স্বরূপে স্রষ্টা পূর্ণিমার চাঁদে
অধ্যাপক এ আর কামাল উদ্দিন
আমি জাত ছিলাম গুপ্ত ধনাগারে
নির্গুণ বর্ণহীন নিরাকার
যখন নিয়েছি আকার
সেই আমিই সিফাত, সর্বগুণের মহিমায় ভাস্বর।
আমিই সৃষ্টির মূল
আমিই প্রথম আমিই শেষ
আমা হতে সবকিছু সৃষ্টি
সবই হলো ধ্বংসশীল।
আমিই বাস্তব, আমিই প্রভু
আমাকে নিরাকার ভাবে
আসলে কি তাই?
আমিই চিরঞ্জীব-অক্ষয়-অব্যয়
আমিই মোহনীয় মায়াময়,
ঘিরে আছে সব আমাকেই নিয়ে
করে গুঞ্জন সর্বক্ষণ করে ধ্যান
আমারই রূপ দেখে হয় অজ্ঞান।
অবাক হয়ে দেখে আমাকে
চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ তারা পশু পাখী লতা-গুল্মা
জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে সব কিছু
অণু-পরমাণু-ধূলিকণায়, নুর আমার নুর
আমির আহম্মদ সম্মানিত আরশের প্রতিপালক
রাহমাতুল্লিল আলামিন
মিশে একাকার আদমের বেশে
সফিউল্লাহ্ হতে নবি-রাসুলরূপে
আমি ঈসা, আমিই মুসা, আমিই ইমাম মাহ্দী
আমিই শেষ নবি মোহাম্মদ (সা.)।
যুগে যুগে মানুষ আমাকে অনুসরণ করে মুক্তি পেয়েছে
আমার বিরোধীতা করে ধ্বংস হয়েছে
আমিই কালের শোভা বর্ধন
সকল ক্ষমতার উৎস কুন-ফায়াকুন।
আমাকে কে চিনিতে পারে
আমি আসি, আমি যাই
আমিই ঘুরে ফিরে কাঁদি সৃষ্টির মায়ায়।
মুক্তির তরে মানুষ বুঝে না
আমাকে অবহেলা করে বারবার
প্রেমের মূল্য বুঝে না, অতঃপর
আর আসবনা নবিরূপে ধরণীতে
হবো রূপে রূপকার দেশে দেশে
হবো অলী-আল্লাহ্ অবশেষে।
জ¦ালাবো হেদায়েতের বাতি
হে মানুষহও গোহুশ!
দেখো স্রষ্টার স্বরূপ আসমানে পূর্ণিমার চাঁঁদে
হাসে উজ¦ল স্নিগ্ধ আলোয় চিনিবে তাঁকে
দেখেছ যাকে ধরণীতে অতি পরিচিত
দু’হাত বাড়িয়ে নিয়েছে যার কদমের পরশ
সেই পবিত্র আরশ ক্বালবে নিয়েছি আসন
অতি সংগোপনে চুপি চুপি
দেখো সেই অনন্ত গহীনে দেখবে আমাকে
আমিই সেই আদি ও অন্ত মোর্শেদ খোদার
খুঁজ মোরে মাহ্দীর অন্তরে
তিনিই যুগের অবতার।