যাঁকে পেয়ে ধন্য জীবন
অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া
পর্ব-১৪
সূফী সম্রাট শরিয়তের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল ছিলেন
মহান আল্লাহর প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ (সা.) ফরমান- “আশ শারীয়াতু আকওয়ালী, আততারীকাতু আফওয়ালী আল হাকীকাতু আহ্ওয়ালী, ওয়াল মারেফাতু আসরারী।” অর্থাৎ- ‘শরিয়ত আমার কথা, তরিকত আমার কাজ, হাকিকত আমার অবস্থা এবং মারেফাত আমার নিগূঢ় রহস্য’। (নূরুল আসরার ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪) এমনিভাবে আল্লাহর রাসুল (সা.) আরো এরশাদ করেন, “এলেম হলো দু’প্রকার। যথা- ১। ক্বালবি এলেম, আর এ এলেমই হচ্ছে পরম উপকারী এলেম। ২। মুখের এলেম তথা কিতাবি এলেম, আর এ এলেমই মাখলুকাতের উপর আল্লাহর দলিল।” তিরমিজি শরীফের সূত্রে তাফসীরে দুররে মানছুর ২২নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১) এক কথায় বলতে গেলে শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত, ও মারেফত এই ৪টি বিদ্যা নিয়েই পূর্ণাঙ্গ ইসলাম। এই ৪টির প্রথমটি হচ্ছে- শরিয়ত, যাকে আলেমগণ ইসলামের দলিল বলে থাকেন। আর বাকী ৩টির সমন্বয়ে যে আদর্শ, এক কথায় তাকে মারেফত বলা হয়। আমাদের সমাজে বিজ্ঞ আলেম ও পণ্ডিতগণের মতে ইসলামের ২টি ধারা প্রচলিত আছে। একটিকে বলা হয় এলমে শরিয়ত, যা ফিকাহ্ শাস্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এগুলোকে ‘মাজহাব’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। আর এর প্রবর্তনকারীগণের নামেই সেই মাজহাবগুলোর নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর প্রতিষ্ঠিত মাজহাবকে হানাফি মাজহাব বলা হয়। ইমাম শাফেয়ি (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাজহাবের নাম- শাফেয়ি মাজহাব। ইমাম মালেক (রহ.) প্রতিষ্ঠিত মাজহাবের নাম মালেকি মাজহাব এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) প্রতিষ্ঠিত মাজহাবকে হাম্বলি মাজহাব বলা হয়।
পৃথিবীতে যত মুসলমান রয়েছেন এবং যারা মাজহাবের অনুসারী, তারা এই ৪টি মাজহাবের কোনো একটির অনুসারী। তবে বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হানাফি মাজহাবের অনুসারীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। অপরদিকে মুসলমানগণ এলমে মারেফতের বিষয়ে শরিয়তের তুলনায় কম চর্চা করলেও বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৩৬০টিরও বেশি তরিকার সন্ধান পাওয়া যায়। যার মধ্যে কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নক্সবন্দিয়া, মোজাদ্দেদিয়া এবং সুলতানিয়া-মোজাদ্দেদিয়া তরিকা প্রসিদ্ধ। এই তরিকাগুলোর প্রবর্তকগণের নামে তরিকার নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- বড়ো পির হযরত আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.) কর্তৃক প্রবর্তিত তরিকার নাম কাদেরিয়া তরিকা, হযরত খাজা মইনউদ্দিন চিশতি (রহ.) প্রবর্তিত তরিকার নামে চিশতিয়া তরিকা, হযরত বাহাউদ্দিন নক্সবন্দিয়া (রহ.) প্রবর্তিত তরিকার নাম- নক্সবন্দীয়া তরিকা, হযরত শেখ আহমদ সেরহিন্দি মোজাদ্দেদ আলফেসানি (রহ.) প্রবর্তিত তরিকার নাম মোজাদ্দেদিয়া তরিকা এবং ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.) প্রবর্তিত তরিকার নাম সুলতানিয়া মোজাদ্দেদিয়া তরিকা।
উল্লেখ্য যে, শরিয়ত তথা মাজহাবের যে ৪ জন ইমাম ছিলেন, তাঁরাও তরিকার ইমামগণের ন্যায় সাধক ও অলী-আল্লাহ্ ছিলেন, তাঁরাও কোনো না কোনো অলী-আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়ে গভীর সাধনা করেছেন। যেমন- হযরত ইমাম আবু হানিফা (রহ.) তৎকালীন যুগের শ্রেষ্ঠ অলী-আল্লাহ্ হযরত ইমাম বাকের (রহ.)-এর অনুসারী ছিলেন। তিনি বলেছেন- “আমি যদি দুই বছর ইমাম বাকের (রহ.)-এর অনুসরণ না করতাম তবে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম।” ইমাম শাফেয়ি (রহ.) ছিলেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর নাতনি হযরত নাফিসা (রহ.)-এর অনুসারী। এভাবে দেখা যায়, শরিয়ত তথা মাজহাবের প্রত্যেক ইমামই কোনো না কোনো অলী-আল্লাহর অনুসরণ করে কামালিয়াত অর্জন করেছেন।
আল্লাহর মহান বন্ধু হযরত রাসুল (সা.)-এর উত্তরসূরি, মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান শিক্ষা জীবনে মাদ্রাসা থেকে উচ্চ ডিগ্রি অর্জন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রিলিজিয়াস টিচার (ধর্মীয় শিক্ষক) পদে নিয়োজিত ছিলেন। সেখানে শরিয়তের বিধি বিধান শক্তভাবে তাঁকে মেনে চলতে হতো। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর পরবর্তীতে যখন ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর দরবারে গিয়ে এলমে মারেফতের গভীর সাধনায় নিমগ্ন হলেন, তখনও তিনি শরিয়তের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তাছাড়া স্বীয় মোর্শেদের দরবারে থাকাকালীন সময়ে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ওয়াজ মাহ্ফিল করতেন। সেখানেও তিনি শরিয়তের বিধি বিধান সুষ্ঠুভাবে নিজে যেমন মেনে চলতেন, অন্যদেরকেও তা মেনে চলতে বলতেন। ওয়াজ শেষে তিনি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা দিতেন। ১৯৮৫ সালে তিনি ঢাকার অদূরে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠা করলেন। দরবার শরীফে তিনি নিজে যেমন জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতেন, একই সাথে তিনি স্বীয় ভক্ত অনুসারীদেরকে নামাজে হুজুরি বা একাগ্রতার সাথে নামাজ আদায়ের শিক্ষা দিতেন। তাঁর ৪টি শিক্ষা হচ্ছে- আত্মশুদ্ধি, দিলজিন্দা, নামাজে হুজুরি এবং আশেকে রাসুল হওয়া। তিনি স্পষ্টভাবেই বলে থাকেন, শরিয়ত বাদ দিয়ে মারেফত হাসিল করা যায় না। পক্ষান্তরে, মারেফত বিহনে শুধু শরিয়ত পালন করাও নিস্ফল। সূফী সম্রাট বলেন- শরিয়ত ও মারেফত দুটি মিলে হয় পূর্ণাঙ্গ ইসলাম।
একথাটি অত্যন্ত জোড় দিয়ে বলা যায় যে, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের আদর্শ প্রচারে যারা বাধা সৃষ্টি করেছে, তারাও সূফী সম্রাটের দরবারে শরিয়ত পালন করা হয় না বা শরিয়ত নেই, এমন কথা ঘুনাক্ষরেও বলতে পারেনি। তিনি আল্লাহ্কে দেখেছেন, এ নিয়ে শত বিরোধিতা করলেও কেউ তাঁর শরিয়ত পালন সম্পর্কে কোনো সমালোচনা করতে পারেনি। তবে একটি কথা বলতেই হয় যে, আল্লাহর বন্ধু সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান যেহেতু আল্লাহর প্রিয় বন্ধু, সেহেতু তিনিই আল্লাহ্কে দেখবেন, আল্লাহর বাণী মোবারক শুনবেন এবং তা মানুষকে শিক্ষা দিবেন, এটাই চিরন্তন সত্য কথা।
মহিলা জাকেরদের পর্দার নির্দেশনা প্রদান
মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে নর ও নারী এ দুটি জাতি সৃষ্টি করেছেন। শুধু কেবল মানবজাতিই নয়, সকল সৃষ্ট জীবের মধ্যেই এই দুটি জাতি রয়েছে। মানবজাতির আদি পিতা হলেন হযরত আদম (আ.) এবং আদি মাতা হলেন হযরত হাওয়া (আ.)।
মানবজাতির মধ্যে পুরুষ ও নারী এ দুটি সম্প্রদায়ই বৈশিষ্ট্যগতভাবে আলাদা। শারীরিক গঠন ও মানসিক অবস্থাও ভিন্নরকম। আর সেই কারণেই তাদেরকে স্ব স্ব বৈশিষ্ট্য মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে হয়। ইসলামে নারীদের পর্দা করার বিধান দেওয়া হয়েছে। পর্দা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনেও নির্দেশ রয়েছে।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলিম নারী ও পুরুষ একত্রে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে হযরত রাসুল (সা.)-এর কাছে যখন পর্দার আয়াত নাজিল হয়, তখন থেকে মুসলিম নারীরা আর প্রকাশ্যে চলাফেরা করেননি। পর্দার বিধান সম্পর্কে নানাবিধ মতভেদ রয়েছে। কারো কারো মতে- মহিলাদেরকে সমস্ত শরীর, এমনকি মুখমণ্ডল এবং দুটি চোখও সম্পূর্ণ ঢেকে রাখতে হবে। আবার অনেক বিজ্ঞ আলেম বলে থাকেন যে, মহিলাদেরকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখতে হবে, কিন্তু মুখমণ্ডল এবং দুই হাত কব্জি পর্যন্ত এবং দুই পা নীচের গিরা পর্যন্ত খুলে রাখতে হবে। দ্বিতীয় মতটিই বিজ্ঞ আলেম ও পণ্ডিতবর্গের কাছে গ্রহণীয়। যা হোক পর্দা মেনে চলার বিধান শুধু নারীদের জন্যই নয়, পুরুষদের জন্যও। কেননা, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ পুরুষদের লক্ষ্য করে বলেছেন- “হে রাসুল (সা.) মু’মিনদেরকে আপনি বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে।” (সূরা আন নূর ২৪: আয়াত ৩০) আসলে পুরুষেরা যত্রতত্র নারীদের দেখলেই তাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে, এমনটি নয়, তাদের চোখকেও পরনারী দেখা থেকে মুক্ত থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ যদিও পর্দার ব্যাপারে উদাসীন থাকে, কিন্তু অলী-আল্লাহ্গণ পর্দার ব্যাপারে খুবই কঠোর হয়ে থাকেন। কেননা হাদি শ্রেণির অলী-আল্লাহ্গণ (যিনি মানুষকে হেদায়েত করেন) সর্বদা শরিয়তের বিধানে অত্যন্ত কঠোর থাকেন।
আল্লাহর মহান বন্ধু যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) দয়াল বাবাজান পর্দার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তিনি তাঁর মোর্শেদ ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর কথা বলতে গিয়ে বলেছেন- একবার ইমাম হুজুরের দরবার শরীফের ভিতর বাড়িতে সংস্কারের কাজ চলছিল। যেহেতু ভিতর বাড়িতে মহিলারা রয়েছেন, তাই অন্য কোনো পুরুষ দিয়ে ভিতরের কাজ করানো ঠিক হবে না ভেবে, ইমাম হুজুর একটি মই হাতে নিয়ে নিজেই তা ধরে দাঁড়িয়ে রইলেন। আর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে মইয়ের উপরে উঠে কাজ সম্পন্ন করতে বললেন। ঠিক সেভাবেই পর্দা রক্ষা করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানও তাঁর দরবারে পর্দার ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতেন।
সূফী সম্রাটের সহধর্মিণী কুতুবুল আকতাব হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম দয়াল মা (রহ.) মহিলাদের পর্দার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। তাঁর কাছে পর্দা সহকারে মহিলাদের আসতে হতো। আর যারা পর্দা মেনে চলতেন, হযরত দয়াল মা (রহ.) কেবল সেই মহিলাদেরকেই তরিকা দিতেন। পর্দাবিহীন কোনো মহিলাকেই তিনি তরিকা দিতেন না, যদিও সে শিক্ষা ও সম্মানে অনেক বড়ো হতেন। ১৯৮৯ সালের ঘটনা, সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজান এবং হযরত দয়াল মা (রহ.) তখন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ (বাবে জান্নাত)-এ ছিলেন। সূফী সম্রাটের সাথে দেখা করার জন্য বহু পুরুষ লোক বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফে উপস্থিত হলেন। অন্যদিকে দয়াল মায়ের সাথে দেখা করতেও বহু সংখ্যক মহিলা উপস্থিত হলেন। ঐ মহিলাদের মধ্যে একজন মহিলা বোরখা বা কোনো রকম ওড়না জাতীয় কাপড় না পড়ে উন্নত মানের দামি শাড়ি পরিহিত অবস্থায় গাড়ি নিয়ে দরবারে শরীফে আসলেন। তিনি দয়াল মায়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে ভিতর বাড়িতে গেলেন। হযরত দয়াল মা (রহ.)-এর কাছে গেলে, তিনি ঐ মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন- আপনি কার সাথে এসেছেন? উত্তরে মহিলা বললেন- আমি একাই এসেছি। আর কাকে আনবো? একথা শুনে হযরত দয়াল মা (রহ.) বললেন- আপনি তো একজন মহিলা। একাকী এলেন কী করে? সাথে আপনার স্বামী অথবা ছেলে কাউকে নিয়ে আসতেন। মহিলাদের তো একাকী চলার নিয়ম নেই। আর এটাইতো ধর্মীয় বিধান। হযরত দয়াল মায়ের এইকথার জবাবে উক্ত মহিলা বললেন- আমিতো বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী ছিলাম। আমাকে আবার স্বামী বা ছেলেকে নিয়ে আসতে হবে? আমিতো একাই চলাফেরা করি। তখন হযরত দয়াল মা (রহ.) বললেন- ইসলামে নারীদের পর্দা করার বিধান রয়েছে। তাই আমিও মহিলাদের পর্দা মেনে চলার প্রতি জোড় দিয়ে থাকি। একথা বলার পরে হযরত দয়াল মা (রহ.) অন্য সকল মহিলাদেরকে তরিকা দিলেও সাবেক মন্ত্রী ঐ মহিলাকে তরিকা দিলেন না। যাওয়ার সময় ঐ মহিলা দয়াল মায়ের আচরণে খুশি হয়ে প্রশংসা করেছেন। আসলে অলী-আল্লাহ্গণ আল্লাহর বিধি বিধানের কথা বলতে কোনোরূপ দ্বিধা করেন না। কুতুবুল আকতাব হযরত দয়াল মা (রহ.)-এর ওফাতের পরেও মহিলাদের পর্দার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোরতা রয়েছে।
একটি কথা পাঠকদের উদ্দেশে বলে রাখা দরকার যে, এক শ্রেণির দুষ্টচক্র ১৯৯০ সালে এবং ১৯৯৯ সালে সূফী সম্রাটের বিরুদ্ধাচরণ করে নানাবিধ মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে বটে, কিন্তু কোনো সমালোচক আলেম ব্যক্তিও একথা বলতে পারেননি যে, সূফী সম্রাটের দরবারে শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজ হচ্ছে অথবা মহিলা জাকেরগণ পর্দা মেনে চলেন না। বরং অনেক আলেমকেই বলতে শোনা গেছে যে, দেওয়ানবাগী হুজুরের দরবারে অত্যন্ত শক্তভাবে শরিয়ত পালিত হয়ে থাকে। আসলে পর্দা ও জামাতে নামাজসহ শরিয়তের সকল বিধিবিধান সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দিয়ে গেছেন, যা সম্পূর্ণভাবেই পালিত হয়ে থাকে। (চলবে)
[লেখক: সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, জাতীয় আইন কলেজ, ঢাকা]