মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
নিশ্চয় আল্লাহ্ ও তাঁর ফেরেশতা নবির উপর দরূদ পাঠ করেন, হে মু’মিনগণ! তোমরাও তাঁর উপর দরূদ পড়ো এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করো।
(সূরা আল আহযাব ৩৩: আয়াত ৫৬)
[হে রাসুল (সা.)] নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। [হে মানুষ] যাতে তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনো এবং রাসুলকে সাহায্য করো ও সম্মান করো, সকাল ও সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করো।
(সূরা ফাত্হ ৪৮: আয়াত ৮ ও ৯)
হে মু’মিনগণ! তোমরা নবির কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চস্বরে কথা বলো তার সাথে সেইভাবে উচ্চস্বরে কথা বলিও না, কারণ এতে তোমাদের কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে তোমাদের অজ্ঞতাসারে।
(সূরা হুজুরাত ৪৯: আয়াত ২)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, “যখন বনু কুরায়জা গোত্র হযরত সা‘দ ইবনে মুয়াজ (রা.)-এর ফয়সালার উপর সম্মতি প্রকাশ করলো, তখন হযরত রাসুল (সা.) তাকে ডেকে পাঠালেন। আর হযরত সা‘দ (রা.) আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর গৃহের নিকটেই অবস্থান করছিলেন। তিনি একটি গাধার উপর সওয়ার হয়ে আসলেন, যখন তিনি মসজিদের নিকটে পৌঁছালেন, তখন হযরত রাসুল (সা.) আনসারদেরকে লক্ষ্য করে বললেন- তোমরা তোমাদের নেতার সম্মানে দাঁড়িয়ে যাও।”
(বোখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৪০৩)
হযরত আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করা, আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং তার মর্যাদার দশটি স্তর বৃদ্ধি করা হয়।” (তাফসীরে মাজহারী ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৮)
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- আল্লাহ্র রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “কিয়ামতের দিন আমার ঘনিষ্ঠতম হবে সেই ব্যক্তি, যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করা।”
(তাফসীরে মাজহারী ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৮)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
মহিমান্বিত আল্লাহর নিকট কিছু চাইতে হলে তোমরা প্রথমে রাসুল (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করো। তারপর যা যাচনা করার তা করো। কারণ পরম দয়ালু আল্লাহ্ দুটি অনুরোধের মধ্যে যেটি রাসুল (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি দরূদ ও সালাম সংলগ্নকৃত সেটি রক্ষা করেন এবং অন্য সব যাচনা বাতিল করে দেন।
-শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
মহান রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ পালনার্থে হযরত রাসুল (সা.)-এর উপর দরূদ পাঠ করো এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করা, আমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
হযরত রাসুল (সা.)-কে শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করার কাজ বসে বসে হয় না, বরং এটি দাঁড়িয়ে করতে হয়। মিলাদ শরীফ সেই কর্তব্য পালনের একটা বিশেষ সুযোগ করে দিয়ে থাকে।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
আল্লাহ্কে লাভ করার জন্য এলমে শরিয়ত ও এলমে তাসাউফ উভয়ই আবশ্যক হয়। কাজেই এলমে শরিয়ত ও এলমে তাসাউফ উভয়ই শিক্ষা করা ফরজ।
-ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী
সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।