বাণী মোবারক
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
হে ইমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হলো যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা মোত্তাকি হতে পারো। (সূরা আল বাকারাহ ২: আয়াত ১৮৩)
নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য (রোজা)। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময়ে রোজার সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আর রোজা যাদের জন্য অতিশয় কষ্টকর, তারা এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেবে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করে, কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। যদি তোমরা রোজা রাখ, তবে তা হবে তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে। (সূরা আল বাকারাহ ২: আয়াত ১৮৪)
নিশ্চয় আমি নাজিল করেছি এ কুরআন কদরের রাতে; [হে রাসুল (সা.)] আপনি কি জানেন কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। (সূরা আল ক্বদর ৯৭: আয়াত ১-৩)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “যখন রমজান মাস আগমন করে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানগুলিকে শৃঙ্খলিত করা হয়।” (বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৫৫)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়, এক জুম‘আ থেকে অন্য জুম‘আ, এক রমজান থেকে অন্য রমজান পর্যন্ত মাঝখানের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যদি কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২২)
আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন-হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় সে ব্যক্তি, যে শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করে।” (তিরমিজী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৫০)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
এমন অনেক লোক রোজা পালন করে যাদের রোজা উপবাস থাকা ও তৃষ্ণার্ত ব্যতীত আর কিছু নয় এবং এমন অনেক নামাজি আছে যাদের নামাজ জাগরণ ও কষ্ট করা ব্যতীত আর কিছু নয়, তাদের ইবাদত অপেক্ষা আল্লাহ্ তত্ত্ব জ্ঞানীদের খাওয়া, পান করা ও ঘুম অনেক বেশি ভালো।
-শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, কামাচার, পাপাচার ও পাপের কল্পনা হতে বিরত থেকে সর্বক্ষণ ক্বালবে আল্লাহর জিকির বা স্মরণে নিমগ্ন থেকে রোজা পালন করাকে উচ্চ শ্রেণির রোজা বা হাকিকতে রোজা বলে।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
হাকিকতে রোজা পালনের জন্য আউলিয়ায়ে কেরামের শিক্ষা গ্রহণ করে ক্বালবে আল্লাহর জিকির জারি করা প্রয়োজন।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
মানুষের রোগমুক্তি ও পুষ্টিসাধনের জন্য যেরূপ নানা প্রকার ঔষধ ও পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া আবশ্যক, সেই প্রকার পরমাত্মারও (রূহে ইনসানিরও) ঔষধ ও পুষ্টিকর খাদ্যের আবশ্যক। আর তা হলো ক্বালবে আল্লাহর জিকির ও ফায়েজ লাভ করা।
-ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী, সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।