Cancel Preloader

ওরছের পূর্বেই বিশাল মাঠ ক্রয়


অলী-আলাহ্গণ আল্লাহর ইচ্ছাতেই পরিচালিত হয়ে থাকেন। তাঁরা সর্ববস্থায় আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পিত থাকেন বিধায় তাঁদের যখন যা প্রয়োজন, তা সবকিছুই মহান আল্লাহ্ ব্যবস্থা করে দেন। ১৯৮৫ সালে আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন দেওয়ানবাগে মাত্র ১০ কাঠা জমি ক্রয় করে দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আরো জমি ক্রয় করে দরবার শরীফের পরিধি অনেক দূর বাড়িয়ে ফেলেন। প্রথম বছর দেওয়ানবাগ দরবারের মাত্র ১০ কাঠা জায়গার ওপরেই অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। এতে খুবই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ১৯৮৬ সালের কথা। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তখন ১৫৪ আরামবাগ থাকতেন। প্রথম বারের ওরছ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে একদিন আমি সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে বললাম- বাবা! মাত্র ১০ কাঠা জমির উপরে আমাদের দরবার শরীফ। অনেক লোক দরবারে আসে। এত কম জায়গায় অনুষ্ঠান করা কষ্টকর। সামনের বড় মাঠটি যদি আমাদের দরবারের হতো, তাহলে আমাদের অনুষ্ঠান করতে সুবিধা হতো। একথা শুনে সূফী সম্রাট হজুর কেবলাজান বললেন- দেখেন, দরবারের ব্যাপারে আমার নিজের কোনো ইচ্ছা আমি খাটাতে চাই না। আমার মালিক আছেন। সেই মহান মালিক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যা ভালো মনে করেন, তাই করবেন। তিনি চাইলে মাঠ কেনার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। সত্যিই সূফী সম্রাটের পবিত্র জবান থেকে একথা প্রকাশ পাওয়ার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই দেওয়ানবাগের সেই বিশাল মাঠটি সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান কিনে ফেলেন। ফলে আমরা আমাদের দরবারের নিজস্ব জায়গায় পরবর্তী বার্ষিক অনুষ্ঠান উদ্যাপন করতে সক্ষম হই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান যখন মাত্র ১০ কাঠা জমি কিনে দেওয়ানবাগে দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করলেন, সেসময় এক রাতে নূর মোহাম্মদ মিয়া নামের জনৈক ভক্ত স্বপ্ন দেখেন, ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.) কাঁচপুরের ব্রিজের উপর দিয়ে হাঁটছেন। তাঁকে নূর মোহাম্মদ মিয়া জিজ্ঞাসা করলেন- বাবা! আপনি কোথায় গিয়েছিলেন? ইমাম হুজুর জবাব দিলেন- এইতো, আজ দরবার শরীফের জন্য দেওয়ানবাগে ১০ কাঠা জমি কিনে এলাম। এ ঘটনা থেকে সূফী সম্রাটের দরবার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আল্লাহর যে এক বিশেষ উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা নিহিত রয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
[লেখক: সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, জাতীয় আইন কলেজ, ঢাকা]

সম্পর্কিত পোস্ট