মহামানবের সান্নিধ্য লাভের প্রয়োজনীয়তা
লুৎফুল্লাহিল মাজিদ: মহান আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে যুগে যুগে মহামানবগণ নবি-রাসুল ও অলী-আল্লাহরূপে প্রেরিত হয়েছেন। বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ প্রেরণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহর প্রেরিত মহামানবগণ ষড়রিপু আক্রান্ত ব্যক্তির অন্তরের কলুষতা দূর করে আত্মশুদ্ধি করার মহান দায়িত্ব পালন করেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির প্রেমের ঐশী বন্ধন রচনায় আল্লাহ্ প্রেরিত প্রতিনিধিদের ভূমিকা সমুজ্জ্বল। তাঁদের জীবনাদর্শ, ধর্মীয় দর্শন, মানবতা দর্শন সর্বযুগের মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস।
পবিত্র কুরআনে রাব্বুল আলামিন ফরমান, “আর আমি যাদের সৃষ্টি করেছি, তাদের মধ্যে এমন একদল আছেন, যাঁরা সত্য পথ দেখায় এবং সেই অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে।” (সূরা আ‘রাফ ৭: আয়াত ১৮১) বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতায় মানুষ অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রীক, স্বাবলম্বী ও স্রষ্টা বিমুখ হয়েছে। মানুষের ব্যস্ততা বাড়িয়েছে ধর্ম পালনের অনীহা। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। অত্যাধুনিক যুগের মানুষের কাছে যুক্তি-প্রমাণ ও বাস্তব সম্মত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণই গ্রহণযোগ্য। ধর্মও এর ব্যতিক্রম নয়। স্রষ্টাকে পাওয়ার চেয়ে প্রযুক্তি ও জ্ঞানের দিকেই মানুষ ঝুঁকছে বেশি। যেহেতু ধর্মীয় চর্চা করে আল্লাহ্ প্রাপ্তির জ্ঞান অর্জন ফরজ করা হয়েছে, সেহেতু আধুনিক যুগোপযোগী করে ধর্মীয় শিক্ষা প্রদানের বিকল্প নেই। সমকালীন যুগের মানুষকে যুগোপোযোগী করে আল্লাহ্ প্রাপ্তির পথ দেখাতে যুগে যুগে ধারাবাহিকভাবে মহামানবদের প্রেরণ করা হয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে- “নিশ্চয় মহান ও মহিমান্বিত আল্লাহ্ এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শিরোভাগে এমন এক ব্যক্তিকে পাঠাবেন, যিনি তাদের ধর্মকে সংস্কার করে সজীব ও সতেজ করবেন।” (আবু দাউদ শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৩৬) এরই ধারাবাহিকতায় রাব্বুল আলামিন সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্Ÿুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানকে এই বাংলায় প্রেরণ করেন।
আইয়্যামে জাহেলিয়াতের যুগের থেকে বর্তমান সময় অধিকতর ভয়ানক। এ যুগে আল্লাহ্কে পাইয়ে দেওয়ার মতো অসাধ্য সাধনের জন্য সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের আগমন ঘটেছে। গোড়া ধর্মীয় সা¤প্রদায়িকতা, অসহনশীলতা, ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ এই কঠিনতম সময়ে মোহাম্মদী ইসলাম তথা মোহাম্মদী আদর্শ প্রচার ও বাস্তবায়নের জন্য সূফী সম্রাটের আগমন হয়েছিল। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান যুগের ইমাম ও জামানার মোজাদ্দেদ ছিলেন। মোজাদ্দেদ মানে সংস্কারক, যিনি ধর্মের সংস্কার করেন। তিনি নতুন কোনো কিছুর প্রবর্তন করেন না, আবার ধর্ম থেকে কিছু বাদও দেন না। বরং যা কিছু অতিরিক্ত বা অতিরঞ্জিত হয়ে ধর্মে প্রবেশ করে অথবা ভুলক্রমে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাদ পড়ে যায়, আল্লাহ্র নির্দেশে সেগুলোর বিয়োজন বা সংযোজন করে পূর্বের মতো অবিকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে, যুগোপযোগী ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
অতীতের কোনো মোজাদ্দেদের জীবদ্দশাতেই তাঁর নিজের করা সংস্কার রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, আমাদের জানা নেই। কিন্তু সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লাজানের বহু সংস্কার রাষ্ট্র ও জাতির কল্যাণে বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের বুলন্দ নসিব যে, এমন মহামানবকে স্বচক্ষে দেখতে পেয়েছি। হৃদয়ে কালিমাযুক্ত লাখো মানুষকে আল্লাহ্র পথে তুলে আনেন সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান। কিতাবের সীমিতজ্ঞানে জ্ঞানী মানুষকে ক্বালবের অসীম বিদ্যার আলোতে আলোকিত করার শিক্ষা তিনি দিয়ে গেছেন। চারদিক থেকে বাধা বিপত্তি, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এ যেন মহামানবদের জীবন ইতিহাসের কিতাবে পড়া ঐতিহাসিক ঘটনার চাক্ষুষ দর্শন। মনসুর হাল্লাজ (রহ.)-এর শূলে বিদ্ধ হবার কাহিনি, মোজাদ্দেদ আল-ফেসানি (রহ.)-এর কারাবরণ, খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.)-এর বিরুদ্ধে পৃথ্বীরাজের হস্তি বাহিনীর অভিযান, বড়ো পির হযরত আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.)-কে সমকালিন যুগের আলেমদের ৭০ বার কাফের ফতোয়া দেওয়ার কাহিনি ইতিহাসখ্যাত।
