পূণ্য বাণী
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
আমি (আল্লাহ্) তাদেরকে শীঘ্রই আমার নিদর্শন (চেহারা মোবারক) দেখাবো ঊর্ধ্বলোকে (আকাশের চাঁদে) এবং তাদের নিজেদের মাঝে (ক্বালবের সপ্তম স্তর নাফসির মোকামে)-ও। ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হবে যে, নিশ্চয়ই এটিই (তিনি যে আল্লাহ্) সত্য। আর সর্ব বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে আপনার প্রতিপালক যথেষ্ট নয় কি?
(সূরা হা মীম আস সাজদাহ ৪১: আয়াত ৫৩)
হে রাসুল (সা.) আপনি বলে দিন- সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য; যিনি অতি শীঘ্রই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শন (চেহারা মোবারক) দেখাবেন। তখন তোমরা তাঁকে চিনতে পারবে।
(সূরা আন নামল ২৭: আয়াত ৯৩)
যে ব্যক্তি আল্লাহর দিদার লাভের আশা করে, (সে জেনে রাখুক) আল্লাহর দিদার লাভের সেই নির্ধারিত সময় আসবেই।
(সূরা আল আনকাবূত ২৯: আয়াত ৫)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত জারির ইবনে আবদুল্লাহ্ (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে- আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “অতি শীঘ্রই তোমরা তোমাদের প্রতিপালক (আল্লাহর চেহারা মোবারক)-কে স্বচক্ষে দেখতে পাবে। (বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮১)
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “(হে আমার সাথিগণ) দ্বিপ্রহরে যখন আকাশ পরিষ্কাার থাকে এবং আকাশে মেঘ না থাকে, তখন কি তোমাদের সূর্য দেখতে কোনো অসুবিধা হয়? আর পূর্ণিমার রাতে যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং আকাশে কোনো মেঘ না থাকে, তখন কি চাঁদ দেখতে তোমাদের কোনো অসুবিধা হয়? তারা জবাব দিলেন- না, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! কোনো অসুবিধা হয় না। আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- এভাবে আল্লাহকে দেখতেও তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। (মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০২)
আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “ইমাম মাহ্দি (আ.) আমার আহলে বাইত হতে আগমন করবেন। আল্লাহ্ তায়ালা এক রাতের মধ্যেই (পূর্ণিমার চাঁদের ভিতর) তাঁর সত্যতা প্রমাণ করে দিবেন।” (মুসনাদে আহমাদ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৪)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
আমি এমন প্রতিপালকের ইবাদত করি না, যাঁকে আমি দেখি না।
-শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু
আমি মহান প্রতিপালক আল্লাহকে স্বপ্নে দেখেছি, অতঃপর আমি বললাম, হে রব! নৈকট্য লাভকারীগণ কোন কর্ম দ্বারা আপনার নৈকট্য লাভ করে থাকে। আল্লাহ্ বললেন- হে আহমদ! আমার কালাম তথা বাণীর মাধ্যমে।
-ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)
পবিত্র কুরআন ও হাদিস প্রমাণ করে, আল্লাহর নুরের রূপ আছে, তিনি রূপহীন নিরাকার নন, বরং তাঁর আকার আছে।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
দুনিয়ার হায়াতের সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্যই প্রভূর সন্তুষ্টি ও তাঁর দিদার লাভ করা, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ বা তাঁর দর্শন অস্বীকার করে তার ইবাদতসমূহ নিষ্ফল।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী, সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।