মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনায় পরিবারবর্গের উদ্দেশে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের সর্বশেষ অছিয়তনামা
দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা, মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের
ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েত লাভকারী, আল্লাহ্র দেওয়া পুরস্কার: পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি- সূফী
সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ইং, সোমবার ওফাত লাভ করেন। তিনি সঠিকভাবে মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনার জন্য ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ইং, রবিবার উপস্থিত ৪ পুত্র, ২ কন্যা, তাঁর স্ত্রী, দুই পুত্রবধু ও
খাদেমদের সম্মুখে কতিপয় নির্দেশনামূলক অছিয়ত করেন। নিম্নে অছিয়তসমূহ উল্লেখ করা হলো
১। আমি মেজো হুজুরকে (ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা) মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালানার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। আর তোমরা ৩ ভাই ও ২ বোন তাঁকে সহযোগিতা করবে।
২। মেজো হুজুর সকল দরবার, খানকাহ শরীফ, আশেকে রাসুল মজলিস কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করবে। আর তোমরা যার
যার স্থান থেকে আঞ্চলিক দরবারসমূহ পরিচালনা করবে।
৩। জায়গা জমির সকল কাজ, মামলা মোকদ্দমা কদর (মেজো হুজুর) দেখবে। প্রশাসনিক সকল কাজও কদর দেখবে। তোমরা
ওকে সহযোগিতা করবে। কোনোভাবেই জাকেরদের কথা শুনে তোমরা কেউ কদরের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করবে না।
তোমাদেরকে কুপরামর্শ দিয়ে কদরের পিছনে লাগাবে, তোমরা এগুলি বিশ^াস করবে না। তামিন (তাহমিনা) আমার কাছে
কদরের নামে অনেক মিথ্যা বিচার দিতো। তামিন (তাহমিনা) তোমাদের চরম শত্রু। সাঈদুরের চেয়ে তামিনটা বড়ো
বেশি খারাপ। ও (তাহমিনা) সাহস না দিলে সাঈদুর একা আমার বিরুদ্ধে এতো কিছু করতে পারত না।
৪। আমি তোমাদের ৪ জনকে ইমাম বলেছি। এও বলেছি যে, আমার দরবারে কেউ পির হবে না। সাঈদুর নিজে পির হওয়ার
জন্য এতো কিছু করেছে।
৫। এই তরিকা আমার সাজানো বাগান। আমি এটা জলে ভেসে যেতে দেবো না। এই যুদ্ধে কদর যদি আমার পাশে এগিয়ে
না আসত, তাহলে তোমাদের অস্তিত্ব থাকত না।
৬। দয়াল বাবাজান তাঁর ৪ সাহেবজাদাকে একমতে চলার নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, বিপথগামী সাঈদুর, তার স্ত্রী এবং
পরিবার বা তাদের অনুসারীদের কুপরামর্শে নিজেদের মধ্যে ফেৎনা তৈরি করবে না।
৭। ওরা তোমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তোমরা সব সময় সতর্ক থাকবে।
৮। তোমরা তামিনকে (তাহমিনা) কখনও সুযোগ দিবে না।
৯। আমার পরেই মোহাম্মদী ইসলাম শেষ নয়, তোমরা মোহাম্মদী ইসলামকে সামনে এগিয়ে নিবে।
১০। তোমরা ইমানের উপর কায়েম থাকবে। কখনও ইমানহারা হবে না।
পরিশেষে, কেউ যেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর-এর বিরুদ্ধাচরণ না
করে সেই বিষয়ে দয়াল বাবাজান সবাইকে অঙ্গীকার করান। দয়াল বাবাজানের ওফাতের পর তাঁর নামাজে জানাজার পূর্বে
কনিষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত লক্ষ লক্ষ
আশেকে রাসুলের উদ্দেশে উল্লিখিত অছিয়তটি পাঠ করে শোনান। অতঃপর বড়ো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম.
নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.) হুজুর, সেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. ফজল-এ-খোদা (মা. আ.)
হুজুর ও ছোটো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর তাঁদের বক্তব্যে বলেন যে, তাঁরা
এই অছিয়তনামাটি পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ এবং মোহাম্মদী ইসলামকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরা মেজো
সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।