সবুরে মেওয়া ফলে
কুতুবুল আকতাব সৈয়দা হামিদা বেগম (রহ.)
সবুর বা ধৈর্য মানব চরিত্রের একটি বিশেষ গুণ। এ গুণের অধিকারী মানুষ তার জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা লাভ করে থাকে। এই সম্পর্কে কালামুল্লাহ্ শরিফে এরশাদ হয়েছে, “হে ইমানদারগণ! ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্য ধারণ শিখাও, আল্লাহ্কে ভয় কর- তবেই তোমরা মুক্তি পাবে।” কালামুল্লাহ্ শরীফের অন্যত্র আছে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যধারণকারীর সঙ্গে আছেন।” হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, “বিপদে বা দুঃখে ধৈর্যধারণ করাই উত্তম।”
ধৈর্য ধারণকারীগণ ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এমনকী ধর্মীয় ক্ষেত্রেও যে প্রভূত সফলতা লাভ করে থাকে, ইতিহাসে তাঁর অগণিত প্রমাণ রয়েছে। অতীতের সকল নবি-রাসুল ও আওলিয়ায়ে কেরামের জীবনীতে দেখা যায়, তাঁরা প্রত্যেকেই অসীম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাধ্যমে সাধনা করে গেছেন। মানুষের শত অত্যাচার নির্যাতন এমনকি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মছিবতেও তাঁরা অসীম ধৈর্যের সাথে সাধনা করেছেন। যেমন, হযরত ইউসুফ (আ.) কূপে পড়ে ধৈর্যধারণ করেছিলেন এবং হযরত আইয়ূব (আ.)-এর সর্বাঙ্গ পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল, তবুও আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস রেখে তিনি ধৈর্যধারণ করেছিলেন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) নমরুদের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েও অসীম ধৈর্যের সাথে মহান আল্লাহ্র উপর আত্মসমর্পণ করেছিলেন; হযরত ইসমাইল (আ.) ধৈর্যের সাথে আল্লাহ্র রাহে আত্মোৎসর্গ করেছিলেন। এমনিভাবে হযরত রাসুল (সা.) ও তাঁর উত্তরসূরি অলী-আল্লাহ্গণ তাঁদের জীবনের সকল বালা-মছিবত ও ইমানী পরীক্ষা ধৈর্য সহকারে অতিক্রম করে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করেছেন। বিভিন্ন আওলিয়া কেরামের ন্যায় হযরত বড়পির আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর সম্মানিত পিতা হযরত সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.)-ও সারাজীবন অসীম ধৈর্যের সাথে কঠোর সাধনা করে গেছেন। তাঁর জীবনের একটি বৈচিত্রময় ঘটনা পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-হযরত সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.) একজন কঠোর আধ্যাত্মিক সাধক ও আল্লাহ্র প্রিয় বন্ধু ছিলেন। তিনি সদা সর্বদা আল্লাহ্র চিন্তায় নিমগ্ন থাকতেন। অল্প বয়সেই তিনি মারেফতের নিগূঢ় রহস্য উপলব্ধি করার জন্য প্রায় পাগল হয়ে উঠেন। হঠাৎ একদিন তিনি সাধনা করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে পড়েন। কোথায় যাবেন? কী করবেন? কী খাবেন বা কোথায় থাকবেন? সেই চিন্তা তাঁর নেই- এক আল্লাহ্র প্রেমে শুধু পথই চলছেন। অবশেষে একদিন তিনি ক্লান্ত হয়ে এক নদীর তীরে একটি গাছের নিচে বসে পড়লেন। একেতো আল্লাহ্র প্রেমের ব্যাকুলতা, অপরদিকে পেটের ক্ষুধা ও পিপাসায় তালু শুকিয়ে কাঠ। চোখে তিনি অন্ধকার দেখছেন। এদিক ওদিক খাবারের তালাশ করার মত সময় তাঁর হাতে নেই। ক্ষুধার তাড়নায় তাঁর প্রাণ যাওয়ার উপক্রম হলো। এমন সময় হঠাৎ তাঁর নজর পড়ে নদীতে ভেসে যাওয়া সুন্দর একটি পাকা আপেলের দিকে। তিনি বিলম্ব না করে পানিতে নেমে ফলটি তুলে খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করলেন।
ফল খাওয়ার পর শরীরে একটু শান্তি এলো। কিন্তু তাঁর মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিল। হ্য়া! হায়! কী করলাম। কার ফল খেলাম! ফলের মালিক কে? তাও তিনি জানেন না। তখন নিজে নিজে অনুতপ্ত হয়ে ছুটে চললেন ফলের মালিকের খোঁজে। মালিককে যেভাবেই হোক খুঁজে বের করে তার কাছে ফল খাওয়ার জন্য মাফ চাবেন।
এই প্রতিজ্ঞা করে নদীর উজান দিকে পথ চলতে লাগলেন। হযরত সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.) বুঝতে পারলেন, নদীর উজান দিকে নদীর তীরে কোনো ফলের বাগান আছে। সেই বাগানের কোন গাছ থেকে ফলটি নদীতে পড়েছে। তারপর তিনি নদীর তীরের পথ ধরে তিনদিন হেঁটেও ফলের মালিকের সন্ধান পেলেন না। ক্ষুধায় আর পিপাসায় তার দেহ ও মন অসার হয়ে পড়ল। ক্লান্ত হয়ে বসে পড়েন এক গাছের নীচে। তখন বসে বসে চিন্তা করছেন হায়! এত দিনের সাধনা কি বিফলে যাবে? এ ঋণের বোঝা কি চিরকাল তাকে বয়ে বেড়াতে হবে? তারপর আবার ধৈর্যের সাথে মনে সাহস সঞ্চার করে পথ চলা শুরু করলেন। চলার কোনো বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই, চলতে চলতে ৬ দিনের দিন সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.) পৌঁছলেন এক আপেল বাগানে। বাগানটির গাছে গাছে আপেল ভর্তি। কিছু আপেল গাছ নদীর দিকে ঝুঁকে আছে। তাতে পাকা আপেল থোকায় থোকায় ঝুলে আছে। মাঝে মাঝে ২/১টি আপেল নদীতে পড়ে ভেসে যাচ্ছে। তাঁর আর বুঝতে বাকী রইল না যে, তিনি যে ফল খেয়েছেন সেটা- নিশ্চয়ই এখানকার কোনো একটি গাছের।
এবার আনন্দে তিনি বাগানের মালিকের খোঁজে বাগানে প্রবেশ করলেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন বাগানের মালিক একজন কামেল অলী-আল্লাহ্। তাঁর নাম হযরত আবদুল্লাহ্ সাওমাই (রহ.)। বাগানের পাশেই তাঁর বাড়ি। সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গি (রহ.) খুশিতে সেই অলী-আল্লাহ্র বাড়িতে প্রবেশ করলেন। বাগানের মালিক তাঁকে বললেন- তুমি কে? কীসের জন্য এসেছ?
সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.) বললেন- আমি একজন মুসাফির। ভুলে একটি অন্যায় করে ফেলেছি। এ বলে আপেল খাওয়ার ঘটনাটি বর্ণনা করলেন এবং মাফ চাইলেন। হযরত আবদুুল্লাহ্ সাওমাই (রহ.) নিজে একজন কামেল অলী-আল্লাহ্। তিনি অন্তরচক্ষু দিয়ে জানতে পারলেন, এই মুসাফির সাধারণ ব্যক্তি নন। তিনি একজন মহাসাধক। তারপর হযরত আবদুল্লাহ্ সাওমাই (রহ.) নিজের মনের কথা নিজের মনেই চেপে রাখলেন এবং বললেন হ্যাঁ, তোমাকে ক্ষমা করতে পারি। তবে এক শর্তে, তোমাকে ১২ বছর আমার বাড়িতে গোলামি করতে হবে। মুসাফির সৈয়দ আবু সালেহ মুসা জঙ্গী (রহ.) ভাবলেন, যদি বার বছর গোলামীর দ্বারা ক্ষমা পাই তবে ক্ষতি কী? এই ভেবে তিনি রাজী হয়ে গেলেন।
এভাবে দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। কেটে গেল ১২ বছর। এবার বিদায়ের পালা। হযরত সৈয়দ আবু সালেহ মুসা জঙ্গী (রহ.) গেলেন বাগানের মালিকের কাছে। বললেন, হুজুর! আপনার শর্তের ১২ বছর শেষ হয়েছে। এবার আমাকে বিদায় দিন।
কামেল অলী হযরত আবদুল্লাহ্ সাওমাই (রহ.) তাঁর অন্তরদৃষ্টিতে জানতে পারলেন, ঐ মুসাফিরের ঔরশে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ অলী হযরত বড়পির আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর জন্ম হবে। তাই তাঁকে আটকিয়ে রাখার জন্য দুটি শর্ত খুঁজে বের করলেন এবং বললেন- শোনো মুসাফির! আমার দুটি শর্ত যদি পালন করো, তবে তোমাকে চিরদিনের জন্য মাফ করে দেওয়া হবে।
হযরত সৈয়দ আবু সালেহ মুসা জঙ্গি (রহ.) ভাবলেন- পাপ যখন করেছি এখন ধৈর্য ধারণ করে তার শর্ত মেনে নিতেই হবে। হুজুর! বলুন, আপনার শর্ত কী?
১ম শর্ত হলো- তোমাকে আমার এখানে আরও দুই বছর থাকতে হবে।
২য় শর্ত হলো- আমার একটি মেয়ে আছে অন্ধ, খোঁড়া ও বোবা, তাকে তোমার বিয়ে করতে হবে। তাহলে আমি তোমাকে ক্ষমা করতে পারি।
সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.)- শর্ত শুনে চমকে উঠলেন! আর ভাবলেন, সামান্য একটি আপেল খেয়ে ১২ বছর গোলামি করলাম। এরপরেও নাকি অন্ধ, খোঁড়া ও বোবা মেয়ে বিয়ে করে ২ বছর থাকতে হবে। পাপের কী জ্বালা! এখন তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের জীবনের সাধনার কথা চিন্তা করে রাজি হলেন এবং বিয়ের আয়োজন করার জন্য বললেন।
মুসাফিরের কথা শুনে হযরত আবদুল্লাহ্ সাওমাই (রহ.) মহাখুশি হয়ে মেয়েকে বিয়ে পড়িয়ে দিলেন। মুসাফির বিয়ের পর বাসর ঘরে গিয়ে চমকে উঠলেন! তার শ্বশুরের কথার সাথে নববধূর কোনো মিল নেই। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মেয়ে অন্ধ, খোঁড়া, বোবা, কিন্তু এযে তার সম্পূর্ণ বিপরীত। কী করবেন ভেবে পান না। হায়! হায়! অন্যের ঘরে ঢুকিনি তো। তিনি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে পড়েন। শ্বশুর হযরত আবদুল্লাহ্ সাওমাই (রহ.) উঠানে বসে বিশ্রাম করছিলেন। জামাতা সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.) লজ্জিত হয়ে শ্বশুরের সামনে এসে দাঁড়ালেন। খাঁটি অলী-আল্লাহ্ জামাতার মনের ভাব বুঝতে পেরে আদরের স্বরে জিজ্ঞেস করলেন- বাবা! কিছু বলবে? কিন্তু জামাতার মুখ থেকে কোনো কথা বের হলো না। তখন শ্বশুড় বললেন- বল বাবা, লজ্জা কিসের? বল কি হয়েছে?
তখন জামাতা বললেন, আপনি বলেছিলেন- আপনার মেয়ে অন্ধ, খোঁড়া, বোবা। এই কথা শুনে শ্বশুর মৃদু হেসে বললেন, বুঝেছি তোমার মনে সন্দেহ জেগেছে। তুমি যে পরমা সুন্দরী মেয়ে দেখেছ; সে আমারই মেয়ে। আমি যে অন্ধ, খোঁড়া, বোবা বলেছি তা-ও সত্য। আমার মেয়ে কোনোদিন বেগানা পুরুষ দেখেনি, তাই সে অন্ধ। কখনো অন্যায় পথে পা বাড়ায়নি, তাই খোঁড়া; মুখ দ্বারা কোনোদিন অন্যায় কথা বলেনি, তাই সে বোবা। শ্বশুরের কথা শুনে সৈয়দ আবু সালেহ্ মুসা জঙ্গী (রহ.)-এর মন খুশিতে ভরে উঠল। তাঁর মনের খটকাও দূর হলো। এতদিনে শ্বশুরের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে মহান আল্লাহ্র দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন।
জীবনে ১৪টি বছর সাধনা করে হযরত সৈয়দ আবু সালেহ মুসা জঙ্গি (রহ.) পেলেন এক পরমা সুন্দরী স্ত্রী। আর পেলেন আল্লাহ্র তরফ থেকে মহাপুরষ্কার, তা হলো- আওলিয়া শ্রেষ্ঠ বড়পির আবদুল কাদির জিলানি (রহ.)-কে তাঁর ঔরশে। ১৪টি বছর অসীম ধৈর্য ধারণের ফল আল্লাহ্ নিজ হাতেই তাঁকে দিলেন এই নিয়ামত, যা জগদ্বাসীর জন্য রহমত।
অতীতের মত এই যুগেও যারা ধৈর্য সহকারে সাধনা করতে পেরেছেন, তারা নিঃসন্দেহে সফলতা লাভ করেছেন। জীবনে সফলতা লাভের জন্য ধৈর্য মানব জীবনের একটি অপরিহার্য গুণ, যারা এই গুণের অধিকারী তারা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। জগৎশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের সহবতে এসে মানুষ ধৈর্যের সাথে আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল করে থাকে। আল্লাহ্ যেন সকলকে হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলার সহবত লাভ করে, আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর আশেক হওয়ার তৌফিক ভিক্ষা দেন। আমিন!
[সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের সহধর্মিণী কুতুবুল আকতাব হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম (রহ.)-তাঁর জীবদ্দশায় বড়পির হযরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর সম্মানিত পিতা হযরত আবু সালেহ মুসা জঙ্গী (রহ.)-এর জীবনে সংঘটিত উল্লিখিত ঘটনাটি লিখেছিলেন। পাঠকদের উদ্দেশ তা প্রকাশিত হলো।]
9 Comments
মহান আল্লাহ আমদের সকলকে সবুর করার আন্তরিক তৌফিক দান করুন, আমিন!
আল্লাহ্ যেন সকলকে হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লার সহবত লাভ করে, আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর আশেক হওয়ার তৌফিক ভিক্ষা দেন। আমিন!
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সবুর করার আন্তরিক তৌফিক দান করুন, আমিন!
হে দয়াময় মালিক আমরা যেন করোন নামক মহামারি মধ্যে তোমার উপর আত্তসমর্পণ র্ধ্যয দারন করতে পারি, সেই তাওফিক ভিক্ষা দাও।
মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে এই প্রার্থনা করি তিনি যেন তার অলী বন্ধু যুগশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী (মাঃআঃ) হুজুর কেবলাজানের দির্ঘ হায়াত দান করেন আমিন।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সবুর করার আন্তরিক তৌফিক দান করুন, আমিন
সবুর অথবা ধৈর্য মানব জীবনে বিশেষ এক অধ্যায়, হযরত শাহ দেওয়ানবাগী সহবতে থেকে আমি যেন আমল করতে পারি……আমিন
সত্যি ধর্য্যর ফুল খুব সুমিষ্ট তার একটি চমৎকার ঘটানা অধ্যায়ন করে ধর্য্য সম্পর্কে আরো প্রবল আগ্রহ জন্মালো।
মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আজকে এই ঘটনাটি পরে ও পেয়ে বুঝতে পারলাম ধৈর্যের যে কি গুণ আল্লাহ ধৈর্যের পরীক্ষা নেয় এবং ধৈর্যের পুরস্কার দিয়ে থাকেন।