মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদে হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ
মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানের অসংখ্য ভক্ত-মুরিদান প্রতিনিয়ত মিলাদে রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করছেন। তন্মধ্যে দুটি ঘটনা এখানে উপস্থাপন করা হলো-
বিশিষ্ট মুসলিম দার্শনিক, খ্যাতিমান ইসলামি গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রথম মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুঈন-উদ্-দীন আহমাদ খান, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের একজন আশেকে মুরিদ সন্তান। তিনি দেওয়ানবাগ শরীফে এসে সাধনায় নিমগ্ন থাকাকালীন বহু অলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন এবং রূহানি জগতের নিগূঢ় রহস্যপূর্ণ বিষয় অবলোকন করেছেন।
ড. খান ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের বিশ্বনবি হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার পাওয়ার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন যে, তিনি একদিন ঢাকার আরামবাগস্থ বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে মাগরিবের নামাজ আদায় করে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের সাথে মিলাদ মাহ্ফিলে অংশগ্রহণ করেন। কয়েকশত লোক সমেত এ মিলাদ মাহ্ফিলে গভীর ধ্যানমগ্ন হয়ে হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেমে বিভোর অবস্থায় মিলাদ পড়ার সময় যখন উচ্চারিত হলো –
“১২ই রবিউল আউয়ালে, সোমবারের প্রভাতকালে
জন্মিলেন নুরের ছেলে, হযরত আমিনা মায়ের কোলে।”
হঠাৎ তিনি অন্তর্দৃষ্টিতে একটি জ্যোতির্ময় নবজাত শিশু দেখতে পান। এ জ্যোতির্ময় শিশুই যে হযরত রাসুল (সা.), তা বোঝামাত্রই গভীর প্রেমাবেগে তার অন্তর বিগলিত হয়ে গেল। তিনি অঝোর নয়নে কাঁদতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর আবার যখন উচ্চারিত হলো-
“সূফী সম্রাটের অসিলা ধরে, ডাকিগো রাসুল আপনারে
দেখা দেন দয়া করিয়া, এই আরজ আপনার কদমে।”
তখন তিনি দেখতে পেলেন যে, হযরত রাসুল (সা.) পরিপূর্ণ বয়সে রূপান্তরিত হয়ে তার দিকে গভীর দরদভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। এ অবস্থায় তিনি মিলাদের শেষ অবধি হযরত রাসুল (সা)-কে অবলোকন করেন।
অপর ঘটনাটি গত ১৯৯৮ সালের মে মাসে, সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের একজন মুরিদ সন্তান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. ফিরোজ আই ফারুকী তার বাসায় মিলাদের আয়োজন করেন। সেখানে দেওয়ানবাগ শরীফের জনৈক আলেম মিলাদ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। যখন ‘ইয়া ইমাম সালামু আলাইকা’ বলে কিয়াম করা হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি দেখতে পেলেন যে, দোজাহানের বাদশাহ হযরত রাসুল (সা.) মিলাদ মাহ্ফিলে তশরিফ এনেছেন। তখন ফারুকী সাহেব হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেমে আত্মহারা হয়ে গেলেন। তিনি দুহাত দিয়ে লোক সরিয়ে হযরত রাসুল (সা)-কে সামনে আসার জন্য জায়গা করে দিলেন। মিলাদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে সকলে বসে গেলেন, কিন্তু ফারুকী সাহেব তখনও দাঁড়ানো। মিলাদে যোগদানকারী আশেকে রাসুলেরা তাকে বসার জন্য হাত ধরে টানছেন, অথচ ফারুকী সাহেব তখনও দাঁড়িয়েই রইলেন। পরে তিনি জানালেন যে, যখন তাকে বসতে বলা হয়েছে, তখনও হযরত রাসুল (সা.) তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। এ অবস্থায় বসাটা তিনি চরম বেয়াদবি মনে করে বসলেন না।
এ ধরনের বহু ঘটনা দেশ-বিদেশের সর্বত্রই সূফী সম্রাটের মুরিদ সন্তানদের ভিতরে অহরহই ঘটছে।
[বিশ্বনবির স্বরূপ উদ্ঘাটনে সূফী সম্রাট: রাসূল (সঃ) সত্যিই কি গরীব ছিলেন? কিতাব থেকে সংকলিত]