হে পুষ্পিত মহাসুন্দর
আশেকা রাসুল কামরুন নাহার নূর
হে অনিন্দ্য, হে পুষ্পিত, হে দ্যুতিময়
হে মহাসুন্দর!
হে প্রিয়জন! তোমার তরে আকুল
এই অন্তর।
হে দয়াল রাসুল ভালোবাসি তোমায়
প্রাণ ভরে,
তোমার ভালোবাসার মহিমায় ফুলেল
জীবন গড়ে।
শিশুকাল থেকেই তুমি ছিলে
প্রস্ফুটিত ফুল,
তব আগমনে মহা আনন্দে
হৃদয় ব্যাকুল।
মাটির মূর্তি ধরাশায়ী, নিভে গেল
ধ্বংসের আগুন,
মরুর বুকে ফুটলো সুবাসিত ফুল
বসন্ত ফাগুন।
তুমি জগতের মাঝে প্রকাশ করলে
প্রভুর পরিচয়,
তোমার আলোয় জগৎ আলোকিত
তুমি মহাবিস্ময়।
অজ্ঞতার যুগে তুমি আলোকবর্তিকা
তুমি পথদিশা,
তুমি ঘুচিয়ে দিলে এই বিশ্ববাসীর
চির হতাশা।
তুমি এলে এই ধরায় সর্বহারা পেল
যে মান্য,
নারী সম্মান দেওয়া শেখালে তুমি
নারী ধন্য।
দাস-দাসীদের সাথে ব্যবহার কেমন
করা চাই,
হাতে কলমে শিখিয়ে দিলে সবকিছু
তুমি তাই।
ভেঙে দিলে তুমি উঁচু নিচু বৈষম্যের
মিথ্যা অহংকার,
জাতপাত আর সাদা-কালোর
সকল সমাচার।
মানবতার মহান শিক্ষক তুমি
নবি-রাসুলগণের নেতা,
অস্ত্র না তো আচার বলে আনলে
তুমি ফাতাহ।
তোমার দীপ্ত রোশনাই শুধু নয়
মক্কা-মদীনায়,
সেই রশ্মি ছড়িয়ে গেলো পুরো
ধরার আঙিনায়।
কুল কায়েনাতে আঁধার ছিল
জাহেলিয়াতের কালো,
তুমি আনলে ঐশী মশাল
প্রজ্বলিত আলো।
নভোমণ্ডল-ভূমণ্ডল সেই জ্যোতির
আলোকচ্ছটায় দীপ্যমান,
সেই আলোতে উদ্ভাসিত প্রেমিকের
ভালোবাসার আখ্যান।
তোমার জন্য সদাতৃষিত
আশেকের অন্দর,
হে অনিন্দ্য, হে পুষ্পিত, হে দ্যুতিময়
হে মহাসুন্দর!
[কবি : বিকম ১ম বষের্র ছাত্রী]