করতে সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তার এ মহান প্রচেষ্টা মানবকুলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা. আ.) সেসব ধারণার সংস্কার করে হযরত রাসুলে পাক (সা.)-এর মোহাম্মদী ইসলামকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ধর্মের মৌলিক বিষয়সহ ব্যবহারিক বহু বিষয়ে সূফী সম্রাটের সংস্কার যুগান্তকারী ও অতুলনীয়।
বিচারপতি মো. আরায়েস উদ্দিন
বিচারপতি মো. আরায়েস উদ্দিন বলেন, বিশ^ জাহানের মহান স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির মুক্তির জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওফাতের পর নবি-রাসুলদের আগমন বন্ধ হলেও অলী-আল্লাহগণের মাধ্যমে হেদায়েতের চিরন্তন ধারাটি যাতে কেয়ামত পর্যন্ত চালু থাকে আল্লাহপাক তারও ব্যবস্থা করেছেন। তাই দেখা যায়, যুগে যুগে বিশ^নবির অনুসারীগণ যখনই তাদের আদর্শ ভুলে গিয়ে বিজাতীয় ভাব ধারায় আকৃষ্ট হয়ে অনৈসলামিক কাজে লিপ্ত হয়ে চরম বিভ্রন্তির মাঝে গা ভাসিয়ে দিয়েছে, তখনই আবির্ভুত হয়েছেন অসংখ্য আওলিয়ায়ে কেরাম। তাঁদের মধ্য থেকে কোনো কোনো অলী-আল্লাহ মোজাদ্দেদ বা সংস্কারকের দায়িত্ব লাভ করে থাকেন এবং তাদের সুমহান শিক্ষা অনুসরণ করে মুসলিম জাতি ফিরে পায় তার হারানো পথ। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর তাঁদেরই একজন। স্বীয় সাধনা বলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মাকামে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন।
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর ইসলামের অনকেগুলো বিষয়ের উপর সংস্কার সাধন করেছেন। তিনি মানুষের মুক্তি ও কল্যাাণের জন্য আত্মশুদ্ধি, ক্বালবে আল্লাহর জি¦কির জারি, নামাজে একাগ্রতা এবং আশেকে রাসুল হওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাঁর কাছে এসে অসংখ্য মানুষ নানাবিধ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেয়ে থাকেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন একজন উচ্চস্তরের অলী-আল্লাহ।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন খান চৌধুরী
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন খান চৌধুরী বলেন- সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলা সংক্ষিপ্ত কলেবরে তাঁর লিখিত ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান : আল্লাহ্ কোন পথে?’ গ্রন্থে স্রষ্টা, সৃষ্টি, তাসাউফ ও সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে যাহা আলোকপাত করেছেন তা অত্যন্ত প্রনিধানযোগ্য। এই বিশাল বস্তুর সার্থক অবতারণা করার মতো স্বচ্ছ ভাষা ও প্রকাশ ভঙ্গির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গ্রন্থটিতে পাওয়া যায়। এই গ্রন্থটিতে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের জটিল ব্যাখ্যা প্রাঞ্জল ভাষায় সূফী সম্রাট ব্যক্ত করেছেন। এই গ্রন্থখানি ইসলাম সম্বন্ধে যারা চিন্তা করেন তাদেরকে সাহায্য করবে।
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী
বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী বলেন, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান একটি সম্ভ্রান্ত, রক্ষণশীল ও ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন, বিশেষ করে আল্লাহ ও রাসুলের নির্দেশিত পথে উম্মতে মোহাম্মদীকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে হুজুরের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি দেশ-বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
