তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী : মানব মুক্তির দর্শন
মুহাম্মদ জহিরুল আলম, পিএইচ.ডি গবেষক
সৃষ্টির পূর্বে মহান আল্লাহ্ জাত পাকে সমহিমায় অবস্থান করছিলেন। নিজেকে প্রকাশ করার বাসনায় তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন। দয়াময় আল্লাহ্ সকল গুণের আধার। তাঁর গুণ ও ক্ষমতাই হল তাঁর সিফাত। জগৎ সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর সিফাতগুলো প্রকাশ হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনিই আমাদের পরম স্রষ্টা, এ মহাবিশ্ব তাঁর ইচ্ছার ফসল। তিনিই সবকিছু সৃষ্টি করে অস্তিত্ব দান করেছেন এবং তাঁর প্রতিটি সৃষ্টির রূপ ও গুণ রয়েছে। দয়াময় আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ। সুপ্রাচীন কাল থেকেই মানুষের রয়েছে স্রষ্টাকে জানার কৌতুহল। যিনি এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করলেন, তিনি কতইনা অপরূপ। যাঁর দয়ার দান আমাদের জীবন, যাঁকে পাওয়াই জীবনের পরম স্বার্থকতা, জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে যিনি পরম মমতায় আমাদের পাশে থাকেন, তিনি কতইনা মনোহর।
ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে আমাদের মনে অনেক ভ্রান্ত ধারণা স্থান করে নিয়েছে। তেমনি বহুল প্রচলিত ভ্রান্ত ধারনা হচ্ছে- বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন নিরাকার! তাঁকে জীবদ্দশায় দেখা সম্ভব নয়; আল্লাহর আকার আছে, তা বিশ্বাস করলে মানুষ ইমানহারা হয়ে যাবে। ‘আল্লাহ নিরাকার, তাঁকে দেখা যায় না’-এই ভ্রান্ত ধারণা বিশ্বাস করে মুসলমানগণ সরল মনে নিরাকার ও অদৃশ্য আল্লাহর ইবাদত করছে। অথচ আমরা ভাবি না, আল্লাহ্ নিরাকার হলে মানুষ কার ইবাদত করে? দয়াল রাসুল (সা.) মিরাজে গিয়ে আল্লাহর দর্শন লাভ করেছেন, তাঁর সাথে কথা বলেছেন, এখানে কি নিরাকার আল্লাহর কথা বলা হয়েছে? ভ্রান্ত ধর্ম বিশ্বাস- কেউ যদি আল্লাহ্র দিদার লাভ করে, সে ইমান হারা হয়ে যাবে; অথচ দয়াময় আল্লাহ্ তাঁর পরিচয় জগতবাসীর নিকট প্রচার করার জন্য যত নবি, রাসুল, অলী-আল্লাহ্ প্রেরণ করেছেন, সকলেই আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়ার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন।
একটি বিষয় ভ্রান্ত হলে এটি স্বাভাবিক ভাবেই আরো অনেক অসংগতি তৈরী করে। একটু হৃদয় দিয়ে বিচার করলে মানব মনে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। আল্লাহ্ নিরাকার এ ভ্রান্ত বিষয়টি ঠিক সে রকম। আমরা জানি হাশরের ময়দানে মহান আল্লাহ্ কুরসিতে সমাসীন হয়ে আমাদের বিচার করবেন, আল্লাহ্ যদি নিরাকার হন কুরসি মোবারকে বসবেন কিভাবে? মৃত্যুর সময় ইমানী পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়-‘তোমার প্রভু কে?’ সমস্ত জীবন ইবাদত-বন্দেগী করে যদি প্রভুর পরিচয় না পাই- তাহলে কি উত্তর দেব? আমরা বলি ‘আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়’; নিরাকার কোন কিছুকে এক, দুই, তিন ইত্যাদি সংখ্যা বাচক শব্দ দ্বারা গণনা করা যায়? আল্লাহর ৯৯ খানা গুণবাচক নাম রয়েছে। যাঁর অস্তিত্ব নেই, নিরাকার; তাঁর গুণ প্রকাশ পাবে কিভাবে? এটি প্রকাশ্যে দ্বৈত মতবাদ। ইসলাম শান্তির ধর্ম, যা আমাদের সরল ও সঠিক পথ দেখায়। এখানে দ্বৈত মতবাদ থাকতে পারে না। অজ্ঞতার কারণে, ভ্রান্ত মতবাদের বশবর্তী হয়ে আমরা প্রকৃত ইসলাম হতে এখন অনেক দূরে। প্রচলিত অন্ধ বিশ্বাস ও ভ্রান্ত ধারণার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আমরা মুক্তির পথ হারিয়ে ফেলেছি।
দয়াময় আল্লাহ্ একবিংশ শতাব্দীর শিরোভাগে পথহারা মানবজাতির মুক্তির আলোক বর্তিকা হিসেবে এবং তাঁর পরিচয় জগতবাসীর নিকট তুলে ধরার জন্য মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে বিশ্ববাসীর উদ্দ্যেশে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন- “আমি আল্লাহ্কে দেখেছি”। তাঁর এ ঘোষণায় তাসাউফ বিবর্জিত আলেম সমাজে প্রতিবাদের ঝড় উঠে এবং চরম বিরোধিতা শুরু হয়। তারপরও তিনি দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা দেন, “আমি আল্লাহ্কে এমন ভাবে চিনি, যেভাবে সন্তান তার পিতাকে চেনে।”
আল্লাহ্ সম্পর্কে মানবজাতির এ ভ্রান্ত বিশ্বাস দূর করে আল্লাহর পরিচয় ও স্বরূপ প্রকাশ করার লক্ষ্যে তিনি ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এখানে তিনি কুরআন ও হাদিসের আলোকে প্রমাণ করেছেন, “মহান আল্লাহ্ নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে।” ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ গ্রন্থ রচনা প্রসঙ্গে এ মহামানব বলেন, “আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হই যে, মহান আল্লাহ্ যদি দয়া করে আমাকে সাহায্য করেন, তবে আমি তাঁর পরিচয় মানবজাতির নিকট তুলে ধরব। সমাজে বদ্ধমূল ধারণা প্রচলিত আছে যে, আমার মহান মালিক নিরাকার, তাঁকে দেখা যায় না, তাঁকে নিয়ে চিন্তা করা যাবে না, বরং তাঁর সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। কেউ আল্লাহ্কে নিয়ে চিন্তা করলে ইমান হারিয়ে কাফের হয়ে যাবে। অথচ মহান আল্লাহ্ যখন তাঁর দীদার দিয়ে আমাকে ধন্য করেন, তখন আমি অবলোকন করি যে, তাঁর আকার আছে, তিনি রূপহীন নিরাকার নন, তিনি স্বরূপে বিদ্যমান। এরপরই সিদ্ধান্ত নেই- মহান আল্লাহর প্রকৃত স্বরূপ আমি মানবজাতির নিকট তুলে ধরব। তাফসীর শরীফের মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আলকোরআন ও মারফু হাদীস দ্বারা আমি প্রমাণ করে দিয়েছি- ‘মহান আল্লাহ্ নিরাকার নন, তাঁর অপরূপ সুন্দর নূরের রূপ আছে’।”
হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেন- “আমি ছিলাম গুপ্ত ধনাগার, নিজেকে প্রকাশ করতে ভালোবাসলাম, তাই সৃষ্টিজগত সৃজন করলাম”(সিররুল আসরার: পৃষ্ঠা-১০)। দয়াময় আল্লাহ্ তাঁর পরিচয় প্রকাশ করতে চাচ্ছেন, আর আমরা বলি তাঁকে নিয়ে চিন্তা করা যাবে না, তিনি নিরাকার। মুসলিম জাতির এই অজ্ঞতার কারণেই আজ আমরা অন্ধকারে অধপতিত ও নিমজ্জিত হচ্ছি। এই কুসংস্কার থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর দীর্ঘ ৩৩ বছর নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে বিষয় সংশ্লিষ্ট আয়াত এবং প্রতিটি আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লাহর রাসুল (সা.) এর মারফু হাদিসের আলোকে আল্লাহর জাত-পাক ও ৯৯ খানা সিফাত অর্থাৎ গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপন করে ১১,৩৮৬ পৃষ্ঠা সংবলিত ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক ৮ খণ্ডের যে তাফসীর শরিফ প্রণয়ন করেছেন, তাই সূফী সম্রাটের মানব মুক্তির দর্শন। এটি পৃথিবীর একমাত্র তাফসীর শরিফ, যেখানে আল্লাহর বাণী দিয়েই, আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় উপস্থাপন করা হয়েছে।
তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী- ১ম খণ্ড
এখানে ১১টি অধ্যায়, ৭২৩ খানা আয়াত এবং ২৮০৮ খানা হাদিসের আলোকে মহান আল্লাহর জাত-পাকের পরিচয় মানব জাতির নিকট তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা মহান আল্লাহর একত্ববাদের বিষয়ে পবিত্র কুরআনের ২৮ খানা আয়াত, আল্লাহর নূরময় সত্তার বর্ণনায় ১৮ খানা আয়াত, মহান আল্লাহর চেহারা মোবারকের বর্ণনায় ১৪ খানা আয়াত, চক্ষু মোবারকের বর্ণনায় ৬৩ খানা আয়াত, শ্রবণেন্দ্রিয়ের বর্ণনায় ৪৮ খানা আয়াত, জবান মোবারকের বর্ণনায় ৪৭৭ খানা আয়াত, হাত মোবারকের বর্ণনায় ১৭ খানা আয়াত, কদম মোবারকের বর্ণনায় ২ খানা আয়াত, দেহ মোবারকের বর্ণনায় ৬ খানা আয়াত, রূহ মোবারকের বর্ণনায় ২০ খানা আয়াত, মহান আল্লাহর দর্শন লাভ প্রসঙ্গে ৩০ খানা আয়াত উপস্থাপন করেছেন। (ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা, স্মরণিকা-২০১৮, পৃষ্ঠা-৩৮)।
তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী – ২য় খণ্ড থেকে ৮ম খণ্ড
দয়াময় আল্লাহর ৯৯ খানা গুণবাচক নাম রয়েছে। সূফী সম্রাট ২য় খন্ড থেকে ৮ম খণ্ড পর্যন্ত ৭টি খণ্ডে গুণবাচক নামের পরিচয় সম্বলিত তাফসীর প্রণয়ন করেন। এ গুণসমূহ কুরআনের আয়াত ও রাসুল (সা.)-এর মারফু হাদিসের আলোকে তা উপস্থাপন করেন। এখানে কুরআনের মোট ৩,৪৫৭ খানা আয়াত এবং ১৩,০৯৯ খানা হাদিস তুলে ধরা হয়েছে। (ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীঃ একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা, স্মরণিকা-২০১৮, পৃষ্ঠা-৪০)। সূফী সম্রাট বলেন, “যার গুণ আছে, তার আকার আছে, নিরাকারের যেমন গুণ থাকতে পারে না, তেমনি যিনি সর্বগুণের আধার, তিনি কখনো নিরাকার হতে পারেন না।”
‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে দয়াময় আল্লাহ্ নিরাকার নন, তাঁর সুন্দরতম নূরের আকার রয়েছে। এ তাফসীরের মাধ্যমে আল্লাহ্ সম্পর্কে সমস্ত পৃথিবীর মানুষের ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়ে প্রকৃত সত্য জগতবাসীর নিকট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দর্শন হলো ‘সত্য সন্ধান’, যে ব্যক্তি সত্য সন্ধানী তিনি দার্শনিক। মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীর দর্শন ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’। এটি জ্ঞানের এমন এক ভাণ্ডার, যা পাঠ করলে হৃদয়ের বন্ধ দুয়ার খুলে যায়, অজ্ঞতার অন্ধকার দূরীভূত হয়ে প্রকৃত সত্য মানসপটে ফুটে উঠে। গ্রন্থটির প্রতিটি অধ্যায়, প্রতিটি পর্যালোচনার অসাধারণ বর্ণনা মুক্তিকামী পাঠককে আকৃষ্ট করে তোলে; প্রভুর প্রেম সৃষ্টি হয়ে, হৃদয় মাঝে প্রভুকে পাওয়ার বাসনা জাগ্রত হয়। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের অসাধারণ লেখনী শক্তি ও ঐশ্বরিক জ্ঞানের গুণে তাফসীর পাঠে খোদা প্রেমিকগণ প্রভুর প্রেমে বিভোর হয়ে যান। দীর্ঘ দিনের সঞ্চিত ভ্রান্তি দূর হয়ে আপন স্রষ্টা সম্পর্কে সত্য ধারণা স্পষ্ট হয়ে উঠে। তখনই ইবাদতের প্রকৃত শান্তি বাস্তব জীবনে উপলব্ধি করা যায়।
স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে তাঁকে নিরাকার মনে করে, স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন মূল্যহীন। তাই স্রষ্টার অস্তিত্ব ও স্বরূপ সম্পর্কে আমাদের ধারণা স্পষ্ট হতে হবে। নিজের মধ্যে বিদ্যমান জাগতিক জ্ঞান দিয়ে প্রভুর পরিচয় পাওয়া সম্ভব নয়, তার জন্য প্রয়োজন একজন মোকাম্মেল মোর্শেদের সান্নিধ্যে গিয়ে ক্বালবের বিদ্যা শিক্ষা করা। সূফী সম্রাট, ইলমুল ক্বালবের বিদ্যায় তাফসীর শরিফ লিখেছেন। যে বিদ্যা গ্রহণ করতে পারলে রাব্বুল আলামিনের নূরের দেহ ক্বালবের পর্দায় দেখা যায়। মহান আল্লাহ্ সম্পর্কে যারা জানতে চায় তাদের উদ্দেশে পবিত্র কুরআনে দয়াময় আল্লাহ্ বলেন, “তিনিই রহমান, তাঁর সম্বন্ধে যে অবগত আছে তাঁকে জিজ্ঞাসা কর” (সূরা ফুরকান ২৫ : আয়াত ৫৯)।
সৃষ্টির প্রেম স্রষ্টার সাথেই। সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ ঐশী প্রেমে বিভোর হয়ে তার স্রষ্টার দর্শন লাভ করবে এটাই সত্য। স্রষ্টা যদি নিরাকার হয়, তবে সৃষ্টি কার দর্শন লাভ করবে; কার কাছে নিজেকে সমর্পণ করে বলবে “প্রভু ক্ষমা করো আমায়”। মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা.আ.) হুজুর কেবলাজান এমনি এক মহামানব, যার দর্শন মানুষকে মুক্তির পথে আহবান করে। তিনি মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে বের করে এনে প্রভুর সাথে যোগাযোগ করে, তাঁকে পাওয়ার পদ্ধতি শিক্ষা দেন। এটিই ছিল দয়াল রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা। প্রায় ১৪০০ বছর পর তিনি সেই শিক্ষাই জগতবাসীর নিকট উপস্থাপন করেছেন। ‘মহান আল্লাহ্ নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে’- এই মহা সত্যটি সূফী সম্রাট ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’র মাধ্যমে জগতবাসীর নিকট প্রতিষ্ঠিত করে মানবজাতিকে ভুল থেকে উদ্ধার করেছেন। তাই দয়াময় আল্লাহ্ এ মহামানবকে পুরষ্কৃত করে চাঁদের মাঝে তাঁর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে প্রমাণ করে দিলেন, আমাকে (আল্লাহ্) পেতে হলে আমার এই বন্ধুর শরণাপন্ন হও।
[লেখক : প্রাবন্ধিক ও পিএইচ.ডি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]