সুশিক্ষা ও নৈতিকতা
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ব্যতীত সভ্যতার বিকাশ সম্ভব নয়। মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা বলতে সাধারণত এক প্রকার কৌশল কিংবা দক্ষতাকে বুঝায় যা মানুষ জন্মগতভাবে পায় না, এটা অর্জন করতে হয়। শিক্ষাই মানুষকে প্রাণী থেকে পৃথক করে। শিক্ষা মানব আচরণের পরিবর্তনের মাধ্যমে তার সাংস্কৃতিক বিকাশ ও মানসিক উৎকর্ষ সাধন করে। মানুষের মধ্যে Rationality আছে বলেই সে সৃষ্টির সেরা জীব। একটি পশু শাবক হিসেবে এবং পাখির ছানা পাখি হিসেবে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু একটি মানব সন্তান জন্মগ্রহণের পর তাকে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। অন্যদিকে নৈতিকতা হচ্ছে, মানবিক গুণ, যা মানুষকে পশু থেকে আলাদা করেছে। শুভ ও কল্যাণকর আচরণকে বলা হয় নৈতিক আচরণ এবং অশুভ ও অকল্যাণকর আচরণকে বলা হয়েছে অনৈতিক আচরণ।
যথার্থ শিক্ষা কেবল তত্ত্বজ্ঞানের ব্যাপার নয়, অবশ্যই এর ব্যবহারিক ও নৈতিক দিক রয়েছে। আর এই লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদানে শিক্ষকদের ভূমিকা নিঃসন্দেহে অপরিসীম। শিক্ষার্থীরা যেন সৎ মানুষ ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এটাই তাঁদের কাছে দেশ ও জাতির প্রত্যাশা। এ জন্যই বলা হয় শিক্ষক মাত্রই শিক্ষার্থীদের চলার পথের রোল মডেল। শিক্ষক মানেই মানুষ গড়ার কারিগর। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট পণ্ডিত ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৪-১৯৬৯) বলেন, শিক্ষকদের কাজ ‘মানুষ চাষ করা’, শিক্ষাদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানুষ করা। তিনি আরো বলেন, “কেবল বহুসংখ্যক লোককে অক্ষরজ্ঞানবিশিষ্ট করলেই তারা মানুষ হলো না। মানুষের মধ্যে পাশবিক স্বভাব আছে, আবার ঐশ্বরিক গুণও আছে। পাশবিক স্বভাবকে দমন করে যদি তার ঐশ্বরিক গুণকে ফুটিয়ে তোলা যায়, তবেই তাকে প্রকৃত মানুষ করা হলো।”
শিক্ষা শব্দটি সংস্কৃত ‘শাস’ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ হলো শাসন, নির্দেশ, আজ্ঞা, নিয়ন্ত্রণ, তিরস্কার, শাস্তিদান ইত্যাদি। শিক্ষার আরেকটি যথার্থ শব্দ হলো ‘বিদ্যা’, যা ‘বিদ’ ধাতু থেকে এসেছে। ‘বিদ’ বলতে ‘জানা’ অর্থাৎ জ্ঞান আহরণকে বুঝায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- “বিদ্যা আহরণে, শিক্ষা আচরণে।” কারো বিদ্যা আছে, কিন্তু তার আচরণ যদি তদনুযায়ী না হয়, তবে তাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। প্রচলিত দুটি প্রবচনে উল্লেখ করা যায় যে, ‘বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্’- বিদ্যা বিনয় দান করে। অন্যটি হচ্ছে ‘ফলভারে বৃক্ষ নুয়ে পড়ে, বিদ্বান বিনয়ে নত হয়, মূর্খ কখনো নত হয় না।’ অতএব যে শিক্ষা মানুষকে বিনয়ী ও ধার্মিক হতে শেখায় তাই প্রকৃত শিক্ষা।
শিক্ষা ল্যাটিন শব্দ Educare শব্দ থেকে উৎপত্তি। যার অর্থ bring up অর্থাৎ লালন পালন করা। এ শব্দটি Educare এর সাথে সম্পৃক্ত। যার অর্থ bring out অর্থাৎ বের করা, প্রকাশ করা, উৎপাদন (চাষ) করা ইত্যাদি। শিক্ষা শব্দের অন্য আরেকটি অর্থ হচ্ছে bring forth what is within অর্থাৎ ভিতরে যা আছে তা বের করে আনা।
