বাণী মোবারক
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
তিনি (আল্লাহ্) পবিত্র মহিমাময়, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চতুষ্পার্শ্বকে আমি বরকতময় করেছি। আমি তাকে আমার নিদর্শন দেখাবার জন্য, নিশ্চয় তিনি সবকিছু জানেন ও দেখেন। (সূরা বনি ইসরাঈল ১৭: আয়াত ১)
শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি তো ইহা অবতীর্ণ করেছি এক মুবারক রজনিতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এই রজনিতে (লাইলাতুল বরাত) প্রত্যেক হিকমতপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয় আমার তরফ থেকে আদেশক্রমে, আমিই তো রাসুল প্রেরণ করে থাকি। (সূরা আদ দুখান ৪৪: আয়াত ২-৫)
যখন তাঁর [ইব্রাহীম (আ.)] পালনকর্তা তাঁকে বললেন, আত্মসমর্পণ করো, তখন তিনি বললেন, জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করলাম। আর ইব্রাহীম (আ.) ও ইয়াকুব (আ.) এই সম্বন্ধে অছিয়ত করেছেন তাদের পুত্রদেরকে, হে পুত্রগণ! নিশ্চয় আল্লাহ্ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। (সূরা আল বাকারাহ ২: আয়াত ১৩১ ও ১৩২)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত উম্মে হানি (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) মি‘রাজ হতে এসে এরশাদ করেন, ‘‘নিশ্চয় আমি ইচ্ছা পোষণ করলাম যে, আমি বের হয়েই কোরাইশদেরকে মি‘রাজের সংবাদটি দিবো, অতঃপর আমি তাদেরকে সংবাদটি জানালাম, বর্ণনাকারী বলেন তারা এ ঘটনা শুনে রাসুল (সা.)-কে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করল।’’ (তাফসীরে দুররে মানছুর ১৫নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২৮)
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, যখন আমাকে আকাশে সায়ের করানো হচ্ছিল, তখন মহিমান্বিত আল্লাহ্ আমার নিকটবর্তী হলেন, আর এ সময় তিনি আমার এতই নিকটবর্তী হলেন যতখানি তির ধনুকের নিকটবর্তী হয়। অতঃপর তিনি আরো নিকটে এলেন। (তাফসীরে দুররে মানছুরের সূত্রে, তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৪৭৫)
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- ‘‘হে আয়েশা! অর্ধ শা‘বান (শবে বরাত) রজনির ফজিলত জান কি? তিনি আরজ করলেন- হে আল্লাহর রাসুল (সা.) এ রাতের ফজিলত কী? তিনি বলেন- এ রাতে লিপিবদ্ধ করা হয় কোন কোন আদম সন্তান এ বৎসর জন্ম নিবে আর কে কে এ বছর মৃত্যুবরণ করবে। এ রাতে বান্দার আমল আল্লাহর নিকট পেশ করা হয় এবং এ রাতেই রিজিক নাজিল করা হয়।’’ (মেশকাত শরীফ পৃষ্ঠা ১১৫)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
যে লোভে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে সে নিজেকে অবমূল্যায়ন করে, যে নিজের অভাব অনটনের কথা প্রকাশ করে সে নিজেকে অপমানিত করে, আর যার জিহ্বা আত্মাকে পরাভূত করে তার আত্মা দূষিত হয়ে পড়ে।
-হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
শবে বরাতের রজনিতে সৃষ্টিজগতের সকল মানুষের ভাগ্যলিপি এক বৎসরের জন্য নির্ধারণ করা হয়, এ বৎসরে নতুন করে কারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে, কারা মৃত্যুবরণ করবে, কাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, আর কারা হবে দুর্ভাগা, সকলই নির্ধারিত হয় বরাতের এ রাতে।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
কোনো ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করা হয় তার সর্বশেষ পদবির উপর ভিত্তি করে। হযরত রাসুল (সা.)-এর সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পদবি ছিল ‘ইমামুল মুরসালিন’ যে দুর্লভ সম্মানে মি‘রাজ রাতে তিনি অভিষিক্ত হন। আর এজন্যই মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ শরীফে কিয়ামের মধ্যে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে ‘ইয়া ইমাম’ সালামু ‘আলাইকা বলে সালাম দেওয়া হয়।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
আমি মহান প্রতিপালককে (আল্লাহ্) স্বপ্নে ৯৯ বার দর্শন করেছি, অতঃপর আমি তাঁকে আরো একবার দর্শন করলাম, একশতবার দর্শন পূর্ণ হলো।
-ইমাম আবু হানিফা (রহ.)
সংকলনে: আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী
সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ।