জ্ঞাণীগুণী বিজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান
সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজান এমনই একজন মহান দার্শনিক, সংস্কারক, যুগের ইমাম এই বাংলায় আগমন করেছেন, তাঁর উপমা তিনি নিজেই। এই মহাসম্পদ বাঙালি জাতির জন্য মহাগৌরবের। যাঁর কারণেই পৃথিবীর নানা দেশ থেকে মানুষ তাঁর সান্নিধ্যে এসে ঐশী দর্শন তথা সুফিবাদের শিক্ষা লাভ করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করছে।
এই মহামানব পৃথিবীতে আগমনের পূর্বে মহান আল্লাহ্ তাঁর শুভ জন্মের পূর্বাভাস দিয়ে বহু অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত করেছেন। তাঁর পিতা আলহাজ হযরত সৈয়দ আবদুর রশীদ সরকার (রহ.) ছিলেন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। ফলে ব্যবসায়িক কাজে তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতেন। সেসময় বহু সুফি সাধকদের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে। তাঁরা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের পিতাকে প্রায়শই বলতেন, “সরকার সাহেব! আপনি হলেন একজন সৌভাগ্যবান পিতা। আপনার ঔরসে এমন একজন সন্তানের জন্ম হবে, যাঁর মাধ্যমে পাপের আঁধারে নিমজ্জিত এই মানবজাতি হেদায়েতের আলোর পথের সন্ধান লাভ করবে।”
এছাড়া সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান যখন মাতৃগর্ভে, তখন তাঁর মহীয়সী মাতা হযরত সৈয়দা জোবেদা খাতুন (রহ.) বিভিন্ন স্বপ্ন ও ঘটনার মাধ্যমে বুঝতে পারেন যে, তাঁর গর্ভের শিশু সন্তানটি মানবজাতির জন্য বরকতময় হিসেবে এই ধুলির ধরায় আসবেন। একদা তিনি শেষ রাতে রহমতের সময় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের জন্য অজু করতে যখন ঘর থেকে বাহিরে পা বাড়ালেন, তখন তিনি লক্ষ্য করলেন আকাশে নতুন একটি তারার উদয় হয়েছে। আর সেই তারাটিকে কেন্দ্র করে সমগ্র আকাশ জুড়ে অসংখ্য তারার মেলা বসেছে। নতুন তারাটি ভূপৃষ্ঠের এতো কাছাকাছি মনে হচ্ছিল যে, তারাটি যেন কিছু বলার জন্য এগিয়ে এসেছে এবং অন্যান্য সকল তারা স্বীয় আলোকরশ্মি দিয়ে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের সম্মানিত মাতাকে অভিবাদন জানাচ্ছে। এই দৃশ্যটি অবলোকন করে হযরত জোবেদা খাতুন (রহ.) বুঝতে পারলেন যে, তাঁর গর্ভের শিশু সন্তানটি জগতবাসীর জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে আগমন করবেন।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের জন্মের পূর্ব রাতে তাঁর শ্রদ্ধেয় মাতা স্বপ্নে দেখেন, “আকাশে ঈদের চাঁদ উদিত হয়েছে। গ্রামবাসী সকলে ঘর থেকে বের হয়ে মহানন্দে ঈদের চাঁদ দেখছেন। ঐ চাঁদ দেখার জন্য তিনিও ঘর থেকে বের হয়ে আসলেন। যখনই তিনি অপলক দৃষ্টিতে চাঁদের দিকে তাকালেন, সাথে সাথে আকাশের চাঁদটি তাঁর কোলে নেমে আসে। তিনি ঈদের চাঁদ কোলে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।” এরপর তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায়। তিনি বুঝতে পারলেন, তাঁর পরম কাঙ্খিত সৌভাগ্যবান সন্তানটির জগতের বুকে আসার সময় হয়ে গেছে। সেদিনই সকাল ১০টায় মহান রাব্বুল আলামিনের অপার দয়ায় যুগের শ্রেষ্ঠ ইমাম সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজান আপন পিত্রালয়ে জগতের বুকে তশরিফ আনেন। সেদিন ছিল বুধবার, ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৫৬ বঙ্গাব্দ; ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের জীবন দর্শন সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন মনীষীগণ ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাছাড়া তাঁর লিখিত তাফসীর গ্রন্থ ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ যা আধ্যাত্মবাদ ও মানবজাতির পূর্ণাঙ্গ জীবন দর্শনের কোষ নামে খ্যাত। তাঁর লিখিত বিভিন্ন অমূল্য গ্রন্থসমূহে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রফেসর-সহ বিশ্বের বহুসংখ্যক মনীষী ও পণ্ডিতগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী বলেন- সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন পথে?’ নামক এলমে তাসাউফের যে অমর গ্রন্থখানি সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে- তা বিজ্ঞানসম্মত চিন্তাচেতনার ফসল। এ গ্রন্থে উল্লেখিত বিষয়গুলো অধ্যয়ন করলে মানুষ শুধু উপকৃতই হবে না, বরং আমাদের সমাজের অনেক ভুল ধারণারও অবসান ঘটবে বলে আমার বিশ্বাস।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.কে. এম. নুরুল ইসলাম
সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.কে. এম. নুরুল ইসলাম বলেন- আমার প্রিয় মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজান ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন পথে?’ নামক একটি মহামূল্যবান পুস্তক রচনা করে মানব জাতিকে উপহার দিয়েছেন। এ অমর অবদান এলমে তাসাউফ সম্বন্ধে নতুন দিগন্ত রচনা করে দিকদর্শনের ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী কলিম উদ্দিন শামস্
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী আলহাজ কলিম উদ্দিন শামস্ সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের লিখিত অমূল্য গ্রন্থ ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন পথে?’ বইতে ইংরেজিতে তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন- `It gives me immense pleasure to go through this time-winning book `Sufi Samrater Juganntakari Abadan: Allah Kon Pathe’ published by Sufi Foundation Bangladesh, under the guidance of Sufi Samrat Hazrat Mahbub-e-Khoda Dewanbagi (Maddazilluhul Ali) a great Wali of our time.’
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি চৌধুরী এ.টি.এম. মসউদ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি চৌধুরী এ.টি.এম. মসউদ সাহেব বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বর্ণাঢ্য কর্ম জীবন বিশেষ করে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর নির্দেশিত পথে উম্মতে মোহাম্মদীকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে দেওয়ানবাগী হুজুরের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী দেশে বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম- মহান আল্লাহ্ তায়ালার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে তাঁর নির্দেশিত পথে পরিচালিত হওয়ার মাধ্যমেই প্রকৃত শান্তি লাভ করা যায়। একারণেই বিশ্বনবি হযরত মোহাম্মদ (সা.)-সহ পৃথিবীতে প্রেরিত সকল নবি ও রাসুল মানুষকে ইলমে তাসাউফ বা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মাধ্যমে আল্লাহ্ তায়ালার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে জীবন পরিচালনা করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-দীক্ষায় একদিন পৃথিবীতে মুসলমান ছিল অগ্রগামী কিন্তু পরবর্তীতে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথ যখন পরিত্যাগ করে তখন থেকে শুরু হয় তাদের দুর্দশা ও অধঃপতন। সত্যিকার নায়েবে রাসুল তথা আওলিয়ায়ে কেরামের সান্নিধ্যে ইলমে তাসাউফ বা আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে তারা আবার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হবে।
দেওয়ানবাগী হুজুর বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে মানুষকে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আশেক বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হুজুরের আহ্বানে সারাদেশে মিলাদ মাহ্ফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। মানুষ জানতে শিখেছে যে, আল্লাহ্ তায়ালা ও হযরত রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসলে আশকে রাসুল বা রাসুল প্রেমিক হিসেবে তারা আল্লাহ্ তায়ালার রহমত ও বরকত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী বলেন, একজন খাঁটি মুমিনের জীবনে প্রতিটি কাজকর্ম মহান আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির জন্য হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যে তিনি মানুষকে আশেকে রাসুল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তাঁর সান্নিধ্যে আধ্যাত্মিক শিক্ষা লাভ করে বহু মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন বলেন, সত্যিকার অর্থে ধর্ম ও বিজ্ঞানের সাথে যে কোনো মতবিরোধ নেই, সূফী সম্রাট তাই ব্যক্ত করছেন। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে, বিজ্ঞানের বাইরে যে অনন্ত জ্ঞন অর্থাৎ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পরিমণ্ডল রয়েছে তিনি তা ব্যাখ্যা করেছেন। সমগ্র মানবজাতির জন্য ইসলাম যে একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা- সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লাজান মানুষকে তা বুঝাতে চেষ্টা করেছেন।
প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও দার্শনিক জনাব দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও দার্শনিক জনাব দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ বলেন- সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লাজানের লিখিত কিতাব ‘আল্লাহ্ কোন পথে?’ মানবতার দর্শন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, মানবাত্মা এ মাটির মধ্যেই মিশে রয়েছিল তার পরে তা থেকে বিবর্তনের নানা স্তর ভেঙ্গে তার গমন হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ্র আদর্শের পানে। মানবাত্মাকে কোনো কোনো সূফী দরবেশ আল্লাহ্রই এক অংশ বলে ধারণা করেছেন। আমাদের দেশের মরমী সাধক, ফকিরেরা তাকে নানাভাবে ধারণা করেছেন। লালন শাহ্ আল্লাহ্কে দেহের বহির্ভূত এক সত্তারূপে ধারণা করেছেন। হাসন রাজা তাঁকে সমগ্র সত্তারই এক চরমরূপ বলে স্বীকার করে বলেছেন, এ দুনিয়াতে যে মানুষ রয়েছে তারা প্রত্যেকেই সেই আদি সত্তারই একটি অংশ।
প্রকৃত অর্থে আল্লাহ্ থেকেই সব কিছুর উপৎপত্তি এবং আল্লাহ্র মধ্যেই সব কিছুই বিলীন হবে। স্থান, কাল, পাত্র সবকিছুই আল্লাহ্ থেকে উদ্ভূত এবং কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ হাজির নাজির থাকবেন। এ দুনিয়া তো বটেই বেহেশত, দোজখ এবং সবকিছুই আল্লাহ্র অস্তিত্ব থেকে উৎপত্তি। শেষ পর্যন্ত একমাত্র তিনিই থাকবেন এবং তাঁর অস্তিত্ব ব্যতিরেকে এ বিশ্ব চরাচরে আর কিছুই থাকবে না।
আমাদের এক্ষেত্রে মানব জীবনের মধ্যে দুটো ভাগ স্বীকার করতে হবে। একটা পরিচালিত হয় শরীয়তের দ্বারা এবং অপরটা মারেফত দ্বারা। শরীয়তের কাজ হচ্ছে আল্লাহ্র ইচ্ছা মত এ দুনিয়াতে তাঁর রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহ্ হযরত রাসুল-ই-আকরাম (সা.)-কে পাঠিয়েছেন শিক্ষকরূপে, কোরআন-উল-করিমকে পাঠিয়েছেন নির্দেশিকারূপে এবং তারই মধ্যে মানুষকে মর্দে মুমিন বা ইনসান-ই-কামিল তৈরি করার সব কিছুই রয়েছে। এভাবে ইনসান-ই-কামিল তৈরি হলেই এ দুনিয়ায় আল্লাহ্র রাজত্ব তৈরি হবে। তবে মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে হলে তার মধ্যকার সত্যিকার মানুষ স্বয়ং আল্লাহ্কে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করে তুলতে হবে। তার ফলেই এ দুনিয়ার মানুষ হবে স্বয়ং আল্লাহ্র এক ক্ষুদ্র সংস্করণ এবং তার দ্বারাই তার সৃষ্ট এ দুনিয়ার সব কিছুতেই সে আল্লাহ্র অস্তিত্বের সন্ধান পাবে।
বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা
বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস-চেয়ারম্যান বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা বলেন- হিংসায় উন্মত্ত আজকের বিপন্ন বিশ্বে মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শািন্ত ও স্বস্তির, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অস্বাভাবিক সাফল্য ও বৈষয়িক প্রাচুর্য দিতে সক্ষম নয়। একমাত্র ধর্ম-দর্শনের সম্যক উপলব্ধি ও উদার নৈতিক চিন্তা-চেতনার প্রচার প্রসারই এই সুকঠিন কাজটি সম্পন্ন করতে সমর্থ। সুফিবাদের বিশ্বজনীন উদার মানবতাবোধ আশাহত মানুষের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। বিশ্বের সকল বস্তুতে শ্রীমদ্ভগবদ্ গীতায় যে অখণ্ড ঐকতান ও অচ্ছেদ্য বন্ধনের সুর লহরীর কথা বিধৃত হয়েছে, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীর জীবন্ত দর্শনে তাই প্রতিভাত। মানব কল্যাণে সুফিবাদ আরও বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর যে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার করছেন, এটা নতুন কোনো ধর্মীয় মতবাদ নয়, হযরত রাসুলে করিম (সা.) কর্তৃক প্রচারিত শান্তির ধর্ম তথা আদর্শের ইসলাম। অক্লান্ত পরিশ্রম করে তিনি বর্তমান পাপসংকুল পৃথিবীর মানুষকে নবি করিম (সা.)-এর আশেক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি এলমে মারেফতের একজন মহান সাধক। ইলমে শরিয়ত ও ইলমে মারেফতের সমন্বয় সাধন করে তিনি ইসলামের প্রকৃত রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। এই মহান অলী পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে, ইসলাম একটি বাস্তব ও কল্যাণমুখী ধর্ম। তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সারাবিশ্বে একই তারিখে ঈদসহ যাবতীয় ইসলাম ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালনের যে গুরুত্বপূর্ণ ও বিজ্ঞান সম্মত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গতভাবেই বলে থাকেন যে, যদি একই দিনে সারা বিশ্বে মুসলমান শুধু সময়ের ব্যবধানে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে একই তারিখে ঈদ পালন করতে পারবে না কেন? তাঁর এ বাস্তবমুখী চিন্তাধারা বিশ্ব মুসলিমের মাঝে নিবিড় ঐক্যের এক উদাত্ত আহ্বান বলে আমি মনে করি। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লা মানুষকে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেমে উজ্জীবিত করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তা সত্যিই বিরল। তাঁর প্রচেষ্টায় বহু মানুষ আজ রাসুল প্রেমে সিক্ত হচ্ছেন।
সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী
সাবেক স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী বলেন- বর্তমান জামানার মানুষকে হেদায়েত করার দায়িত্ব নিয়ে যিনি এ পৃথিবীতে আগমন করেছেন, তিনি হলেন মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর। তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ আত্মশুদ্ধি লাভ করছেন। এছাড়া তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান শিক্ষা ও আদর্শ প্রচার করে যাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে মানুষের হৃদয়ে হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেম সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানুষ নানাবিধ পাপাচার পরিত্যাগ করে আশেকে রাসুলে পরিণত হচ্ছে। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লা এলমে তাসাউফের শিক্ষাদানের পাশাপাশি ধর্মের সংস্কারও করে যাচ্ছেন। তাঁর সংস্কারগুলো কোরআন ভিত্তিক ও বিজ্ঞান সম্মত। ইসলামের অগ্রযাত্রায় তাঁর ধর্মীয় সংস্কারমূলক কার্যক্রম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
পৃথিবীতে যত মহামানব আগমন করেছেন প্রত্যেক মহামানবের জীবনেই অলৌকিক ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লার গৌরবদীপ্ত জীবনে বহু অলৌকিক কারামত রয়েছে। বিশেষ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে তাঁর চেহারার প্রতিবিম্ব প্রকাশ পাচ্ছে, যা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে এ অলৌকিক ঘটনা প্রমাণ করে যে, সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লা নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ প্রেরিত মহামানব তথা অলী-আল্লাহ্।
(চলবে)
[লেখক: প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাংবাদিক]