বাণী মোবারক
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
* আলিফ-লাম-রা, এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত। এটি আমিই অবতীর্ণ করেছি আরবি ভাষায় কুরআন। যাতে তোমরা বুঝতে পার। (সূরা ইউসুফ ১২: আয়াত ১-২)
* আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তাঁর স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, যেন তিনি স্পষ্টভাবে তাদের নিকট বর্ণনা করতে পারেন। আল্লাহ্ যাকে চান বিপথগামী করেন এবং যাকে চান সৎপথে পরিচালিত করেন। আর তিনি মহাশক্তিশালী, মহাবিজ্ঞানী। (সূরা ইব্রাহীম ১৪: আয়াত ৪)
* কসম সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি এটি নাজিল করেছি আরবি ভাষায় কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পার। নিশ্চয় তা আছে আমার নিকট উম্মুল কিতাবের মধ্যে (লাওহে মাহ্ফুজে) তা অতি মর্যাদাশালী, জ্ঞানগর্ভ। (সূরা আঝ ঝুখরুফ ৪৩: আয়াত ২-৩)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
* হযরত জাবের (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “আমাকে পাঁচটি বিশেষ জিনিস দেওয়া হয়েছে, যা অন্য কোনো নবিকে দান করা হয় নাই। (১) এক মাস দূরত্বের পথে আমার ভীতি বিস্তার করিয়া আমার সাহায্য করা হয়েছে, (২) জমিনকে আমার সিদজার স্থান ও পবিত্রতা লাভের উপায় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে, (৩) গনিমতের মাল আমার জন্য হালাল করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কারো জন্য হালাল করা হয়নি, (৪) আমাকে শাফায়াতের অধিকার দান করা হয়েছে, (৫) পূর্বে কোনো নবিকে কেবল তাঁর নিজের কাওমের নিকট প্রেরণ করা হতো, আর আমাকে সমগ্র মানবকুলের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে।” (তাফসীরে ইবনে কাছীর ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৭৫৫)
* আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “আমার উম্মতের আলেমগণ (আল্লাহ্তত্ত্বের জ্ঞানে জ্ঞানী) বনি ইসরাঈলের নবিদের মতো।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৪৮)
* হযরত বারা ইবনে আযেব (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই দোয়া (প্রার্থনা) হচ্ছে একটি ইবাদত।” (তিরমিজি, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ শরীফের সূত্রে তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০২)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
* মানুষের সাথে দেখা হলে এমন আচরণ করবে যেন তোমার মৃত্যুতে তারা কাঁদে এবং তুমি বেঁচে থাকলে তারা তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করে।
-হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
* একই খুৎবা বছরের পর বছর আরবি ভাষায় পাঠ করাতে মুসল্লিগণ তা বুঝতে এবং তদনুযায়ী আমল করতে পারেন না, ফলে তা থেকে কোনোরকম উপকার লাভ করেন না। কাজেই খুৎবার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আমাদের মাতৃভাষায় খুৎবা দেওয়ার প্রচলন করা অত্যন্ত জরুরি।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
* আমাদের দেশের মানুষের ভাষা বাংলা, তাছাড়া শিক্ষার দিক থেকেও আমরা ততটা অগ্রসর না হওয়ায় আরবি ভাষার অর্থ জানে এমন লোকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ফলে আরবি ভাষায় খুৎবা দেওয়া হলে মুসল্লিরা তা থেকে কোনো কিছুই শিখতে পারেন না।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
*কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করো না, সর্বদা ওয়াদা রক্ষা করে চলো, তাহলে তোমাকে লজ্জাশীলতা ও বদান্যতার মর্যাদা দান করা হবে।
-হযরত আবুল কাদের জিলানি (রহ.)
সংকলনে: আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী
সদস্য: আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ।