হজের ফজিলত, হাকিকত ও হজের শিক্ষা (শেষ পর্ব) – হযরত তরিকুল ইসলাম তারিফ
মুসলিম বিশ্বের মুসলমানদের বিশ্বব্যাপী মিলনমেলা হলো হজ। গোত্র, জাতি, দেশ, অঞ্চল, ভাষা, দল ও মতপার্থক্য থাকা সত্তে¡ও সকল প্রকার হিংসামুক্ত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাজিগণ আরাফাতের ময়দানের এ মহামিলন মেলায় অংশগ্রহণ করে মহান প্রতিপালক আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেন। প্রতিবছর ৯ই জিলহজ আরাফাত দিবসে “লাব্বাইক আলাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারীকালাকা লাব্বাইক ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক লা শারীকালাক” ধ্বনিতে মুখরিত হয় আকাশ বাতাস। এই নয়নাভিরাম দৃশ্যের মাধ্যমে যেমন হাজিগণ হৃদয়ে স্বর্গীয় প্রশান্তির ফায়েজ ও মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করতে পারেন তেমনি অন্য সকল মু’মিন মুসলমানদের জন্য অন্তরে প্রবাহিত হয় রহমতের ফল্গুধারা।
হাজিগণ আল্লাহ্র মেহমান: হাজিগণ মহান আল্লাহর ঘর জিয়ারতে সমবেত হন। তাই তারা হজ পালনরত অবস্থায় মহান আল্লাহর দরবারে মেহমান হিসেবে গণ্য হন। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, “হজ-ওমরাহ পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। তারা আলাহ্কে ডাকলে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। তারা তাঁর কাছে মাগফিরাত কামনা করলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস ২৮৯২) এমনিভাবে অন্য এক হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, “হজ-ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে রওনাকারীরা আলাহ্ পাকের আহŸানকৃত অভিযাত্রী। তাদের দোয়া তিনি কবুল করেন এবং তারা ক্ষমা-প্রার্থনা করলে তাদেরকে ক্ষমা করেন।” (ইবনে মাজাহর সূত্রে মেশকাত শরীফ, কিতাবুল হজ, হাদিস নং ২৫৩৬)
হজের ফজিলত
হজ সর্বোত্তম আমল
হাদিসে হজকে উত্তম আমল হিসেবে উলেখ করা হয়েছে। একবার হযরত রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, “সর্বোত্তম আমল কোনটি?” তিনি বললেন, “আলাহ্ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা।” প্রশ্ন করা হলো, “তারপর কোনটি?” তিনি বললেন, “আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।” আবার প্রশ্ন করা হলো, “এরপর কোনটি?” তিনি বললেন, “হজে মাবরুর তথা মকবুল হজ।” (বোখারি শরীফ, হাদিস নং ১৫১৯)
হজ আদায়ের মাধ্যমে পাপমুক্ত নিষ্পাপ হওয়া
হজ আদায় করার ফলে হাজি গুনাহ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে হজের মাধ্যমে গুনাহ মাফের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। হযরত রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে হজ করল এবং এ সময় অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে বিরত থাকল, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে।” (বোখারি শরীফ, হাদিস নং ১৫২১)
কবুল হজের বিনিময় জান্নাত
হজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। কবুল হজের বিনিময়ে জান্নাত লাভ করা যায়। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুলাহ (সা.) বলেন, “এক উমরা আরেক উমরা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। আর হজে মাবরুরের প্রতিদান তো জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।” (মুসলিম শরীফ, হাদিস নং ১৩৪৯ এবং মুয়াত্তায়ে ইমাম মালেক, হাদিস নং ৭৬০)
হজ দারিদ্র্যতা ও গুনাহ দূর করে
হজ হচ্ছে ‘ইবাদতে মালি’ ও ‘ইবাদতে বদনি’ অর্থাৎ-‘আর্থিক ইবাদত’ ও ‘দৈহিক ইবাদত’। যেহেতু হজ আর্থিক ইবাদতের সাথে সম্পর্কিত। তাই অনেকে দরিদ্র হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় হজ পালন থেকে বিরত থাকে। অথচ হজ দারিদ্র্য বিমোচন করে। হযরত রাসুল (সা.) বলেন, “তোমরা হজ-ওমরা সাথে সাথে আদায় করো। কেননা, এ দুটি দারিদ্র্য ও গুনাহ এভাবে দূর করে, যেভাবে হাঁপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে। আর মকবুল হজের বিনিময় জান্নাত। ” (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৮৮৭ এবং তিরমিজি ও নাসায়ি শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ)
হজের ফজিলত সাতশত গুণ পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
হজের প্রতিদান বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। হজের মতো আমল সম্পন্ন করতে বহু অর্থ ব্যয় করতে হয়। তাই মহান আলাহ্ এর প্রতিদান সাত শ গুণ পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য হাদিসে হজের জন্য খরচকৃত সম্পদকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হযরত বুরাইদা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসুলুলাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, “হজের জন্য খরচ করা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার মতোই, যার সওয়াব সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।” (মুসনাদে আহমদ: ২৩০০০)
হজ ও উমরা পালনকালে মৃত্যুবরণকারীর ফজিলত
হজ কিংবা উমরা পালনকালে যদি কোনো হাজি বা উমরাহকারী মারা যায় তাহলে সে কিয়ামতের দিন হাজি ও উমরাহকারী হিসেবে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় উঠবে। এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে আববাস (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে- “এক ব্যক্তি আরাফাতের ময়দানে রাসুলুলাহ (সা.)-এর সাথে উকূফরত ছিলেন। হঠাৎ তিনি বাহন থেকে নিচে পড়ে গেলেন। এতে তার ঘাড় মটকে গেল এবং তিনি মারা গেলেন। তখন রাসুলুলাহ (সা.) বললেন, তাকে বড়ইপাতা সিদ্ধ করা পানি দিয়ে গোসল দাও, তার দুই কাপড় দিয়ে তাকে কাফন পরাও। তাকে সুগন্ধি লাগিও না এবং তার মাথাও আবৃত করো না। কেননা তাকে কিয়ামতের দিন তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় উঠানো হবে।” (মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ১২০৬; সুনানে তিরমিজী, হাদিস নং ৯৫১ এবং সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩০৮৪)
নারী, বৃদ্ধ, দুর্বল ব্যক্তি ও শিশুদের জিহাদ হলো হজ ও উমরাহ
উম্মুল মু’মিনিন হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “ইয়া রাসুলালাহ! আমরা তো জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি। আমরা কি জিহাদ করব না?” তিনি বললেন, “না। বরং তোমাদের নারীদের জন্য সর্বোত্তম জিহাদ হলো হজ্জে মাবরুর (মকবুল হজ)।” (বোখারী শরীফ, হাদিস নং ১৫২০)
এমনিভাবে অন্য বর্ণনায় রয়েছে- হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, “আমি বললাম, ইয়া রাসুলালাহ! আমরা কি আপনাদের সাথে জিহাদ করব না?” তিনি বললেন, “তোমাদের জন্য সবচেয়ে সুন্দর ও উত্তম জিহাদ হলো হজে মাবরুর। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুলাহ (সা.) থেকে এ কথা শুনার পর হতে আমি হজ ছাড়িনি।” (বোখারি শরীফ, হাদিস নং ১৮৬১) অন্য বর্ণনায় হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, হযতে রাসুল (সা.) বলেছেন- “বৃদ্ধ, দুর্বল ও নারীর জিহাদ হলো হজ ও উমরাহ।” (সুনানে নাসায়ি, হাদিস নং ২৬২৬)
যথাসময়ে হজ আদায়ের নির্দেশনা
হজ ফরজ হওয়ার সাথে সাথে যথাসম্ভব আদায় করা। বিনা ওজরে বিলম্ব করা অনুচিত। ইচ্ছাকৃতভাবে হজ আদায় বিলম্বের কারণে গুনাহ হবে। এ ছাড়া যে কোনো সময় মানুষের জীবনে অসুখ-বিসুখ, বিপদ, এমনকি মৃত্যুর ডাকও এসে যেতে পারে। এই মহাসৌভাগ্য চিরদিনের জন্য হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। হজ ফরজ হওয়ার পর বিলম্বের কারণে সামর্থ্য হারিয়ে ফেললে বা মৃত্যু হয়ে গেলে আল্লাহর দরবারে ভিষণ অপরাধী হিসেবে হাজির হতে হবে। এ জন্যই হাদিসে যথাসময়ে হজ পালনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আবদুলাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছা করেছে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা আদায় করে নেয়। (কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থা না থাকতে পারে অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে)।” (আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং ১৭৩২) এমনিভাবে অপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবি (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হজের ইচ্ছা করে, সে যেন তা দ্রæত আদায় করে নেয়। কেননা মানুষ কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ে, কখনো সম্পদ খরচ হয়ে যায়, কখনো সমস্যার সম্মুখীন হয়।” (ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদিস নং ২৮৮৩)
হজের শিক্ষা
মৃত্যুর প্রশিক্ষণ: হজের ইহরামের কাপড় পরিধান করা ও ইহরাম বাঁধা হাজিকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কারণ মৃত্যুর পর শুধুমাত্র একটি সাদা কাফনের কাপড় পরিধান করতে হয়। হাজিদেরকেও সেলাইবিহীন সাদা ইহরামের কাপড় পরিধান করতে হয়। হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, “তোমরা মৃত্যুর পূর্বে মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করো।” (সূফী দর্শন, পৃষ্ঠা ৩৯ ও ১৫৭) হজ আদায়ের মাধ্যমেও মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়।
আল্লাহ্র দরবারে হাজিরা: হজে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়ে লাব্বাইক বলে মহান আলাহর দরবারে উপস্থিত হওয়ার যেমন শিক্ষা দেয় তেমনিভাবে মৃত্যুর পর হাশরের ময়দানে এভাবেই একত্রিত হয়ে হাজির হতে হবে সেটিও স্মরণ করিয়ে দেয়।
আল্লাহ্র প্রেমে উদ্বুদ্ধ: হজ পালনের অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে মহান আল্লাহর প্রেমে ডুবে থেকে দুনিয়ার কল্পনামুক্ত হয়ে তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত বন্দেগি করা। ফলে হাজিগণ হজ আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রেমে প্রেমাসক্ত হয়ে হৃদয়ে পরম শান্তি লাভ করতে পারেন।
দুনিয়া বিমুখ ও পরকালের স্মরণ: হজের নিয়ম নীতি পালনের মাধ্যমে দুনিয়া বিমুখ হয়ে পরকালের কথা অধিক পরিমাণে স্মরণ করিয়ে দেয়।
নারীদের সম্মান প্রদর্শন: হজের ওয়াজিব কাজের অন্যতম হচ্ছে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সায়ি করা। আল্লাহর নবি হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সহধর্মিণী হযরত হাজেরা (আ.) শিশুপুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-এর জন্য পানির সন্ধানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়াদৌড়ি করেন। সেটিকেই হজের বিধান করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মুসলমানদের মা হযরত হাজেরা (আ.)-এর স্মৃতির স্মরণে হাজিগণ সাফা মারওয়া পাহাড়দ্বয়ে সায়ি করার মাধ্যমে নারী জাতিকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়। ফলে এতে শিক্ষাও রয়েছে যে, নারীদের মাঝে যারা আল্লাহর প্রিয় বন্ধু আছেন তাদেরকেও বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। মহামানবগণের অনুসরণের শিক্ষা: হজের অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে মহামানবগণের অনুসরণের শিক্ষা। হযরত মোহাম্মদ (সা.) উম্মতকে যেভাবে যথাযথভাবে হজ পালনের শিক্ষা দিয়েছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই অনুসরণ করে হজ পালন করতে হয়। আল্লাহর মহান বন্ধু আমার মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান বলেন, “হজের মূল শিক্ষাই হলো মহামানবগণের অনুসরণ করা।”
হাকিকতে হজ
১। ধনীরা ধর্ম পালনে অনেক সময় উদাসীন হয়ে থাকে। সামর্থ্যবান ধনীরা হজ পালনের মাধ্যমে ধর্মীয় উদাসীনতা মুক্ত হয়ে পার্থিব জীবনের মায়া লোভ-লালসা কাটিয়ে পরপারের যাত্রী হওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
২। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর নৈকট্য লাভের জন্য হজ আদায় করা।
৩। আমৃত্যু মহান আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী জীবন পরিচালনা করা।
৪। মহান আল্লাহর প্রেরিত নবি-রাসুলগণের স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ জিয়ারত করে তাঁদের স্মৃতি স্মরণ করে
অন্তরে পরম শান্তি লাভ করা।
৫। মহামানবগণের অনুসরণের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া।
৬। মহান আল্লাহর প্রেম ও তাঁর প্রেরিত নবি-রাসুলগণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করে ইহকালে ও পরকালে সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী হওয়া।
আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান তাঁর অনুসারী ভক্তদের হাকিকতে হজ পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের সুমহান শিক্ষা দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর সুমহান শিক্ষানুযায়ী অনুসারীবৃন্দ হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করে হাকিকতে আশেকে রাসুল বা রাসুল প্রেমিক হয়ে স্বপ্ন ও মোরাকাবায় দয়াল রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করে ধন্য হয়েছেন। আবার তাঁর বহু মুরিদ হজ ও উমরাহ আদায়কালে হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করার সময় মোরাকাবায় হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করেছেন এবং নবিজি (সা.)-এর সালামের জবাবও মোরাকাবারত অবস্থায় পেয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ্!
পরিশেষে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানাই তিনি যেন দয়া করে আমাদেরকে সামর্থ্যবান হওয়ার পাশাপাশি হজ ও উমরাহ্ পালনের তাওফিক দান করেন। আমিন। আলাহুম্মা আমিন।
[লেখক: গবেষক ও সদস্য, আল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ, ঢাকা। ]