সূফী সম্রাটের সফলতা
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া
মহান আল্লাহর বন্ধু, রাসুলের উত্তরসূরি সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান,
চাকরি জীবনে যুগের শ্রেষ্ঠ অলী শাহ্ চন্দ্রপুরীর পরিচয় পান।
সূফী সম্রাট দীর্ঘ ১২ বছর মোর্শেদের দরবারে করেন গভীর সাধনা,
মহান আল্লাহ্ মোর্শেদের অসিলায় পূর্ণ করেন তাঁর মনের বাসনা।
সাধনা শেষে মোর্শেদ তাঁকে ভালোবেসে করলেন সিরাজুম মুনিরা প্রদান,
রাসুলের ইঙ্গিতে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারে, ঢাকায় এলেন বাবাজান।
নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন নিজ দরবার,
রাসুলের আদর্শ প্রচার করাতে স্বার্থান্বেষী মহল তাঁর দুশমনি করেছে বারবার।
ঢাকায় যখন চলে আসেন সূফী সম্রাট তখন শূন্য হাতে ছিলেন,
দয়াময় আল্লাহ্ দয়া করে অধিক সম্পদ তাঁর বন্ধুকে দিলেন।
শুধু সম্পদই নয়, মহান আল্লাহ্ তাঁকে বিশ্বব্যাপী সুনাম করেন দান,
সেই সম্পদ ব্যয় করে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার করেন দয়াল বাবাজান।
সূফী সম্রাট ১৯৯২ সালে ঢাকার আরামবাগে প্রতিষ্ঠা করেন বাবে রহমত,
দিকে দিকে তাঁর মুরিদ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, ভুলে সকল দল ও মত।
একে একে সারাদেশে ১১টি দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন বাবাজান,
দুই শতাধিক খানকায় দেওয়া হয় মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা দান।
সূফী সম্রাটের পাঁচ শতাধিক জাকের মজলিশ রয়েছে দেশ ও বিদেশে,
বহু সংখ্যক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন বাবাজান সারা বাংলাদেশে।
আল্লাহ্কে দেখা নিয়ে হয়েছে মামলা সূফী সম্রাটের বিরুদ্ধে,
কোর্টে প্রমাণ করেছেন আল্লাহ্র দর্শন আইনের তর্কযুদ্ধে।
সরকারিভাবে গৃহীত হয়েছে তাঁর অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার,
বিরোধীতাকারী আলেম সমাজও শেষে প্রশংসা করেছেন তাঁর।
সূফী সম্রাট দয়াল বাবাকে সম্মান করেন দেশের যত জ্ঞানী গুণী,
জগতে রয়েছেন যত ধর্মপ্রাণ মানুষ, তাঁরা এই মহামানবের কাছে ঋণী।
সূফী সম্রাট ওফাতের পূর্বে জগতে তাঁর ৩ কোটি মুরিদ সন্তান রেখে যান,
তাঁদেরকে তদারকির জন্য তাঁর মেজো সাহেবজাদাকে করেন দায়িত্ব প্রদান।
মেজো হুজুর প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা নেতৃত্বপ্রাপ্ত ইমাম মোহাম্মদী ইসলামের,
বাবাজানের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি, আগলে রাখবেন তাঁর ভক্ত মুরিদদের।
সবকিছু পূর্ণ করেই সূফী সম্রাট নিয়েছেন বিদায় জগত ছেড়ে,
মেজো হুজুরের নেতৃত্বে মোহাম্মদী ইসলামের জাগরণ হবে সারা বিশ্ব জুড়ে।
প্রাণপ্রিয় মোর্শেদ ওফাত লাভ করেছেন তাঁর কোটি কোটি ভক্তকে এতিম করে,
তাই আশেকে রাসুলদের কান্নার রোল আজও শোনা যায় ঘরে ঘরে।
এমন মহান অলী-আল্লাহ্ আর কি কভু আসিবেন জগতে,
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানাই, ক্ষমা করো মোদের দয়াল বাবার অসিলাতে।