দিল জিন্দা: সূফী সম্রাটের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা
ড. পিয়ার মোহাম্মদ
মানব দেহে একটি মাংসের টুকরা আছে, যার নাম ক্বালব তথা দিল বা অন্তর। জীবাত্মা ও পরমাত্মা নিয়ে আত্মা গঠিত হয়। জীবাত্মার মধ্যে রয়েছে পশুর আত্মা, হিংস্র পশুর আত্মা এবং শয়তানের আত্মা। পরমাত্মার অন্তর্ভুক্ত মানবাত্মা এবং ফেরেশতার আত্মা। জীবাত্মা সর্বদা মানুষকে খারাপ পথে পরিচালিত হওয়ার ইন্ধন যোগায়। পক্ষান্তরে, পরমাত্মা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে এবং আল্লাহ্র পথে ধাবিত হওয়ার আহ্বান জানায়। দিল বা অন্তর মানুষকে যেদিকে পরিচালিত করে মানুষ সেদিকে চলে বা সে কাজ করে। আর মানুষের কাজের দ্বারাই নির্ধারিত হয় তার ইহকাল ও পরকালের সফলতা বা ব্যর্থতা। সেই কারণে দিল বা অন্তর মানব জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষ দুনিয়ার মোহে পড়ে খারাপ কাজে লিপ্ত হলে তার আত্মা আল্লাহ্র স্মরণ থেকে দূরে সরে যায়। তখন সে খারাপ কাজে আনন্দ পায় এবং সেজন্য তার জীবাত্মা শক্তিশালী হতে থাকে। জীবাত্মা পরমাত্মার উপর প্রভাব বিস্তার করে। ফলে পরমাত্মা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে থাকে। এক পর্যায়ে পরমাত্মা নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ নিস্তেজ আত্মার পরিচর্যা করে অর্থাৎ ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করে ফায়েজ হাসিলের মাধ্যমে পরমাত্মাকে সজীব ও সতেজ করে তোলাকেই বলা হয় দিল জিন্দা। এভাবে নিস্তেজ পরমাত্মাকে জিন্দা করতে পারলে ক্বালবে আবার আল্লাহ্র রাজত্ব কায়েম হয়। আর না পারলে হৃদয়ে শয়তানের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকে এবং মানব জীবন বিফল হয়ে যায়। সেজন্য আমাদের ভিতরের পশুত্বকে দমন করে মানুষের চরিত্র অর্জনের জন্য ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করা তথা দিল জিন্দা করা প্রত্যেক মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) জীবনভর আশেকে রাসুলদের ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করে দিল জিন্দা করার সেই মহান শিক্ষা দিয়েছেন।
ক্বালবে জীবাত্মা ও পরমাত্মার উপস্থিতির কারণে মানুষের মধ্যে যেমন রয়েছে পশুর চরিত্র, তেমনি রয়েছে মানবিক গুণাবলি। জাহেরি সুরতে সবাই মানুষ হলেও কর্মের কারণে বাতেনি সুরতে অনেকেই মানুষ নয়। প্রকৃত মানুষ হতে হলে বাতেনি সুরতেও মানুষকে মানুষ হতে হবে। জীবনের উপর পশুর আত্মার প্রাধান্য থাকলে তা সম্ভব হয় না। জীবন যেন পরমাত্মা আর জীবাত্মার যুদ্ধের ফসল। যার জীবনে জীবাত্মা জয়ী হয়, সে মানব চরিত্র ধারণ করতে পারে না। আর যার ক্ষেত্রে জীবাত্মা পরাজিত হয়ে পরমাত্মা জয়লাভ করে, সে প্রকৃত মানুষে পরিণত হয়। মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে জীবাত্মাকে সাধনার মাধ্যমে পরাজিত করে মানুষ বানাতে হয়। সেজন্য ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করার মাধ্যমে দিল জিন্দা করে নিজের খারাপি অর্থাৎ পশু প্রবৃত্তি দূর করতে হয়। মানুষের মুক্তি, শান্তি ও কল্যাণের পূর্বশর্ত ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি বা দিল জিন্দা করা। দিল জিন্দার মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃতপক্ষে জীব চরিত্রের ঊর্ধ্বে উঠে আল্লাহ্র প্রতিনিধির চরিত্র অর্জন করতে পারে। সেজন্য সূফী সম্রাট হযরত দয়াল বাবা কেব্লাজান বিশ্ববাসীকে দিল জিন্দার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি ছিলেন দিল জিন্দা করার শিক্ষাদাতা তথা একজন উচ্চমার্গের মহান অলী-আল্লাহ্।
হযরত আবু মুসা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহ্র রাসুল (সা.) এরশাদ করেন “যে ব্যক্তি আপন প্রতিপালকের জ্বিকির করে, আর যে ব্যক্তি আপন প্রতিপালকের জ্বিকির করে না, এ উভয় শ্রেণির উদাহরণ জীবিত ও মৃতের ন্যায়।” (বুখারী ও মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, ১৯৬ পৃষ্ঠা) যার দিল জিন্দা নয় অর্থাৎ ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি নেই, সেই ব্যক্তি বিপথগামী। মহান আল্লাহ্ বলেন “দুর্ভোগ সে কঠিন হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য, যাদের ক্বালব আল্লাহ্র জ্বিকির থেকে গাফেল। আর তারাই রয়েছে সুস্পষ্ট গোমরাহিতে।” (সুরা যুমার ৩৯: আয়াত ২২) মহান রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ পালন করে মানুষ যেন সব সময় ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি রেখে অজ্ঞান অবস্থায়ও ইমানের সাথে মৃত্যুবরণ করতে পারে, সেজন্য সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) মানুষকে সার্বক্ষণিক ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করে দিল জিন্দা রাখার শিক্ষা দিয়েছেন।
ক্বালব বা দিল জিন্দা থাকলে সেখানে সার্বক্ষণিক আল্লাহ্র জ্বিকির হতে থাকে, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্কে স্মরণ এবং নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় করা যায়। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “সুতরাং তোমরা আমাকেই স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হয়ো না।’ (সূরা বাকারাহ ২: আয়াত ১৫২) আরো এরশাদ হয়েছে, “তোমার প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও ভীতিবিহ্বল চিত্তে অনুচ্চস্বরে প্রত্যুষে ও সন্ধ্যায় স্মরণ করবে এবং তুমি উদাসীন হবে না।” (সূরা আ‘রাফ ৭: আয়াত ২০৫) জ্বিকির ছাড়া দিলকে জীবিত রাখা বা অন্তরকে প্রাণবন্ত রাখার আর কোনো উপায় নেই। সেজন্য সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) মানুষকে ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারির শিক্ষা দিয়ে ইমানের পথে চলার ব্যবস্থা করেছেন।
দিল জিন্দা করতে সাধনার পাশাপাশি প্রয়োজন হয় চরিত্রের সংশোধন বা আত্মশুদ্ধি। ক্বালবে প্রতিনিয়ত আল্লাহ্র জ্বিকির এবং আত্মশুদ্ধি চলতে থাকলে মানুষ ধীরে ধীরে গিবত, চোগলখুরি, মিথ্যাচারিতা, কটুক্তি, মন্দ কাজ এসব থেকে বিরত হতে থাকে। তার ইন্দ্রিয়কে দমন, কামনা ও আকাক্সক্ষাকে খর্ব করতে পারে। ষড়রিপুকে দমন করে চলতে পারে। এভাবে আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি ক্বালবে জ্বিকিরের পরিধি বাড়তে থাকলে ক্বালবের সুদুরের মোকামের শয়তান তিরের বেগে ছুটে পালাতে থাকে। যে শয়তান ক্বালবে বসে মানুষকে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভে বাধা দিতো, তারা পালিয়ে গেলে আর বাধা দেওয়ার কেউ থাকে না। তখন পরমাত্মা সতেজ বা বিকশিত হয়ে উঠে। জিন্দা ক্বালবে জ্বিকিরের মাধ্যমে আল্লাহ শব্দটি প্রতিফলিত হয়ে সমস্ত দেহে-রক্তে সঞ্চালিত হয় এবং দেহকেও রাখে সক্রিয়। যে কারণে দিল জিন্দা হলে অন্তর পরিতৃপ্ত ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) সেজন্য আত্মশুদ্ধি ও মোরাকাবার মাধ্যমে ক্বালবকে সারাক্ষণ জিন্দা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
আল্লাহ্ নিজে পবিত্র এবং পবিত্র ব্যতীত কোনো কিছুই কবুল করেন না। সেজন্য দেহের পবিত্রতার পাশাপাশি জ্বিকিরের মাধ্যমে দিলকে জিন্দা ও পবিত্র করে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইবাদত করলেই সে ইবাদত কবুল হতে পারে। মহান আল্লাহ্ বলেন, “কখনোই নয়, বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরিচা ধরিয়েছে।” (সূরা মুতাফফিফিন ৮৩: আয়াত ১৪) মানুষকেই এ মরিচা দূরীভুত করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির চালু করা বা দিল জিন্দা করা। দিল জিন্দা না হলে কোনো প্রকার আমলই মহান আল্লাহ্র দরবারে পৌঁছায় না। হযরত রাসুল (সা.) জ্বিকির জারির মাধ্যমে দিলকে জিন্দা করে মানুষের যাবতীয় দোষত্রুটি সংশোধন করে দিতেন। তাঁরই অনুসরণে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) তাঁর জীবদ্দশায় লাখো লাখো মুরিদের ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারির মাধ্যমে দিল জিন্দা করে দোষ ত্রুটি সংশোধন করেছেন।
মহান আল্লাহ্ মু’মিনের ক্বালবের সপ্তম স্তর নাফসির মোকামে রয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেন-“ওয়াফি আনফুসিকুম আফালা তুবসিরুন।” অর্থাৎ- আমি তোমাদের (ক্বালবের সপ্তম স্তর) নাফসির মোকামে বিরাজ করি। তবুও কি তোমরা দেখ না? (সূরা যারিয়াত ৫১: আয়াত ২১) আরো বলা হয়েছে, আমি তার (মানুষের) ঘাড়ের রগের চেয়েও নিকটে। (সূরা ক্বাফ ৫০: আয়াত ১৬) হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ পাক ফরমান- “আমার বান্দা নফল ইবাদত দ্বারা আমার এত বেশি নিকটবর্তী হয়ে যায় যে, আমি তাকে ভালোবাসতে বাসতে তার কর্ণ হয়ে যাই, যে কর্ণ দ্বারা সে শোনে; চক্ষু হয়ে যাই, যে চক্ষু দ্বারা সে দেখে; হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে ধরে; পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে হাঁটে। এরূপ ব্যক্তি যখন কোনো বিষযে প্রার্থনা করে, তখনই তা দান করে থাকি এবং যখন কোনো বিষয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তখনই আশ্রয় দিয়ে থাকি।” (বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯৬৩)। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেন, “যারা মু’মিন আল্লাহ্ তাদের অভিভাবক।” (সুরা বাকারাহ ২: আয়াত ২৫৭) সেজন্য সূফী সম্রাট দয়াল বাবা কেব্লাজান ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করে দিল জিন্দার মাধ্যমে মানুষের ভিতরের মহান রাব্বুল আলামিনের সে অভিভাবকত্ব জাগিয়ে তুলতে যুগ শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের ভুমিকা পালন করেছেন।
দিল জিন্দা করার জন্য আল্লাহ্ওয়ালাদের সহবত প্রয়োজন হয়। আল্লাহ্ওয়ালাদের সহবত গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেন, “হে ইমানদানগণ তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গ লাভ করো।” (সূরা তওবা ৯: আয়াত ১১৯) পবিত্র কুরআনে আরও এরশাদ হয়েছে, “হে বিশ্বাসী বান্দারা তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং আল্লাহ্কে পাওয়ার জন্য অসিলা অন্বেষণ করো।” (সূরা মায়েদা ৫: আয়াত ৩৫) আরো বলা হয়েছে- “আর রাহমানু ফাসআল বিহি খাবিরা।” অর্থাৎ- তিনি রহমান (পরম দয়াময় আল্লাহ্) তাঁর সম্বন্ধে যে খবর রাখে তাকে জিজ্ঞেস করো। (সূরা ফুরকান ২৫: আয়াত ৫৯) বন্ধুর পরিচয় যেমন বন্ধু জানেন, অনুরূপভাবে আল্লাহ্র পরিচয় জানেন অলী-আল্লাহ্ বা আল্লাহ্র বন্ধুগণ। মহান আল্লাহ্ আরো বলেন, “যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে।” (সুরা লুকমান ৩১: আয়াত ১৫) একজন মোকাম্মেল মোর্শেদ যখন তাঁর মুরিদের ক্বালবে প্রজ্বলিত নুর প্রবেশ করিয়ে দেন, তখন মুরিদের আত্মার কুরিপুসমুহ দমন হতে থাকে। ফলে উক্ত নুরের জ্যোতিতে মুরিদের অন্ধকার হৃদয় আলোকিত হয়ে দিল জিন্দা হয়। মোর্শেদের সাহচর্য ছাড়া দিল জিন্দার কোনো উপায় নেই। সূফী সম্রাট দয়াল বাবা কেব্লাজান বেলায়েতের যুগের এমনই একজন দিল জিন্দার করার শিক্ষাদাতা একজন শ্রেষ্ঠ মোর্শেদ।
নফস এমন একটি সুক্ষ্ম বস্তু, যা কেবল পার্থিব ভোগবিলাস ও মায়া মোহের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করে। উদ্বুদ্ধ করে গুনাহ, পাপাচার ও আল্লাহ্ বিমুখতার প্রতি। সেজন্য মানুষের মন সব সময় মন্দ কাজের প্রতি ধাবিত হয়। জাগতিক সুখ শান্তির ধোঁকায় পড়ে মানুষ পরকালীন জীবনের অসীম ও অনন্ত সুখকে ইহকালেই ধুলোয় মিশিয়ে দেয়। খালি হাতে প্রভুর দিকে ধাবিত হয়। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “আর আমি নিজেকে নির্দোষও বলি না। কেননা মানুষের মন তো মন্দ কাজেরই প্ররোচনা দিয়ে থাকে, তবে সে নয়- যার প্রতি আমার রব দয়া করেন। নিশ্চয় আমার রব পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা ইউসুফ ১২: আয়াত ৫৩) মানুষ পাপাচারের মাধ্যমে দুর্বল হওয়া দিল বা আত্মাকে জিন্দা করার মাধ্যমেই সবল করতে পারে। সেজন্য দিল জিন্দার সাধনা করা জরুরি। মানুষ যত অপরাধীই হোক না কেন অলী-আল্লাহ্র সাহচর্যে এসে প্রাপ্ত তাওয়াজ্জোহর মাধ্যমে ধীরে ধীরে শুদ্ধ হয়ে যেতে থাকে। চরিত্রহীন মানুষ চরিত্রবানে পরিণত হয়। সূফী সম্রাট দয়াল বাবা কেব্লাজানের কদম মোবারকে এসে লক্ষ লক্ষ পাপিতাপী মানুষ আত্মশুদ্ধি ও দিল জিন্দার সাধনায় সফল হয়েছেন।
দিল জিন্দা ছাড়া আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ করা যায় না। আর এ যোগাযোগ করা না গেলে মানুষ আত্মিক জগত সম্পর্কে অন্ধ থেকে যায়। এজন্য পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “যে ইহলোকে অন্ধ, সে পরলোকেও অন্ধ এবং আরো বেশি পথভ্রষ্ট।” (সূরা বনি ইসরাইল ১৭: আয়াত ৭২) এ অন্ধত্ব থেকে উত্তরণের জন্য দিল জিন্দা করা প্রয়োজন।
পরিশেষে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রার্থনা জানাই, ওগো দয়াল মাওলা! দয়া করে আমাদের ক্ষমা করে দিন। আপনার প্রিয় বন্ধু আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের অসিলায় আমাদের সেই তৌফিক দিন, আমরা যেন নেতিবাচক কাজ থেকে বিরত থেকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি রেখে দিলকে জিন্দা ও সতেজ করতে পারি।
[লেখক: অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।]