Cancel Preloader

বিনা অপারেশনে কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভ


অলৌকিক কারামত
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বন্ধু হলেন অলী-আল্লাহগণ। তাঁদের মর্যাদা অপরিসীম। তাঁরা কোনো বিষয়ে কিছু বললে, মহান আল্লাহ তাঁদের সম্মানের খাতিরে সে বিষয়ে সমাধান দিয়ে থাকেন। মানুষ মাত্রই রোগ-শোক, বালা-মুসিবত থাকে। চিকিৎসার জন্য ডাক্তার রয়েছেন। কিন্তু মানুষের এমন কিছু রোগ রয়েছে, যা চিকিৎসকগণ শত চেষ্টা করেও সুস্থ করতে পারেন না। অথচ কোনো অলী-আল্লাহ যদি সেই বিষয়ে রোগীকে কোনো নির্দেশনা দেন, তাহলে দেখা যায় বিনা চিকিৎসায়ই ঐ রোগ থেকে রোগী আরোগ্য লাভ করে থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে, ডাক্তারদের চিকিৎসা যেখানে শেষ, সেখান থেকে অলী-আল্লাহগণের কাজ শুরু হয়। এমন একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করছি।


ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার বিশিষ্ট ধনী ও ব্যবসায়ী আলহাজ তুহিনূর রহমান (নূরু হাজী) ২০০৩ সালে হঠাৎ স্ট্রোক করে হলিফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানকার চিকিৎসার পর তিনি ভারতের বি,এম,বিরলা হাসপাতালে ভর্তি হন। ডাক্তার তার এনজিও গ্রাম করলে তার হার্টে ২টি ব্লক ধরা পড়ে। একটি ১০০% এবং অন্যটি ৯০%। ডা. মি. চুরুলিয়া তাকে বাইপাস সার্জারি করার পরামর্শ দেন এবং বলেন, এখনই বাইপাস না করলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। তখন নূরু হাজী সাহেব মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুরের কাছে রূহানি দয়া কামনা করতে থাকেন, যেন তার সমস্যা কমে যায়।


আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের অসিলায় তার রোগ যন্ত্রণা অনেক কমে যায়। তখন তিনি ডাক্তারের কাছে বলে ৪০ দিনের ঔষধ নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। দেশে আসার পরে নূরু হাজী সাহেব দেরি না করে ঢাকার আরামবাগস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে এসে মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজানের সাথে দেখা করেন। দয়াল বাবাজান জনাব নূরু হাজীর অসুস্থতা এবং ভারতে চিকিৎসার সকল ঘটনা শুনে মিরপুরের বাংলাদেশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের সাথে দেখা করতে বলেন। সেখানকার ডা. এন. ইসলাম হাজি সাহেবকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি টেস্ট করতে বলেন। তিনি সবকিছু পরীক্ষা করে তাকে রিপোর্ট দেখান। ডাক্তার সাহেব সব রিপোর্ট দেখে ১৫ জানুয়ারি, ২০০৪ইং তারিখ নূরু হাজির হার্ট অপারেশনের তারিখ নির্ধারণ করেন। হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসার ২ দিন পরে নূরু হাজি সাহেব স্বীয় মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজানের সাথে দেখা করতে বাবে রহমতে আসেন। দয়াল বাবাজানের কাছে গিয়ে নূরু হাজি কাঁদতে থাকেন এবং আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন- ওগো দয়াল বাবাজান! আপনি আমার মোর্শেদ। আপনি আল্লাহর বন্ধু।

আমি এমন আল্লাহর ইবাদত করি না, যিনি নিরাকার। আপনি সেই আল্লাহর শ্রেষ্ঠ বন্ধু। আপনি থাকতে কার সাধ্য আছে যে, আমার বুক কেটে ফেলে। আপনি দয়া করে বলেন- আমার অপারেশন লাগবে না। বাবা আপনি বলেন যে, আমার অপারেশন লাগবে না। নূরু হাজি আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে একথা বারবার বলছিলেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান নীরব হয়ে হাজি সাহেবের দিকে তাকিয়ে রইলেন। কিন্তু নূরু হাজির আবেগ ভরা আকুতি আর কান্না সহ্য করতে না পেরে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজান বললেন- যান, আপনার অপারেশন করা লাগবে না। আপনি একটা মানত করে রাখেন। দেখেন আল্লাহ কী করেন।

আল্লাহর মহান বন্ধু, সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের কথা শুনে নূরু হাজি সাহেব আশ্বস্ত হলেন। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করলেন যে, মোর্শেদ যা বলেছেন, তা অবশ্যই সত্য হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে হাজি সাহেব যাত্রাবাড়ীতে তার বাসায় চলে আসেন। এর বেশ কিছুদিন পর তিনি কলকাতা গিয়ে রবীন্দ্র স্মরণীতে দেবী সেডী হাসপাতালে যান। সেখানে ডা. জোসী তার পূর্বের রিপোর্ট দেখেন এবং তাকে নতুন টেস্ট করান। আশ্চর্যের বিষয়, টেস্টের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার অবাক হয়ে গেলেন। একি! প্রথম রিপোর্টের সাথে এই রিপোর্টের তো কোনো মিল নেই। তখন ডাক্তার বললেন- আপনার অপারেশনের কোনো প্রয়োজন নেই। একথা বলে তিনি নূরু হাজি সাহেবকে ১ বছরের জন্য ঔষধ লিখে দিলেন। হাজি সাহেব বাংলাদেশে চলে আসেন এবং আপন মোর্শেদ, মহান দরদি সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের কাছে এসে সব ঘটনা জানান এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন।

মহান আল্লাহর বন্ধু সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের অসিলায় নূরু হাজি সাহেবের হার্টের সমস্যা নেই। তিনি বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
সংকলনে: মো. আক্তার হোসেন

সম্পর্কিত পোস্ট