বিশ্বময় আশেকে রাসুলদের পুনর্জাগরণে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের ভূমিকা – ড. জাহাঙ্গীর আলম
ভারত উপমহাদেশে কোনো নবি-রাসুল আসেননি। এই উপমহাদেশে পথভোলা মানুষকে হিদায়েত ও শান্তি এবং কল্যাণের পথে যারা আহ্বান করেছেন তাদেরকে অলী-আল্লাহ্ বলে। মহামানবগণ ধর্মকে যুগোপযোগী সজীব ও সতেজ করে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচার করেন। একজন মানুষকে আল্লাহ্র নৈকট্য ও হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভের পথ দেখান। মহামানবগণ পরশপাথর তুল্য। তাঁদের সুমহান শিক্ষা অর্জন করে পাপী-তাপী মানুষ মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করতে সক্ষম হয়। প্রত্যেকের ধর্ম এক ও অভিন্ন, কিন্তু প্রচার-প্রচারণা ভিন্ন। প্রত্যেক মহামানবের ধর্ম প্রচারে তাঁর নিজস্ব দর্শন রয়েছে।
পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- “প্রত্যেক প্রাণির মৃত্যুর স্বাদ প্রহণ করতে হবে।” (সূলা আলে ইমরান ৩: আয়াত ১৮৫) পৃথিবীতে যত নবি-রাসুল, অলী-আল্লাহ্, যাঁরা এই ধূলির ধরায় আগমন করেছেন নির্দিষ্ট সময় শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্য লাভ করে মহামিলনে গিয়েছেন। আমরা কেউই এই বিধানের ঊর্ধ্বে নই। মহামানবগণের শুভ জন্মদিন ও ওফাত দিবস সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণের। অলী-আল্লাহ্গণের শুভ জন্মদিন অথবা ওফাত দিবস স্মরণে তাঁর ভক্ত মুরিদ ও আশেকেরা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। মোর্শেদ তথা পথপ্রদর্শকের একান্ত আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ এই সকল অনুষ্ঠান।
সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের মোর্শেদ ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ চন্দ্রপুরী (রহ.)-এর দরবারে ওরশ শরীফের অনুষ্ঠান পালন করেছেন, যা ছিল তাঁর মোর্শেদ খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রহ.)-এর ওফাত দিবস স্মরণে। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানও তাঁর মোর্শেদের ওফাত দিবস স্মরণে ঢাকার আরামবাগে আশেকে রাসুল শফিউদ্দীন সাহেবের রতন মেটাল ভবনের ছাদে ১৯৮৫ সালে প্রথম ওরশ শরীফের আয়োজন করেন এবং তিনটি ওরশ শরীফ নারায়ণগঞ্জের বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান তাঁর মহান মোর্শেদ ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর ওফাত দিবসের পরিবর্তে শুভ জন্মদিন স্মরণে ‘বিশ্ব সূফী সম্মেলন’-এর আয়োজন করেন।
অলী-আল্লাহ্গণ অমর। এ প্রসঙ্গে হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “আল্লাহ্র অলীগণ মৃত্যুবরণ করেন না, বরং তাঁরা একঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত হন মাত্র।” (তাফসীরে কাবীর ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৮১) যেহেতু অলী-আল্লাহ্গণ অমর সেহেতু তাঁদের শুভ জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে পাপী-তাপী মানুষ অশেষ ফায়েজ, বরকত ও রহমত লাভ করতে সক্ষম হয়।
সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান মোহাম্মদী ইসলামের হারিয়ে যাওয়া মূলমন্ত্র এলমে তাসাউফ প্রচারে ব্রত হন। ১৯৮৯ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফে আয়োজন করেন বিশ্বের বুকে সর্বপ্রথম ‘বিশ্ব সূফী সম্মেলন’। ‘সুফি’ শব্দটি এসেছে ‘সাফা’ ধাতু থেকে। হযরত রাসুল (সা.)-এর দরবারে ‘আসহাবে সুফফা’ (বারান্দার অধিবাসী) সাহাবায়ে কেরাম বাস করতেন। যাদেরকে হযরত মোহাম্মদ (সা.) মসজিদে নববির প্রাঙ্গণে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। সাহাবিরা সেখানে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সহবতে থাকতেন এবং রাসুলের প্রেমে সর্বদা দেওয়ানা থাকতেন। সুফিবাদের চর্চাকারীদেরকে সুফি আখ্যায়িত করা হয়। মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের সাধনায় নিজ জীবন পরিচালনা করার কাজকে বলা হয় তাসাউফ বা সুফিবাদ। যিনি নিজেকে এরূপ সাধনায় নিয়োজিত করেন তাকে ইসলামের পরিভাষায় সুফি নামে অভিহিত করা হয়। ইসলামের পরিভাষায় সুফিবাদকে তাসাউফ বলা হয়। সুফিবাদকে অধ্যাত্মবাদ, অতীন্দ্রিয়বাদ বলা হয়। মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘বিশ্ব সূফী সম্মেলন’-এর মাধ্যমে মানুষকে আত্মার পরিশুদ্ধতার শিক্ষা দিয়ে মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম হন। সুফিবাদে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে আধ্যাত্মিক ধ্যান লাভ করার শিক্ষা দেন।
মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর সাথে যোগাযোগের একটি মাধ্যম মোরাকাবা। রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.) দীর্ঘ ১৫ বছর হেরা গুহায় সাধনা করে মহান রাব্বুল আলামিনের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে তিনি মানবজাতির মুক্তির বিধান পবিত্র কুরআন লাভ করেছিলেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান হারিয়ে যাওয়া এলমে তাসাউফকে পুনর্জীবিত করেন। তাসউফ দর্শন অনুযায়ী আল্লাহ্কে নিজের হৃদয়ে খুঁজে বের করার সাধনাকে তরিকা বা পথ বলা হয়। তরিকত সাধনায় মোর্র্শেদ বা পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন। সুফিগণের মতে হযরত মোহাম্মদ (সা.) হলেন সুফিবাদের প্রাণপুরুষ ও সুফি দর্শনের পথপ্রদর্শক।
সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান তাঁর মহান মোর্শেদ কেব্লাজানের শুভ জন্মদিন স্মরণে ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত মোট ৯টি ‘বিশ্ব সূফী সম্মেলন’-এর আয়োজন করেন। এর ফলে সমাজে ব্যাপকভাবে এলমে তাসাউফের শিক্ষা পরিচিতি লাভ করে। এই এলমে তাসাউফের শিক্ষার ফলে মানুষ আত্মা পরিশুদ্ধ এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মহব্বত হাসিল করতে পারে। দয়াল রাসুল (সা.)-এর প্রেম নিজ হৃদয়ে ধারণ করে আশেকে রাসুল হওয়ার শিক্ষা লাভ। ১৯৯৭ সালে সর্বশেষ ৯ম বিশ্ব সূফী সম্মেলনে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান তাঁর মহা মূল্যবান বাণী মোবারকে আগত সুফিদেরকে প্রশ্ন করেন- “কারা কারা আমার ওয়াজিফা আমল করে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে স্বপ্নে অথবা মোরাকাবায় দেখতে পেয়েছেন?” উপস্থিত অসংখ্য রাসুল প্রেমিক হাত উত্তোলন করে সাক্ষী দিলেন যে, তারা হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। যারা হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন, তারা হলেন আশেকে রাসুল তথা রাসুলের প্রেমিক। তিনি বলেন, “হযরত রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসার নামই হলো ইমান।” তিনি আরও বলেন, “যে রাসুলকে যতটুকু ভালোবাসে সে ততটুকু ইমানদার।” এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে- “হে মাহবুব (সা.)! আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহ্কে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহ্ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেবেন। অবশ্যই আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়াময়। (সূরা আলে ইমরান ৩ : আয়াত ৩১) অন্যত্র এরশাদ হয়েছে- “নবি মু’মিনদের নিকট তাদের জীবনের চেয়ে অধিক ঘনিষ্ঠ।” (সূরা আহযাব ৩৩: আয়াত ৬) হযরত রাসুল (সা.) বলেন- “ “যে ব্যক্তি নিজের পিতা-মাতা, সন্তানসন্তুতি ও অন্য সকল মানুষ অপেক্ষা আমাকে বেশি ভালো না বাসবে, সে মু’মিন হতে পারবে না।” (বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৭ এবং মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪৯)
মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের জন্য এবং হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে প্রাণাধিক ভালোবাসার লক্ষ্যে অতঃপর তিনি হাত দিলেন আশেকে রাসুল তৈরি করার কাজ। সে কারণে ১৯৯৭ সালের ১৮ই ডিসেম্বর সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) দেওয়ানবাগ শরীফের সবচেয়ে বৃহৎ ও শ্রেষ্ঠ অনুষ্ঠানকে ঘোষণা দিলেন ‘বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন’। এটি ছিল তাঁর মহান মোর্শেদ ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর শুভ জন্মদিন স্মরণে। ইতিপূর্বে রাসুল প্রেমিকদের মিলন মেলার অনুষ্ঠান ‘বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন’ করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সাল থেকে দেওয়ানবাগ শরীফের অন্যান্য সকল অনুষ্ঠানকে ‘আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন’ ও ‘আশেকে রাসুল (সা.) মিলাদ মাহ্ফিল’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এতে সাধারণ মানুষের মনে ‘আশেকে রাসুল’ শব্দটি ব্যাপক সাড়া জাগায়। যার কারণে রাসুলের এশক, মহব্বত লাভের উদ্দেশ্যে দলে দলে মানুষ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.)-এর কাছে এসে মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করেন। ফলে আশেকে রাসুলদের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ১৯৯৮ সালে বাবে রহমতে শুক্রবারে সাপ্তাহিক আশেকে রাসুল (সা.) মাহ্ফিলে তাঁর অনুসারীদেরকে নামের আগে ‘আশেকে রাসুল’ শব্দটি লিখতে নির্দেশ দেন। মানুষ প্রতিনিয়ত সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.)-এর কাছে ছুটে আসতেন। যারা সরাসরি বাবে রহমতে আসতে পারেননি তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের নেতৃত্বে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে দেশ-বিদেশে মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা প্রসার শুরু হয়। বহির্বিশ্বেও মোহাম্মদী ইসলামের আর্দশ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিদেশের মাটিতেও দলে দলে আশেকে রাসুল সৃষ্টি হয়। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আজকে বিশ্বের শতাধিক দেশে মোহাম্মদী ইসলাম ছড়িয়ে পড়েছে।
মানুষকে নামে আশেকে রাসুল না বানিয়ে বাস্তবে আশেকে রাসুল বানানোর জন্য সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) তাঁর ভক্ত ও আশেকদের দৈনিক আমলের মধ্যে প্রতিদিন শেষ রাতে মিলাদ পাঠ করা। দৈনিক ফজরের নামাজে ফাতেহা শরীফে ১১ বার এবং খতম শরীফে ২০০ বার, মাগরিবের নামাজে ফাতেহা শরীফে ১১ বার এবং এশার নামাজের পর ৫০০ বার-সহ সর্বমোট (২০০+৫০০+১১+১১ = ৭২২ বার) দরুদ শরীফ পাঠ করা হয়। তাছাড়া প্রতি সোমবার হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মবার স্মরণে, বুধবার সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.)-এর শুভ জন্মবার স্মরণে, প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে এবং রমজান মাসে ইফতারের পূর্বে মিলাদ শরীফ পাঠ করা হয়। এছাড়া ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথা- বিয়ে, জন্মদিন অথবা কোনো শুভ কাজের সূচনায় মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ পাঠের প্রতি বিশেষ তাগিদ প্রদান করেছেন। এই সকল আমল করে হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেমের বহিঃপ্রকাশ করে সারা বিশ্বের মানুষ আশেকে রাসুলে পরিণত হচ্ছে। তাঁর ভক্ত ও মুরিদের মধ্যে প্রতিনিয়ত হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করে ধন্য হচ্ছেন।
যারা সত্যিকারে আশেকে রাসুল তারা হযরত রাসুল (সা.)-এর পরিবার পরিজন, তাঁর আহলে বাইতকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে এবং গভীরভাবে ভালোবাসেন। সর্বোপরি হযরত রাসুল (সা.)-কে অনুসরণ ও তাঁর প্রতি মিলাদ, দরুদ ও সশ্রদ্ধ সালাম পেশ করেন। এই সকল আমল আখলাকের কারণে মানুষ মু’মিনে পরিণত হচ্ছেন। হযরত রাসুল (সা.)-এর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে ইহকাল ও পরকালের সুখ শান্তি ও কল্যাণ লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন।
রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রেমিক তৈরির শিক্ষা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) ওফাত লাভের পূর্বে সর্বশেষ অছিয়তনামায় তাঁর মেজো সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোাদা (মা. আ.) হুজুরের হাতে মোহাম্মদী ইসলামের গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেন। এরপর ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর ২০২২ সালের ২৩শে ডিসেম্বর, রোজ শুক্রবার সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের শুভ জন্মদিন স্মরণে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলাধীন গোপালপুরে অবস্থিত বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফে প্রথম ‘বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন’-এর আয়োজন করেন। এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগদান করেন। ইতিপূর্বে দেওয়ানবাগ শরীফের কোনো অনুষ্ঠানে এত লোক যোগদান করেননি। আশেকে রাসুলদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধির জন্য তিনি প্রত্যেক আশেক ও জাকেরদেরকে ঘরে ঘরে মিলাদ দেওয়ার প্রতি বিশেষ তাগিদ প্রদান করেন।
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর দীর্ঘ দিন হতে বহির্বিশ্বে আশেকে রাসুল পুনর্জাগরণের কাজ করে আসছেন। তারই কাজের ফলস্বরূপ ২০২৩ সালের ২৪শে জুলাই সোমবার লন্ডনে ‘এষড়নধষ অংযবশ-ব-জধংঁষ (ঝঅড) ঈড়হভবৎবহপব খড়হফড়হ-২০২৩’-এর আয়োজন করেন। বহিঃর্বিশ্বের বহুদেশ হতে এই সম্মেলনে আশেকে রাসুলগণ যোগদান করেন।
মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা আজ ব্যাপকভাবে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। দলে দলে লোক ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের নিকট হতে মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করছে। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে মোহাম্মদী ইসলামের আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করার তাওফিক দান করুক। আমিন।
[ইসলাম বিষয়ক লেখক]