বিশ্বনবি হযরত রাসুল (সা.)-এর শানে আমীর খসরুর নাত
এক :
নুরানি চেহারা তব মুহাম্মদ আজরের মূর্তিদের ইর্ষার কারণ,
যতই তারিফ করি হে রাসুল সেইখানে রয়েছে বিপদ।
পরীর চেয়েও তুমি দ্রুতগামী ফুলের মতন কী নরম দেহের অবয়ব!
যা কিছু রয়েছে ভালো সবইতো তোমারই সত্যের বাহাদুরি
এখন তুমি ও আমি, আর আমি ও তুমি এক হয়ে গেছি।
আমি তো এ দেহ আর তুমি তো সে দেহে এক প্রাণ
কেউ কি বলতে পারে কভু তুমি আমি ভিনড়ব দেহ প্রাণ?
গরিব খসরু আজ বিচ্ছিন্ন কেন তোমার প্রিয় কাছ থেকে?
যে এসে ঝরায় অশ্রু এসে অনুপম তোমার শহরে।
এমনতো হতে পারে আজ কেবল আল্লাহ্র ইশারায়
গরিব খসরুর পানে চেয়ে আছো অসীম দয়ায়।
অনুবাদ: আবদুস সাত্তার
দুই
বলতে পারবো না কেমন জায়গা ছিল রাত্রে যেখানে ছিলাম আমি।
চারদিকে সবাই জিকিরে রত-
হৃদপিণ্ডের দ্রুত স্পন্দন ছটফট করছিল
রাত্রে যেখানে ছিলাম আমি।
কতো নিখুঁত সুন্দর ছিল তাঁদের চেহারা
দৈহিক গঠনও ছিল অপূর্ব অনন্য
মানব মনের জন্য তারা ছিল একটি পরীক্ষা
রাত্রে যেখানে ছিলাম আমি।
স্বয়ং আল্লাহ ছিলেন সভার সভাপতি
ভেতরে, ঠিকানাহীনে ছিল খসরু
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম ছিলেন
সেই সভার আলোকে রশ্মি- রাত্রে যেখানে ছিলাম আমি।
অনুবাদ: ব’নজীর আহমদ
[প্রখ্যাত কবি হযরত আমীর খসরু দেহলভী (রহ.) ছিলেন হযরত নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.)-এর অন্যতম খলিফা। তাঁর প্রতিভার স্পর্শে সমৃদ্ধ হয়েছে উর্দু এবং ফারসি ভাষা। তুতীয়ে হিন্দ বা ভারতের তোতা পাখি নামে খ্যাত এ সাধক কবি দিল্লীতে ইন্তেকাল করেন এবং হযরত নিজামুদ্দীন আওলিয়া (রহ.)-এর অসিয়ত অনুযায়ী তাঁর মাজারের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়। ‘ইশকিয়া’ তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্য]