Cancel Preloader

প্রখ্যাত সুফিসাধক হযরত কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.)

শেষ পর্ব
হযরত কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর প্রতি ইলতুতমিশের পরম শ্রদ্ধা
দিল্লির সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ তাঁর মোর্শেদ হযরত খাজা বখতিয়ার কাকি (রহ.)-কে অত্যন্ত ভক্তি ও শ্রদ্ধা করতেন। রাজ্যের প্রজা সাধারণও তাঁকে পছন্দ করতেন। হযরত কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) সুলতান ইলতুতমিশকে রাজ্যের প্রজা সাধারণ ও ফকির-দরবেশদের সহিত যেরূপ সদ্ব্যবহার ও দয়া-দাক্ষিণ্যের নির্দেশ দিতেন, তিনি তা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে প্রতিপালন করতেন। সুলতান নিজেও একজন ইবাদতপরায়ণ ছিলেন। নামাজ, রোজা ও ওয়াজিফা ইত্যাদি দৃঢ়ভাবে আমল করতেন এবং ইসলামের সকল বিধিবিধান সর্বদা মেনে চলতেন। বাদশা হওয়া সত্তে¡ও তিনি নিজের অধিকাংশ কাজ নিজেই করতেন। চাকরদেরকে সর্বদা নিজের খেদমত ও পরিচর্যার জন্য দণ্ডায়মান রাখতেন না। রাত্রিকালে ছদ্মবেশে রাজ্যের মধ্যে ঘোরাফেরা করে প্রজাসাধারণের অভাব-অভিযোগ ও দুঃখ-কষ্টের খোঁজখবর নিতেন এবং এর যথাবিহীত প্রতিকার করতেন। গরিব-দুঃখী ও অভাবগ্রস্ত লোকদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতেন এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতি সর্বদা তীক্ষè দৃষ্টি রাখতেন। বস্তুত সুলতান ইলতুতমিশের সদ্ব্যবহার ও ন্যায় বিচারের ফলে জনগণ তাকে অতিশয় সম্মান ও ভক্তি করত।


খাজা কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) স্বীয় মলফুযাতে লিখেছেন, একদা রাত্রিকালে সুলতান ইলতুতমিশ আমার পা জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ নীরবে বসে রইলেন। আমি বলছিলাম, আমাকে আর কতক্ষণ কষ্ট দিবে? যা বলবার তা বলে ফেল। তখন সে বলতে লাগল, আল্লাহ্ তায়ালা আমাকে রাজত্ব দান করেছেন, কিন্তু কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ্ আমাকে রাজ কর্তব্য পালন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এবং এর হিসাবনিকাশ তলব করবেন, তখনও আমি যেন আপনার রহমত ও দয়া হতে বঞ্চিত না হই। আমি একথায় সম্মতি প্রদান না করা পর্যন্ত ইলতুতমিশ আমার পা ছাড়েননি।


স্ত্রী ও সন্তান
হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম বিয়ে তাঁর জন্মস্থানে সম্পন্ন হয়েছিল। যার সমস্ত ব্যবস্থাপনা তাঁর মা করেছিলেন। তিনদিন পর তিনি স্ত্রীকে পৃথক করে দেন। কেননা, তাঁর দৈনন্দিন রুটিন ছিল যে, তিনি প্রত্যেক দিন শয়নের সময় ৩ হাজার বার দুরুদ শরীফ পড়তেন। শাদির কারণে ৩ দিন দুরুদ শরীফ পড়তে পারেননি। স্বপ্নে হযরত রাসুল (সা.) এক বুজুর্গকে বলেন, ‘‘কুতুবুদ্দিনকে আমার পক্ষ থেকে বলিও, কী ব্যাপার! যে তোহফা সে প্রত্যেক রাতে আমার নিকট পৌঁছাতো, আজ তিন রাত যাবৎ পাঠায়নি।’’ আল্লাহ্র রাসুল (সা.)-এর এই বার্তা শুনে কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) স্ত্রীকে পৃথক করে দিলেন, যাতে কখনো এমন ঘটনা আর না ঘটে। তিনি দিল্লিতে শেষ বয়সে দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন। এই স্ত্রীর গর্ভে তাঁর দুই সাহেবজাদা জন্মগ্রহণ করেন। বড়ো সাহেবজাদার নাম মুহাম্মদ আর কনিষ্ঠ সাহেবজাদার নাম শায়খ আহমদ।


সুন্দর চরিত্র ও অভ্যাস
হযরত কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) ইবাদত করার সময় তাঁর বিশেষ কাইফিয়াত বা অবস্থার সৃষ্টি হতো। তিনি পবিত্র কুরআনের হাফেজ ছিলেন। পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজগুলো সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত যত্নবান ও সচেষ্ট ছিলেন। প্রতিদিন তিনশ রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেন। রাতে শয়নের সময় ৩ হাজার বার দুরুদ শরীফ পড়তেন।


নির্জনে অবস্থান
কম কথা বলা, কম শয়ন করা ও কম খাওয়া তাঁর বৈশিষ্ট্য ছিল। মহান স্রষ্টার প্রেমে মশগুল থাকতে এবং সৃষ্টি থেকে দূরে থাকতে তিনি অভ্যস্থ ছিলেন। তিনি সব সময় নিশ্চুপ ও চিন্তামগ্ন থাকতেন। অনেক সময় তিনি আল্লাহর প্রেমে রোনাজারিতে কাটাতেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে একাকী ধ্যানমগ্ন থাকতেন।


রাত্রি জাগরণ
জীবনের প্রথম দিকে তিনি রাতে বেশিক্ষণ ঘুমাতেন এবং আরাম করতেন। কিন্তু শেষ বয়সে তিনি রাতের আরাম ও শয়ন একেবারেই বর্জন করেছিলেন বলা যায়। গোটা রাত তিনি নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত এবং ‘জিকরে খফি’ (অন্তরের জিকির) ও ‘জিকরে জলি’ (মৌখিক জিকির) উভয় জিকিরে নিমগ্ন থাকতেন।


নিজের অবস্থা গোপন রাখতেন
হযরত কুতুবুদ্দ্নি কাকি (রহ.) নিজে যেসব ইবাদত ও রিয়াজত করতেন, তা কারো নিকট প্রকাশ পাওয়া পছন্দ করতেন না। তিনি তাঁর মুরিদদেরকেও শিক্ষা দিতেন যেন খ্যাতি অর্জন ও নিজেকে জাহির করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বলতেন- ‘‘জন সাধারণের দৃষ্টি থেকে গোপন থাকার মধ্যেই নিরাপত্তা রয়েছে। অখ্যাতিতে খায়ের ও বরকত রয়েছে। আর খ্যাতি ও প্রসিদ্ধি পরীক্ষা ও বিপদের কারণ।’’


সামা মাহ্ফিলে কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর আগ্রহ: সামা মাহ্ফিল বা কাউয়ালি শ্রবণের প্রতি হযরত কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। মাঝে মধ্যে তিনি কাউয়ালির মজলিসের আয়োজন করে কাউয়ালি শুনতেন। কোনো কোনো সময় তিনি কাজী হামিদুদ্দিন নাগুরি (রহ.)-এর খানকায় গমনপূর্বক কাউয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। একদা কাউয়ালি মজলিসে জনৈক কাউয়াল এই বয়েতটি পাঠ করল- “কাউয়ালি কী বস্তু যে, এতে এত এশক এবং ব্যথা-বেদনার উৎপত্তি হয়ে থাকে? কাউয়ালি এশকের রহস্য এবং এশক তার রহস্য বৈ আর কিছুই নহে।” এই বয়েতটি হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর উপর এমন ভাবাবেগের সৃষ্টি করল যে, তিনি সাতদিন পর্যন্ত বেহুঁশ হয়ে রইলেন। অবশ্য নামাজের সময় হলে তাঁর হুঁশ ফিরে আসত এবং তিনি যথাসময়ে নামাজ আদায় করতেন। নামাজ আদায় করার পরই পুনঃ বেহুঁশ হয়ে পড়তেন। এভাবে সাতদিন অতিবাহিত হয়।


জীবদ্দশায় নিজের দাফনের স্থান নির্বাচন
কোনো এক ঈদের দিনে ঈদগাহ থেকে ফিরে আসার সময় হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) একটি পরিত্যক্ত (খালি) জমিতে তাশরিফ এনে বললেন, “এ জমি থেকে আমি পবিত্র অন্তরসমূহের খুশবু পাচ্ছি। এ জমির স্বত্বাধিকারীর সাথে আমি দেখা করব।” তিনি তার নিকট থেকে ওই জমি ক্রয় করলেন এবং বললেন, ‘‘আমার মৃত্যুর পর এখানেই আমাকে দাফন করবে।’’ বর্তমানে সেখানে হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর রওজা মোবারক রয়েছে।


মতাদর্শ
চিশতিয়া তরিকার অন্যান্য সাধকদের মতো হযরত খাজা বখতিয়ার কাকি (রহ.) কোনো আনুষ্ঠানিক মতবাদ প্রণয়ন করেননি। তিনি সবসময় মজলিসের আয়োজন করতেন, যেখানে তিনি তরিকতের গোপন রহস্য তত্ত¡ নিজ শিষ্যদের কাছে উন্মোচিত করতেন। এই মজলিসে যেসব বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হতো সেগেুলো হলো- আত্মত্যাগ ও বাসনা শূন্য প্রেম, আল্লাহ্র উপর úূর্ণ বিশ্বাস, সকল মানুষের সাথে একইরূপ আচরণ করা এবং যথাসাধ্য তাদের সাহায্য করা ইত্যাদি। তাঁকে যেসব অর্থ নজর দেওয়া হতো, তিনি সে দিনই ঐ অর্থ অভাবগ্রস্তদের মাঝে দান করে বিলিয়ে দিতেন। তিনি ফলাফলের বা প্রতিদানের আশা না করে অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করার মতাদর্শের বিশ্বাসী ছিলেন।


ওফাত
কথিত আছে জনৈক কবি শেখ আহমদ জমির কাসিদা পাঠকালে এই বয়েতটি আবৃত্তি করতেন- “আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির সম্মুখে আত্মসমর্পণের খঞ্জরে যারা নিহত হন, তারা প্রত্যেক সময় গায়েব হতে নিত্যনতুন প্রাণ লাভ করে থাকেন।” আবৃত্তি করা মাত্র হযরত কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.) ভাবাবেগে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। চারদিন চার রাত পর্যন্ত এ বয়েতটির ভাবমত্ততায় অস্থির ও অজ্ঞান হয়ে রইলেন এবং এই অজ্ঞান অবস্থায়ই পঞ্চম রাতে অর্থাৎ ৬৩৩ হিজরির ১৪ই রবিউল আউয়াল তারিখে তিনি আল্লাহ্ পাকের সান্নিধ্যে চলে যান।


বস্তুত আল্লাহ্ তায়ালার সন্তুষ্টির সম্মুখে যাঁরা আত্মসমর্পণ করে প্রাণ দান করেন, তারা প্রতি মুহূর্তে নিত্যনূতন প্রাণ লাভ করে থাকেন। খাজা কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি (রহ.)-এর ওফাতের সময় পবিত্র মাথা মোবারক হযরত হামিদুদ্দিন নাগরি (রহ.)-এর হাঁটুর উপর এবং তাঁর দুই পা হযরত শেখ বদরুদ্দিন গজনবি (রহ.)-এর কোলের উপর ছিল। তাঁর জানাজার নামাজে ইমামতি করে ছিলেন সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ।


‘সিয়ারুল আওলিয়া’ নামক কিতাবে বর্ণিত আছে যে, হযরত খাজা কুতুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর জানাজার নামাজ পড়ার জন্য যখন লক্ষ লক্ষ লোক সমবেত হলেন। তখন খাজা সাহেবের অছিয়ত অনুযায়ী খাজা আবু সাঈদ (রহ.) জনসমুদ্রের মধ্যস্থলে দাঁড়িয়ে উচ্চস্বরে ঘোষণা করেন যে, হযরত খাজা বখতিয়ার কাকি (রহ.) অছিয়ত করেছেন, যে ব্যক্তি জীবনে কখনও কোনো হারাম কাজ করেনি, জীবনে কখনও যার আছরের সুন্নত কাজা হয়নি, জীবনে কখনও আছরের জামাতের তাকবিরে তাহরিমা ছুটে নাই, সেই ব্যক্তিই তাঁর জানাজার নামাজে ইমাম হবেন। এই ঘোষণা শুনে উপস্থিত ওলামায়ে কেরামের মধ্যে কেউই ইমাম হবার জন্য অগ্রসর হলেন না। এভাবে বহুক্ষণ কেটে যায়, তথাপি কেউই অগ্রসর হচ্ছেন না দেখে সুলতান ইলতুতমিশ অগ্রসর হয়ে বললেন, “আমি আমার এই গোপনীয়তা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু হযরত পির সাহেব কেব্লার অছিয়ত পালন না করে উপায় নাই।” অতঃপর তিনি জানাজার নামাজে ইমামতি করেন।


হযরত খাজা কতুুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর রওজা পুরাতন দিল্লিতে কারা মোহর ওলি নামক স্থানে অবস্থিত। কুতুব মিনারও এখানেই অবস্থিত। এই অঞ্চলটি সাধারণত হযরত খাজা কতুুবুদ্দিন কাকি (রহ.)-এর নামেই খ্যাত।
হযরত খাজা বখতিয়ার কাকি (রহ.)-এর রচনাবলি: হযরত খাজা বখতিয়ার কাকি (রহ.) দুটি কিতাব রচনা করেন। ১। দিওয়ান ও ২। ফাওয়ায়েদুস্সালেকীন।


মূল্যবান নছিহত
১। পিরের মধ্যে এতটুকু রুহানি শক্তি থাকা জরুরি যে, তিনি মুরিদের ক্বলবের কালো দাগ আপন বাতেনি শক্তি দ্বারা পরিষ্কার করবেন এবং তাকে আল্লাহ্ তায়ালা পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিবেন।
২। মুরিদ পিরের সামনে ও অবর্তমানে এক সমান থাকা চাই। যখন পিরের ওফাত হয়ে যায়, তখন তাঁর সামনে আরো বেশি আদব প্রদর্শনকারী হয়ে যাওয়া চাই।
৩। দরবেশদের অনাহারে থাকা তাঁদের ইচ্ছাধীন। কেননা, সমগ্র দুনিয়াকে তাঁদের হস্তগত করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যদৃচ্ছা ব্যয় করতে পারে; কিন্তু তাঁরা তা করে না বরং অন্যকে দান করে এবং নিজে অনাহারে থেকে আধ্যাত্মিক সাধনায় উন্নতি লাভ করে।
৪। যে ব্যক্তি খোদাপ্রেমের দাবি করে এবং বিপদাপদের সময় চিৎকার করে বেড়ায়, সে মহব্বতের দাবিতে মিথ্যাবাদী।
৫। তরিকতের পথিক যদি কোনো এক নির্দিষ্ট পথের উপর চলতে থাকে, আর পূর্ণ আশা ও পূর্ণ বিশ্বাস রাখে, তবে তিনি অবশ্যই কামালিয়াতের দরজায় পৌঁছে যান।
৬। অলী-আল্লাহ্গণের মজলিসে উপযুক্ত স্থানের সন্ধান না করে যেখানে স্থান পাও সেখানেই বসে পড়।
৭। মানুষ যে পর্যন্ত দুনিয়ার বিষয়ে মশগুল থাকে, সে পর্যন্ত আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে পৌঁছতে পারে না।
৮। দরবেশদের যদি প্রত্যহ এক লক্ষ দেশও অতিক্রম করতে হয়, তবুও তাকে সম্মুখের দিকেই অগ্রসর হতে হবে।
৯। পিরের অন্তরের শক্তি এবং পবিত্রতা এরূপ থাকা আবশ্যক, যার দ্বারা তিনি মুরিদের ক্বালবের মরিচা, মলিনতা ও সংসার আসক্তিকে দূর করে দিতে পারেন। অর্থাৎ তার মধ্যে যেন আর কোনো প্রকার শঠতা, প্রবঞ্চনা, হিংসা ও কুপ্রবৃত্তি অবশিষ্ট থাকতে না পারে। অতঃপর মারেফাতের রহস্য সম্বন্ধে তাকে অবহিত করবেন।


তথ্যসূত্র
১। তায্কেরাতুল আওলিয়া ৪র্থ খণ্ড, মাওলানা নূরুর রহমান, এমদাদিয়া পুস্তকালয় (প্রা.) লি. ঢাকা, পৃষ্ঠা ১৫৬-১৭০


সংকলনে- ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক

সম্পর্কিত পোস্ট