মোর্শেদের দরবারে মুরিদের আদব
ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা
মোর্শেদের দরবারে মুরিদের অন্যতম করণীয় কার্য হলো-আদব রক্ষা করে চলা। আদব মুরিদের ইমানকে মজবুত করে এবং মোর্শেদের প্রতি মুরিদের এশ্ক ও মহব্বত সৃষ্টি করে। আদব মুরিদকে সাধনার উচ্চ শিখরে পৌঁছতে সহায়তা করে। মূলত মুরিদকে মোর্শেদের দরবারে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হলে আদাবুল মুরিদের কোনো বিকল্প নেই। মুরিদ যদি কোনো পাপ কাজ করে আর এজন্য সে যদি অনুতপ্ত হয়ে আপন মোর্শেদের অসিলা ধরে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ্ তাঁর অলী বন্ধুর অসিলায় তাকে ক্ষমা করেন। কিন্তু কোনো মুরিদ যদি সেই আপন মোর্শেদ বা তাঁর আওলাদ ও আহালদের সাথে বেয়াদবি করে, তাহলে মোর্শেদ অসন্তুষ্ট হন। ফলে মুরিদের আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার আর কোনো উপায় থাকে না। অসিলা বিহনে যেমন আল্লাহ্কে পাওয়া যায় না। ঠিক তেমনি অসিলা বিহনে হযরত আদম (আ.) গন্ধম খাওয়ার অপরাধে আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে বেহেশত থেকে বিতাড়িত করেন। অতঃপর হযরত আদম (আ.) বছরের পর বছর কেঁদে কেঁদে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। এভাবে ৩৯০ বছর কান্নাকাটি করার পরও তিনি ক্ষমা পাননি অথচ হযরত আদম (আ.) যখন মহান রাব্বুল আলামিনের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু দোজাহানের বাদশাহ্ রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-কে মোর্শেদরূপে গ্রহণ করে তাঁর অসিলা ধরে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মহান প্রভু তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধুর বরকতে হযরত আদম (আ.)-কে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা করে দিলেন এবং সেই সাথে তাঁকে তিনটি পুরস্কার দিলেন। যথা-
১. তাঁকে ক্ষমা করে দিলেন।
২. প্রথম নবি হিসেবে মনোনীত করলেন ও
৩. সকল নবি-রাসুল ও মানুষের আদি পিতা হিসেবে নির্বাচিত করলেন।
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, অসিলা ছাড়া আল্লাহ্কে পাওয়া যায় না এবং প্রার্থনাও কবুল হয় না। মোর্শেদই মুরিদের অসিলা। কিন্তু মুরিদ যদি আপন মোর্শেদের সাথে বেয়াদবি করে তাহলে অসিলা ধরার তার কোনো পথ থাকে না এবং সেই মুরিদ ক্ষমাও পায় না। ফলে তার সমস্ত সাধনাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। আল্লাহ্্র সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে মোর্শেদের দরবারে মুরিদকে আদব রক্ষা করে চলতে হয়। আদব হলো মুরিদের অলঙ্কার, যা মুরিদকে সু-সজ্জিত করে আল্লাহর পথে পরিচালিত করে। আল্লাহ্ বেয়াদবকে পছন্দ করেন না। বেয়াদবের কোনো ধর্ম নেই। বেয়াদবি মানুষকে আল্লাহ্ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান তাঁর লিখিত ‘আল্লাহর নৈকট্য লাভের সহজ পথ’ নামক কিতাবে পিরানে পির, দস্তগির, সুলতানুল মাশায়েখ, সুলতানিয়া-মোজাদ্দেদিয়া তরিকার ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর বিখ্যাত তাসাউফ গ্রন্থ ‘নূরুল আসরার’ (নূর তত্ত্ব) প্রথম খণ্ডে ‘আদাবুল মুরীদ’ বা মুরিদের আচরণ সম্পর্কে যে উদ্ধৃতি পেশ করেছেন, এর আলোকে আদাবুল মুরিদ বা মুরিদের আচরণ কিরূপ হওয়া উচিত, নিম্নে তা উপস্থাপন করা হলো-
