পুণ্য বাণী
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
কসম সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি তো এটি নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে (শবে বরাত) স্থিরকৃত হয় প্রত্যেক হিকমতপূর্ণ বিষয় আদেশক্রমে আমার তরফ থেকে। আমিই তো রাসুল প্রেরণ করে থাকি- আপনার রবের তরফ থেকে রহমতস্বরূপ। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু জানেন।
(সূরা দুখান ৪৪: আয়াত ২-৬ পর্যন্ত)
হে ইমানদারগণ! তোমরা সাহায্য প্রার্থনা করো ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে। নিশ্চয় আল্লাহ্ রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে।
(সূরা আল বাকারাহ ২: আয়াত ১৫৩)
জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহর বন্ধুগণের কোনো ভয় নাই। আর তারা দুঃখিতও হবে না।
(সূরা ইউনুস ১০: আয়াত ৬২)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, “তিনি বলেন আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি- তিনি এরশাদ করেন- আল্লাহ্ তায়ালা চারটি রাত্রে সর্বপ্রকার কল্যাণের দরজা খুলে দেন। (১) ঈদুল আজহার রাত, (২) ঈদুল ফিতরের রাত, (৩) অর্ধ শা‘বান (শবে বরাতের রজনি) এ রাতে হায়াত, রিজিক লিপিবদ্ধ করা হয় এবং হাজিদের তালিকা তৈরি করা হয় এবং (৪) আরাফাতের রাত ফজরের আজান পর্যন্ত।”
(তাফসীরে দুররে মানসুর ২৫নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০২)
হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- “আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে অর্ধ শাবানের (শবে বরাতের) রজনিতে ১৪ রাকাত নামাজ আদায় করতে দেখেছি।”
(তাফসীরে দুররে মানছুর ২৫নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৪)
আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালা অর্ধ শাবান (শবে বরাত) রজনিতে নিজেকে প্রকাশ করেন। অতঃপর মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সকল সৃষ্টিকে ক্ষমা করে দেন।”
(মেশকাত শরীফ ১১৫ পৃষ্ঠা)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
এ পৃথিবী থাকার জন্য যাত্রা পথের বিশ্রামস্থল, এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক হলো যারা কামনা বাসনার দাস হয়ে ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে, আর হলো যারা কামনা বাসনাকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়েছে।
-শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু
শবে বরাতের রজনিতে সৃষ্টিজগতের সকল মানুষের ভাগ্যলিপি এক বৎসরের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এ বৎসরে নতুন কারা কারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে, কারা মৃত্যুবরণ করবে, কাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, আর কারা হবে দুর্ভাগা, সকলই নির্ধারিত হয় বরাতের এ রাতে।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
শবে বরাতের রাতে মহান রাব্বুল আলামিন বান্দার প্রতি রহমত ও দয়ার দৃষ্টি প্রদান করে অসংখ্য মানুষকে ক্ষমা করে দেন।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
কামেল অলী-আল্লাহ্গণ হযরত রাসুল (সা.)-এর ওয়ারিশ। তাঁদের অনুসরণ করলেই হযরত রাসুল (সা.)-এর সঠিক পথের অনুসরণ করা হবে।
-ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী, সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।