হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ড. জাহাঙ্গীর আলম
আরবি ‘হাজ্জুন’ শব্দ থেকে হজ শব্দের উৎপত্তি। এর আভিধানিক অর্থ হলো ইচ্ছা করা বা সংকল্পবদ্ধ হওয়া। হজ ইসলামের ৫ম স্তম্ভ। মুসলমানদের জন্য একটি আবশ্যকীয় ইবাদত। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জীবনে কমপক্ষে একবার হজ করা ফরজ। বান্দার সাথে আল্লাহ্র সেতুবন্ধনের উপায় হলো হজ। আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের নিয়মানুযায়ী, ইসলামের শরিয়তের দৃষ্টিতে ইহরামের সাথে জিলহজ মাসের ৯ তারিখে কতগুলো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে কাবা শরীফ জিয়ারত করে, আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে ইসলামি জীবন বিধান অনুযায়ী নিজেকে পরিচালিত করার সংকল্প গ্রহণ করাকে হজ বলে। এই প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- “মানুষের মধ্যে তার উপর আল্লাহ্র জন্য এই ঘরের হজ করা ফরজ, যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে।” (সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ৯৭)
হজের স্থান
হজের স্থান সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- “নিশ্চয় সর্বপ্রথম যে ঘর মানব জাতির জন্য স্থাপিত হয়েছিল, তা তো সে ঘর যা মক্কায় অবস্থিত, যা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়েত।” (সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ৯৬) হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদি আরবের মক্কানগরী এবং তৎসংলগ্ন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা প্রভৃতিস্থানে গমন এবং অবস্থান করতে হয়।
হজের সূচনা
হজের বর্তমান কার্যক্রম রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) দ্বারা ৬৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে পবিত্র কুরআনের মতে হজের আমলগুলো হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সময় পাওয়া যায়। মক্কার বায়তুল্লাহ্ শরীফের ইতিহাসে জড়িত আছে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণ। এটি হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পূর্বপুরুষ হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পূন্যময় স্মৃতি। মুসলমানদের কেব্লা হিসেবে কাবা শরীফ পৃথিবীর সর্বোচ্চ এবং শ্রেষ্ঠ মর্যাদার স্বীকৃতি লাভ করে। এই কাবাকে কেন্দ্র করে মুসলমানরা প্রতিবছর হজ পালন করেন। ইসলামি ঐতিহ্য অনুসারে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে মহান রাব্বুল আলামিন নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী হাজেরা (আ.) ও তাঁর শিশু পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে প্রাচীন মক্কার মরুভূমিতে নির্জন স্থানে একাকী রেখে যাওয়ার জন্য। পানির সন্ধানে মা হাজেরা (আ.) সাফা ও মারওয়ার দুটি পাহাড়ের মধ্যে সাতবার দৌড়েছিলেন, কিন্তু কোনো পানি পেলেন না। হতাশ হয়ে শিশু পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-এর কাছে ফিরে আসেন এবং দেখতে পান, শিশু ইসমাইল (আ.) পা দিয়ে আঘাত করছেন এবং তাঁর পায়ের নিচে একটি পানির নহর প্রবাহিত হয়েছে, যা বর্তমানে জমজম কূপ নামে পরিচিত। মহান আল্লাহ্ হযরত আদম (আ.) কর্তৃক নির্মিত ক্বাবা, যা বিলুপ্ত হয়ে গেছে- সেখানে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে কাবাঘর নির্মাণ করার নির্দেশ দেন এবং সেখানে লোকদেরকে হজে আসার জন্য আহ্বান জানান।
হজের প্রকারভেদ
হজ তিন প্রকার। যথা- র) ইফরাদ হজ; রর) কিরান হজ; এবং ররর) তামাত্তু হজ
র) ইফরাদ হজ: শুধুমাত্র হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে তাকে ইফরাদ হজ বা একক হজ বলে।
রর) কিরান হজ: হজ ও ওমরাহর জন্য একত্রে ইহরামের নিয়ত করে, একই ইহরামে তা সম্পন্ন করলে তাকে কিরান হজ বা যৌথ হজ বলা হয়।
ররর) তামাত্তু হজ: একই সফরে প্রথমে ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্নপূর্বক হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পাদন করাকে তামাত্তু হজ বা সুবিধাজনক হজ বলা হয়।
হজের ফরজসমূহ
হজের ফরজ তিনটি। যথা- ক) ইহরাম বাঁধা খ) আরাফায় অবস্থান করা গ) তাওয়াফে জিয়ারত করা।
(ক) ইহরাম বাঁধা: ইহরাম বাঁধা হলো মৃত ব্যক্তির ন্যায় আচরণ করা। হযরত রাসুল (সা.) বলেন- “মূতূকাবলা আনতা মৃত্যু।” অর্থাৎ- তুমি মৃত্যুর পূর্বেই মৃত্যুবরণ করো। এটা দ্বারা মানুষের মৃত্যুর কথা স্মরণ করা। মৃত ব্যক্তি যেমন কোনো কিছু করতে পারে না, ঠিক তেমনি ইহরাম বাঁধা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি ভুলেও কোনো জীব হত্যা করে, তাহলে তার কাফফারা হিসেবে অন্য একটি হালাল জীব কোরবানি দিতে হয়।
(খ) আরাফায় অবস্থান: এখানে অবস্থান করার মূল কারণ হলো আদি পিতা হযরত আদম (আ.) গন্ধম খাওয়ার অপরাধে যে গুনাহ করেছেন সেই গুনাহ হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর অসিলায় আরাফাতের ময়দানে ক্ষমার সুসংবাদ পেয়েছিলেন। তারই অনুকরণে হাজিগণ নিজের জীবনের যাবতীয় পাপ-পঙ্কিলতা, অন্যায়-অপরাধের কথা স্মরণ করে নিজে অনুতপ্ত হয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আরাফায় অবস্থান করেন।
(গ) তাওয়াফে জিয়ারত: মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.) কাবাঘর নির্মাণ করে নিজে সেখানে অবস্থান করতেন, তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা, আনুগত্য প্রকাশ করে হাজিগণ কাবাঘরকে তাওয়াফ করে।
মূলত হজের ফরজ কাজগুলো হলো- আল্লাহ্র প্রেরিত মহামানবদের অনুকরণ, অনুসরণ ও আনুগত্য করা।
বাস্তবে আমরা এ শিক্ষা থেকে দূরে আছি। আমরা দেখতে পাই অনেক হাজি হজ করে ফিরে এসে মহামানব তথা অলী-আল্লাহ্গণের বিরোধিতা করে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
হজের সুন্নতসমূহ
(১) কাবা শরীফে পৌঁছেই প্রথম তাওয়াফ করা, (২) সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে সাঈ করার সময় দ্রুতগতিতে চলা, (৩) কোরবানির দিনগুলোতে রাতে মিনায় অবস্থান করা, (৪) ১০ই জিলহজ সূর্যোদয়ের পূর্বে মুজদালিফা থেকে মিনার উদ্দেশে রওয়ানা করা, (৫) মুজদালিফায় রাত্রি যাপন করা, (৬) তিন কামরাতে কংকর নিক্ষেপের সময় ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
হজের ওয়াজিবসমূহ
হজের ওয়াজিব ৭টি। (১) মুজদালিফায় অবস্থান করা, (২) জামারায় কংকর নিক্ষেপ করা, (৩) কোরবানি করা, (৪) মাথা মুন্ডানো, (৫) সাফা মারওয়াহ সাঈ করা, (৬) বিদায়ী তাওয়াফ করা, (৭) দম নেওয়া। (ভুলে বা স্বেচ্ছায় হজের কোনো ওয়াজিব বাদ পড়লে তার কাফফারা হিসাবে একটি অতিরিক্ত কোরবানি দেওয়া।)
যাদের উপর হজ ফরজ
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী যে ব্যক্তির কাছে মক্কা-মদীনা শরীফ থেকে হজ করে ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের আবশ্যকীয় খরচ বাদে মক্কা ও মদীনা শরীফে যাতায়াতের জন্য মোটামুটি খরচ পরিমাণ অর্থ থাকে তার উপর হজ ফরজ। ঋণ করা বা ধার করা অর্থ দিয়ে হজ করা যাবে না। অন্ধের উপর হজ ফরজ নয়, তার যতই ধন থাকুক, নাবালকের ওপর হজ ফরজ নয়।
হজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ধনীদের উপর হজ ফরজ করার মূল কারণ হলো তারা ইসলামি জীবন-বিধান, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মের প্রতি উদাসীনতা থাকা। তাদেরকে ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করার প্রশিক্ষণ হজ থেকে গ্রহণ করা। একজন ধনী মানুষ ধর্মীয় রীতি নীতি নিজের জীবনে আয়ত্ত করে তা পালন করে ব্যক্তি জীবনে ও সামাজিক জীবনে সুখ শান্তি লাভ করা।
হজের গুরুত্ব সম্পর্কে হযরত রাসুল (সা.) বলেন- “হজ মানুষকে নিষ্পাপ করে, যেভাবে লোহার উপর থেকে মরিচা দূর করা হয়।” (তিরমিজি শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৬৭) অন্যত্র হযরত রাসুল (সা.) বলেন- “প্রকৃত হজের পুরষ্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না।” (তিরমিজী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৬৭)
নবি করিম (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত ও হজের আহকামসমূহ পালন করে একজন মানুষের মাঝে মানবিক গুণাবলি ফুটে ওঠে। এছাড়াও আল্লাহ্র বন্ধু নবি, রাসুল ও অলী-আল্লাহ্দের ভালোবাসার মাধ্যমে অনেক প্রেম মহব্বত হাছিল করা যায়। মহান রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রেরিত মহামানবদের অনুসরণ, অনুকরণের গুরুত্ব তাগিদ দিয়ে পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো, আর সত্যাশ্রয়ীদের সংসর্গ লাভ করো।” (সূরা তাওবা ৯: আয়াত ১১৯) মু’মিন ব্যক্তির সংস্পর্শ থাকার তাগিদ দেওয়ার কারণ হলো তাঁরা আদর্শ চরিত্রের অধিকারী এবং মানুষকে তাঁরা সৎ পথে আসার আহ্বান জানান।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে- “যে ব্যক্তি রাসুলের অনুসরণ করল প্রকারান্তরে সে আল্লাহ্কে অনুসরণ করল।” (সূরা নিসা ৪: আয়াত ৮০) আমরা যদি হজে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নতের দিকে লক্ষ্য করি দেখতে পাবো, প্রত্যেকটি কাজ হলো মহামানবদের অনুকরণ ও অনুসরণ। মিনায় গিয়ে হাজিগণ কোরবানি করেন। কোরবানি হলো সুন্নতে ইব্রাহিম। হযরত মোহাম্মদ (সা.) বিদায় হজে ১০০টি উট কোরবানি করেছেন। মিনায় গিয়ে হাজিগণ এই কোরবানির মাধ্যমে হযরত ইব্রাহিম (আ.), হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও হযরত ইসমাইল (আ.)-এর প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা, আনুগত্য প্রকাশ করেন। পথে জামরা আকাবা নামক স্থানে ইট পাথরের তৈরি তিনটি ফলকে কংকর নিক্ষেপ করে হাজিরা। এটি মূলত হযরত ইব্রাহিম (আ.) যখন পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পথিমধ্যে শয়তান তাঁকে বারবার ওয়াছওয়াছা (কুমন্ত্রণা) দিয়েছিল। পিতা ইব্রাহিম (আ.)-কে তা অবহিত করা হলে তিনি ইসমাইলকে নির্দেশ দিলেন কংকর নিক্ষেপ করার জন্য। তাঁরই অনুসরণে এখন তিনটি ফলকে হাজিগণ সেখানে কংকর নিক্ষেপ করেন।
হাজিগণ হজে গিয়ে বায়তুল্লাহ্ শরীফে রক্ষিত হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথরে চুমু খান। এই পাথরে চুমু খাওয়ার কারণ হলো-এই পাথরে হযরত ইব্রাহিম (আ.) কদম মোবারক রেখেছিলেন। যার কারণে এই পাথর সম্মানিত। হযরত হাজেরা (আ.) যখন মক্কার মরুভূমিতে নির্বাসিত ছিলেন, তখন হযরত ইব্রাহিম (আ.) একবার তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন, যাওয়ার পূর্বে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর অপর স্ত্রী হযরত সারা (আ.) শর্তারোপ করেছিলেন যে, আপনি সেখানে গিয়ে উটের পিঠ থেকে নামতে পারবেন না। হযরত ইব্রাহিম (আ.) হযরত হাজেরা (আ.)-এর নিকট গেলে তিনি এবং শিশু পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.), হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে উটের পিঠ হতে নামার অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন, আমি উটের পিঠ হতে জমিনে না নামার অঙ্গীকারাবদ্ধ। তখন মা হাজেরা (আ.) একটি পাথর এনে উটের নিকট হযরত ইব্রাহিম (আ.)-কে দিলেন। হযরত ইব্রাহিম (আ.) সেই পাথরে কদম মোবারক রাখলেন। বিবি হাজেরা (আ.) ও হযরত ইসমাঈল (আ.) অত্যন্ত আদব ও বিনয়ের সাথে আল্লাহ্র রাসুল হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর কদম মোবারকে চুম্বন করলেন এবং জমজম কূপের পানি দিয়ে ধুইয়ে দিলেন। সেই থেকে এই পাথর পবিত্র হলো। পাথরটি ছিল কালো বর্ণের। যাকে বলা হয় হাজরে আসওয়াদ। হাজরে আসওয়াদ শব্দের অর্থই হলো কালো পাথর। আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে এটি ছিল সাদা পাথর, যা হাজিদের পাপ চুষে এটি কালো বর্ণের হয়েছে। যা একটি ভুল ধারণা।
মহান রাব্বুল আলামিনের নির্দেশে কাবাঘর নির্মিত হওয়ার পর হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর স্মৃতি বিজড়িত পাথরটি কাবাঘরে অত্যন্ত সম্মানের সাথে সেখানে রক্ষিত হয়। আল্লাহ্র মহান বন্ধু হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর কদম মোবারকের স্পর্শে পবিত্র এই পাথরে চুমু খেয়ে নিজের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চান হাজিগণ। হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন প্রসঙ্গে হযরত ওমর ফারুক (রা.) বলেছেন- “আমি অবশ্যই জানি যে তুমি এক টুকরা পাথর মাত্র, কারো কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধনের ক্ষমতা তোমার নেই। আল্লাহ্র রাসুল (সা.)-কে তোমায় চুম্বন করতে না দেখলে কখনো আমি তোমাকে চুম্বন করতাম না।” (বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১৮)
মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের সংস্পর্শে এসে অসংখ্য মানুষ তাঁর নির্দেশে হজ পালন করেছেন। তারা সূফী সম্রাটের অসিলা ধরে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে সালাম জানিয়ে রাসুলের রওজা মোবারক হতে সালামের প্রত্যুত্তর শুনতে পেয়েছেন। সূফী সম্রাটের ওয়াজিফা পালন করে অসংখ্য মানুষ স্বপ্নে, মোরাকাবায় ও মিলাদে দয়াল রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।
সূফী সম্রাটের সুযোগ্য উত্তরসূরি মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর ২০১১ সালে রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারতে যান। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সামর্থ্যবান আশেকে রাসুলদেরকে হজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। আমাদের আশেকে রাসুলদেরকে এই নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানবের আদেশ-নির্দেশ, হুকুম যথাযথভাবে পালন করে ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবনে সুখ, শান্তি ও কল্যাণ মহান রাব্বুল আলামিন অর্জন করার আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
[লেখক: ইসলামি গবেষক]