১. নিজের মোর্শেদ হতে অন্য মোর্শেদকে ভালো মনে করলে নিজ মোর্শেদের ফায়েজ লাভ হবে না।
২. মুরিদ সকল দিক হতে মনকে মোর্শেদের দিকে একনিষ্ঠ চিত্তে নিয়োজিত করবেন এবং যথা শক্তি জান-মাল দিয়ে মোর্শেদের গোলামি করবেন।
৩. মোর্শেদের সান্নিধ্যে যতক্ষণ থাকবেন, ততক্ষণ অন্যদিকে তাকবেন না বা মনোযোগ দিবেন না, বরং মোর্শেদের দিকে আদবের সঙ্গে একনিষ্ঠ থাকবেন। তাঁর হুকুম ছাড়া তাঁর সম্মুখে ফরজ ও সুন্নত ব্যতীত অন্য কোনো নফল ইবাদতও করবেন না।
৪. মোর্শেদের জায়নামাযের উপর পা রাখবেন না। তাঁর বাথরুম ব্যবহার করবেন না।
৫. মোর্শেদের ব্যবহৃত কোনো জিনিস ব্যবহার করবেন না।
৬. মোর্শেদের হুকুম ব্যতীত তাঁর সম্মুখে পানাহার করবেন না এবং কারো সঙ্গে গল্প-গুজব করবেন না।
৭. মোর্শেদের দিকে অথবা তাঁর দরবার শরীফের দিকে পা বিস্তার করবেন না এবং থু থু ফেলবেন না।
৮. মোর্শেদের কোনো কাজে সন্দেহ পোষণ করবেন না, যদিও জাহেরাতে তা সঠিক মনে না হয়। কেননা, কামেল মোর্শেদ অধিকাংশ সময়ই আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ হতে এলহাম পেয়ে কাজ করে থাকেন। সুতরাং মোর্শেদের কাজের তাৎপর্য বুঝতে না পারলে এতে নিজের ধারণা খারাপ করে নিজের ক্ষতি করবেন না।
৯. সকল কাজে মোর্শেদের আদর্শ অনুসরণ করবেন।
১০. মোর্শেদের নিকট কারামত দেখতে চাবেন না। কেননা, কাফের ও নাফরমান ব্যতীত হযরত রাসুল (সা.)-এর নিকট কেউ মোজেযা দেখতে চায়নি।
১১. মুরিদের মনে কোনো প্রকার সন্দেহ সৃষ্টি হলে যত দ্রুত সম্ভব মোর্শেদের নিকট বলবেন। মোর্শেদ বিষয়টি বুঝিয়ে দিলে তা বুঝতে হবে, বুঝা না গেলে নিজের ত্রুটি মনে করতে হবে। মোর্শেদের প্রতি কোনো প্রকার সন্দেহ বা দ্বিধাভাব পোষণ করবেন না।
১২. মুরিদের নিকট কাশ্ফ বা এলহামের মাধ্যমে সংবাদ এলে মোর্শেদের নিকট বলতে হবে।
১৩. যে প্রকারের ফায়েজ ও বরকত যা কিছু হাসিল হোক না কেন, তা আপন মোর্শেদের অসিলায় হয়েছে বলে মনে করতে হবে।
১৪. মুরিদ যদি মোর্শেদের প্রতি আদব রক্ষা না করে, মোর্শেদের নিকট নিজের ত্রুটি ও অক্ষমতা প্রকাশ না করে, তবে সে মোর্শেদের নেয়ামত হতে বঞ্চিত হবে।
এছাড়া আদাবুল মুরিদ সম্পর্কে ‘নূরুল আলা নূর’ কিতাবের ৭ম হেদায়েতে ও ‘জামেউল অছুল’ কিতাবে বর্ণিত রয়েছে। নিম্নে এর আলোকে আদাবুল মুরিদ আলোচনা করা হলো-
১। মোর্শেদের সান্নিধ্যে এসে মুরিদ তাঁর নিকট এ আর্জি পেশ করবেন- আমি আপনার খেদমতে আল্লাহর মারেফত শিক্ষা করতে এসেছি। মোর্শেদ যদি কবুল করেন, তবে আর কিছু বলবেন না। অর্থাৎ-সবকাদি চাবেন না। বরং খুব আদবের সাথে মোর্শেদের খেদমত করবেন। অতঃপর মোর্শেদের দিকে সর্বদা মন নিবিষ্ট রাখবেন।
২। মোর্শেদের নিকট অপরের সালাম নিয়ে আসা আদবের খেলাফ।
৩। মোর্শেদ যা নির্দেশ করেন, বিলম্ব না করে তখনি তা পালন করবেন।
