মোর্শেদের দু’কদম মোবারক থেকে অফুরন্ত ফায়েজ তুষার পাতের ন্যায় বের হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছিল
বর্ণনাকারী বলেন, ‘‘আমি আশেকে রাসুল আমিনুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে জাহাঙ্গীর, কুমিল্লা জেলায় আমার জন্ম হলেও ঢাকা জেলার ডেমরা থানাধীন দনিয়ায় আমরা বসবাস করি। বর্তমানে আমার মহান মোর্শেদ, যুগের ইমাম, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী আম্বিয়ায়ে কেরামের ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েত লাভকারী, পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘বাবে কুতুবুল আকতাব ভবন’, ১৫১ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০-এ অবস্থান করছি। আমি দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে দয়াল বাবাজানের ব্যক্তিগত খাদেম হিসেবে দরবার শরীফে গোলামি করছি। এই দীর্ঘ সময়ে অসংখ্য অলৌকিক ঘটনা মহান আল্লাহ্ আমাকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আলোচ্য ঘটনাটি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকের। আমি-সহ আরো কয়েকজন খাদেম দিনে ও রাতে সময় বণ্টন করে দয়াল বাবাজানের খেদমতে নিয়োজিত থাকতাম। ঘটনার দিন রাতে বাবে রহমতের ৩ তলায় বাসা মোবারকে যুগের ইমাম, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের খেদমতে উপস্থিত থাকার সুযোগ মহান রাব্বুল আলামিন আমায় করে দিয়েছিলেন। আমি নিত্য দিনের মতো বাবে রহমতের দোতলায় মোর্শেদ কেবলাজান হুজরা শরিফের সকল কাজ সম্পন্ন করে, রাত ১১টার সময় ৩ তলার বাসা মোবারকে মোর্শেদ কেবলাজানের সহবতে হাজির হই। উল্লেখ্য, আমি যখনই যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগীর সহবতে হাজির হই, তখনই এই মহামানবের ফায়েজের সুঘ্রাণ আমাকে মোহিত করে রাখে। বাবাজানের ফায়েজের ঘ্রাণ এতই মিষ্টি, মনোহর ও তৃপ্তিদায়ক যে, আমি অনেক সময় আমার ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কথা ভুলে যাই। এমনিভাব আমি সব সময় বাবা দেওয়ানবাগীর অফুরন্ত ফায়েজের সুঘ্রাণ লাভ করে থাকি। ঘটনারদিন রাতের বেলায় মোর্শেদ কেবলাজান বাসা মোবারকে ঘুমিয়েছিলেন। হঠাৎ আমার মনে একটি কৌতুহল সৃষ্টি হলো যে, দয়াল বাবাজানের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত যে ফায়েজ ওয়ারিদ হয়, যে ফায়েজের সুঘ্রাণ আমাকে প্রতিনিয়ত মোহিত করে রাখছে, এই ফায়েজ বাবাজানের দেহ মোবারকের কোথা থেকে কীভাবে উৎসারিত হয়, আজ তা দেখব। অতঃপর মনে মনে আজিজি করে মোর্শেদ কেবলাজানের সাহায্য চাইলাম। আমি প্রথমেই ভাবলাম, রাজা যদি তার প্রজাকে কিছু দেন, তবে তো হাত দিয়েই দেয়; ফলে আমি হাত মোবারকের দিকে লক্ষ্য স্থির করলাম, কিন্তু সফল হতে পারলামনা। অতঃপর মাথা মোবারকের দিকে লক্ষ্য করলাম, কিন্তু ফায়েজের ফল্গুধারা বের হতে দেখলাম না। এই সময় আমি দয়াল বাবাজানের কদম মোবারকের কাছে আসি, এখন ফায়েজের সুঘ্রাণের তীব্রতা পেয়ে যাই। অতঃপর এক অকল্পনীয় দৃশ্য দেখতে পাই। আর তা হলো, মহান মোর্শেদের দু’কদম মোবারক থেকে ঝরনা ধারার ন্যায় ফায়েজ ওয়ারিদ হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষত ফায়েজ উপরের দিকে উঠছে, যা দেখতে সাদাকুয়াশার মতো, তুষার পাতের ন্যায় ধবধবে সাদা। এই ফায়েজের ফল্গুধারা এতই অফুরন্ত যে, তা অবিরাম প্রবাহিত হচ্ছিল এবং চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। মহান রাব্বুল আলামিনের অপার দয়ায় এই ঘটনায় আমার উপলব্ধি করার সুযোগ হয়েছে, যুগপরিক্রমায় নবি, রাসুল ও আওলিয়ায়ে কেরামের মাঝে বিরাজমান রূহে আজম থেকে ফায়েজ ওয়ারিদ হয়ে কীভাবে সৃষ্টিজগৎ কায়েম রাখছে এবং এদেরকে হেফাজত করছে।’’
(তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী, ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠ ৩০৭-৩০৮ থেকে সংকলিত)
10 Comments
শত কোটি সালাম ও দরুদের সাথে শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহর কাছে। আমিন
শত কোটি সালাম জানাই দয়াল রাসুলের নূরের কদমে।
মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম বাবা দেওয়ানবাগী মারহাবা…
মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম
মারহাবা ইয়া রূহে আজম
মারহাবা।সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী মাঃআঃ হুজুর কেবলাজান এর অসংখ্য অলৌকিক কারামত রয়েছে।যা কমবেশি হুজুরের সকল মুরীদ সন্তানদের বেলায় ঘটেছে। মহান মালিকের দরাবারে লক্ষকোটি শুকরিয়া জানাই এমন একজন মহামানব এর কদম মোবারকে মেতে পেরেছি। লক্ষকোটি শুকরিয়া ও কদমবুচি মহান মোর্শেদের পবিত্র পরশময় কদম মোবারকে।
মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম
মারহাবা ইয়া সূফীদের সম্রাট
মারহাবা।সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী মাঃআঃ হুজুর কেবলাজান এর অসংখ্য অলৌকিক কারামত রয়েছে।যা কমবেশি হুজুরের সকল মুরীদ সন্তানদের বেলায় ঘটেছে। মহান মালিকের দরাবারে লক্ষকোটি শুকরিয়া জানাই এমন একজন মহামানব এর কাছে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে।
মারহাবা ইয়া সূফী সম্রাট!!
মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম!!
মারহাবা ইয়া মুর্শিদেনা !!
লক্ষ্য কোটি সালাম ও কদম জানাই যুগের ইমামের কদম মোবারকে।
মারহাবা
এতো সুন্দর সিষ্টেম মূহুর্তের মধ্যে দেওয়ানবাগী হুজুরকে সারা বিশ্বের মানুষ জানতে পারবে, তিনি যে আল্লাহর বন্ধু এখান থেকে প্রমান পেলাম।
যুগে যুগেমহামানবরা তাদের অলৌকিকত্ব দেখিয়ে প্রমান করেন যে তিনিই মহান প্রভুর মননোনীত বন্ধু।
মারহাবা