Cancel Preloader

শবে মি‘রাজের গুরুত্ব ও মহান শিক্ষা

হযরত তরিকুল ইসলাম তারিফ


ইসলামে যে কয়েকটি রাত গুরুত্বপূর্ণ তন্মধ্যে ‘লাইলাতুল মি‘রাজ’ বা ‘শবে মি‘রাজ’ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই রাতে হযরত রাসুল (সা.)-এর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মু‘জিঝা সংঘটিত হয়। হযরত রাসুল (সা.)-এর নবুয়ত লাভের দশম বর্ষে রজব মাসের ২৭ তারিখে ৫১ বছর বয়সে পবিত্র মি‘রাজের অলৌকিক মু‘জিজা সংঘটিত হয়। পবিত্র রজব মাসের ২৭ রজব রাত্রিকে (২৬ তারিখ দিবাগত রাত) ‘লাইলাতুল মি‘রাজ’ বা ‘শবে মি‘রাজ’ বলা হয়। এই রাতে মহানবি (সা.) মহান আল্লাহ্র বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন এবং মহান আল্লাহ্র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


পৃথিবীর ইতিহাসে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টিকারী যুগান্তকারী ঘটনা ‘মি‘রাজ’-এর আভিধানিক অর্থ সিঁড়ি, সোপান, ঊর্ধ্বগমন, বাহন, আরোহন, উত্থান, উর্ধালোকে পরিভ্রমণ, দিদার, নৈকট্য প্রভৃতি। মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে দুটি সূরায় মি‘রাজের আলোচনা করেছেন। একটি হলো সূরা ‘বনী ইসরাইল’ অপরটি হলো সূরা ‘আন নাজম’। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেন-“পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়ে ছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত। যার চতুষ্পার্শ্বকে আমি বরকতময় করেছি, যেন আমি তাকে আমার মহাশক্তির নিদর্শনাবলি দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনি অধিক শ্রবণকারী ও সর্বদ্রষ্টা।” (সূরা বনি ইসরাইল ১৭: আয়াত ১)


আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা জ্ঞানের গভীর ভান্ডার নাজিল করেছেন, জ্ঞানী সম্প্রদায় ঠিকই বুঝতে পারে। উক্ত আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা বুঝলে মি‘রাজের অলৌকিক ঘটনা সহজে বুঝে আসবে। আয়াত শুরু হয়েছে ‘সুবহানা’ শব্দ দ্বারা। এ শব্দটি আল্লাহ্র একটি গুণ। এর অর্থ মহিমাময়, আল্লাহ্র স্তুতিগান, অতিশয় পবিত্র। এ শব্দের মাধ্যমে আল্লাহ্ তায়ালা বান্দাকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, অত্যাশ্চর্য কোন কোন বিষয় সামনে এলে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে আল্লাহ্র গুণকীর্তন করতে হয়। তাই মি‘রাজের ঘটনা আশ্চর্যজনক হওয়ায় আয়াতের শুরুতেই এ ‘সুবহানা’ শব্দ দ্বারা শব্দের মাধ্যমে বুঝানো হচ্ছে সামনে যে বিষয়টি আলোচনা হবে তা দুনিয়ার মধ্যে অত্যাশ্চর্য বিষয়। এমন আশ্চর্য বিষয় ঘটানো কোনো মাখলুকের পক্ষে সম্ভব নয়। মি‘রাজের অনেক শিক্ষার এটা একটি শিক্ষা যে, আমাদের সামনে অতি আশ্চর্য একটি ঘটনা ঘটলে আমরাও সঙ্গে সঙ্গে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবো।


হযরত মোহাম্মদ (সা.) যখন সব দিক থেকে মারাত্মক সংকট ও শোকের সম্মুখীন হয়েছিলেন, তখন আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় হাবিবকে সান্নিধ্য লাভের সুযোগ দিয়েছিলেন। পার্থিব জীবনের অভিভাবক চাচা আবু তালেবের মৃত্যু, প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী উম্মুল মু‘মিনিন খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল, তায়েফের হৃদয়বিদারক ঘটনা, মক্কার কাফিরদের অমানবিক আচরণ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন বিপন্ন ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। মি‘রাজের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাতের আঁধারের পরই আছে উজ্জ্বল সোনালী প্রভাত। ইসলামের বিজয় সমাগত। সত্য আগত মিথ্যা দূরীভূত, সত্যের জয় চিরন্তন। মি‘রাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় বন্ধুকে কামালিয়াতের পরিপূর্ণতা ও সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেছিলেন। আল্লাহ্ মহানবি (সা.)-কে সপ্ত আকাশ পরিভ্রমণ করিয়েছেন, সিদরাতুল মুনতাহা সায়ের করিয়ে মহান আল্লাহ্র আরশে আজিমে স্বীয় দিদার দিয়ে ধন্য করেছেন। তাই ইসলামের ইতিহাসে মি‘রাজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।


মি‘রাজের ঘটনা বিবরণে সর্বজনীন প্রসিদ্ধ যে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ৫১ বছর বয়সে নবুয়তের দশম বর্ষে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রজনিতে মি‘রাজের বিস্ময়কর ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। ওই রাতে তিনি কাবা শরীফের চত্বরে (হাতিমে) অথবা কারও মতে, উম্মে হানির গৃহে নিদ্রিত ছিলেন। এমন সময় ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) সেখানে এসে তাঁকে ঘুম থেকে জাগালেন, অতঃপর হযরত রাসুল (সা.) অজু করলেন, তারপর তাঁর সিনা চাক করা হলো এবং ‘বোরাকে’ চড়িয়ে মুহূর্তের মধ্যে বায়তুল মোকাদ্দাস পৌঁছালেন। সেখানে মহানবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) ‘ইমামুল মুরসালিন’ হিসেবে সব নবি-রাসুলের ইমাম হিসেবে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলেন। এজন্য হযরত রাসুল (সা.)-কে ‘ইমামুল মুরসালিন’ অর্থাৎ ‘নবি-রাসুলগণের ইমাম’ বলা হয়। অতঃপর তিনি আবার বোরাকে চড়ে সপ্তাকাশ পরিভ্রমণ করলেন এবং সেখান থেকে সপ্তম আকাশের ওপর ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ নামক স্থানে পৌঁছালেন, যেখানে ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) থেমে গেলেন । সেখান থেকে নবি করিম (সা.) একাকী ‘রফরফে’ চড়ে আল্লাহ্র দরবারে উপস্থিত হন। তিনি এখানে শুধু একটি দুই ধনুকের মধ্যবর্তী পরিমাণ দূরত্বের ব্যবধানের চেয়েও নিকটে থেকে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ করলেন। সেখানে তিনি প্রভুর সঙ্গে একান্ত আলাপে মিলিত হন। আশেক ও মাশুকের মধ্যে সংলাপ ও কথোপকথন হলো। আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের বিশেষ রহস্য বুঝিয়ে দিলেন এবং জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন করালেন, যাতে এ সম্বন্ধে কথা বলতে তাঁর মনে কোনো সন্দেহের উদ্রেক না হয়। সবশেষে তিনি সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বিধান নিয়ে আবার ঐশীবাহনে আরোহণ করে মুহূর্তের মধ্যে ধরণীর বুকে ফিরে এলেন। সংক্ষেপে এই হলো মি‘রাজের ঘটনা।


রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা মি‘রাজ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সা.) ছাড়া অন্য কোনো নবি এই পরম সৌভাগ্য লাভ করতে পারেননি। আর এ কারণেই তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ নবি ও রাসুল ।
বর্তমানে এমন অনেক মুসলমান আছে যে, যারা বলে বেড়ায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) মি‘রাজ রজনিতে মহান আল্লাহ্র দিদার লাভ করেন নাই, কেবলমাত্র সপ্তম আকাশ পরিভ্রমণ করে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত গিয়েছেন। অথচ কুরআন ও হাদিসে মি‘রাজ রজনিতে আল্লাহ্র সাথে হযরত রাসুল (সা.)-এর মহামিলনের ও দিদার লাভের বিষয়টি অকাট্যভাবে প্রমাণিত। এ প্রসঙ্গে সূরা আন নাজমে মহান আল্লাহ্ বলেন, “ছুম্মা দানা ফাতাদাল্লা, ফাকানা ক্বাবা কাওসাইনি আও আদনা, ফা আওহা ইলা ‘আবদিহী মা আওহা।” অর্থাৎ- “অতঃপর তিনি [হযরত রাসুল (সা.)] তাঁর (আল্লাহ্র) নিকটবর্তী হলেন। অবশেষে তাঁদের মধ্যে দুই ধনুকের দূরত্ব রইল অথবা আরো কম। তখন আল্লাহ্ স্বীয় বান্দার প্রতি যা ওহি করার করলেন।” (সূরা আন নাজম ৫৩: আয়াত ৮-১০)


দুই ধনুকের দূরত্বের ব্যবধান বরং এর চেয়েও কম। আল্লাহ্ ও রাসুলের মহামিলনের নৈকট্যপূর্ণ অবস্থা প্রসঙ্গে হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “লাম্মা উসরিইয়া বী ইলাস সামাই ক্বাররাবানী রাব্বী তা‘আলা হাত্তা কানা বাইনী ওয়া বাইনাহু ফাক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা লা বাল আদনা।” অর্থাৎ- “যখন আমাকে আকাশে সায়ের করানো হচ্ছিল, তখন মহিমান্বিত আল্লাহ্ আমার নিকটবর্তী হলেন; আর এ সময় তিনি আমার এতই নিকটবর্তী হলেন যতখানি তির ধনুকের নিকটবর্তী হয়। অতঃপর তিনি আরো নিকটে এলেন।” (তাফসীরে দুররে মানছূর ১৫নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২৭) এমনিভাবে অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি বলেন-“আন্নান নাবিইয়্যা (সা.) রাআ রাব্বাহু বি‘আইনিহি।” অর্থাৎ- “নিশ্চয়ই আল্লাহ্র নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) স্বচক্ষে মহান প্রতিপালক আল্লাহ্কে দেখেছেন।” (তাফসীরে দূররে মানছূর, ২৭নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪৭) পাশাপাশি হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লাহ্র রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “রাআইতু রাব্বী ফী আহসানি সূরাতি।” অর্থাৎ- আমি আমার মহান প্রতিপালক আল্লাহ্কে অতি উত্তম সুরতে দেখেছি।” (তাফসীরে দুররে মানছূরের সূত্রে তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৫১৪ ও ১৫১৫)


হযরত মুসা (আ.) মহান আল্লাহ্র সাথে কথা বলেছেন তূর পাহাড়ে, হযরত মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহ্র দিদার লাভ ও কথা বলেছেন মহান আল্লাহ্র আরশে আজিমে। সুফিদের মতে বর্ণিত হয়েছে যে, মি‘রাজ রজনিতে মহান আল্লাহ্র দিদার লাভ এবং কথোপকথনের পর মহান আল্লাহ্র নিকট হযরত রাসুল (সা.) আরজ করলেন, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আপনার দিদার লাভ করেছি, আপনার সাথে কথা বলেছি কিন্তু আমার উম্মত তো আপনাকে পায় নাই। আমার উম্মতের জন্য এমন একটি আমল দেন যেন তারাও আপনার দিদার লাভ ও আপনার সাথে বাক্যালাপ করতে পারে। তখন মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-এর উম্মতের জন্য ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। পরবর্তীতে হযরত মুসা (আ.)-এর সাথে সাক্ষাৎ ও আলোচনার পর মহান আল্লাহ্র কাছ থেকে ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বিধান নিয়ে এসেছেন। কোনো মুসলমান যখন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করবে মহান আল্লাহ্ তাকে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের ফায়েজ, রহমত ও ফজিলত দান করবেন। মহান আল্লাহ্ মি‘রাজ রজনিতে উম্মতে মোহাম্মদীকে তাঁর দিদার বা সাক্ষাৎ প্রদানের জন্য নামাজ আদায় ফরজ করেছেন। উম্মতে মোহাম্মদী যখন হুজুরি ক্বালবে একাগ্রতার সাথে হাকিকতে সালাত আদায় করে তখন সেই মু‘মিনের নামাজ মি‘রাজে পরিণত হয়। এ প্রসঙ্গে হযরত রাসুল (সা.) বলেন- “আসসালাতু মি‘রাজুল মু‘মিন।” অর্থাৎ- “নামাজ মু‘মিনের জন্য মি‘রাজ।” (তাফসীরে মাজহারী ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪১৩)
শবে মি‘রাজের অন্যতম প্রধান শিক্ষা হলো, মহান আল্লাহ্কে পাওয়ার আশায় তাঁর নৈকট্য লাভের নিমিত্তে মু‘মিন ব্যক্তিগণের নামাজ আদায় করা আবশ্যক। কবির ভাষায় বলা যায়, “মুমিনরে তুই জানিস নাকি তোর প্রতি নামাজ, খোদার সাথে মিলনসেতু সেই তো রে মি‘রাজ।”


আল্লাহ্ বান্দাকে ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন কেবলমাত্র তাঁরই ইবাদতের জন্য। ইবাদতের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ভিত্তি। নামাজের মাধ্যমেই বান্দার সাথে মহান আল্লাহ্র প্রেমের মিলন হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমান মহান আল্লাহ্কে ভুলে গিয়ে নিয়মিত ফরজ নামাজ আদায় করে না । দুনিয়ার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে মহান আল্লাহ্কে সিজদা দেওয়ার বিষয়টি পর্যন্ত ভুলে যায়। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
আল্লাহ্র মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান বলেন, “ইবাদতের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রভুর দর্শন লাভ করা।” পাশাপাশি তিনি নামাজের সাথে মি‘রাজের সম্পর্ক উল্লেখ করে বলেন, “যিনি মু‘মিন তার নামাজে মি‘রাজ হয়।” অর্থাৎ যিনি হাকিকতে মু‘মিন হতে পারেনি তার নামাজে মি‘রাজ হয় না। তাই তিনি তার অনুসারী আশেকে রাসুলগণকে হুজুরি দিলে নামাজ আদায়ের সুমহান শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ্র প্রিয় বন্ধুর সুমহান শিক্ষা লাভ করে অনেকে নামাজে মি‘রাজ লাভের হাকিকত উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের ওফাতের পর তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি মেজো সাহেবজাদা, মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর পবিত্র লাইলাতুল মি‘রাজ বা শবে মি‘রাজের রাতটি নফল আমল ও ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করার দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।


পরিশেষে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা জানাই তিনি যেন দয়া করে তাঁরই প্রিয় রাসুলের উসিলায় পবিত্র শবে মি‘রাজের রাতটি ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে এ মহিমান্বিত রাতের ফায়েজ রহমত হাসিল করে মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন! ইয়া রাব্বাল আলামিন।


[লেখক: ইসলামি আলোচক এবং সদস্য, আল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ, ঢাকা।]

সম্পর্কিত পোস্ট