প্রাচীন গ্রিসে সক্রেটিস শিক্ষা সম্পর্কে বলেছেন এভাবে যে, একজন ছাত্রের ভিতরে সুপ্ত প্রতিভাকে বের করে আনা। সুতরাং উপরোক্ত শব্দগুলো দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন ছাত্রের জ্ঞান, দক্ষতা এবং চরিত্রের উন্নয়ন সাধন করা। শিক্ষা সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন- “Education is the manifestation of the perfection already in man” অর্থাৎ শিক্ষা হলো প্রত্যেকের ভিতর যে পূর্ণতা সুপ্ত রয়েছে তারই বিকাশ সাধন করা।
প্রকৃত শিক্ষার লক্ষ্য কেবল জ্ঞান আহরণ ও বিতরণই নয়, একই সঙ্গে সত্যানুসন্ধান, সত্যার্জন তথা মহৎ মানবোচিত জীবনও বটে। শিক্ষার এক সহজ সরল চমৎকার সংজ্ঞাটি হচ্ছে- দেহ, মন ও অন্তরাত্মার যুগপৎ বিকাশই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা। ইংরেজ কবি জন মিল্টনের ভাষায় সুশিক্ষা হচ্ছে- “Harmonious development of body, mind and soul.” তাই নিজেকে উত্তম মানুষে পরিণত করতে হলে কঠোর সাধনার মাধ্যমে নিজের জীবনে সুশিক্ষার চর্চা ও অনুশীলন অত্যাবশ্যক। গান্ধীজির মতে শিক্ষা হলো সার্বিক ও সর্বজনীন বিকাশ বা বহুপাক্ষিক বিকাশ যা দেহ, মন এবং অন্তরাত্মাকে পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত করে।
মহাত্মা গান্ধী আরও বলেন, ‘সত্যে’ পৌঁছানোই জীবনের লক্ষ্য। আর ‘অহিংসা’ হচ্ছে ‘সত্যে’ পৌঁছানোর উপায়। ‘সত্য’ ও ‘অহিংসা’ পরস্পর অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। তাই আমাদের মহান কর্তব্য হচ্ছে অহিংসার পথে থাকা। সত্যের লক্ষ্যে চললে আরও গভীর সত্য বা পরম সত্যকে উপলব্ধি করা সম্ভব এবং এই ‘পরমসত্য’ হচ্ছে ‘ঈশ্বর’। গান্ধীজি মনে করেন যদিও আমরা মানুষেরা বিভিন্ন দেহ নিয়ে অবস্থান করি তবু আমরা এক পরমাত্মা থেকেই উদগত হয়েছি, যেমন সূর্যের কিরণ বহুপথে বিচ্ছুরিত হলেও তার উৎস একই। তাই তিনি বলেন, “মানব সেবাই ঈশ্বর সেবা।” তাই তার জীবনদর্শন বলে, “জ্ঞানযোগ ও কর্মযোগে আত্মোন্নয়ন ও আত্মোপলব্ধি ঘটিয়ে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারলে প্রকৃত সত্যে পৌঁছানো এবং ঈশ্বরের উপলব্ধি করা সম্ভব।” [প্রদীপ রঞ্জন রায়, শিক্ষার দর্শন ও সমাজতত্ত্বগত ভিত্তি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ কলকাতা. ২০১৩, পৃ. ৬৫।]
শিশুকাল থেকে একটি বিষয়ে বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে, লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। কিন্তু বাস্তব উপলব্ধির মাধ্যমে বুঝতে পারলাম সেই ধারণা ঠিক নয়। কারণ বাড়ি গাড়ি ও অর্থ উপার্জন করাই জীবনের সঠিক লক্ষ্য নয়। নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে সমাজে শান্তি বিনষ্ট করে অর্থ লাভ মূখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না। লক্ষ্য হচ্ছে জীবনকে সার্থকভাবে গড়ে তোলা। নিজের দেহ মন ও অন্তরাত্মাকে পরিশুদ্ধ করে মহান প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করা।
প্রকৃত শিক্ষা সম্পর্কে জনৈক দার্শনিক বলেন- ‘‘প্রকৃত শিক্ষা কেবল কিছু নতুন ধ্যান-ধারণা অর্জন কিংবা কতগুলো গুরুগম্ভীর তত্ত্ব রোমন্থনকে বোঝায় না, বোঝায় এমন এক মনস্তাত্ত্বিক-নৈতিক রূপান্তরকে যার সাহায্যে শিক্ষার্থীর দেহ-মনে সামঞ্জস্য সৃষ্টি হয়, তার সমগ্র ব্যক্তিত্ব ও চরিত্রে এক সর্বাত্মক ঐক্য ও সংহতি গড়ে ওঠে। আধুনিক ও সাম্প্রতিককালের শিক্ষা দার্শনিকদের মতে, দেহ-মনের এই ভারসাম্য না ঘটলে, ব্যক্তির চরিতমানসে পূর্বাপর এ ধরনের সংহতি ও সামঞ্জস্য সৃষ্টি করা না গেলে শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ হয় না, উচ্চ শিক্ষার সনদপ্রাপ্ত অসাধারণ মেধাবী ব্যক্তিটিও সজ্জন হতে পারে না। এজন্যই যথার্থ শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া চাই যেখানে এক দিকে মেধা-মস্তিষ্কের অন্য দিকে অন্তরাত্মার, এক দিকে বিবেক বুদ্ধির অন্য দিকে আবেগ-অনুভূতি ও হৃদয়বৃত্তির (দয়া মায়া প্রেম প্রভৃতি) বিকাশ ঘটবে। পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হবে এমন যেখানে শিক্ষার্থী মাত্রই এক দিকে হবে বিদ্বান এবং অন্য দিকে হবে হৃদয়বান মানুষ। যে শিক্ষা কার্যক্রমে কেবল দৈহিক ও জৈবিক চাহিদা মেটাবার ব্যবস্থা আছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিকাশের সুযোগ আছে, কিন্তু দয়া মায়া প্রেম সহানুভূতি প্রভৃতি মানবিক মূল্যবোধের স্বীকৃতি নেই, সেই শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা নয়। দেহের কিছু কিছু অঙ্গ স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যান্য অঙ্গে ত্রুটি থাকলে পুরো মানুষটিকে যেমন সুস্থ বলা চলে না, ঠিক তেমনি জ্ঞানার্জনের ফলে যদি শিক্ষার্থীর কেবল বুদ্ধিমত্তা প্রখর হয়, কিন্তু তার মনে মানবিক মূল্যবোধের উন্মেষ না ঘটে, তাহলে এই শিক্ষার্থীকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত বলা চলে না। প্রকৃত ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা মানে মানুষকে সুস্থ, সৎ ভালো মানুষ করার প্রয়াস ও উপায়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, অথচ শিক্ষার্থী মানুষ হচ্ছে না , সজ্জন হচ্ছে না- এটা আর যাই হোক প্রকৃত শিক্ষা নয়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অতীতের তুলনায় অনেক বেশি লোক শিক্ষার সনদ পাচ্ছেন, কিন্তু সেই তুলনায় প্রকৃত মানুষ হওয়ার সুযোগ তারা পাচ্ছেন কতটুকু, তা আজ নতুন করে ভেবে দেখার সময় এসেছে। মনুষ্যত্বের মর্যাদা এবং শান্তিপূর্ণ জীবনের পূর্বশর্ত হিসেবে শিক্ষার মাধ্যমে মহৎপ্রাণ মানুষ তৈরির এ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে গিয়েই তো কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মিনতি।
অন্তর মম বিকশিত কর অন্তরতর হে!
নির্মল কর, উজ্জ¦ল কর, সুন্দর কর হে!
বলাবাহুল্য, এ ধরনের এক নৈতিক ও মানবিক সঙ্কটেই আজ হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশসহ সমগ্র পৃথিবী। কোথাও দারিদ্র্য-বঞ্চনার কশাঘাত, কোথাও বস্ত্র-সম্পদের ছড়াছড়ি, কোথাও আবার শক্তিমদমত্ততা- এসবের মাঝখানে হাবুডুবু খাচ্ছে হালের অসহায় মানুষ। এ অবসরে পৃথিবীর বুক থেকে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে দয়া-মায়া, প্রেম-প্রীতি, সহানুভূতিসহ সব সুকুমার বৃত্তি ও মহৎ মানবিক গুণ। নৈতিক ও নান্দনিক গুণাবলির চেয়ে আজ যেন অধিকতর শক্তিশালী হয়ে উঠেছে হীন জন্তর বৃত্তিগুলো। ফলে সর্বত্র দেখা দিয়েছে এক সর্বাত্মক অস্বস্তি ও অস্থিরতা। সত্যিই মানবতা যেন আজ আটকা পড়ে আছে এক অন্ধগতিতে, পৃথিবীসুদ্ধ মানুষ জিম্মি হয়ে আজ এক হৃদয়হীন পাশবিক-দানবিক শক্তির হাতে।
সত্যিকারের মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে হলে প্রথমেই প্রয়োজন হৃদয়ের পরিশুদ্ধিতা। মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নিজেকে (হৃদয়কে) পরিশুদ্ধ করলো, সে সফলকাম, আর যে ব্যক্তি নিজেকে (হৃদয়কে) কলুষিত করলো সে ধ্বংস হয়ে গেল।” (সূরা শামস ৯১: আয়াত ৯ ও ১০)
হযরত হাসান (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “এলেম (জ্ঞান) হলো দুই প্রকার। যথা- ১। ক্বালবি এলেম, আর এ এলেমই হচ্ছে পরম উপকারী এলেম, ২। মুখের এলেম তথা কিতাবী এলেম; আর এই এলেমই মাখলুকাতের উপর আল্লাহর দলিল।” (তিরমিযী ও মুসতাদরাকে হাকেমের সূত্রে তাফসীরে দুররে মানছুর ২২নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ২১)
শরিয়ত ও মারেফাত উভয় বিদ্যায় বিদ্বান মহাপুরুষ বা সাধকদের সাহচর্যে গিয়ে শরিয়ত ও মারেফাত চর্চার মাধ্যমেই মানুষ নিজেকে চরিত্র সংশোধন করত, ধর্মের প্রকৃত স্বাদ উপলব্ধি করতে পারে। তখন সেই ব্যক্তিটি প্রকৃত শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিকতা অর্জন করতে সক্ষম হয়। মহামানবগণের সংস্পর্শে গেলে একজন মানুষ নিজের কলুষিত আত্মাকে পরিশুদ্ধ করত সঠিক শিক্ষা লাভের মাধ্যমে আদর্শ চরিত্রবান মানুষে পরিণত হতে পারে। আর এ সকল শান্তির চরিত্র ধারণকারী লোকের মাধ্যমেই সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
যুগের শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক শিক্ষক ও সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদাকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের সংস্পর্শে এসে লক্ষ লক্ষ মানুষ ইসলামের সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করত আদর্শ চরিত্রবান তথা শান্তির চরিত্র লাভ করেছেন। সমাজে সৃষ্টি হয়েছে সুশিক্ষা, নৈতিকতা ও মানবতাবোধসম্পন্ন মানুষ। শুধু তাই নয়, তাঁর সহবতে এসে সাধারণ পাপিতাপি মানুষ স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি অগাধ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং আল্লাহ্ ও রাসুলের প্রেমিকে পরিণত হয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদের তৌফিক দান করেন যেন আমরা সঠিক শিক্ষা ও নৈতিকতা গ্রহণ করে আদর্শ মানুষে পরিণত হতে পারি।
তথ্যসূত্র
১। অধ্যাপক আবু জাফর মো. সালেহ, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও নৈতিক উন্নয়ন, নিবন্ধমালা ও বক্তৃতামালা ২০১১-২০২০, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৩৯৯-৪০০
২। অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, ঋগ্বেদে নৈতিকতা, নিবন্ধমালা ও বক্তৃতামালা ২০১১-২০২০, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ১৫৫
৩। অধ্যাপক মো. নূরুজ্জামান, শিক্ষা, শিক্ষা-প্রযুক্তি ও নৈতিকতা, নিবন্ধমালা ও বক্তৃতামালা ২০১১-২০২০, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ৩৭৯
৪। Gandhi M.K., Educational Reconstruction, Vora and Co., Publishers Limited, Bombay, 1938, p. 2
৫। দর্শন ও প্রগতি, ৩৫ ও ৩৬শ বর্ষ, ১ম ও ২য় সংখ্যা, জানুয়ারি-জুন, জুলাই-ডিসেম্বর, ২০১৮, ২০১৯ গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃ. ৩৮
৬। প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম, ‘সুশিক্ষা, নৈতিকতা ও মহৎজীবন’, বিশ্ব দর্শন দিবস বিশেষ সংকলন, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পৃষ্ঠা ১৫৫
৭। প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৫৬
৮। সূফী সম্রাট স্মরণিকা ২০১৫, সৈয়দ মেহেদী হাসান, শিক্ষা ও নৈতিকতা, পৃষ্ঠা ৯৫-৯৬
৯। প্রবোধন, ২য় বর্ষ, ১ম সংখ্যা, এপ্রিল-জুন ২০১৭, ধীরেন্দ্র নাথ সরদার, ধর্মে সমন্বয় ও শান্তি, রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত, পৃষ্ঠা ২৬-২৭
১০। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী, শান্তি কোন পথে?, আল কুরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ, ১৪৭ আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০, পৃষ্ঠা ১৯-২০
]লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক]