মানব সৃষ্টিতত্ত্ব: প্রাসঙ্গিক ভাবনা
অধ্যক্ষ মো. নিয়ামুল কবির
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মহান আল্লাহ্ মানুষকে তাঁর প্রতিনিধির মর্যাদা দিয়ে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ বলেন, “স্মরণ করো, যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেশতাদের বললেন- আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করব।” (সূরা আল বাকারাহ ২: আয়াত ৩০) ফেরেশতারা এই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। তথাপি দয়াময় আল্লাহ্ তায়ালা আদমের দৈহিক গঠন সম্পন্ন করার পর তার ভিতরে স্বীয় রূহ ফুঁকে দিলেন। পবিত্র কুরআনে এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে- “আমি (আল্লাহ্) আমার রূহ থেকে আদমের ভিতরে রূহ ফুঁকে দিলাম। (সূরা হিজর ১৫: আয়াত ২৯) আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে রূহ আদমের ভিতরে প্রবিষ্ট হওয়ার ফলে প্রাণহীন আদম সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে পূর্ণাঙ্গ মানবে পরিণত হলেন। ঐ রূহ ধারণ করায় আদম মর্যাদায় ফেরেশতাদের চেয়েও শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করলেন। ফেরেশতারা তাঁর প্রতি আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে আল্লাহর নির্দেশে আদমকে সেজদা করলেন। এভাবেই হযরত আদম (আ.) আল্লাহর প্রতিনিধি এবং প্রথম নবি হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরিত হন। সুফি সাধকগণের সাধনালব্ধ জ্ঞান থেকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ সম্পর্কে বলেন- আদমের ভিতরে আল্লাহর রূহ থেকে রূহ ফুঁকে দেওয়ার অর্থ অনেক ব্যাপক। তাঁদের মতে- এ পৃথিবীতে স্থুল অবলম্বনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর গুণাবলি প্রকাশ লাভ করেছে। আদম তথা মানুষের মাধ্যমেই আল্লাহর মহাশক্তি ও গুণসমূহ প্রকাশ পায়।
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টিকুলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত ও মর্যাদাবান। প্রতিটি মানুষের মধ্যে আল্লাহর এক টুকরো নুর সুপ্ত অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে। যে ব্যক্তি সাধনার মাধ্যমে এই নুরকে প্রজ্বলিত করে মহান আল্লাহর পরিচয় লাভ করত নিজেকে উত্তম চরিত্রে চরিত্রবান করতে সক্ষম হয়েছেন, তিনিই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর প্রতিনিধি বা খলিফা।
ল্যাটিন ভাষায় ‘homo’ মানে মানুষ, আর sapiens’ মানে জ্ঞান বা প্রজ্ঞা। Homo sapiens মানে জ্ঞানী মানুষ। ‘মানুষ’ পদটির সংজ্ঞায় বলা হয় মানুষ হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন প্রাণী। মানুষের মধ্যে বিবেক আছে বলেই সে সৃষ্টির সেরা জীব। প্রখ্যাত দার্শনিক বার্নাড শ’ বলেছেন- ‘‘Man is a rational animal,’’ অর্থাৎ মানুষ এবং প্রাণীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো- Rationality. ভালো-মন্দের বিচারক্ষমতা মানুষের আছে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন- মানুষের মধ্যে জন্মগতভাবে আছে Divinity, যা ঈশ্বরীয় বা স্বর্গীয় ভাব। আর এ ঈশ্বরীয় বা স্বর্গীয় ভাবটির বিকাশই হলো ধর্ম।
ইসলাম ধর্মে হযরত আদম (আ.) ও হযরত হাওয়া (আ.), খ্রিষ্ট ধর্মে এডাম (Adam) ও ইভ (Eve), সনাতন ধর্মে মনু ও শতরূপা হলেন প্রথম মানব-মানবী। মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা। হাদিস অনুসারে, বিধাতার নিয়ামতের ৯৯ ভাগ রাখা হয়েছে স্বর্গে। আরেক ভাগ মর্ত্যে। নিয়ামতসমূহের সর্বাগ্রে মানুষের অবস্থান। মানুষকে আগুন, পানি, বাতাস ও মাটি এই চারটি মৌলিক উপাদানের সংমিশ্রণে মহান প্রভু সৃষ্টি করেছেন। স্থবিরতা এসেছে মাটি থেকে কারণ, মাটি স্থির। চঞ্চলতা এসেছে বাতাস থেকে কারণ, বাতাস ক্ষিপ্র; শীতলতা এসেছে পানি থেকে কারণ, পানির গুণ শীতল করা। দাহ্যতা এসেছে আগুন থেকে কারণ, আগুন দহন করে। যে দেহে এরকম পরস্পরবিরোধী উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটেছে তার নাম নফ্স বা জীবাত্মা। জীবাত্মাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় ষড়রিপু। যেমন- কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য বা পরশ্রীকাতরতা ইত্যাদি কুপ্রবৃত্তিতে শয়তানের বিচরণ। সাধনা ও রিয়াজতের দ্বারা শয়তানকে বিতাড়িত করার মধ্য দিয়ে মানুষের জীবাত্মা পরমাত্মার বশীভূত হয়। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি মানুষের মাঝে দুটি আত্মা রয়েছে। সেগুলো হলো- পরমাত্মা ও জীবাত্মা।
অন্যদিকে জীবাত্মা তিনটি আত্মার সমন্বয়ে গঠিত। যথা- ১. পশুর আত্মা ২. হিংস্র জন্তুর আত্মা ও ৩. শয়তানের আত্মা। আত্মার এই তিনটির অংশ সমন্বয়ে মানুষের নফ্স অর্থাৎ জীবাত্মা গঠিত হওয়ায় মানুষের মাঝে আত্মার বদ স্বভাব বিদ্যমান থাকে। আর এই বদ খাসলতসমূহই কুরিপু হিসেবে মানুষের স্বভাবে ক্রিয়াশীল থাকে। যার কারণে মানুষ পাপ কাজে লিপ্ত হয়।
মানুষের মধ্যে পাপ কাজের প্রবণতা আসার কারণ হচ্ছে- মানবদেহ আগুন (আতশ), পানি (আব), বায়ু (বাদ) ও মাটি (খাক)-এই চারটি স্থুল উপাদান থেকে সৃষ্ট। এজন্য এই চারটি উপাদানের সূক্ষ্ম শক্তি যেমন মানুষের জীবাত্মায় রয়েছে, তেমনি এ চারটি উপাদানের প্রত্যেকটির খাসলত তথা স্বভাব মানবমনে প্রতিফলিত হয়। যেমন-
১। আগুনের বদ খাসলত হচ্ছে- পাপের কাজে গর্ব, অহংকার, রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা ও নিজেকে বড়ো বানানোর চেষ্টায় মত্ত থাকা। যার আগুনের স্বভাব পাক হয়ে যায়, সে নিজেকে অতি হীন ও গুনাহগার মনে করে আজিজি এনকেছারি করতে থাকে।
২। পানির বদ খাসলত বা স্বভাব হচ্ছে- কুকার্যে ব্যস্ত থাকা ও লোককে কুমন্ত্রণা দিয়ে খারাপ করা, পাপ সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া, ইত্যাদি। যার পানির স্বভাব পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, সে সব সময় নিজেকে অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য মনে করে এবং ছোটো একটি পাপ কাজেও অত্যধিক ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
৩। বাতাসের বদ স্বভাব হচ্ছে- দুনিয়ার লোভ-লালসায় উড়ে বেড়ানো (অর্থাৎ মত্ত হওয়া)। যার বাতাসের স্বভাব পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, সে আল্লাহকে পাওয়ার বাসনায় ইবাদতে ডুবে থাকে।
৪। মাটির বদ স্বভাব হচ্ছে- মুনাফিকিতে মত্ত থাকা; অর্থাৎ মাটি যেমন বীজ পেলেই গাছ সৃষ্টি করে দেয়, তদ্রুপ মানবমনে মাটির বদ খাসলত হচ্ছে, সে যখন যা শুনে বা পায়, ভালো মন্দ বিচার না করেই সেটি গ্রহণ করে নেয় এবং সেটিতেই মত্ত হয়ে যায়। মাটির স্বভাব পরিশুদ্ধ হলে ব্যক্তির মাঝে আর মুনাফিকির স্বভাব থাকে না।
মানুষ যদি এই রিপুগুলো যুগের ইমামের সান্নিধ্যে গিয়ে সাধনা রিয়াজতের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করতে পারে তখন সে মানুষটি পরমাত্মার সাথে মিলন লাভ করতে পারে। অর্থাৎ সসীম অসীমের সাথে মিলনের ফলে আল্লাহর সাথে মিশে যেতে সক্ষম হয়। এ পরমাত্মাই রূহ। পবিত্র কুরআনে রূহকে আল্লাহর হুকুম বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, “তারা আপনাকে ‘রূহ’ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করে, হে রাসুল (সা.)! আপনি বলুন- রূহ আমার প্রতিপালকের একটি নির্দেশ। আর এ সম্পর্কে তোমাদেরকে সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। (সূরা বনি ইসরাইল ১৭: আয়াত ৮৫) হাদিসে কুদসিতে রূহকে আল্লাহর ফুৎকার বলা হয়েছে। রূহ দেহ থেকে বের হয়ে গেলে মানুষ হয় লাশ। এ মৃতদেহকে কবর দেওয়া হয় কিংবা চিতায় দাহ করা হয়। রূহ পবিত্র হলে তাকে ইল্লিন বা শান্তিময় স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর যদি বদকার হয় তাকে সিজ্জিন বা অশান্তিময় স্থানে প্রেরণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে সুফি কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ খ্রি.-১৯৭৬ খ্রি.) বলেন, “মিথ্যা শুনিনি ভাই, এ হৃদয়ের চেয়ে বড় কোনো মন্দির কাবা নাই।”
রিয়াজত-সাধনার মাধ্যমে যিনি মানবজীবন সার্থক করেছেন নবুয়তের যুগে তিনি নবি-রাসুল, বেলায়েতের যুগে তিনি নায়েবে রাসুল বা অলী-আল্লাহ্। এ মহামানবদের স্বীকৃতি বা দীক্ষা ব্যতীত কেয়ামত পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগি করেও ইল্লিন তথা শান্তিময় স্থান যাওয়া সম্ভব নয়। যার আদি ও জ্বলন্ত প্রমাণ আজাজিল। আসমান ও জমিনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আযাযিল সেজদা দেয়নি। শুধু মাত্র একটি স্থান ব্যতীত, তা হলো আদমের কদম। ফেরেশতারা আদমের পায়ে সেজদা দিয়ে মুক্তি পেলেন, আল্লাহ্কে পেলেন। অহংকার করার কারণে আজাজিল ছিটকে পড়লো। ইবলিশ শয়তান রূপে অভিশপ্ত হলো।
অতঃপর আল্লাহর হুকুম অমান্য করায় হযরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে নেমে আসলেন। আর মানবজাতির বংশ বিস্তারের সূচনা হয়। কী অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা সহ্য করে ১০ মাস ১০ দিন সন্তানকে পেটে ধারণ ও লালন করেন জনম-দুঃখিনী মা জননী। এর মর্মভেদ জেনেই দয়াল রাসুল (সা.) শুধালেন সেই অমিয় বাণী- “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।”
মানুষের মর্যাদা প্রসঙ্গে শেখ ফজলুল করিম (১৮৮২ খ্রি.-১৯৩৬ খ্রি.) সে সাহসেই বলে উঠলেন“কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝেই স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।”
হযরত হুদ (আ.) ও হযরত সালেহ (আ.) আল্লাহ্ প্রেরিত মহামানবের বিরোধিতা করার কারণে আদ-সামুদ জাতি প্রবল বায়ু প্রবাহ ও ভুমি কম্পনের মাধ্যমে ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে। আল-কুরআনের বর্ণনানুযায়ী হযরত দাউদ (আ.)-এর সময় বনি ইসরাইলের কয়েকজন যুবক-বৃদ্ধ দাউদ (আ.)-এর দেওয়া হুকুম অমান্য করায় বানর ও শুকরে রূপান্তরিত হয়ে খোদায়ি গজবে পতিত হয়। হযরত মুসা (আ.)-এর কওম তাওরাতের নির্দেশাবলি অমান্য করায় তীহ প্রান্তরে চল্লিশ বছর গোলক ধাঁধার চক্করে পড়ে শাস্তিভোগ করেছেন। বিশ্বনবি হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সাথে বিরোধিতা করার কারণে সেসময় আরবের প্রসিদ্ধ জ্ঞানী ব্যক্তি আবু হাকাম বা জ্ঞানীর পিতা থেকে বিশ্বব্যাপী আবু জেহেল বা মূর্খের পিতা হিসেবে কুখ্যাতি লাভ করে। অন্যদিকে হাবশী গোলাম হযরত বিল্লাল (রা.) দয়াল রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করে ইসলামের প্রথম সম্মানিত মুয়াজ্জিন হলেন। বর্বর আরবজাতি আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেলেন। এছাড়া পতনের বিভিন্ন কারণের মধ্যে নবুয়ত পরবর্তী বেলায়েতের যুগে হযরত ইমাম জাফর সাদিক (রহ.), হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.), হযরত মানছুর হাল্লাজ (রহ.)-সহ অসংখ্য মহামানবকে অপমান-অপদস্ত ও কতল করার অভিশাপে প্রকারন্তরে বিশাল উমাইয়া ডাইনেস্টি এমনকি আব্বাসিয়া সাম্রাজ্য খান-খান হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি প্রণিধানযোগ্য:
তার্কিক দার্শনিক প্রোটাগেরাস (খ্রি.পূ. ৪৮০-খ্রি.পূ. ৪১০ অব্দ) বলেন- Man is the measure of all things. অর্থাৎ- মানুষ নিজেই বস্তুর মূল্যায়নের মাপকাঠি। মধ্যযুগের কবি চন্ডীদাস বলেন- “সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।”
খোদায়ী বিধানে হুঁশওয়ালা মানুষ বেহুঁশ মানুষদের তদারকি করার দায়িত্ব পান। হুঁশযুক্ত মানুষই যুগে যুগে মানবজাতির বিভিন্ন কওমের মোর্শেদ বা পথপ্রদর্শক হিসেবে হেদায়েতের আলো ছড়িয়েছেন। নায়েবে রাসুলদের মাধ্যমে এ প্রচার কার্য এখনো চলমান। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন- “আল্লাহ্ যাকে গোমরাহ করেন, আপনি কখনো তার জন্য কোনো (মোর্শেদ) পথপ্রদর্শনকারী অভিভাবক পাবেন না।” (সূরা আল কাহ্ফ ১৮: আয়াত ১৭)
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সুফিসাধক ও গবেষক, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর কেব্লা এ প্রসঙ্গে বলেন, “সবার উপরে মোর্শেদ সত্য, তাঁহার উপরে নাই।”
প্রতিটি মানুষের মাঝে মহান আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি হওয়ার যোগ্যতা সুপ্ত অবস্থায় বিদ্যমান থাকে, আর নবি-রাসুল ও আওলিয়ায়ে কেরামের মাঝে আল্লাহর নুর প্রজ্বলিত প্রদীপরূপে বিদ্যমান থাকে। তাই বর্তমান বেলায়েতের যুগে আওলিয়ায়ে কেরামের সান্নিধ্যে লাভের মাধ্যমে ঐ সুপ্ত নুরকে প্রজ্বলিত করতে পারলেই প্রকৃত মানুষ তথা পরিপূর্ণ মু’মিন হওয়া সম্ভব।
মানুষ যখন কোনো মহামানবের সান্নিধ্যে গিয়ে সাধনা ও রিয়াজতের মাধ্যমে আপন জীবাত্মাকে দমন করে পরমাত্মাকে শক্তিশালী করতে পারবে এবং খারাপ কাজ হতে বিরত থেকে আল্লাহর পরিচয় লাভ করতে সক্ষম হবেন ও আল্লাহর নির্দেশে পরিচালিত হতে পারবেন, তখনই ঐ ব্যক্তিটি আল্লাহর খলিফা তথা প্রতিনিধি মর্যাদার অধিকারী হন। ঐ ব্যক্তির কারণে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
[লেখক: অধ্যক্ষ, নবযুগ কলেজ, কুশুরা, ধামরাই, ঢাকা।]
তথ্যসূত্র:
১. আল কুরআন
২. আল হাদিস
৩. সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী, শান্তি কোন পথে?, আল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ, ১৪৭ আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০
৪। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী, মুক্তি কোন পথে?, আল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ, ১৪৭ আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা
৫। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী, সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান: আল্লাহ্ কোন্ পথে?, সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, দেওয়ানবাগ শরীফ, ৫ম সংস্করণ মতিঝিল, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৬০-৬১
৫. মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.)-এর বাণী মোবারক: পরিচালক, সমন্বয়ক ও সমস্যার ফয়সালাকারী, দেওয়ানবাগ শরীফ, ঢাকা।
৬. গ্রীক দর্শন: প্রজ্ঞা ও প্রসার- মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, প্রকাশনায় বাংলা একাডেমি ঢাকা, মে ১৯৭৫, পৃষ্ঠা ৬৪
৭. শারফুল ইনসান, এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুন্সী, মোসলেম বুক ডিপো ২/৩,প্যারিদাস রোড, ঢাকা ১১০০, জুন ২০০৩, পৃষ্ঠা ১৮
৮. New Result BD.Com;
৯. অনলাইন থেকে সংগৃহীত