মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
“হে ইমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হলো যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর। যেন তোমরা মোত্তাকী হতে পার।
রোজা নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময়ে রোজার সংখ্যা পূরণ করে নিবে। আর রোজা যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক, তারা এর পরিবর্তে ফিদয়া দেবে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করে। কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করলে তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। যদি তোমরা রোজা রাখ; তবে তা হবে তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে।”
(সূরা আল বাকারাহ ২ : আয়াত ১৮৩ ও ১৮৪)
“রোজাদার পুরুষ ও রোজাদার নারী, স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ ও স্বীয় লজ্জাস্থান হেফাজতকারী নারী এবং আল্লাহ্কে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী এদের জন্য আল্লাহ্ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান।”
(সূরা আল আহযাব ৩৩ : আয়াত ৩৫)
“রমজান মাস, এ মাসেই কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত, সৎপথের নিদর্শন এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ (রমজান) মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা পালন করে এবং কেহ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না।”
(সূরা আল বাকারাহ ২ : আয়াত ১৮৫)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- আল্লাহ্ তায়ালা বলেন- “রোজা ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য। কিন্তু রোজা আমার জন্য, আর এর প্রতিদান আমি নিজেই। রোজা ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন রোজা পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে আমি একজন রোজাদার।”
(বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৫৫)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা এবং সে অনুযায়ী কর্ম করা বন্ধ করে না, তার এ (রোজার কারণে) পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর প্রয়োজন নেই।”
(বোখারী শরীফ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ২৫৫)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের সময় রয়েছে, একটি আনন্দের সময় হলো- ইফতারের সময়, তার আরেকটি আনন্দের সময় হলো মহান প্রতিপালক আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়।”
(বোখারী ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১৭৩)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
- এমন অনেক লোক সিয়াম পালন করে যাদের সিয়াম উপোস থাকা ও তৃষ্ণার্ত হওয়া ব্যতীত কিছু নয়।
হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু - যাহার আত্মা শুদ্ধ হইবে না, সে মানুষ কখনও উর্ধ্ব জগতে পৌঁছতে পারবে না। অর্থাৎ বেহেস্তে যেতে পারবে না।
ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.) - দৈহিক অনুভূতি শক্তির আরোগ্য ডাক্তার দ্বারা লাভ হয়। আত্মিক অনুভূতি শক্তির আরোগ্য মুর্শিদ থেকে লাভ হয়।
হযরত জালাল উদ্দীন রুমী (রহ.) - রমজানের বিশেষ ফায়েজ মানুষের মধ্যে ইবাদতের স্পৃহাকে জাগ্রত করে। ফলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সে আল্লাহর ইবাদতের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং তার পক্ষে আল্লাহর দয়া লাভের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়।
সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) - রোজা পালনের মাধ্যমে যারা নিজের জীব প্রবৃত্তিকে পরিশুদ্ধ করে হৃদয়ে আল্লাহ্কে সমাসীন করতে সক্ষম হয়েছেন, তারাই হাকিকতে রোজা পালনের মাধ্যমে সফলকাম হয়েছেন।
সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.)