৪। মোর্শেদের সঙ্গে কোনো প্রকার বাদানুবাদ ও তর্কের কারণে মুরিদের অন্তরে যে পর্দা পড়ে, তার কোনো চিকিৎসা নেই। এতে মুরিদের ফায়েজ বন্ধ হয়ে যায়।
৫। মুরিদ নিজের বাতেনি অবস্থায় ভালো-মন্দ যা হোক না কেন মোর্শেদকে জানাবেন। মোর্শেদ অবস্থা বুঝে প্রতিকার করবেন। কারণ তিনি আত্মার চিকিৎসক। মুরিদের আত্মার অবস্থা বুঝে তিনি চিকিৎসা করে থাকেন।
৬। মোর্শেদ কাশফের মাধ্যমে মুরিদের অবস্থা জানেন, এ ভরসায় মুরিদ বসে না থেকে নিজের অবস্থা জানাবেন।
৭। মারেফত লাভ করতে হলে শক্ত করে মোর্শেদের দামান ধরবেন। কোনো কষ্ট মছিবত গ্রাহ্য করবেন না, জান-মাল সবই মোর্শেদের কদমে কোরবান করে দিবেন। উদ্দেশ্য এই যে, কামেল মোর্শেদের অসিলা ব্যতীত আল্লাহর মহব্বত লাভ হবে না।
৮। মোর্শেদের বিনা অনুমতিতে তাঁর সকল আদত ও অভ্যাস অনুসরণ করবেন না। কেননা, মোর্শেদ স্থান, কাল ও পাত্র ভেদে বিবেচনা মতো কাজ করে থাকেন। মুরিদ এর তাৎপর্য না বুঝে অনুসরণ করতে থাকলে কোনো সময় তা বিষ তুল্য হতে পারে। তবে মোর্শেদ যা করার জন্য আদেশ করেন, তা বিনা দ্বিধায় পালন করবেন।
৯। মুরিদ নিজেকে সকলের চেয়ে নিকৃষ্ট ও হীন মনে করবেন। মোর্শেদের দরবারে নিজের মকসুদ ব্যতীত সকল বিষয় হতে যথাসম্ভব দূরে থাকবেন। শুধুমাত্র জাত-পাক আল্লাহ্ তায়ালার মহব্বত ব্যতীত মোর্শেদের নিকট অন্য কিছু প্রত্যাশা করবেন না। মোর্শেদের হাতে মুরিদ এরূপে থাকবেন, যেরূপ গোসলকারীর হাতে মুর্দা থাকে।
১০। মোর্শেদ কোনো আদেশ না দিলে তাঁকে কোনো দিকে ইঙ্গিত করবেন না।
১১। মুরিদ নিজ ত্রেুাধ সংবরণ করবেন। অন্যথায় এতে জিকিরের নুর হ্রাস পায়। কোনো তর্ক-আলোচনায় নিজ মত বজায় রাখার জন্য ঝগড়া করবেন না। কারণ ঝগড়া ও তর্কে ভুল পয়দা হয় এবং অন্তর মলিন হয়। হঠাৎ যদি কারো সাথে ঝগড়া-কলহ হয়ে পড়ে, তাহলে তখনই তওবা করবেন। যদি নিজের দাবী হক ও সত্য হলেও প্রতিপক্ষের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
১২। কারো প্রতি ঘৃণার নজরে তাকাবেন না।
উক্ত ‘জামেউল ওছুল’ কিতাবে ‘আদাবুল মুরীদের’ বয়ানে বিশেষ জরুরী ও সর্ববাদী সম্মত মতে কয়েকটি নীতি লিখেছেন। এর আলোকে নিম্নে আদাবুল মুরিদের আরো কিছু বিষয় উপস্থাপন করা হলো-
১। মুরিদ নিজ মোর্শেদের প্রতি এরূপ প্রগাঢ় বিশ্বাস রাখবেন যে, নিজ মোর্শেদের অসিলায় যাবতীয় মকসুদ হাসিল হবে। নিজ মোর্শেদ ব্যতীত মুরিদ যদি অন্যের প্রতি কিছুমাত্র আশা-ভরসা করে তবে তার ফায়েজ বন্ধ হয়ে যাবে।
২। ছোটো-বড়ো সকল কাজে, ইবাদতে ও আদব-আখলাকে মুরিদ নিজ ইচ্ছাকে মোর্শেদের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দিবেন।
৩। মোর্শেদ যা মাকরূহ মনে করেন বা পছন্দ না করেন, তা হতে সর্বদা দূরে থাকবেন।
৪। মোরাকাবা, মোশাহেদা বা খাবে (স্বপ্নে) কোনো হালাত মালুম হলে নিজে তার তাবির করবেন না। যদিও তাবির নিজের মালুম হয়, তার উপর নির্ভর না করে মোর্শেদের নিকট অবস্থা প্রকাশ করত জবাবের জন্য প্রতীক্ষা করবেন। তাঁর নিকট জবাব তলব করবেন না অর্থাৎ জবাবের জন্য বিরক্ত করবেন না।
৫। মোর্শেদ কোনো কথা জিজ্ঞাসা করা মাত্রই তার জবাব দিবেন।
