বিজয় হোক ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদার
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া
একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ অলী সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজান,
ওফাতের সময় জগতে রেখে যান তিন কোটি মুরিদ সন্তান।
কীভাবে চলবে ভক্তরা তাঁর সূফী সম্রাট দিলেন সমাধান,
মেজো সাহেবজাদাকে দায়িত্ব দিয়ে জগত ছেড়ে চলে যান।
মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব সূফী সম্রাট দিলেন যাঁর হাতে,
চিরদিন তিনি থাকবেন তাঁর মেজো সাহেবজাদার সাথে।
নামটি তাঁর কুদরত এ খোদা, সূফী সম্রাটের হৃদয়ের ধন,
শৈশব থেকেই মানুষের জন্য ব্যাকুল ছিল তাঁর উদার মন।
কদরের রাতে জন্ম তাঁহার উনিশ’শ পঁচাশি সালের ষোলই জুন,
জন্ম থেকেই পেয়েছেন তিনি মহান পিতার মহৎ গুণ।
সূফী সম্রাট তাঁর প্রিয় পুত্রের নাম রাখিলেন ‘কদর’,
আস্তে আস্তে বড়ো হলেন তিনি পেয়ে পিতা-মাতার আদর।
জন্ম নিলেন কুদরত এ খোদা, থেকে মাতৃগর্ভে মাত্র সাত মাস,
শুধু তিনজন ব্যতীত, জগতে এমন নেই কোন ইতিহাস।
তাঁদের অন্য দুজন, ফাতেমা তনয় ইমাম হোসাইন ও নবী ইয়াহ্ইয়া,
মহান আল্লাহ্ তাঁদেরে, পাঠিয়েছেন জগতে অধিক সম্মান দিয়া।
জন্মের পরে মাত্র সাতদিন বয়সে সূফী সম্রাট যখন হাত বাড়ালেন,
কী আশ্চর্য! এতটুকু শিশু পিতার আঙ্গুল ধরে উঠে দাঁড়ালেন।
ছাত্র হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনাম সুখ্যাতি ছিল তাঁর,
মাস্টার্স পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন সবার।
এম.এ পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ায় সন্তুষ্ট সূফী সম্রাট বাবাজান,
আনন্দিত হয়ে কুদরত এ খোদার গলায় গোল্ড মেডেল পরান।
সকল পরীক্ষায়ই প্রথম স্থান পেয়ে লেখাপড়া করলেন শেষ,
এমন সন্তানের জন্য পিতা-মাতাই নন, গর্বিত সারা দেশ।
শিক্ষকতায় যোগ দেন তিনি দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়,
সূফী সম্রাট ব্যতীত এমন সন্তান জগতে আর কারো কী হয়?
‘মোর্শেদের দরবারে মুরীদের করণীয়’ কিতাব লিখেছেন একখানা,
পাঠ করার পূর্বে এমন তথ্য ও রহস্য ছিল না কারো জানা।
কুদরত এ খোদার বক্তৃতা শুনে আল্লাহ্র প্রেমে চোখে আসে পানি,
নুরানি চেহারা দেখলে তাঁহার ঘুঁচে যায় সব গøানি।
মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে জুড়ি নেইকো কুদরত এ খোদার,
তাঁর আহবান শুনে দলে দলে, মানুষ আসে সূফী সম্রাটের দরবার।
আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা তিনি করেছেন প্রচার বিশ্বে মোহাম্মদী ইসলামের,
তা দেখে হৃদয় জুড়িয়ে গেছে আল্লাহ্র বন্ধু, সূফী সম্রাটের।
জীবনের শেষ জন্মদিনের অনুষ্ঠান দেখে, খুশিতে বাবাজান বলেছেন,
মোহাম্মদী ইসলাম জগতে, প্রচার করতে আপনারাই পারবেন।
সূফী সম্রাট মেজো হুজুরকে যখন দিতে চাইলেন দরবারের দায়িত্বভার,
অপারগতা প্রকাশ করে তিনি, পিতার কাছে ক্ষমা চান বারবার।
কুদরত এ খোদা বলেন, আমি যদি গ্রহণ করি ভার, দরবার পরিচালনার,
আপন আত্মীয় স্বজন সকলে মিলে চিরশক্র হবে আমার।
সূফী সম্রাট বললেন, আমি যদি সঙ্গে থাকি, তবে তোমার কিসের ভয়?
যেদিকে এগিয়ে যাবে, আমাকে সঙ্গে পাবে, তোমারই হবে জয়।
কুদরত এ খোদা বলেন, আপনার নামে কোরবান হোক আমার স্ত্রী সন্তান,
মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের স্বার্থে, আগলে রাখবো আপনার মুরিদান।
একথা শুনে মেজো হুজুরের প্রতি খুশি হন বাবাজান,
তিনি কুদরত এ খোদাকে করেন মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বদান।
ওফাতের পূর্বে দয়াল বাবাজান আওলাদদের ডেকে করেন অছিয়ত,
মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারীদের জন্য এ যেন এক চূড়ান্ত নসিহত।
নেতৃত্ব তাঁর নয় শুধু ইমামদের, নেতা তিনি মোহাম্মদী ইসলামের,
যাঁরা মেনে নেবে নেতৃত্ব তাঁহার, তারাই রবে মুরিদ সূফী সম্রাটের।
কুদরত এ খোদা বলেন, ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ নৌকার মালিক দয়াল বাবাজান,
আমাকে করেছেন মাঝি হিসাবে, ঐ নৌকা চালানোর দায়িত্ব প্রদান।
মোহাম্মদী ইসলাম হলো, সূফী সম্রাটের সাজানো বাগান,
যাবে না কভু জলে ভেসে তা, তিনি উপযুক্ত ব্যক্তিকে করেছেন নেতৃত্ব দান।
একটি আনন্দের সংবাদ শোনা গেল, দিন শেষে সন্ধ্যার পর,
ড. কুদরত এ খোদা প্রমোশন পেয়ে, হলেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর।
তাঁর শিক্ষকতার যোগ্যতা বলে, তিনি পেয়েছেন বিরল এই সম্মান,
অতি অল্প বয়সেই এ মহামানবকে মহান আল্লাহ্ করেছেন তা দান।
তিন কোটি ভক্ত মুরিদ সূফী সম্রাট রেখে যান দুনিয়ার বুকে,
সুনিশ্চিত হয়ে আল্লাহ্র বন্ধু চলে যান শেষ নিদ্রায় চিরসুখে।
ইমাম কুদরত এ খোদা শপথ নিয়েছেন সূফী সম্রাটের আদর্শ প্রচারে,
তাঁর সকল আশা সফল হোক, দোয়া করি আল্লাহ্র দরবারে।
সাধ্য নাই কারো বাধা দেয়, মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারীকে,
বাধা দিলে কেহ, অনিষ্ট ডেকে আনবে, তাঁর নিজ জীবনের উপরে।
দয়াল বাবাজান দয়া করুন রহমত নেমে আসুক মহান আল্লাহ্র,
সকল বাধা পেরিয়ে যেন বিজয় হয় ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদার।
[ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে নিয়ে রচিত এই কবিতাটি ১৩০ লাইনের। এখানে ৬৬ লাইন দেওয়া হয়েছে।]