বাণী মোবারক
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
“মরুবাসীরা বলে- আমরা ইমান এনেছি। আপনি বলে দিন তোমরা ইমান তো আননি, বরং বলো- আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। আর ইমান তো এখনো তোমাদের ক্বালবে প্রবেশ করেনি। কাজেই যদি তোমরা আল্লাহ্ ও রাসুলের আনুগত্য করো, তবে তিনি তোমাদের কর্মসমূহ থেকে একটুও কম করবেন না। নিশ্চয় আল্লাহ্ পরম ক্ষমালীল ও অসীম দয়াময়।”
(সূরা আল হুজরাত-৪৯: আয়াত ১৪)
“তারা ঐ লোক, যারা ইমান আনে এবং যাদের ক্বালব আল্লাহর জিকিরে প্রশান্ত হয়, আর যারা ইমান আনে এবং নেক কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ ও শুভ পরিণাম।”
(সূরা আর রা‘দ-১৩: আয়াত ২৮ ও ২৯)
“যারা ইমান এনেছে এবং যারা ইহুদি হয়েছে আর খ্রিষ্টান ও সাবেইন- তাদের মধ্য থেকে যারা ইমান এনেছে আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের প্রতি এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট। আর তাদের কোনো ভয় নাই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’’
(সূরা আল বাকারাহ-২: আয়াত ৬২)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আলী ইবনে আবু তালেব র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন ‘‘ইমান হচ্ছে ক্বালবের মারেফাত জানা, (ক্বালবের ভেতরে আল্লাহর পরিচয় লাভ করা) এবং মৌখিক স্বীকৃতি ও কর্মের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।’’ (ইবনে মাজাহ, তাবারানী, বায়হাকী ও শুআবুল ইমানের সূত্রে তাফসীরে দূররে মানছুর- ২৬নং খন্ড, পৃষ্ঠা ৫৮৩)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- ‘‘আল্লাহর রাসুল (সা.) এই আয়াত তেলাওয়াত করেন ‘‘আল্লাহ্ ইসলামের জন্য যার (ক্বালবের) সুদুরের মোকাম খুলে দিয়েছেন এবং যে তার প্রতিপালকের প্রদত্ত নুরের মাঝে রয়েছে সে কি তার সমান যে এরূপ নয়? আমরা বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! কিভাবে (ক্বালবের) সুদুরের মোকাম খুলে যায়?’ জবাবে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন ক্বালবে নুর প্রবেশ করে, তখন ক্বালব খুলে যায়, এবং সেটা প্রশস্ত হয়ে যায়’।’’ (তাফসীরে দুররে মানছুর- ২৩নং খন্ড, পৃষ্ঠা ২১৯)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- ‘‘প্রকৃত মুসলমান ঐ ব্যক্তি, যার হাত ও জবান থেকে অন্য সকল মুসলমান নিরাপদ থাকে, আর প্রকৃত মুহাজির ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষেধকৃত বিষয়াবলি পরিত্যাগ করতে পেরেছে।’’ (বোখারী শরীফ- ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
‘‘নিশ্চয়ই ইমান হচ্ছে ক্বালবের ভেতর শুভ্র আলোকোজ্জ্বল অবস্থা প্রকাশ পাওয়া। ক্বালবে যখন ইমান বৃদ্ধি পায়, তখন ক্বালবের
উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পায়। আর ইমান যখন পরিপূর্ণতা লাভ করে, তখন ক্বালবের উজ্জ্বলতাও পরিপূর্ণ হয়ে যায়।’’
-শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
“প্রকৃত ইমান একটি নুর বিশেষ। এই নুর নবি, রাসুল ও আওলিয়ায়ে কেরামের সিনায় সংরক্ষিত থাকে। নবি ও রাসুলগণের যুগ
শেষ হওয়ার পর, বেলায়েতের যুগে যে ব্যক্তি অলী-আল্লাহর সাহচর্যে গিয়ে সাধনার মাধ্যমে ইমানের নুর নিজের ক্বালবে প্রজ্বলিত
করতে সক্ষম হয়েছেন, তিনিই প্রকৃত ইমানদার।”
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.)
“অলী-আল্লাহর নিকট থেকে ক্বালবে ইমানের নুর ধারণ না করা পর্যন্ত শুধু কিতাব পড়ে মানুষের পক্ষে ইমানের অধিকারী হওয়া সম্ভব নয়।’’
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.)
‘‘তোমার ক্বালবকে আল্লাহর প্রেমের শক্তি দ্বারা মজবুত করো এবং তাঁর সন্তুষ্টিতেই সদাসর্বদা নিয়োজিত থাক।’’
-হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)
সংকলনে- আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী, সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