দেওয়ানবাগী হুজুর, বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে মানুষকে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আশেক বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হুজুরের আহ্বানে সারা দেশে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। মানুষ জানতে শিখেছে যে, আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবিব রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসলে আশেকে রাসুল বা রাসুল প্রেমিক হিসেবে তারা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে।
সূফী সম্রাট বলেন, একজ খাঁটি মুমিনের জীবন প্রতিটি কাজকর্ম মহান আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির জন্য আশেকে রাসুল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাঁর সান্নিধ্যে আধ্যাত্মিক শিক্ষা লাভ করে বহু মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এম আকমল হোসেন
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এম আকমল হোসেন বলেন, অলী-আল্লাহগণ একদিকে যেমন আল্লাহর বন্ধু, অপরদিকে তাঁরা নায়েবে রাসুল বা রাসুলে করীম (সা.)-এর উত্তরসূরি। কেবল তাঁরাই পারেন ইসলাম তথা পবিত্র কুরআন হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলা এমন একজন মহান অলী-আল্লাহ ও নায়েবে রাসুল, যিনি ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক ও প্রয়োজনীয় কতগুলো প্রশ্নের জবাব দিয়ে ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে? নামক একখানা মূল্যবান গ্রন্থ রচনায় যাবতীয় দুর্লভ তথ্য পরিবেশন করেছেন, যা পবিত্র কুরআন, হাদিস ও আওলিয়াদের সাধনালব্ধ জ্ঞান থেকে প্রাপ্ত যুক্তিসংগত অথচ অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় উপস্থাপিত।
সাবেক সচিব মো. মহবুবউজ্জামান
সাবেক সচিব মো. মহবুবউজ্জামান বলেন, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর ইসলামের আকায়েদ সম্পর্কিত কতগুলো প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে? নামক যে গ্রন্থ লিখেছেন, তা আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। আমার মনে হয় এ গ্রন্থ ধর্মপরায়ণ মানুষের জ্ঞানের খোরাক জোগাবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, ড. মুহাম্মদ আসাদুর রহমান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, ড. মুহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, আল্লাহর মেহেরবাণীতে সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান অক্লান্ত পরিশ্রম করে এমন একখানা গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক প্রকাশ করেছেন, যাতে ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে এতো সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে যা প্রশংসার দাবী রাখে। তাছাড়া গ্রন্থখানির নামকরণ করা হয়েছে- সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে? কী উপায়ে এবং কোন পথ অবলম্বন করলে আল্লাহর পরিচয় ও নৈকট্য রাভ করা যাবে, এ গ্রন্থে তা সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. আনিসুর রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগীকে নায়েবে নবীদের মধ্যে একজন মনে করতে পারি। কারণ, ভবিষ্যতে আর তো নবি-রাসুল ইহ জগতে আসবেন না। এ গ্রন্থখানি প্রচারের মাধ্যমে হযরত শাহ দেওয়ানবাগী হুজুরের মানবতার সেবার কাজ ত্বরান্বিত হবে বলে আমি মনে করি এবং তা আল্লাহ্র নৈকট্য লাভে জনসাধারণকে প্রেরণা যোগাবে।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক আ. ন. ম. আবদুল মান্নান খান
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক আ. ন. ম. আবদুল মান্নান খান বলেন, আল্লাহর অপার দয়ায় বর্তমান যুগের জন্য সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান একজন অলীয়ে মোজাদ্দেদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর লিখিত ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে?’ নামক মূল্যবান গ্রন্থখানি সত্যিই একটি দুর্লভ সৃষ্টি। আমি এ গ্রন্থখানি পাঠ করে মুগ্ধ হয়েছি এবং আত্মার অনেক খোরাক পেয়েছি। এ গ্রন্থখানি পবিত্র কুরআন, হাদিস ও সূফী আওলিয়াগণের সাধনালব্ধ জ্ঞানের এক অপূর্ব ভান্ডার, যা সত্যিই মানুষের চিন্তার ক্ষেত্রে এক নব দিগন্তের সূচনা করবে বলে আমার বিশ^াস।
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রশিদ
চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রশিদ বলেন, ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ কোন পথে?’ গ্রন্থে যুগশ্রেষ্ঠ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলা আল্লাহর নিকট প্রাপ্তির সঠিক দিকনির্দেশনা দেন এবং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পথ দেখিয়ে দেন। তবে আমি অধম এ ক্ষেত্রে অজ্ঞ। গুণীর মূল্য গুণীরাই দিতে পারেন। জাগ্রত-ক্বালবের অধিকারীরাই জাগ্রত ক্বালব সম্পন্ন সূফীদের অবদানের সত্যিকারের মূল্যায়ন করতে পারেন। তাই এ অধম কবি হাফিজের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি- ‘আমার নয়ন-আঁচল সংকীর্ণ, আপনার সৌন্দর্যের ফুল অগণিত।’
এ গ্রন্থখানা খোদা প্রাপ্তির পথে সাধারণ ও অসাধারণ, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সকলেরই জন্য উপকারী হোক আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিংশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতি সত্ত্বেও বিশে^র সর্বত্র অশান্তি ও অসহায়ত্বের কালো ছায়া মানুষকে ঘিরে রেখেছে। এমনি সময়ে যুুগের মহান সংস্কারক, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলার ধর্ম বিশ্লেষণ যেন অন্ধকার দূর করার উপযোগী এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।
জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. কাজী দীন মুহাম্মদ
জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মরহুম প্রফেসর ড. কাজী দীন মুহাম্মদ বলেন, ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী ধর্মীয় সংস্কার শীর্ষক গ্রন্থখানি একাধারে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.)-এর জীবনকথা এবং মুসলিমের চরিত্র নিষ্কলুষ করে আখিরাতের পথে এগিয়ে যাওয়ার মহৌষধী। দুই খণ্ডে সমাপ্ত গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে সতেরটি অধ্যায়। এতে রয়েছে-কালেমা, সালাত, সিয়াম, হজ ও যাকাত সম্বন্ধে সমৃদ্ধ আলোচনা। আরো রয়েছে জু’মার দিনের ও খোৎবা পাঠের রহস্য উদঘাটন। এলমে তাসাউফের তাৎপর্য ব্যাখ্যা, আত্মশুদ্ধি লাভের উপায়, জি¦কিরের উপকারিতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থায় এলমে তাসাউফের অন্তর্ভুক্তিকরণ। আর এ সকল যাঁর অনুপ্রেরণায় ও পরিচালনায় আগ্রহীদের কাছে প্রচারিত সে সূফী সম্রাট সম্বদ্ধে প্রথমেই রয়েছে মনোজ্ঞ আলোচনা।
দ্বিতীয় খণ্ডে ষোলটি অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ হয়েছে আল্লাহ্র রহস্য, ইমানের রহস্য, ইসলামের রহস্য, বিভিন্ন ফেরকা সৃষ্টির রহস্য, নজর-মানতের রহস্য, আশুরার রহস্য, মিলাদুন্নবীর রহস্য- ইত্যাদি রহস্যের তত্ত্ব ও তথ্য উদঘাটন। সর্বশেষ উপসংহার অধ্যায়ে রয়েছে আমাদের সমস্যা ও তার সমাধান। এদিকে থেকে এখণ্ডের নামকরণ করা যেতে পার ‘রহস্য খণ্ড’।
এছাড়াও রয়েছে মোর্শেদের পরিচয় ও তার প্রয়োজনীয়তা, ইসলামের দৃষ্টিতে মায়ের মর্যাদা ও সন্তানের অধিকার, মাজার সম্বদ্ধে প্রকৃত ধারণা, দলিল লিখন পদ্ধতিতে নতুন নিয়ম প্রবর্তনের যুক্তি এবং তাসাউফের পুনর্র্জাগরণের উদ্দেশ্যে বিশ^ সূফী সম্মেলনের আয়োজন শীর্ষক পাঁচটি মূল্যবান অধ্যায়।
বইখানি লিখিত হয়েছে তাসাউফপন্থী একজন সাধকের চিন্তা, চেতনা ও সাধনার আধ্যাত্মিক ইলমের জ্ঞানের আলোকে মুরীদ ও তাসাউফ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে। তরীকতের বিভিন্ন স্তর শরীয়া, তরীকা, হাকীকা ও মা’রিফা-এ চার স্তরের শিক্ষা ও অণুশীলনীর বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি-রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরীক্ষা ও নিরীক্ষার মারেফতে সাধকের অন্তরকে প্রস্তুত করে জীবাত্মা, মানবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক স্থাপন ও পার্থিব বাহ্য জগতের মধ্যে থেকেও রহস্য জগতের অন্তর উদঘাটনই মানবজীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। আর এ উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য আমাদের সকল করণীয় নিয়ন্ত্রিত হবে একই মাত্র ধ্রুবতারার দিক নির্দেশে, আল্লাহ প্রাপ্তির ও মহাজীবনের পরম শান্তিময় আলোর সন্ধানে ধাবিত আনন্দ লোকের উদ্দেশ্যে। এ ধূলি মলিন পৃথিবীর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ করে সাধারণ বান্দার দেহ ও অন্তর হয়ে পড়ে কলুষ কালিমায় লিপ্ত। একে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে, নির্মল শুভ্র শান্তির ধাপে এগিয়ে গিয়ে পরম করুণাময়ের সান্নিধ্য লাভের অবিরাম চেষ্টাই আদম সন্তানের জীবনের চরম ও পরম সাধনা পরিশীলিত হবে। স্রষ্টা প্রতিপালক মহাপ্রভুর ইচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে, আপন সত্তা ভুলে গিয়ে তাঁর সত্তায় বিলীন হয়ে, এক হয়ে গিয়ে ‘সো অহম’- ‘তিনিই আমি’, আরেক কথায়, ‘আনাল হক’-আমিই সত্য, অর্থাৎ আমিই তিনি’র মর্যাদায় উন্নীত হতে পারলেই পরম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায়। রাজ হংস যেমন গভীর হ্রদের নির্মল পানিতে অহরহ বিচরণ করেও গায়ে এক ফোটা পানি লাগতে দেয় না, তেমনি মানুষ এ সংসার আবিলতায় বসবাস করেও গায়ে পার্থিব বিন্দুমাত্রও তার পবিত্র আত্মাকে স্পর্শ করতে পারবে না, এ-ই স্রষ্টার ইচ্ছ। আর এতে সাফল্য অর্জনে প্রয়োজন কঠোর আত্মত্যাগ ও আত্মোন্নতির কঠোর সাধনা। এ সাধনার প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন যথাযোগ্য শিক্ষকের, যিনি শিক্ষার্থীর মনোজগতের সকল কলুষ দূর করে সেখানে দয়াময়ের আলো বিচ্ছুরণের পথ উন্মক্ত করে দিয়ে ‘ক্বালব’ আয়নার মতো স্বচ্ছ করে দেওয়ার পদ্ধতি বাতলিয়ে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়ে, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎকে এক করে দিয়ে বান্দার উদ্দীষ্ট যাত্রায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন। যোগ্য শিক্ষকের প্রশিক্ষণে যোগ্যতা অর্জন করে শিক্ষার্থীর হৃদয়-মন ধন্য হবে, হবে সমৃদ্ধ আর তখনই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের, “হে পরম প্রশান্ত আত্মা ফিরে এসো তোমার রবের দিকে পরম সন্তুষ্ট চিত্তে’- উক্তির সার্থকতা প্রতিষ্ঠিত হয় পরজীবনে, আর এরই ভূমিকার আভাস দেওয়া হয়েছে এ গ্রন্থখানিতে।
বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম পাঠক এতে, বিশ^াসে সন্দেহ প্রবণ এ যুগে আত্মপ্রত্যয় ফিরে পেতে পারেন। বিশে^র বস্তুতান্ত্রিকতার চরম উৎকর্ষের এ যমানায়, মানসিক ও অন্তর্জগতের বিরোধী শক্তির সঙ্গে সংঘাত সংঘর্ষে, দ্বিধা-দ্বন্দে¦ সদ্ধিগ্ধ জ্ঞানলুপ্তির এ দুঃসময়ে প্রজ্ঞার আলোকে জ্ঞানের অনুশীলনীর মাধ্যমে মানবাত্মা জীবাত্মার স্তর থেকে ক্রম বিবর্তনের মাধ্যমে পরমাত্মায় বিলীন হওয়ার উপায় খুঁজে পাবেন এ গ্রন্থের বিভিন্ন প্রতিপাদ্যে। আমরা কোত্থেকে এসেছি, কেন এসেছি, কোথায় যাব, জীবনের উদ্দেশ্য কী- এসবের প্রকৃত খনির অনুসন্ধানকারীর সাধনার প্রাথমিক স্তরের মনো চেতনায় এ গ্রন্থ পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ^াস। গ্রন্থখানি সাধারণ ও অসাধারণ শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের জন্যই উপকারী বিবেচিত হবে। যাঁদের উদ্দেশ্যে বইখানি প্রণীত হয়েছে তারা উপকৃত হোন। আমরা গ্রন্থখানির সাফল্য কামনা করি। আর এ সঙ্গে সূফী সম্রাটকে জানাই খুশ আমদিদ।
(চলবে)
[লেখক: প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাংবাদিক]