হজের বিধিবিধান ও ধারাবাহিক আমল (১ম পর্ব)
হযরত তরিকুল ইসলাম তারিফ
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম হজ। হজ দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত। হজ ইসলামের অন্যতম রুকন ও ফরজ ইবাদত। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর জীবনে একবার হজ ফরজ। এজন্য গরিবের জন্য হজ ফরজ নয়। মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো হজ। মহান আল্লাহ্র নৈকট্য ও সন্তুষ্টির জন্য প্রতিবছর অসংখ্য হাজি আল্লাহ্র ঘরের জিয়ারতে উপস্থিত হন।
হজের সংজ্ঞা
হজ আরবি শব্দ। বাংলায় এর আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা, সংকল্প করা, নিয়ত করা, ইত্যাদি। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় নির্ধারিত সময়ে কিছু নির্দিষ্ট কার্যাবলি আদায়ের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহ শরীফ জিয়ারত করাকে হজ বলা হয়।
হজের বিধান
হজ আল্লাহ্র ফরজ বিধান। মহান আল্লাহ্ হজের বিধান দিয়ে পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, “প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।” (সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ৯৭) হজের বিধান প্রসঙ্গে হযরত রাসুল (সা.) বলেন, “হে লোকসকল! আল্লাহ্ তায়ালা তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন।” আকরা ইবনে হাবিস (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, “হে আল্লাহ্র রাসুল! এটা কি প্রত্যেক বছর ফরজ?” উত্তরে হযরত রাসুল (সা.) বললেন- “আমি যদি হাঁ বলতাম, তবে ফরজ হয়ে যেত। আর প্রতি বছর হজ ফরজ হলে তা তোমরা সম্পাদন করতে সক্ষম হতে না? হজ জীবনে একবারই ফরজ। কেউ যদি একাধিকবার করে, তবে তা হবে নফল হজ।” (বোখারি শরীফ, হাদিস নং ৭২৮৮)
যাদের ওপর হজ ফরজ, যত দ্রæত সম্ভব হজ আদায় করা উত্তম। অনেক মুসলমান আছেন সামর্থ্য থাকা সত্তে¡ও ইচ্ছা করে বিলম্ব করে ফরজ হজ আদায় করেন, যা ইসলামে সঠিক নয়। যেখানে মানুষের জীবন-মরণের এক সেকেন্ডের নিশ্চয়তা নেই, সেখানে এক বছর অনেক দীর্ঘ সময়। তাই হযরত রাসুল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি হজ করার ইচ্ছে করেছে, সে যেন তাড়াতাড়ি তা করে নেয়।” ( আবু দাউদ শরীফ ১৭৩২)
হজের নির্দিষ্ট সময় ও হজের কার্যাবলি
হজ নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট আমলের মাধ্যমে হজ আদায় করতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরে কাবাঘরের তাওয়াফ ও জিয়ারত করলে সেটি হজ হবে না বরং এতে উমরাহ আদায় হবে। হজের নির্দিষ্ট সময় হলো- হজে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে হাজিদের প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হয়। তাই আশহুরে হুরুম তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজের প্রথম ১০ দিন; বিশেষত জিলহজের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এ পাঁচ দিনই মূলত হজ পালন করা হয়। হজের নির্ধারিত স্থান হলো পবিত্র কাবা, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফা। দূরবর্তী হাজিদের জন্য মদিনা মুনাওয়ারায় হযরত রাসুল (স.)-এর রওজা জিয়ারত করা।
হজের কার্যাবলির মধ্যে রয়েছে ইহরাম, তালবিয়া ,তাওয়াফ ও সায়ি, ওয়াকুফে আরাফাহ, ওয়াকুফে মুজদালিফা, ওয়াকুফে মিনা, কংকর নিক্ষেপ, দম ও কোরবানি, হলক (মাথামুণ্ডন) ও কচর (চুলখাটো করা) এবং জিয়ারতে মদীনা-রওজাতুর রাসুল ইত্যাদি।
যাদের উপর হজ ফরজ এবং যাদের উপর হজ ফরজ নয়
পাঁচটি শর্ত সাপেক্ষে হজ ফরজ।
১। মুসলিম হওয়া। (তাই অমুসলিমের উপর হজ ফরজ নয়।)
২। আকল থাকা বা বিবেকবান হওয়া। অর্থাৎ পাগল না হওয়া। (কেননা পাগলের উপর হজ ফরজ নয়।)
৩। বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। (নাবালক বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক লোকের উপর হজ ফরজ নয়। )
৪। আজাদ বা স্বাধীন হওয়া। অর্থাৎ কারো গোলাম না হওয়া। (তাই কৃতদাস মুসলিমের উপর হজ ফরজ নয়।)
৫। দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া। (অন্ধ, পঙ্গু, বিকলাঙ্গ ব্যক্তির উপর এবং গরিব-মিসকিনের উপর হজ ফরজ নয়। )
৬। নির্ধারিত সময়ে হজ আদায় করা। অর্থাৎ ৮ই জিলহজ থেকে ১২ই জিলহজের নির্ধারিত সময়ে হজ আাদয় করা। (কেননা অন্য সময় ফরজ হজ আদায় করা অসম্ভব।)
উল্লেখ্য যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ একটি শর্ত হলো- সঙ্গে ‘মাহরাম’ (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত জায়েজ) থাকা।
স্মরণ রাখতে হবে, যাকাত ফরজ না হয়েও কারো ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কেননা হজ ও যাকাতের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। যেমন, যাকাতের সম্পর্ক নির্ধারিত নিসাবের সঙ্গে। হজের সম্পর্ক মক্কায় আসা-যাওয়ার খরচের সঙ্গে।
হজের মিকাতসমূহ
হজের ইহরাম বাঁধার নির্ধারিত স্থানকে মিকাত বলে। মিকাতের জন্য পাঁচটি নির্ধারিত স্থান আছে। মহানবি (সা.) এসব স্থান নির্ধারণ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হযরত রাসুল (সা.) মিকাত নির্ধারিত করেছেন-মদীনাবাসীর জন্য জুলহুলাইফা, সিরিয়াবাসীর জন্য জুহফা, নজদবাসীর জন্য কারনুলমানাজিল এবং ইয়েমেনবাসীর জন্য ইয়ালামলাম নামক স্থান। (বুখারি, হাদিস: ১৫২৪, ১৫২৬, মুসলিম, হাদিস: ১১৮১) আর রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরাকবাসীর জন্য ‘জাতুইরক’ মিকাত নির্ধারণ করেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ১৭৩৯)
১। যুলহুলাইফা: এটি মদীনাবাসীদের জন্যে মিকাত। ঐসব লোকের জন্যেও যারা মদীনার পথে মক্কা মুকাররমা আসতে চায়। এ মিকাত মদীনা থেকে মক্কা আসার পথে প্রায় আট নয় কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এ মিকাত মক্কা থেকে অন্যান্য মিকাতের তুলনায় অধিকতর দূরত্বে অবস্থিত।
২। যাতে ইরাক: এটি ইরাক এবং ইরাকের পথে আগত লোকদের মিকাত। এ মিকাত মক্কা থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রায় আশি কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
৩। জুহফাহ: এটি সিরিয়া এবং সিরিয়ার দিক থেকে আগমনকারী লোকদের জন্যে মিকাত। মক্কা থেকে পশ্চিমদিকে প্রায় একশ আশি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
৪। কারনুল মানাযিল: মক্কা মুকাররামা থেকে পূর্ব দিকে পথের ওপর এক পর্বতময় স্থান, যা মক্কা থেকে আনুমানিক পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি নজদবাসীদের মিকাত এবং ঐসব লোকের জন্যে যারা এ পথে হজ আদায় করতে আসে।
৫। ইয়ালামলাম: মক্কা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ইয়ামেন থেকে এসেছে এমন পথের ওপর একটি পাহাড়ী স্থান, যা মক্কা থেকে প্রায় ষাট মাইল দূরে। এটি ইয়ামেন এবং এ পথে আগমনকারী লোকদের মিকাত। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের লোকের জন্যেও এ মিকাত।
এসব মিকাত স্বয়ং নবি (সা.) নির্ধারিত করে দিয়েছেন। বোখারী ও মুসলিম থেকে একথা জানা যায়। এসব মিকাত ঐসব লোকের জন্যে যারা মিকাতের বাইরে অবস্থানকারী, যাদেরকে পরিভাষায় আফাকি বলে। এখন যারা মিকাতের মধ্যে বসবাস করে তারা যদি হেরেমের সীমার ভেতরে হয় তাহলে হেরেমই তাদের মিকাত। আর হেরেমের সীমার বাইরে অবস্থানকারী হলে তার জন্যে হিল মিকাত। অবশ্য হেরেমের মধ্যে অবস্থানকারী ওমরার জন্যে ইহরাম বাঁধতে চাইলে তার মীকাত হিল, হেরেম নয়।
হজের ফরজসমূহ
হজের ফরজ ৩টি। যথা-
১। ইহরাম বাঁধা। ২। ওয়াকুফে আরাফাহ তথা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। ৩। তাওয়াফে জিয়ারত করা।
হজের ওয়াজিবসমূহ
১। জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মুজদালিফায় অবস্থান করা।
২। সাফা-মারওয়ায় সাতবার দৌড়। এটিকে সায়ি বলা হয়। দৌড় শুরু হবে সাফা থেকে আর শেষ হবে মারওয়ায়। (মুসলিম, হাদিস: ২১৩৭)
৩। শয়তানকে পাথর মারা। (মুসলিম, হাদিস: ২২৮৬)
৪। তামাত্তু ও কিরান হজকারীদের দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
৫। হারাম শরীফের সীমানায় কোরবানির দিনগুলোতে মাথামুণ্ডানো বা চুল ছোটো করা। (বুখারি, হাদিস: ১৬১৩)
৬। বিদায়ী তাওয়াফ করা। (মুসলিম, হাদিস: ২৩৫০)
হজের ধারাবাহিক আমলসমূহ
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। এই পাঁচদিন হাজিদের যেসব কাজ ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করতে হয়, তা নিচে তুলে ধরা হলো-
আট জিলহজের আগের কাজ
১। মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধবেন, ২। কাবাঘরে ওমরার তাওয়াফ করবেন, ৩। সায়ি করবেন, ৪। চুল কেটে হালাল হয়ে যাবেন।
আট জিলহজের দিনের কাজ
১। নিজ বাসস্থান থেকে ইহরাম বেঁধে হজের নিয়ত করে সূর্যোদয়ের পর মিনায় রওনা হবেন, যেন জোহরের আগে মিনায় পৌঁছতে পারেন। সেখানে জোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করবেন। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এখানে আদায় করা মোস্তাহাব এবং ততক্ষণ এখানে অবস্থান করা সুন্নত।
নয় জিলহজের (আরাফার দিনের) কাজ
১। সূর্যোদয়ের পর আরাফাতের ময়দানে রওনা হবেন। (এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তথায় অবস্থান করা হজের অন্যতম রোকন। সকালে মিনা থেকে রওনার সময় তাকবির বলবেন- ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’)
২। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজের খুতবা শুনবেন এবং নিজ নিজ তাবুতে জোহরের প্রথম ওয়াক্তে জোহর ও আসর পড়বেন একত্রে পরপর দুই দুই রাকআত করে।
৩। সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফায় রওয়ানা করবেন। মাগরিব-এশা সেখানে গিয়ে (এক আজানে আলাদা আলাদা ইকামতে এক সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে) পড়বেন।
৪। মুজদালিফায় রাত যাপন করে ফজর পড়বেন প্রথম ওয়াক্তে অন্ধকার থাকতেই।
৫। আকাশ ফরসা হওয়া পর্যন্ত কেবলামুখী হয়ে হাততুলে দীর্ঘসময় দোয়া ও মোনাজাতে মশগুল থাকবেন।
৬। বড়ো জামরায় নিক্ষেপের জন্য ৭টি কঙ্কর এখান থেকে সাথে নিয়ে নিবেন।
দশ জিলহজের (ঈদের দিনের) কাজ
১। বড়ো জামরায় ৭টি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। (তা জোহরের আগেই সম্পন্ন করবেন)
২। কঙ্কর নিক্ষেপের পরে মিনায় কোরবানি করবেন।
৩। মাথা মুণ্ডন করবেন অথবা চুল কাটাবেন। অতঃপর ইহরামের কাপড় বদলিয়ে সাধারণ পোষাক পরে ফেলবেন।
৪। তাওয়াফে জিয়ারত করবেন। এদিন না পারলে এটি ১১ বা ১২ তারিখেও করতে পারবেন এবং এর সঙ্গে সায়িও করবেন। (তাওয়াফে জিয়ারত হলো হজের মুল তাওয়াফ, যা বাদ পড়লে হজ সম্পন্ন হবে না। আর ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে তাওয়াফে জিয়ারত না করতে পারলে দম বা কোরবানি কাফফারা আদায় করতে হবে।)
এগার জিলহজের (আইয়ামে তাশরিক ১ম দিন) কাজ
১। দুপুরের পর সিরিয়াল ঠিক রেখে প্রথমে ছোটো, মধ্যম ও এরপরে বড়ো জামরায় প্রত্যেকটিতে ৭টি করে কংকর নিক্ষেপ করবেন।
২। মিনায় রাত্রি যাপন করবেন।
১২ই জিলহজের (আইয়ামে তাশরিক ২য় দিন) কাজ
১। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ৩টি জামরায় ৭+৭+৭=২১টি কংকর নিক্ষেপ করবেন। দুপুরের আগে কংকর নিক্ষেপ করবেন না।
২। সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন। তা না পারলে দিবাগত রাতও মিনায় কাটাবেন।
১৩ই জিলহজের (আইয়ামে তাশরিক ৩য় দিন) কাজ
১। যারা গত রাত মিনায় কাটিয়েছেন তারা আজ দুপুরের পর পূর্ব দিনের নিয়মেই ৭টি করে মোট ২১টি কংকর মারবেন। অতঃপর মিনা ত্যাগ করবেন।
বিদায়ী তাওয়াফ
সর্বশেষ ফেরার আগে বিদায়ী তাওয়াফ করবেন।
হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত আদায়ের পাশাপাশি হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করা অপরিহার্য কর্তব্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্র রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “মান হাজ্জা ফাঝারা ক্বাবরী বা‘’দা মাওতী কানা কামান ঝারানী ফী হাইয়াতী।” অর্থাৎ- “আমার ওফাতের পর যে ব্যক্তি হজ সম্পাদন করবে, অতঃপর আমার রওজা জিয়ারত করবে, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করল।” (ইমাম বায়হাকীর সুনানে কুবরা ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৩) এমনিভাবে হযরত উমর (রা.) বলেন, আমি আল্লাহ্র রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- “মান ঝারা ক্বাবরী আও ক্বালা মান ঝারানী কুনতু লাহূ শাফী‘আন আও শাহীদা।” অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি আমার রওজা জিয়ারত করবে, অথবা তিনি বলেছেন- যে ব্যক্তি আমার রওজায় এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে, আমি তার জন্য শাফায়াতকারী হবো, অথবা আমি তার জন্য সাক্ষ্যদাতা হবো।” (ইমাম বায়হাকীর সুনানে কুবরা ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৩)
সুতরাং হজের সময় দয়াল রাসুল (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করে তাঁর উসিলা নিয়ে আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-এর উসিলায় বান্দার হজ কবুল করবেন। তাই হজের সময় হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা শরীফ জিয়ারত করা হাজিদের জন্য আবশ্যক। (চলবে)
[লেখক: গবেষক ও সদস্য, আল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ, ঢাকা। ]