সারাবিশ্বে একই দিনে ইসলামি অনুষ্ঠান পালনের পদ্ধতি প্রণয়ন
সারাবিশ্বে একই দিনে ইসলামি অনুষ্ঠান পালনের পদ্ধতি প্রণয়ন মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান [সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান রচিত ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী ধর্মীয় সংস্কার’ ১ম খণ্ড কিতাব থেকে লেখাটি সংকলন করা হয়েছে।-সম্পাদক]
শেষ পর্ব ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে তিনি গণনা ভিত্তিক যে চান্দ্রপঞ্জিকা প্রবর্তন করেন, মুসলমানদের উচিত সেই আদিম চান্দ্রপঞ্জিকা মেনে নিয়ে বিশ্বব্যাপী তা পুনঃপ্রবর্তন করা। সারা বিশ্বে একই সাথে রোজা ও ঈদ পালন প্রসঙ্গে হানাফি মাজহাবের ইমাম হযরত আবু হানিফা (রহ.)-এর অভিমত বর্ণনা করতে গিয়ে ফতোয়ায়ে আলমগীরিতে বলা হয়েছেÑ “উদয়স্থল এলাকা বা রাষ্ট্র বিবেচনার বিষয়বস্তু হবে না। চন্দ্র উদয়ের ব্যাপারটি শুধু বিবেচ্য হবে। মাজহাবের প্রকাশ্য মত এটিই।” এরূপ ফতোয়ায়ে কাজী খানে উল্লেখ রয়েছে, “ফকিহ আবু লাইস ও সামসুল আইম্মাহুনাওয়ানী এরূপ ফতোয়া প্রদান করতেনÑ যদি পশ্চিম দেশীয় লোক রমজানের চাঁদ দর্শন করে, তবে পূর্ব দেশীয় লোকদের উপর রোজা রাখা ওয়াজিব হয়ে যাবে।” ‘খোলাসা’ নামে ফতোয়ার কিতাবেও এরূপ উল্লেখ রয়েছে, “যারা পরবর্তী সময় চাঁদ দর্শন করে (একদিন কিংবা দুদিন পর) তাদের উপরও রোজা রাখা ফরজ হবে, যদি ঐ দেশীয় লোকদের চাঁদ দেখার সংবাদ নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসে পৌঁছে। হানাফি মাজহাবের এ মতের অনুরূপ মত পোষণ করেছেন হযরত ইমাম আহম্মদ ইবনে হাম্বল (রহ.) ও হযরত ইমাম মালেক (রহ.)। উল্লেখ্য যে, ইসলামি শরিয়তে চাঁদ দেখার ব্যাপারটি রোজা ও ঈদ পালনের ক্ষেত্রে একই হুকুমের আওতাভুক্ত। পৃথিবীর জন্য চাঁদ মাত্র একটি। তাই বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে সর্বপ্রথম যেদিন নতুন চাঁদ দেখা যায় সেদিন থেকেই সারা বিশ্বে চাঁদের পহেলা তারিখ গণনা হওয়া উচিত। তাছাড়া বিজ্ঞানের কল্যাণে গণনা করে বলা সম্ভব বিশ্বের কোথায় ও কখন সর্বাগ্রে নতুন চাঁদ উদিত হবে। আকাশের দিকে না তাকিয়ে পৃথিবী ও চাঁদের আপেক্ষিক গতি এবং সময় গণনার ভিত্তিতে নির্ভুল চান্দ্রপঞ্জিকা প্রণয়ন করা যায়। মোটকথা, অনুষ্ঠান উদ্যাপনে বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা ও ধর্মপালনকে অর্থহীন করে তোলা কখনো কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাম্য হতে পারে না। গণনা ভিত্তিক চান্দ্রপঞ্জিকা অনুসারে বিশ্বব্যাপী একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্যাপন মুসলমানদের জন্যে নিঃসন্দেহে উত্তম ও অত্যাবশ্যক। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম উম্মাহর স্বার্থে নিজেদের আঞ্চলিক সংকীর্ণতা পরিত্যাগ করে ও সঠিকভাবে ধর্মপালনের লক্ষ্যে আমরা যদি পবিত্র কুরআনের আলোকে গণনা ভিত্তিক বিজ্ঞানসম্মত চান্দ্রপঞ্জিকা বিশ্বব্যাপী মেনে নেই, তাহলে ধর্মানুষ্ঠান পালনে আর কোনো বিশৃঙ্খলা থাকে না। আজ যদি আমাদের প্রাণপ্রিয় নবিজি সোনার মদীনায় সশরীরে থাকতেন, আর আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে যদি তাঁকে দেখতে পেতামÑ তিনি কবে রোজা পালন করছেন, কবে ঈদ উদ্যাপন করছেন, তাহলেও কি আমাদের দেশের সীমানায় চাঁদ দেখা না যাওয়ার অজুহাতে ১ বা ২ দিন পরে আমরা রোজা পালন করতাম বা ঈদ উদ্যাপন করতাম? নিশ্চয়ই না। আজ সমগ্র মুসলিম বিশ্ব যদি একটি রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অধীনে হতো এবং মক্কা বা মদীনা থেকে যদি ধর্মীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত হতো, তাহলে দেশের সীমানায় চাঁদ আসেনি এ অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে রোজা এবং ঈদসহ অন্যান্য ধর্মানুষ্ঠান ২/১ দিন বিলম্বে উদ্যাপনের চিন্তা বাস্তবায়নের সুযোগ কি আমরা পেতাম? রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগ করে যা সম্ভব ও বৈধ হয়, বিবেকবুদ্ধি প্রয়োগ করে তাকে আমরা সম্ভব ও বৈধ বলে গ্রহণ করায় সমস্যা কোথায়? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চান্দ্রমাস গণনা সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনের জন্য তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৯৭৮ সালের নভেম্বর মাসের ২৭-৩০ তারিখ পর্যন্ত ইসলমি ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রাচীন রাজধানী ইস্তাম্বুলে ‘চান্দ্র মাসের প্রারম্ভ ও পবিত্র দিনগুলো নির্ণয়’ সম্বন্ধীয় এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সেই সম্মেলনে আফগানিস্তান, বাহরাইন, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আলজেরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মরোক্কো, জর্ডান, ইরাক, সাইপ্রাস, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, মধ্যএশিয়া ও কাজাকিস্তান, পাকিস্তান, সুদান, সৌদি আরব, তিউনিশিয়া, তুরস্ক প্রভৃতি দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও ব্রাসেল্স ইসলামিক সেন্টার, প্যারিস ইসলামিক সেন্টার, রাবিতাতুল আলিমীল ইসলামী প্রভৃতি সংগঠনের সর্বমোট ৩৯ জন প্রতিনিধি যোগদান করেন। তারা বিশ্ব মুসলিমের রমজান মাসের প্রারম্ভ ও সমাপ্তি এবং ধর্মীয় পবিত্র দিন ও ঈদ নির্ণয়ের বিশৃঙ্খল পদ্ধতির দুঃখজনক পরিণতি সম্বন্ধে আলোচনা করেন। সম্মেলনে প্রতিনিধিগণ এ সমস্যা পর্যালোচনা করে সমাধানে উপনীত হওয়ার জন্য দুটি বিশেষজ্ঞ পরিষদ গঠন করেন- (১) মুফতী পরিষদ ও (২) জ্যোতির্বিজ্ঞানী পরিষদ। উভয় পরিষদের বিশেষজ্ঞগণ তাদের সুগভীর পাণ্ডিত্য ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বিষয়টি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিশদভাবে পর্যালোচনা করেন এবং সমস্যাটি উপলব্ধি করে এর দুঃখজনক পরিণতির আশু সমাধানের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন। অতঃপর সবাই এ বিষয়ে একমত হন যে, বিভিন্ন দিনে একই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন- পবিত্র কুরআনের বাণী ও হাদিসের পরিপন্থী। সুতরাং মুসলমানরা একই ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে বিভিন্নতা অবলম্বন করতে পারে না। মুসলিম সম্প্রদায়-এর আদর্শের পরিপন্থী হিসেবে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। সুতরাং মুসলমানরা ধর্মীয় বিষয়ে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করতে পারে না। প্রতিনিধিগণ আরো উল্লেখ করেন যে, মহান আল্লাহ্ মুসলমানদের ঐক্য ও সংহতির ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন- “ওয়া‘তাসিমূ বিহাবলিল্লহি জামি‘আও ওয়ালা তাফাররাক্বু।” অর্থাৎ- “তোমরা আল্লাহ্র রজ্জু মজবুত করে ধর এবং কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না।” (সূরা আলে ইমরান ৩; আয়াত ১০৩) অর্থাৎ ধর্মপালনে এমন কোনো নিয়ম অনুসরণ করা সমীচীন নয় যার ফলে মুসলমানদের ঐক্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এ সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিরা একই সাথে সারা বিশ্বে ঈদ ও ইসলামি অনুষ্ঠান পালনের ব্যাপারে একমত হন। এ ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বে একই সাথে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য ইসলাম সম্মত ও বিজ্ঞানভিত্তিক একটি চান্দ্রপঞ্জিকা প্রণয়নের কাজ পরবর্তী সম্মেলনে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়- একই সাথে সারাবিশ্বে ঈদসহ অনুষ্ঠানাদি পালনের ব্যাপারে একমত হওয়া সত্তে¡ও অজ্ঞাত কারণে এ সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘকাল যাবৎ মুসলিম বিশ্বে বিরাজমান এ সমস্যা সমাধানের জন্য ‘অষ্ট বর্ষচক্র চান্দ্রপঞ্জিকা’ উদ্ভাবন করি। এ পঞ্জিকা ইসলাম সম্মত, বিজ্ঞানভিত্তিক অথচ সহজ ও কার্যকরী বলে সুধী মহলে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।
১৯৯৫ সালের ২১শে অক্টোবর হতে ৮ই নভেম্বর পর্যন্ত ইসলামি সম্মেলন সংস্থা (ওআইসি)-এর আংকারাভিত্তিক ‘অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান ও সামাজিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- এর উদ্যোগে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে আয়োজিত এক সম্মেলনে মুসলিম বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের সম্মুখে এ ‘অষ্টবর্ষ চান্দ্রপঞ্জিকা’র রূপরেখা তুলে ধরা হয়। যুগযুগান্তরের চান্দ্রগণনার এ সমস্যা সমাধান করার জন্য অষ্টবর্ষ চন্দ্রপঞ্জিকা তারা সাদরে গ্রহণ করেন এবং এটি কার্যকর করার ব্যাপারে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হন। ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আলজিরিয়ার শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশিত আরবি পত্রিকা ‘আছালাই’-এর তৃতীয় বর্ষ ২১তম সংখ্যায় ফতোয়াদান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটির একটি ফতোয়া প্রকাশিত হয়। হিজরি ১৩৯২ সালের ২৯শে সফর মোতাবেক ১৯৭২ সালের ১৩ই এপ্রিলে প্রদান করা এ ফতোয়ার মূল সারমর্ম নিম্নে প্রদত্ত হলো- সারমর্ম “নামাজ, রোজা, ইসলামি ঐক্য সমনি¦ত চান্দ্র ক্যালেন্ডার প্রণয়ন তথা ইবাদতসমূহের সময় নির্ধারণে জ্যোতিষ্ক হিসাবের অনুসরণ করা সম্পর্কে ফতোয়া কমিটির অভিমত- হিজরি ১৩৯২ সালের ২৯শে সফর মোতাবেক ১৯৭২ সালের ১৩ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আহবানে কেন্দ্রীয় ফতোয়া কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইবাদতগুলোর সময় নির্ধারণ অর্থাৎÑ মাসের প্রথমে রোজা রাখা ও শেষে ইফতার করার ব্যাপারে নিশ্চিত হিসাবের উপর নির্ভর করার বিষয়ে বহু আলোচনা পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রাচীন ও আধুনিক চিন্তাবিদ মোজতাহেদদের মাজহাব এবং মুসলিম ওলামার মতামত আলোচিত হয়। এ প্রেক্ষিতে ফতোয়া কমিটি এ বিষয়ে তার রায় প্রচারার্থে ঘোষণা করে যে, উল্লিখিত তারিখে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ফতোয়া কমিটি শরিয়তের অর্থাৎ- কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মুসলিম ওলামার মতামত পর্যালোচনা করেন, যারা জ্যোতিষ্ক হিসাব অনুযায়ী চাঁদ দেখার প্রতিবন্ধকতার সময় চান্দ্রমাসের প্রারম্ভ হিসাব করেন এবং যারা তার বিরোধিতা করেন, তাদের সকলের মতামত পর্যালোচনা করেন, মোজতাহেদ আল্লামা রশীদ রেজা এ সম্পর্কে তফসীরুল মানারে যা উল্লেখ করেছেন বৈঠকে তাও আলোচিত হয়।
১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসের ২১-২৭ তারিখে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত মুসলিম ওলামা সম্মেলনের সুপারিশগুলিও পর্যালোচনা করা হয়। এসবের আলোকে কেন্দ্রীয় ফতোয়া কমিটি মনে করে যে, জ্যোতিষ্ক হিসাব ও মান-মন্দিরের হিসাব অনুযায়ী আমল করা জায়েজ এবং মুসলমানদের সকল ইবাদতে ঐ হিসাব অনুযায়ী আমল করা বৈধ- ইবাদতগুলো হচ্ছে- রোজা রাখা ও ঈদ পালনের জন্য রমজান ও শাওয়াল মাসদ্বয় প্রমাণ করা। সুতরাং মুসলমানদের উচিত তারা যেন শরিয়তের উদ্দেশ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ কমিটি সৈয়দ মুহাম্মদ রশীদ রেজা ও মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ওলামা সম্মেলনের সুপারিশ অনুযায়ী আমল করারও উপদেশ দিয়েছে এবং সেই অনুযায়ী একটি সাধারণ ক্যালেন্ডার প্রণয়নের চেষ্টা করা উচিত, সেই অনুযায়ী প্রত্যেক মাসে প্রত্যেক শহরে চাঁদ না দেখা যাওয়ার অবস্থা হিসেব করে চাঁদের হিসাব গণণা করা হবে। যদি সর্বত্র বহু লোক চাঁদ দেখে তাহলে ভালো কথা। প্রস্তাবিত চান্দ্র্র ক্যালেন্ডার অনুসরণের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে এবং বিরোধের অবসান ঘটবে।” সারা পৃথিবীতে একই সাথে ঈদসহ বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্ঠানাদি উদ্যাপনের ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বের বিশিষ্ট ওলামাগণ একমত হয়ে ফতোয়া প্রদান করেছেন।
সংক্ষেপে আট বছর চক্রের চান্দ্রপঞ্জিকার হিসাব পদ্ধতি- আট বছর চক্রের ছক বছর মেয়াদকাল গণণাকৃত দিন অবশিষ্ট সময় মন্তব্য ১ম ৩৫৪ দিন ৯ ঘন্টা ৩৫৪ দিন ৯ ঘন্টা ২য় ” ৩৫৪ দিন ৯+৯=১৮ ঘন্টা ৩য় ” ৩৫৪+১=৩৫৫ দিন (১৮+৯)-২৪=৩ ঘন্টা লিপইয়ার বা মল বর্ষ ৪র্থ ” ৩৫৪ দিন ৩+৯=১২ ঘন্টা ৫ম ” ৩৫৪ দিন ১২+৯=২১ ঘন্টা ৬ষ্ঠ ” ৩৫৪+১=৩৫৫ দিন (২১+৯)-২৪=৬ ঘন্টা লিপইয়ার বা মল বর্ষ ৭ম ” ৩৫৪ দিন ৬+৯=১৫ ঘন্টা ৮ম ” ৩৫৪+১=৩৫৫দিন (১৫+৯)-২৪=০ ঘন্টা লিপইয়ার বা মল বর্ষ
মাস গণনার নিয়ম: ১। মাসসমূহ ক্রমান¦য়ে ৩০ ও ২৯ দিনে ধরতে হবে। ২। রমজান মাসকে ৩০ দিন ধরে পূর্ব ও পরবর্তী মাসসমূহের দিনসংখ্যা নির্ধারিত হবে। যথা মাস দিন মাস দিন মাস দিন মহররম ৩০ জমাদিউল আউয়াল ৩০ রমজান ৩০ সফর ২৯ জমাদিউস সানি ২৯ শাওয়াল ২৯ রবিউল আউয়াল ৩০ রজব ৩০ জিলকদ ৩০ রবিউস সানি ২৯ শাবান ২৯ জিলহজ ২৯ ৩। লিপইয়ার বা মল বর্ষসমূহে অর্থাৎ ৩য়, ৬ষ্ঠ ও ৮ম বর্ষে জিলহজ মাস ২৯ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন ধরতে হবে।
বছর গণনার নিয়ম: ১। হিজরি সনের বর্ষ সংখ্যা বা বর্ষ ক্রমিক নির্ণয়ের জন্য হিজরি সনের সংখ্যাকে ৮ দিয়ে ভাগ করতে হবে। ভাগ শেষে ‘শূন্য’ হলে ঐ হিজরি সনের ক্রমিক হবে ৮ম বর্ষ। অন্যথায় ভাগ শেষের সংখ্যাই ঐ হিজরি সনের ক্রমিক হবে। অর্থাৎ যদি ১ অবশিষ্ট থাকে তবে ১ম বর্ষ, যদি ২ অবশিষ্ট থাকে তবে ২য় বর্ষ ইত্যাদি। ২। ১ম বর্ষের ১ম দিন অর্থাৎ ১লা মহররম সোমবার ধরে বর্ষ গণনা অব্যাহত রাখতে হবে। [লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, দেওয়ানবাগ শরীফ]