Cancel Preloader

যাঁকে পেয়ে ধন্য জীবন

অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া

(পর্ব-৩৪)

পূর্ণিমার চাঁদে সূফী সম্রাটের চেহারা মোবারকের নুরানি প্রতিচ্ছবি

মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন এই বিশ্বজাহান সৃষ্টি করে নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত ও গ্রহ-নক্ষত্ররাজি দ্বারা তা সুশোভিত করেছেন। আমাদের এই পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে সূর্য ও চন্দ্র। সূর্যের আলোতে পৃথিবীর সকল প্রাণী জীবন ধারণ করে এবং বেঁচে থাকে। পক্ষান্তরে চন্দ্রের কিরণ স্নিগ্ধ মাখা হয়ে উঠে। আমরা প্রতিদিন সকালে যে সূর্যটি দেখতে পাই এবং রাতে মধুমাখা কিরণ নিয়ে যে চাঁদটি উদিত হয়, সেই সূর্য ও চন্দ্র আজকে নতুন উদিত হয়নি, এই সূর্যটিকে আমাদের মতো আমাদের পূর্বপুরুষগণও দেখেছেন। সূর্য একটি জ্‌বলন্ত অগ্নিপিণ্ড। কিন্তু চন্দ্র স্নিগ্ধ কিরণ দিয়ে মানবজাতিকে আলো বিতরণ করছে। ১৯৬৯ সালে মহাকাশে বিজ্ঞানিদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে তারা চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ হতে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে আমাদের প্রিয় নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) কাফের সর্দার আবু জাহেলের দাবীর প্রেক্ষিতে, ডান হাতের শাহাদাত অঙ্গুলি মোবারক দিয়ে চাঁদকে ইশারা করা মাত্রই আকাশের চাঁদটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণের জন্য সমগ্র দুনিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। এ দৃশ্য বিশ্বের বহু মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। বোখারী শরীফে হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) কতৃর্ক বর্ণিত হাদিস হতে রাসুল (সা.)-এর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে। হযরত রাসুল (সা.)-এর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার ঘটনা বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। তবে অল্পক্ষণেই চাঁদটি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। রাসুল (সা.)-এর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন, চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মানুষ, নভোচারী নীল আর্মষ্ট্রং। তিনি চাঁদদ্বিখণ্ডিত হওয়ার নিদর্শন দেখতে পেয়ে সেখান থেকে মাটি এনে পরীক্ষা করে প্রমাণ পেয়েছেন যে, চাঁদের মাঝে যে ফাটল, তা হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর যুগে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশ বছর পূর্বে ঘটেছিল। তবে একথা সত্য যে, বিশ্ব জাহান সৃষ্টির পর থেকে ইতঃপূর্বে চাঁদে কোনো মানুষের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়নি। কিন্তু আল্লাহ্‌র অপার দয়ায় একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে অথার্ৎ-২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বের বুকে এমন এক অবিস্মরণীয় ঘটনা সংঘটিত হলো, যা দেখে সত্যিই মোর্শেদের প্রেমিকেরা আনন্দে আত্মহারা। কারণ চাঁদের মাঝে কোনো মানুষের চেহারা জগতের মানুষ কোনোকালেই দেখেনি। আর যে মহামানবের চেহারা মোবারক আল্লাহ্‌ চাঁদে দেখাচ্ছেন, তিনি হলেন আল্লাহ্‌র মহান বন্ধু, যুগের ইমাম, মোহাম্মদী ইসলামের পুনজীর্বনদানকারী, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্‌বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্‌লাজান। তিনি বর্তমান জামানার শে্রষ্ঠ অলী এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর ২৩তম বংশধর। মহান আল্লাহ্‌ তাঁকে চাঁদে ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি দেখিয়ে বিশ্বেবাসীকে জানিয়ে দিলেন যে, মহান আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌র রাসুল (সা.)-কে পেতে হলে সূফী সম্রাটের অনুসরণ করে আশেকে রাসুল হতে হবে। মহান স্রষ্টা আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সূফী সম্রাটকে তাঁর একটি মহান কর্মের পুরস্কারস্বরূপ পূর্ণিমার চাঁদে তাঁর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি দেখাচ্ছেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্‌লাজানই একমাত্র মহামানব, যিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁর লিখিত ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক তাফসীর গ্রন্থে পবিত্র কুরআন ও হাদিস দিয়ে মহান আল্লাহ্‌র জাত-পাকের পরিচয় তুলে ধরেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, মহান স্রষ্টা আল্লাহ্‌ নিরাকার নন, তাঁর আকার আছে, তাঁর নুরের চেহারা মোবারক রয়েছে, তাঁর নুরের হস্ত মোবারক, নুরের কদম মোবারক, নুরের জবান মোবারক ও নুরের শ্রবণেন্দ্রীয় রয়েছে। তবে মহান আল্লাহ্‌ মানুষের মতো রক্ত মাংসের দেহধারী নন, তিনি নুরময় সত্তার অধিকারী।

মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন এ বিশ্ব জাহান সৃষ্টি করে মানুষসহ সকল সৃষ্টিকে প্রতিপালন করছেন, অথচ মানুষ সেই মহান স্রষ্টাকে নিরাকার ভেবে তাঁকে অস্তিত্বহীন মনে করে। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্‌লাজান সাধনার মাধ্যমে আল্লাহ্‌কে দেখেছেন। একথা ‘আল্লাহ্‌ কোন পথে?’ নামক কিতাবে প্রকাশিত হওয়ায় ১৯৯০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করা হয়। কিন্তু মহান আল্লাহ্‌ তাঁর বন্ধু সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্‌লাজানকে বিজয়ী করেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্‌লাজান পবিত্র কুরআন ও হাদিস দিয়ে তাঁর তাফসীর শরীফে মহান আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব ও আকার প্রমাণ করে মানুষের একটি চরম ভুল সংশোধন করে দিলেন। মহান আল্লাহ্‌ সূফী সম্রাটের এই কাজে খুশি হয়ে তাঁকে চাঁদে দেখিয়ে সম্মানিত করেছেন। এ সম্মান এমনই গৌরবময় যে, পৃথিবী ও মহাকাশের স্থানে অর্থাৎ চাঁদের মাঝে সূফী সম্রাটের চেহারা মোবারক দেখিয়ে আল্লাহ্‌ তায়ালা তাঁকে শে্রষ্ঠ মযার্দার আসনে অধিষ্ঠিত করলেন। আজ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ এ মহামানবকে চাঁদে দেখে ধন্য হচ্ছেন।

২০০৮ সালের ১০ অক্টোবরের ঘটনা। হঠাৎ করে দরবার শরীফে একটি সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল- সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজানকে পূর্ণিমার চাঁদে দেখা যায়। একথা শোনা মাত্রই মন দারূণভাবে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। কখন চাঁদের দিকে তাকালে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানকে দেখতে পাবো? সত্যিই অতি আগ্রহ নিয়ে চাঁদ দেখতে গেলাম। একি! এ যে সত্যিই বাবাজানকে দেখা যাচ্ছে। মনে মনে ভাবলাম, আমি সত্যিই কি বাবাজানকে দেখছি? বিষয়টি আসলেই বিস্ময়কর। কেননা, চাঁদে কোনো মানুষের প্রতিচ্ছবি দেখার ঘটনা এটিই প্রথম। সুতরাং এমন একটি নতুন বিষয় নিয়ে কৌতূহল হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশ্চর্যের বিষয় ছিল এই যে, মহান মোর্শেদ দয়াল বাবাজান রয়েছেন আরামবাগের ‘বাবে রহমত’ ভবনে, অথচ একই সময়ে তাঁকে চাঁদে দেখা এটা কি সাধারণ কোনো বিষয় হতে পারে? আসলে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্‌র পক্ষে তো কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। যে মহান আল্লাহ্‌ হযরত ইব্রাহীম (আ.)-কে নমরূদের জ্‌বলন্ত অগ্নিকুণ্ড থেকে ৪০ দিন পরেও সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় রক্ষা করলেন। হযরত ইউনুস (আ.)-কে ৪০ দিন পরেও মাছের পেট থেকে অক্ষত অবস্থায় রক্ষা করেছিলেন। হযরত নূহ (আ.)-কে মহাপ্লাবনের মধ্যেও সাগর থেকে ৬ মাস ১০ দিন পরে নিরাপদে ফিরিয়ে আনলেন। তাছাড়া হযরত রাসুল (সা.)-কে শত্রুর সম্মুখ দিয়ে মদীনায় চলে যাওয়ার সুব্যবস্থা করে দেন এবং ‘সওর’ নামক গুহায় ক্ষুদ্র প্রাণী মাকড়শার জাল দিয়ে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন, সেই মহাশক্তিধর আল্লাহ্‌ তায়ালাই তাঁর মহান বন্ধু, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজানকে চাঁদে দেখিয়ে মহা সম্মানিত করেছেন।