৬। মুরিদ মোর্শেদের নিকট ক্ষীণ স্বরে কথা বলবেন। কেননা, মোর্শেদের সম্মুখে উচ্চ স্বরে কথা বলা বেয়াদবি। মোর্শেদের দরবারে কথাবার্তা ও ছওয়াল জবাব বাড়াবেন না। কারণ এতে মুরিদের দিল হতে মোর্শেদের প্রেম-হ্রাস পায় ও মুরিদের অন্তরে পর্দা পড়ে যায়।
৭। মোর্শেদের সাথে সময় বুঝে কথা বলবেন। অর্থাৎ-একান্ত সুযোগ উপস্থিত হলে আদব ও বিনয়ের সাথে শ্রবণ করবেন। এর ব্যতিক্রম হলে ফায়েজ বন্ধ হয়ে যাবে। এটি একবার বন্ধ হলে পুনরায় চালু করা কঠিন হয়ে যাবে।
৮। মুরিদের হাল, এলহাম ও কাশফ ইত্যাদি যা আল্লাহ্ এনায়েত (দান) করেন, তা মোর্শেদের নিকট প্রকাশ করবেন।
৯। মোটকথা, আদব ও চরিত্রই হচ্ছে মোর্শেদের নেক নজর লাভের উপায়।
উল্লিখিত বিষয়গুলো শুধু কিতাবে লেখা নীতির মাধ্যমেই সমাধান হয় না। জ্ঞান অনুসন্ধান, মোর্শেদের দরবারের নীতি ও মোর্শেদের তবিয়ত জানতে হবে এবং তদনুযায়ী আদব-কায়দা গঠন করতে হবে। অনেক সময় আদব রক্ষা করতে গিয়ে মুরিদ বেয়াদবি করে থাকে। কারণ মোর্শেদ অবস্থাভেদে মুরিদকে প্রয়োজন মতো হুকুম করলে মুরিদের তা করতে ইতস্তত করা আদবের খেলাফ।
মোর্শেদের আদব রক্ষায় কোনো সময় মুরিদগণ বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে, মোর্শেদের বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে। এতে মূলে বেয়াদবি হয়ে যায়। মোর্শেদের আওলাদ-ফরজন্দকে মোর্শেদের জাত হিসেবে মোর্শেদের সম্মানে সম্মান করতে হবে। কেননা, তাঁদের যোগ্যতা কামালিয়াতের বিচার করবেন না। মোর্শেদের আত্মীয়-স্বজনদের শ্রদ্ধা করবেন। মোর্শেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে তাঁর নিকট মর্যাদা তলব করা কিংবা এমন কোনো ব্যবহার পাওয়ার আশা করাও আদবের খেলাফ।
আদাবুল মুরিদ সম্পর্কিত উল্লিখিত আলোচনা থেকে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, মোর্শেদের দরবারে গোলামি করে হৃদয়ে আল্লাহর প্রেম জাগ্রত করতে হয়। কঠোর সাধনার দ্বারা শত বছরে যা অর্জন করা যায় না, কামেল মোর্শেদের সংস্পর্শে আদবের সাথে এক মুহূর্ত অবস্থান করলে এর অধিক নেয়ামত লাভ করা যায়।
জগৎবিখ্যাত সুফিসাধক হযরত জালাল উদ্দিন রুমী (রহ.) বলেন-
‘‘এক জামানা সোহবতে বা আউলিয়া, বেহেতের আয সাদ সালাতাতে বেরিয়া।’’
অর্থাৎ-এক মুহূর্ত কোনো আল্লাহর অলীও সোহবতে থাকা একশত বছর বেরিয়া (নিরহংকার) ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
কামেল মোর্শেদের নিকট আদবের সাথে বসে তাঁর নুরানিময় চেহারা মোবারকের দিকে প্রেমের দৃষ্টিতে এক নজরে তাকালে মোর্শেদের দিল হতে নুর মুরিদের দিলে বর্ষিত হতে থাকে। ফলে মুরিদের দিলের কু-প্রবৃত্তি ও বাজে চিন্তাসমূহ দূর হয়ে যায়। আমার মহান মোর্শেদ মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদ দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের মহাপবিত্র কদম মোবারকে এ আর্জি তিনি যেন দয়া করে তাঁর দরবারে আমাদের সবাইকে আদব রক্ষা করে চলার সুযোগ করে দেন। আমিন।
[লেখক: পরিচালক, সমন্বয়ক ও সমস্যার ফয়সালাকারী, দেওয়ানবাগ শরীফ; সহকারী অধ্যাপক, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি]