Cancel Preloader

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলার গর্বিত পিতা ও মহীয়সী মাতা

ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন (সোহেল)
মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর পরিচয় মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য নবুয়তের যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। নবুয়তের যুগের পরিসমাপ্তির পর এরই ধারাবাহিকতায় একই উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ্ বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্ প্রেরণ করে আসছেন। নবি-রাসুল ও অলী-আল্লাহ্গণ মহান প্রভুর সত্তা নিজ হৃদয়ে ধারণ করে জগতের মানুষকে আলোকিত করে থাকেন। এই ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পৃথিবীর মানুষ যখন মহান আল্লাহর পরিচয় ভুলে গিয়ে অন্যায়, অত্যাচার ও নানাবিধ পাপকর্মে জড়িয়ে পড়ে, তখন রাব্বুল আলামিন মানুষকে হেদায়েতের জন্য মানবকুলে তাঁর বন্ধুদের পাঠিয়ে থাকেন এবং তাঁদের মাধ্যমে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির এক নিবিড় সম্পর্কের সেতুবন্ধন রচনা করে দেন। এর ফলে সাধারণ মানুষ মহান আল্লাহ্ প্রেরিত মহামানবগণের সান্নিধ্যে এসে আদর্শ চরিত্রের অধিকারী হয়ে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’-এর মর্যাদা লাভ করেন। তাই নবি-রাসুল ও আউলিয়ায়ে কেরাম আল্লাহ্র নিকট বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তাঁরা আল্লাহ্র মহান বন্ধু। সৃষ্টির স্বাভাবিক নিয়মের প্রক্রিয়ায় মহামানবগণ জগতের বুকে আগমন করলেও তাঁরা সাধারণ মানুষ নন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- মানবকুলে কোন বংশে, কোন পরিবারে তাঁরা প্রেরিত হন? নবি রাসুল ও অলী-আল্লাহ্গণের ইতিহাস গবেষণা করলে দেখা যায় যে, মহামানবগণ সমকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ বংশে সম্ভ্রান্ত ও গৌরবজ্জ্বল পরিবারেই জন্মগ্রহণ করেন। এর ফলে জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে আল্লাহ্র বন্ধুগণ সকলের নিকট বিশেষ শ্রদ্ধা ও মর্যাদার অধিকারী হয়ে থাকেন।
মহান রাব্বুল আলামিন দোজাহানের বাদশা হযরত রাসুল (সা.)-কে আরবের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত ও প্রভাবশালী কোরাইশ বংশের ‘হাশেমি’ গোত্রে প্রেরণ করেন। তাঁর পিতা হযরত আবদুল্লাহ্ (রা.) ছিলেন তৎকালীন মক্কানগরীর শাসনকর্তা ও পবিত্র কাবা শরিফের হেফাজতকারী সর্বজন শ্রদ্ধেয় হযরত আবদুল মোত্তালিব (আ.)-এর সবচেয়ে আদরের সন্তান। হযরত আবদুল্লাহ্ (রা.) ছিলেন আন্তর্জাতিক স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। অন্যদিকে হযরত রাসুল (সা.)-এর মাতা হযরত আমিনা (আ.) ছিলেন মদীনার ‘জুহরা’ গোত্রের খ্যতনামা ও সম্মানিত নেতা হযরত আবুল ওয়াহহাব-এর পুণ্যবতী কন্যা। সুতরাং দেখা যায় যে, হযরত রাসুল (সা.) পিতৃকুল ও মাতৃকুল উভয় দিক থেকে আরবের ধনী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। সেই রাহমাতুল্লিল আলামিনের সুযোগ্য উত্তরসূরি তাঁরই সিরাজাম মুনিরার ধারক ও বাহক, বর্তমান যুগের ইমাম, মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী স্রমাট সৈয়দ হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানের সাথে রাহমাতুল্লিল আলামিনের যেমন রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক, তেমনি বংশগত দিক থেকেও রয়েছে অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান হলেন খাতুনে জান্নাত নবিনন্দিনী হযরত ফাতেমা (রা.) ও শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু-এর পুত্র সাইয়্যেদেনা ইমাম হোসাইন (রা.)-এর ২১তম বংশধর। ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায়, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খেদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানের ১৫তম পুরুষ হলেন হযরত সৈয়দ দোস্ত মাহমুদ সিপাহী (রহ.)। তিনি ছিলেন উচ্চস্তরের অলী-আল্লাহ্। তিনি তুর্কী শাসকদের সাথে ভারতবর্ষে এসে বাংলাদেশে আগমন করেন এবং ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। হযরত সৈয়দ দোস্ত মাহমুদ সিপাহী (রহ.) থেকে শুরু করে বংশ পরস্পরায় হযরত সৈয়দ আব্দুর রফিক (রহ.) হলেন ইমাম হোসাইন (রা.)-এর বংশের ১৯ তম পুরুষ, তিনি সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লার শ্রদ্ধেয় দাদাজান। হযরত সৈয়দ আবদুর রফিক (রহ.) ছিলেন উচ্চ পর্যায়ের সুফি সাধক। তাঁর কাশফ বা অন্তরচক্ষু এতই প্রখর ছিল যে, কোনো বিষয় চিন্তা করার সাথে সাথে সেই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি সুস্পষ্ট অবগত হতে পারতেন। তাঁর ন্যায়পরায়ণতা ও অনুপম চারিত্রিক গুণাবলি তাঁকে সর্বসাধারণের নিকট বিশেষ মর্যাদার অধিকারী করেছে। একজন বুজুর্গ ব্যক্তি হিসেবে তিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। তাঁরই জ্যেষ্ঠপুত্র বিশিষ্ট সুফি সাধক আলহাজ সৈয়দ হযরত আবদুর রশিদ সরকার (রহ.)। তিনি হলেন সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের সৌভাগ্যবান পরম শ্রদ্ধেয় পিতা। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের মহীয়সী মাতা হলেন হযরত জোবেদা খাতুন (রহ.)। মাতৃকুল ও পিতৃকুল উভয় দিক থেকে অলী-আল্লাহ্গণের পবিত্র রক্তের স্রোতধারা সুফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের মাঝে প্রবাহিত। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লার গর্বিত পিতা হযরত আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) ও মহীয়সী মাতা হযরত জোবেদা খাতুন (রহ.)-এর গৌরবময় জীবনের কিছু কথা উপস্থাপনা করা হলো-
হযরত আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) সম্ভ্রান্ত ও ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন বলে তাঁর মাঝে ধর্মীয় চিন্তা-চেতনা, আবেগ-অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তাঁর পিতা আলহাজ হযরত সৈয়দ আবুদর রফিক (রহ.) তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। হযরত আবদুর রশিদ (রহ.) ছিলেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত। তিনি যখন কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রাস পাশ করেন, তখন তাঁকে দেখার জন্য নিজ গ্রাম-সহ অন্যান্য গ্রাম থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁদের বাড়িতে ছুটে আসেন। তিনি ছিলেন একজন স্বাাধীনচেতা মানুষ। তদানীন্তন ব্রিটিশ দুঃশাসনে এদেশের নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় মানুষ যখন চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল, এর বিরুদ্ধে তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেন। ব্রিটিশের প্রতি তাঁর চরম ঘৃণার কারণেই তিনি শিক্ষা জীবন শেষে চাকরি পরিবর্তে ব্যবসা শুরু করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে, ব্রিটিশের গোলামি থেকে মুক্তি পেতে হলে এদেশের মানুষের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অত্যাবশ্যক। সুশিক্ষা ব্যতীত এর কোনো বিকল্প পথ নেই। তাই শিক্ষার আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেন। সততা ও বিশ্বস্ততার এক মুর্ত প্রতীক ছিলেন তিনি। যার ফলে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ তাঁর নিকট অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী আমানত রাখত। তিনি ছিলেন একজন উচ্চ স্তরের অলী-আল্লাহ। তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও চারিত্রিক গুণাবলির কারণে সবাই তাঁকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। গ্রামের মানুষের সাথে তাঁর ছিল মধুর সম্পর্ক। একজন উদার মনের মানুষ হিসেবে তিনি সুপরিচিতি লাভ করেন। কারো বিপদ-আপদ দেখলে নিজ থেকেই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। হযরত আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাঁর পিতা হযরত সৈয়দ আবদুর রফিক সরকার (রহ.) একই গ্রামের ন্যায়পরায়ণ ও বিপুল বিত্তের অধিকারী স্বীয় বন্ধুপ্রতিম মমিন উল্লাহ বেপারীর সতী সাধ্বী পুণ্যবতী কন্যা হযরত সৈয়দা জোবেদা খাতুন (রহ.)-এর সাথে তাঁকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের পিতা-মাতার বিয়ে এতটাই জাঁকজমকপূর্ণ ছিল, যা এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। হযরত সৈয়দ আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) তাঁদের বাড়ির ঐতিহাসিক মসজিদের ‘মোতোওয়াল্লি’ হিসেবে বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর ধর্মীয় মুল্যবোধ ও চেতনা সবাইকে মুগ্ধ করত। তিনি ধর্ম সাধনায় মশগুল থাকলেও সামাজিক দায়িত্ব পালনেও কোনোরূপ অবহেলা করতেন না, বরং সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও কল্যাণমুখী কাজে তিনি ছিলেন সর্বদা অগ্রগামী।
হযরত আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) ছিলেন আধ্যাত্মিক সাধক। উল্লেখ্য যে, ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.) যখন তাঁর সর্বাপেক্ষা প্রিয় কন্যা, আদরের দুলালি কুতুবুল আকতাব হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম (রহ.)-এর সাথে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের বিয়ের কাবিনের সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন বিষয়টি হযরত আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) পূর্বেই স্বপ্নযোগে জানতে পারেন। অতঃপর যথাসময়ে কাবিনের অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হন। ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.) সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানকে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার জন্য তাঁর পিতার নিকট অনুরোধ করলে তাঁর পিতা মানবজাতির মুক্তির স্বার্থে পুত্রের দাবি একবারেই ছেড়ে দেন এবং ইমাম হুজুরকে বললেন, “আমি আমার এই ছেলেকে আপনার নিকট দিয়ে দিলাম।” জগতের বুকে এরূপ ঘটনা সত্যিই বিরল। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের পরম শ্রদ্ধেয় পিতা ১৯৭৮ সালের ১১ জুন; ১৩৮৫ বঙ্গাব্ধের ২৮ জৈষ্ঠ্য, রবিবার এশার নামাজের সময় ওফাৎ লাভ করেন। তাঁর ইন্তেকালের সময় অন্তর্চক্ষু খোলা দুই ব্যক্তি দেখতে পান- ঊর্ধ্বাকাশ হতে জ্যোতির্ময় কয়েকজন লোক একটি স্বর্ণের পালকি নিয়ে তাঁদের বাড়িতে এসেছেন। তারপর তাঁরা সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের পিতাকে পালকিতে তুলে পুনরায় ঊর্ধ্বাকাশে চলে যান। ঘটনার পর পরই হযরত সৈয়দ আবদুর রশিদ সরকার (রহ.) ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার সময় অন্তর্চক্ষুখোলা এক ব্যক্তি দেখতে পান- ইমাম শাহ্ চন্দ্রপুরী (রহ.) তাঁর জানাজার ইমামতি করছেন। ওই জানাজায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে জনৈক জাকের দেখতে পান, সাদা পোশাকধারী অগণিত লোক জানাজার নামাজ শেষে পূর্ব দিকের পাট ক্ষেতের উপর দিয়ে শূন্যে ভেসে ভেসে চলে যাচ্ছেন। সেই দৃশ্য দেখে তিনি বুঝতে পারেন যে, শূন্যে ভেসে যাওয়া লোকগুলো সাধারণ মানুষ নন, তাঁরা নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অতি প্রিয় বান্দা।
হযরত সৈয়দ আবদুর রশিদ সরকার (রহ.)-কে বাহাদুরপুর মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। দাফনের পর মসজিদের ইমাম সাহেব প্রায়শই গভীর রাতে দেখতে পেতেন যে, রওজা শরিফ হতে নুর বের হয়ে আকাশ পর্যন্ত আলোকিত করে রেখেছে।
সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের মহীয়সী মাতা হযরত জেবেদা খাতুন (রহ.) অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ রমণী ছিলেন। অতি ধনী ঘরের দুলালি হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মধ্যে কোনো রকম অহমিকা ছিল না। মিশুক ও মিষ্টভাষী এই মহীয়সী রমণী ধনী-গরিব সবার সাথে সহজে মিশতে পারতেন। কোনো মহিলা ভিক্ষুক সাহায্যের জন্য আসলে তিনি শুধু সাহায্যই করতেন না, বরং নিজ হাতে পান বানিয়ে ভিক্ষুককে খেতে দিতেন। সত্যিই মানবতার এক অনুপম দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করে গেছেন, যা জগতে বিরল। তিনি ছিলেন ধীরস্থির ও সরল প্রকৃতির। বিয়ের সময় তাঁর পিতা তাঁর সাথে ৭ জন গৃহপরিচারিকা পাঠান। মানুষের প্রতি ছিল তাঁর গভীর মমত্ববোধ। কারও দুঃখ, কষ্ট, বিপদ দেখলে তিনি পেরেশান হয়ে উঠতেন। তাঁর মহিমান্বিত চরিত্রে মানবতাবোধ এতটা প্রবল ছিল যে, গ্রামের সবাই তাঁকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করত। মানবিক মূল্যবোধ তাঁর চরিত্রকে করেছে মাধুর্যময়, আর আধ্যাত্মিক সাধনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সংমিশ্রণে তিনি ছিলেন পুণ্যবতী রমণী। মহামানবগণ জগতের জন্য রহমত স্বরূপ। তিনি বহু রোগের অলৌকিক চিকিৎসা করতেন। কোনো রোগাক্রান্ত ব্যক্তি যদি তাঁর পানিপড়া পান করতেন, তবে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতেন। হাঁড়ভাঙ্গা, মচকানো প্রভূতি রোগের সুস্থতার জন্য তাঁর তেলপড়া ছিল মহৌষধ। কুকুর, বিড়াল প্রভৃতি হিংস্র জন্তুর কামড় খেয়ে কেউ তাঁর চিকিৎসর জন্য এলে তিনি লবণ পড়া দিতেন। সাথে সাথে লবণের মাঝে জন্তুর লোম ভেসে ওঠতো। তখন তিনি বলে দিতেন কী রংয়ের জন্তু তাকে কামড় দিয়েছে। সন্তান সম্ভবা মহিলারা তাঁর পানি পড়া নিয়ে আল্লাহ্র রহমতে নিরাপদে সন্তান প্রসব করতেন। হযরত জোবেদা খাতুন (রহ.) ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি, ১৪০১ বঙ্গাব্দের ২৩ পৌষ, শুক্রবার, সন্ধ্যা ৫:৩০ মিনিটে ওফাৎ লাভ করেন।
সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের পরম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতাকে আশেকে রাসুলদের পক্ষ থেকে জানাই লক্ষ কোটি কদমবুসি। যাঁদের অসিলায় মানবজাতি পেয়েছেন যুগের ইমাম মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানকে। এই মহামানব ইসলাম ধর্মে প্রবিষ্ট কুসংস্কার দুর করে হযরত রাসুল (স.)-এর সুমহান আদর্শ সম্বলিত ‘মোহাম্মদী ইসলাম’-কে প্রায় ১৪৫০ বছর পর বাংলার বুকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। সুতরাং জগদ্বাসীর মুক্তির জন্য যারা সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানকে উপহার দিয়ে গেলেন নিঃসন্দেহে তাঁরা ছিলেন অতি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন অলী-আল্লাহ। তাই সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের গর্বিত পিতা ও মাতার উপর দোয়া করা প্রত্যেক আশেকে রাসুলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ফলে দয়াল বাবাজান আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন, যা আমাদের শান্তি ও মুক্তির পথকে সুগম করবে। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের পিতা ও মাতার রওজা শরিফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে অবস্থিত। আমরা সবাই সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের পরম শ্রদ্ধেয় পিতামাতার রওজা শরিফ জিয়ারতের মাধম্যে আমরা অবারিত ফায়েজ, রহমত ও বরকত লাভ করতে পারি। এর মাঝে আমাদের কল্যাণ নিহিত রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

11 Comments

  • Amin

  • আলহামদুলিল্লাহ।।
    মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো কোটি সালাম ও কদমবুচি এই মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য শুকরিয়া জানাচ্ছি রাব্বুল আলামিনের দরবারে। সেই সাথে আমার মহান মুর্শিদ ও মেজ শাহজাদা হুজুরকে জানাচ্ছি প্রাণঢালা অভিনন্দন।

    • আলহামদুলিল্লাহ্। দেওয়ানবাগী জীবন বিত্তাত জানতে পারলাম। আমিন।

  • আলহামদুলিল্লাহ

  • আলহামদুলিল্লা, অনেক কিছুই জানা ছিলো না,জানতে পারলাম

  • আলহামদুলিল্লাহ

  • দেওয়ানবাগী হুজুরের জন্ম বিত্তান্ত জানতে পারলাম, এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারলাম।

  • অনেক কিছু জানতে পারলাম.

  • আমাদের মহাম মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত শাহ্‌ দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান যে একজন উচ্চ স্থরের মহামানব তা নিঃসন্দেহে প্রমানিত!!

  • মহান রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে নবী রাসূল , অলি আল্লাহ পাঠিয়েছেন নির্ভুল প্রমাণ পেলাম আজকে এই দেওয়ানবাগী হুজুরের পত্রিকা পড়ে এতে বুঝা যায় দেওয়ানবাগী হুজুর উচ্চ শ্রেণীর
    ওলী আল্লাহ।

  • Alhamdulillah

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *