পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগী
এ আর ওয়ালী উল্লাহ্ –
আল্লাহ্র বন্ধু দেওয়ানবাগী নন, সাধারণ কোনো ব্যক্তি,
রাসুল প্রেমের প্রেমিক গড়ার দিয়েছেন হৃদয়ে শক্তি।
সাধনা করে মহান আল্লাহ্ এর নৈকট্য হাসিল করে,
আশেকে রাসুলের শিক্ষা তিনি দিয়েছেন ঘরে ঘরে।
কোটি কোটি অনুসারী যাঁর বিশ্বজাহান জুড়ে,
ধ্যান করে মন স্থির করে তারা প্রেম আগুনে পুড়ে।
আল্লাহ্ রাসুল পেতে মানুষ রাসুল প্রেমেতে উদ্বুদ্ধ,
সূফী সম্রাটের শিক্ষা নিয়ে আত্মা হয় পরিশুদ্ধ।
কুকুর নিকৃষ্ট প্রাণী হয়ে তার মালিককে রাখে সন্তুষ্ট,
দুষ্কর্মের ফলে মানুষ আশরাফ হয়েও হন পথভ্রষ্ট।
অনেকই বলে থাকেন আল্লাহ্ হলেন নিরাকার,
নিরাকার কীভাবে করবে বিচার যদি না হন সে আকার।
বিশ্বময় বাবা দেওয়ানবাগীর শ্রেষ্ঠ অবদান
আল্লাহ্ এর নুরের রূপ আছে, করলেন তিনি প্রমাণ।
দেওয়ানবাগী বলেন- আমি প্রভুকে এমনভাবে চিনি,
পিতা সন্তানকে যেভাবে চিনে আমরা জানি।
পবিত্র কুরআন দিয়ে আল্লাহ্ এর আকার করেছেন তিনি আবিষ্কার,
খুশি হয়ে আল্লাহ্ আকারে এসে দিলেন তাঁকে পুরস্কার।
২০০৮ সাল, ১০ অক্টোবর শাওয়াল চাঁদের পূর্ণিমাতে,
আশ্চর্য এক দৃশ্য দেখান আল্লাহ্ তারা ভরা চাঁদনি রাতে।
যুগের ইমাম দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি চাঁদের মাঝে,
উদ্ভাসিত আলোর অবয়ব দেওয়ানবাগীর সাজে।
প্রজ্বলিত নুর বাবা দেওয়ানবাগী পূর্ণিমার চাঁদে হাসে,
উদ্বেলিত আনন্দে পৃথিবী যেন গায় গান আকাশে বাতাসে।
পৃথিবীর মাঝে বইছে যেন আনন্দের উত্তাল ঢেউ,
চাঁদের মাঝে দেখছে সবাই বাদ পড়েনিকো কেউ।
আবেগে আপ্লুত কান্নায় জড়িয়ে বাবাজানকে বলেন এসে,
চন্দ্রপৃষ্ঠে হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় দেখেছি আপনাকে অবশেষে।
নিজেকে নিজে বিস্মিত দেখে চাঁদে কেন তাঁর বিচরণ,
চাঁদের মাঝে তাঁর ছবি কেন, জানবেন এর কী কারণ?
মোরাকাবা করে জানতে চাইলেন মহান প্রভুর ধারে,
জানালেন প্রভু খুশি হয়ে তাঁর কর্মে চাঁদে দেখালেন তাঁরে।
প্রভু বলেন- আমার আকারের প্রমাণ করলেন যিনি
পৃথিবীতে একজন দেওয়ানবাগী আমার প্রিয় বন্ধু তিনি।
প্রতি পূর্ণিমাতে রাতভর চলে দেওয়ানবাগীর প্রশংসার ঝড়,
বাবার নির্দেশে শপথ করি কুদরতকে মানবো জীবন ভর।
[কবি: স্কুল শিক্ষক]