ফতোয়ার পর ফতোয়া, মামলা, হামলা সূফী সম্রাটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ভাংচুর নিয়মিত হয়েছে। অপরাধ একটাই সূফী সম্রাট হুজুর আল্লাহ্কে দেখেছেন। লক্ষ মানুষ হাত উঁচিয়ে সাক্ষী দেন, তারা হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার পেয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে এসেছেন। এ যেন এক পরশ পাথর। আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে ফরমান- “তারা চায় তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর নুরকে নির্বাপিত করে দিতে। কিন্তু আল্লাহ্ স্বীয় নুরকে পূর্ণতায় পৌঁছানো ব্যতিরেকে অন্য কিছু চান না, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” (সূরা আত তাওবা ৯; আয়াত ৩২)
রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআনে অন্যত্র ফরমান, “জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুদের কোনো ভয় নেই, আর তাঁরা দুঃখিতও হবে না।” (সূরা ইউনুস ১০: আয়াত ৬২) রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনে লাখো মানুষকে চাক্ষুষ সাক্ষী রেখে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান বলেছিলেন, ‘‘আমি আমার আল্লাহ্কে এমনভাবে চিনি, সন্তান যেমন তার পিতাকে চিনে।’’ এমন বলিষ্ঠ বাণী তিনি দিয়েছেন। সূফী সম্রাটকে নিয়ে সীমাহীন অপপ্রচার, হিংসা ও আক্রোশের পরেও দেশ বিদেশের মুক্তিকামী মানুষ দলে দলে তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করে আশেকে রাসুলে পরিণত হয়েছেন। আখেরি জামানার এই ফেতনা ও পাপ সংকুল পৃথিবীতে ভালোবাসার এক সাম্রাজ্য গড়েছেন সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের চেয়েও অধিক অন্ধকারাচ্ছন্ন এই যুগে হীন পশু চরিত্রের মাঝে মনুষ্যত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান। তাজকিয়ায়ে নফ্স বা আত্মশুদ্ধি অর্থাৎ জাহেরের পাশাপাশি বাতেনকে শুদ্ধ করার সুমহান শিক্ষা দিয়েছেন তিনি।
ইসলামের ইতিহাস এবং দয়াল রাসুল (সা.)-এর গৌরবদীপ্ত জীবনী মোবারকের বিশাল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে রয়েছে জাবালে নুরের হেরা গুহার ধ্যান সাধনা। সকল নবি রাসুল ও আউলিয়ার জীবনী মোবারকের পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাঁরা সকলেই ধ্যান সাধনা করেছেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান রচিত দৈনন্দিন ওয়াজিফা শিক্ষার মধ্যে তিনি মোরাকাবা অর্থাৎ ধ্যান অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর এবং রহমতের সময় এই ধ্যানের ফলে মানুষের অন্তরে যখন ফায়েজ হাসিল হয়, তখন তার নফ্সের অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। ধীরে ধীরে একজন মানুষ সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হয়ে উঠে।
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন- “হে ইমানদারগণ, আল্লাহ্কে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।” (সূরা তাওবা ৯: আয়াত ১১৯) হযরত রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা অনুসরণ করে তৎকালীন বর্বর মানুষগুলোও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হয়েছিল। এই আধুনিক যুগে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান মানুষকে আল্লাহর চরিত্রে চরিত্রবান হবার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি তাদেরকে সমাজের কল্যাণকর ব্যক্তিতে পরিণত করেছেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান নিশ্চিতভাবেই বলেছেন যে, “সকল নবি-রাসুল একই সুতোয় গাঁথা। সুতরাং কোনো নবিকে বা তাঁর অনুসারীদেরকে অবমাননা করে কথা বলা যাবে না।” তিনি আশেকে রাসুলদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন সকল নবি-রাসুলকে সম্মান করতে হবে। তাঁদের অনুসারীদের সাথেও ভালো ব্যবহার করতে হবে।
হযরত রাসুল (সা.) বলেছেন, “অন্যান্য নবিদের উম্মতদের মাঝে ৭২ ফেরকা বা দল আর আমার উম্মতদের মাঝে ৭৩ ফেরকা বা দল, একদল জান্নাতি বাকি ৭২ দল জাহান্নামি।” শান্তি ও সহাবস্থানের শিক্ষা নবি-রাসুলদের মাধ্যমে জগতে এসেছে। সূফী সম্রাটের শিক্ষায় সকল ধর্মের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রতিফলিত হচ্ছে।
মুসলিমদের ঐক্যহীনতার কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক‚টনীতি, অর্থনীতি-সহ সকল পর্যায়ে পিছিয়ে পড়েছে মুসলিম বিশ্ব। নিজেদের মাঝে দ্ব›দ্ব সংঘাতে ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো। মুসলিম জাতির ঐক্য ফিরিয়ে বিভক্তি দূর করতে নানান তরিকা, নানান মাজহাবে ভাগ হয়ে না থেকে এক মোহাম্মদী ইসলামের অনুসরণ করতে আহŸান করেছেন সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান। যা ইতোমধ্যেই সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলেছে। কারণ সকলেই হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে ভালোবেসে তাঁর আদর্শ ধারণের চেষ্টা করে। তাই মোহাম্মদী ইসলাম সারা বিশ্বের মুসলমানদের একটি প্ল্যাটফরমে আসার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের চরম উন্নতির যুগেও মুসলিমরা ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঈদ উদ্যাপন করে, যা শরিয়ত বহির্ভূত গর্হিত কাজ। রোজার দিনে ঈদ হারাম, ঈদের দিনে রোজা হারাম। আমরা রোজা রাখি তো সৌদি আরবে ঈদ হয়, অথবা আমরা খাবার খাচ্ছি কিন্তু সৌদি আরবের লোকেরা রোজা শুরু করে দিয়েছে, যা আল্লাহর বিধানের পরিপন্থী। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান এই সমস্যারও সমাধান দিয়েছেন। তাঁর গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কৃত চন্দ্র পঞ্জিকা ও বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাপত্র অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি)-এ তুলে ধরা হয়েছে আরো দুই দশক আগেই। শুধু নিজেদের মাঝে ঐক্য না থাকায় এই পঞ্জিকা বাস্তবায়ন হচ্ছে না ।
হযরত রাসুল (সা.) নামাজে মি‘রাজের শিক্ষা দিয়েছেন। হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু বলেন- ‘‘আমি এমন প্রভুর ইবাদত করি না যাকে আমি দেখি না।” (সিররুল আসরার পৃষ্ঠা ৪৫) নামাজে মি’রাজ হয় না বরং মুসলিমরা হুজুরি দিলে নামাজ আদায়ের পদ্ধতিই ভুলে গেছে। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী সেই হারানো শিক্ষা আবার জগতে চালু করেছেন। তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করে হুজুরি দিলে নামাজ আদায় করে অসংখ্য আশেকে রাসুল নামাজে আল্লাহর দিদার পেয়ে ধন্য হয়েছেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লাজানের আগমন ছিল নতুন ইতিহাসের জন্ম। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যারা এই মহান আউলিয়ার সান্নিধ্য পাননি কিংবা পরবর্তী প্রজন্ম তারা তাঁর জীবনী নানা ভাষায় নানা দেশের মানুষ গভীর মনযোগের সাথে পড়ে আফসোস করে বলবে, “হায় আল্লাহ্! যদি তাঁর সান্নিধ্য পেতাম !” আশেকে রাসুলদের পরম সৌভাগ্য এবং রাব্বুল আলামিনের অপার দয়া যে, বিনা প্রার্থনায় সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের মতো মহামানবের সংস্পর্শ পেয়েছে। মক্কা কিংবা মদীনায় জন্ম না নিয়েও হাজার মাইল দূরে থেকেও আশেকে রাসুল উপাধি পেয়েছে। এ জাতির সৌভাগ্য এই যে, হযরত রাসুল (সা.)-এর চরিত্র ও আদর্শের গুণে গুণান্বিত, একই মহিমায় উদ্ভাসিত এক মহামানব পেয়েছে, যাকে ‘বাবাজান’ বলে সম্বোধন করে পদধূলি নিতে পেরেছি। জীবনভর অর্জিত কিতাব সর্বস্ব জ্ঞানকে ছাড়িয়ে মহামানব দর্শনের বাস্তব অভিজ্ঞতা সুদূর গভীরে প্রবেশ করেছে। সারা জীবন আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেও এর শুকরিয়া আদায় শেষ হবে না।
এই মহামানব দারুল বাকায় তাশরিফ নিয়েছেন, কিন্তু আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্য যে, ওফাতের পূর্বে তিনি তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে তাঁরই আদর্শের ধারক ও বাহক ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের নাম ঘোষণা করেছেন, যিনি মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.) কর্তৃক মনোনীত। বর্তমানে ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব। সুতরাং আল্লাহ্ তায়ালা ও হযরত রাসুল (সা.)-এর পরিচয় লাভের জন্য এই মহামানবের সান্নিধ্য লাভের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।
[লেখক ও গবেষক]