পুণ্য বাণী
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহর অলীগণের কোনো ভয় নেই এবং তাঁরা দুঃখিতও হবে না। (সূরা ইউনুস ১০: আয়াত ৬২)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় তালাশ করো ও তাঁর পথে সংগ্রাম করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সূরা আল মায়িদাহ ৫: আয়াত ৩৫)
তিনি (আল্লাহ্) তাদের ক্বালবে ইমান সুদৃঢ় করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে শক্তিশালী করেছেন, তাঁর পবিত্র রূহ দ্বারা। তিনি তাদেরকে বেহেশতে দাখিল করবেন, যার নিম্নদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হয়, সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে। আল্লাহ্ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। তারাই আল্লাহর বাহিনী। জেনে রেখো, আল্লাহর বাহিনী সফলকাম হবে। (সূরা আল মুজাদালাহ ৫৮: আয়াত ২২)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, মহান আল্লাহ্ বলেছেন- ‘‘নিশ্চয় আমার বান্দাদের মধ্যে অলী-আল্লাহ্ হলো তাঁরা আমাকে স্মরণ করলে যাদের কথা স্মরণ হয় এবং যাদেরকে স্মরণ করলে আমার কথা স্মরণ হয়।’’ (তাফসীরে মাজহারী ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৪৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- ‘‘আরজ করা হলো হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! অলী-আল্লাহ্গণ কারা? তিনি বললেন- যাঁদেরকে দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হয় (তথা আল্লাহর প্রেমের ফায়েজ পাওয়া যায়)।’’ (তাফসীরে দুররে মানছুর ১১নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭০)
নিশ্চয় আলেমগণ (আল্লাহ্ তত্ত্বের জ্ঞানে জ্ঞানী অলী-আল্লাহ্গণ) নবিগণের ওয়ারিস তথা উত্তরসূরি। (আহমদ, তিরমিজী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমী শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৩৪)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
মহিমান্বিত আল্লাহর নিকট কিছু চাইতে হলে তোমরা প্রথমে রাসুল (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করো, তারপর যা যাচনা করার তা করো, কারণ পরম দয়ালু আল্লাহ্ দুটি অনুরোধের মধ্যে যেটি রাসুল (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি দরুদ ও সালাম সংলগ্নকৃত সেটি রক্ষা করেন এবং অন্য সব যাচনা বাতিল করে দেন।
-শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু
অলী-আল্লাহ্গণ পরশ পাথরতুল্য। অলী-আল্লাহর সংস্পর্শে গিয়ে পাপী তাপী মানুষ উত্তম চরিত্র গঠনের মাধ্যমে সোনার মানুষে পরিণত হয়।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
নবুয়তের যুগ সমাপ্ত হওয়ার পর মহান আল্লাহ্ যুগের ইমামরূপে মহামানব প্রেরণ করে তাঁদের মাধ্যমে হিদায়েতের কাজ পরিচালনা করেন।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
‘আল্লাহ্’ নামটিই ইসমে আজম, তবে এই ইসমে আজমের সার্থকতা তখনই হৃদয়ঙ্গম হয়, যখন জ্বিকিরকারির হৃদয়ে আল্লাহ্ ব্যতিত আর কিছুরই অস্তিত্ব থাকে না।
-হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)
যাহারা তাসাউফ শিক্ষা করিল না, তাহারা কুরআনের বাতেনি অর্থ বুঝিতে সক্ষম হইল না, কাজেই তাহারা কুরআনের উপর পুরোপুরি আমল করিতে পারিল না।
-ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী, সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।