১০ অক্টোবর আমি এবং ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন (সোহেল) সন্ধ্যায় চাঁদে দয়াল বাবাজানকে দেখে বাবে রহমতের দোতলায় গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্‌লাজানকে জানালাম। তিনি মাইকে সকলকে এ সংবাদ জানানোর কথা বলেন। আমি নিচে মসজিদে গিয়ে এলাকাবাসীকে এই সুসংবাদটি জানালে জনাব সালাহ্‌উদ্দীন রতনের নেতৃত্বে আরামবাগে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। এদিকে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানকে চাঁদে দেখা যায়, একথা শুনে আমাদের হযরত দয়াল মা (রহ.) এবং দয়াল বাবাজানের সাহেবজাদা-সাহেবজাদি রাতে বাবে রহমতের ৯ তলার ছাদে গমন করেন। তাঁরা দয়াল বাবাজানকে চাঁদে দেখে অত্যন্ত আনন্দিত হন। বেশ কিছুক্ষণ পরে সম্মানিত মহিলাগণ বাসায় চলে গেলেন। তখনও দয়াল বাবাজান ৯ তলার ছাদে একটি কুরসি মোবারকে বসা আছেন। খবর পেয়ে আমিও ৯ তলার ছাদে বাবাজানের কাছে চলে এলাম। সেখানে প্রফেসর ড. ফিরোজ আই ফারুকী সাহেবও উপস্থিত ছিলেন। এসময় আমি চাঁদের মাঝে দয়ালবাবাজানকে দেখার জন্য চাঁদের দিকে তাকালাম। তখন দয়াল বাবাজান চাঁদে কীভাবে দেখা যেতে পারে, সে সম্পর্কে আমাকে একটা ধারণা দিলেন। দয়াল বাবাজান আমাকে লক্ষ্য করে বললেন- মান্নান মিয়া! চাঁদে কিছু দেখেন? আমি বললাম জি বাবা, আপনাকে দেখা যায়।

মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানকে কেন চাঁদে দেখাচ্ছেন, সেই সম্পর্কে উচ্চ মযার্দা সম্পন্ন অলী-আল্লাহ্‌গণ আল্লাহ্‌র সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছেন যে, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক তাফসীর শরীফ প্রণয়ন করে এর ১ম খণ্ডে আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন ও হযরত রাসুল (সা.)-এর হাদিস দ্বারা আল্লাহ্‌র আকার প্রমাণ করেছেন। তাছাড়া আল্লাহ্‌কে মানুষ নুরের সুরতে দেখতে পাবে, একথা তিনি উক্ত তাফসীরে লিখেছেন। সূফী সম্রাট প্রণীত ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ১ম খণ্ডে ১৫২৭ পৃষ্ঠা লিখে আল্লাহ্‌ যে আকার, তিনি তা প্রমাণ করেছেন। অপরদিকে আল্লাহ্‌র সিফাত বা গুণাবলি নিয়ে আরো ৭ খণ্ড তাফসীর দয়াল বাবাজান প্রনয়ণ করেছেন। সূফী সম্রাট যখন আল্লাহ্‌র পরিচয় সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে প্রকাশ করলেন, দয়াল বাবাজানের এই কাজে মহান আল্লাহ্‌ অত্যন্ত খুশি হলেন। তিনি তাঁর অলীগণের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘‘আমি জগৎ সৃজন করে সকল সৃষ্টিকে প্রতিপালন করছি, অথচ মানুষ আমাকে নিরাকার বলে অস্তিত্বহীন বানিয়ে দিয়েছে। সুতরাং সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী আমার জাত-পাকের বর্ণনা দিয়ে আমার অস্তিত্ব তুলে ধরেছেন, আমাকে আকার প্রমাণ করেছেন, আমি তাঁকে চাঁদে দেখিয়ে পুরস্কৃত করেছি।” তাই ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে আমরা দয়াল বাবাজানকে পূর্ণিমার চাঁদে দেখে ‘আল্লাহ্‌র দেওয়া পুরস্কার: পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি’ নামক একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান শাওয়াল মাসের পূর্ণিমার রাতে উদ্‌যাপন করে থাকি। আর প্রতি মাসে পূর্ণিমায় আমরা ২ রাকাত সালাতুশ শোকর আদায় করে থাকি।

আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে, মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার জন্য এ পৃথিবীতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবি ও রাসুল প্রেরণ করেছেন। সকল নবি-রাসুলের পরে সর্বশেষে যিনি আবিভূর্ত হলেন, তিনিই ছিলেন বিশ্বের সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশে্রষ্ঠ মহামানব। যিনি ইমামুল মুরসালিন অথার্ৎ সকল নবি-রাসুলের ইমাম বা নেতা হিসেবে জগতের বুকে সম্মানিত হলেন, তিনিই আমাদের প্রাণপ্রিয় রাসুল, আল্লাহ্‌ তায়ালার প্রিয় হাবিব, হযরত মোহাম্মদ (সা.)। মহান আল্লাহ্‌ তাঁকে জগতের বুকে রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- ‘‘হে রাসুল (সা.)! আমি আপনাকে জগদ্‌বাসীর জন্য রহমতস্বরূপ পে্ররণ করেছি।’’ (সূরা আম্বিয়া ২১: আয়াত ১০৭) সেই রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর সম্মানের খাতিরেই মহান আল্লাহ মানুষ ও জিনজাতিসহ পৃথিবীতে অসংখ্য মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। হযরত রাসুল (সা.)-কে আল্লাহ্‌ তায়ালা মু‘জেজা দিয়ে জগতে প্রেরণ করেছেন। তাঁর সর্বশে্রষ্ঠ মু‘জেজা যা হলো-আকাশের চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করা, যা আর কোনো নবি-রাসুলের দ্বারা সংঘটিত হয়নি। আর এ ঘটনা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হযরত রাসুল (সা.)-এর আবির্ভাব যেহেতু আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে হয়েছিল, তখন যুগের মানুষ শিক্ষা-দীক্ষা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানে বর্তমান যুগের মতো উন্নত ছিল না। তা সত্ত্বেও হযরত রাসুল (সা.) মহান আল্লাহ্‌কে কীভাবে দেখেছেন, সাহাবির কাছে তার বর্ণনা দিয়েছেন।

দয়াল বাবাজানকে চাঁদে দেখা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার আশেকে রাসুলসহ বিশ্বের বহু দেশের আশেকে রাসুল প্রতিনিধিগণ সুদীর্ঘ ৫ মাসব্যাপী বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে এসে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী  হুজুর কেব্‌লাজানকে পুষ্পার্ঘ‍্যসহ সংবর্ধনা প্রদান করেন।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্‌লাজানকে চাঁদে দেখিয়ে মহান আল্লাহ্‌ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, হে দুনিয়ার মানুষ! তোমরা যদি আমাকে পেতে চাও, তাহলে এ যুগের শে্রষ্ঠ অলী দেওয়ানবাগীর সান্নিধ্যে যাও। কেননা তিনিই হলেন বর্তমান যুগে আমার শে্রষ্ঠ বন্ধু এবং আমার প্রিয় হাবিব হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সুযোগ্য উত্তরসূরি। অলী-আল্লাহ্‌গণ আল্লাহ্‌র সাথে মিশে একাকার হয়ে থাকেন।

‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ এর ১ম খণ্ডে তিনি পবিত্র কুরআনের ৭২৩টি আয়াত এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর ২৮০৮টি হাদিস দিয়ে আল্লাহ্‌র জাত-পাকের পরিচয় তুলে ধরেছেন। ফলে আল্লাহ্‌ যে আকার তা জগদ্‌বাসীর কাছে প্রমাণিত হয়েছে। যার ফলে আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সূফী সম্রাটকে পূর্ণিমার চাঁদে দেখিয়ে সম্মানিত করেছেন।

সাম্প্রতিক কয়েকজন বিজ্ঞানীর গবেষণাপত্র ব্যাখ্যা করলে বুঝা যায়, কীভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী  হুজুর কেব্‌লার চেহারা মোবারকের আলোকময় প্রতিকৃতি দৃশ্যমান হচ্ছে। এতে আরও জানা গেছে যে, চাঁদের বয়স সাড়ে ৪ লক্ষ বছর হলেও কেবলমাত্র কয়েক বছর যাবৎ এ পবিত্র আলোকিত চেহারা মোবারক দেখা যাচ্ছে?

সামগ্রিকভাবে দেখা যায় যে, উপগ্রহ চাঁদের সাথে পৃথিবীর সম্পর্ক অতি দৃঢ়, বিধায় এ গ্রহের বহুকিছুই চাঁদের সরাসরি প্রভাবে হয়ে থাকে। সাগরের জোয়ার-ভাটা থেকে শুরু করে পৃথিবীর প্রাণীকুল এমনকি মানুষের মনের আবেগ ও হ্রাস-রিপুতাড়নার বৃদ্ধিতে চাঁদের পূর্ণিমা ও অমাবশ্যা প্রভাব বিস্তার করে। সুপ্রাচীনকাল থেকে আধ্যাত্মিক জ্ঞানীরা চাঁদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে মানুষের জীবনযাত্রা ও চরিত্রের ভবিষ্যদ্‌বাণী করতেন। বর্তমানে চন্দ্রপৃষ্ঠে চেহারা মোবারক দেখা বিষয়টি শুধুু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্‌লার ভক্তবৃন্দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এটি খালি চোখে ভালো করে লক্ষ্য করলে যেমন দেখা যায়, তেমনি আধুনিক টেলিস্কোপসহ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে প্রমাণিত হওয়ায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক মহলেও বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোচিত হয়।

সূফী সম্রাটের সর্বশে্রষ্ঠ অবদান হলো-তিনি মহান স্রষ্টাকে নিরাকার থেকে আকার প্রমাণ করেছেন এবং মানুষ যে তাঁদের প্রভু মহান আল্লাহ্‌কে স্বপ্নে দেখতে পারে, তারও প্রমাণ তিনি মানবজাতিকে দিয়েছেন। ফলে মানুষ আজ স্বীকার করছে যে, আল্লাহ ্‌নিরাকার নন, তিনি নুরের আকারে স্বমহিমায় বিরাজমান। আর মানুষ সাধনা করেলে তাঁর দর্শন লাভ করতে সক্ষম হয়। মহান আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব প্রমাণ করার কারণে আল্লাহ্‌ তায়ালা সূফী সম্রাটকে চাঁদে দেখিয়ে সম্মানিত ও পুরস্কৃত করেছেন। আমরা আল্লাহ্‌র এই মহান বন্ধু, যুগের ইমাম সূফী সম্রাট দয়াল মোর্শেদ কেব্‌লাজানের কদম মোবারকে জানাই সালাম ও কদমবুসি।

[লেখক: ভাইস প্রিন্সিপাল, জাতীয় আইন কলেজ, ঢাকা।]

সম্পর্কিত পোস্ট