অলৌকিক কারামত – মহান মোর্শেদের দয়ায় চাকুরিতে প্রমোশন – শাহরিয়ার মাহমুদ চৌধুরী
নবুয়তের যুগে নবি-রাসুলগণ মহান আল্লাহ্র দেওয়া মু‘জিঝার মাধ্যমে সমকালীন মানুষের নিকট প্রমাণ করেন তাঁরা মহান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে প্রেরিত মহামানব। কারণ মু‘জিঝা ছিল তাঁদের জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে দলিলস্বরূপ। তেমনিভাবে বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণের মাধ্যমে অসংখ্য আশেকে রাসুল বিভিন্ন ধরনের বিপদ-আপদ ও বালা মুছিবতে পড়ে প্রতিনিয়ত মহান মোর্শেদের উসিলায় আল্লাহ্র দয়া এবং সাহায্য লাভ করছেন। তেমনি বর্তমান মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের উসিলায়ও মানুষ আল্লাহ্র দয়া ও সাহায্য লাভ করছেন।
আমি শাহরিয়ার মাহমুদ চৌধুরী (অপু) কীভাবে আমার মহান মোর্শেদ ও মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের উসিলায় আল্লাহ্’র দয়া লাভ করে এ বছর (২০২৪ সালে) প্রমোশন পেয়েছি। এই ঘটনাটি এখানে উপস্থাপন করা হলো-
এরপর আমি আমার মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের উসিলায় মহান রাব্বুল আলামিনের দয়ায় ২০০৭ সালে যমুনা ব্যাংকে যোগদান করি। আমি প্রতিটি সময়েই দয়াল মোর্শেদের রুহানি সাহায্য পেয়েছি। ২০০৭ সালে আমি প্রথমেই যমুনা ব্যাংকের হেড অফিসে জয়েন করি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে লোকাল অফিস অর্থাৎ প্রধান শাখা দিলকুশায় বদলি হই। সেখান থেকে আমার যাত্রা শুরু। প্রথমদিন অফিসে যাওয়ার পরেই তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে গিয়ে আমি দেখা করলাম। তিনি আমার দিকে তাকালেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, আমি পূর্বে কোনো বিভাগে কাজ করেছি কি না? আমি তখন প্রতি উত্তরে ম্যানেজারকে না বললাম। উল্লেখ্য যে, ব্যাংকের বিভাগ বলতে জেনারেল ব্যাংকিং বিভাগ, ক্যাশ বিভাগ, ক্রেডিট বিভাগ এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগ বুঝায়। এর মধ্যে ক্রেডিট বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। যেখান থেকে সব ঋণ পাস হয় এবং ব্যাংকের আয়ের মূল উৎস হচ্ছে এই বিভাগ। এখানেই সবচেয়ে বেশি প্রমোশন হয়ে থাকে। আমি কোথা থেকে পাশ করেছি ম্যানেজার সাহেব তা জানতে চাইলেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ বিকম (অনার্স) ও এমকম সম্পন্ন করি।
আমি ২০০৮ সাল থেকে যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় কাজ করতে থাকি। ২০১৩ সালে আমাকে ক্রেডিট টিমের ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এত অল্প সময়ের মধ্যে একটি লোকাল অফিসের ক্রেডিট ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব নেওয়া খুব সহজ ব্যাপার নয়। যেখানে অনেক বড়ো বড়ো কোম্পানির ফাইল আমাদের কাছে ছিল। আমি মোট ১২ জন ক্রেডিট অফিসারের ক্রেডিট ইনচার্জ হই। ২০১৫ সালে আমাদের প্রমোশনের পরীক্ষা হয় এবং মোর্শেদের নেক দৃষ্টিতে রাব্বুল আলামিনের দয়ায় সেখানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমার প্রমোশন হয় এবং আমি অফিসার থেকে এক্্িরকিউটিভ হিসাবে কাজ শুরু করি। অতঃপর ২০২০ সালে আমি দিলকুশা শাখা থেকে প্রথমে নবাবপুর, এরপর পুনরায় হেড অফিস এবং পরবর্তীতে সোনারগাঁও জনপথ শাখা উত্তরায় বদলি হই।
২০২২ সাল থেকে আমি সোনারগাঁও জনপথ রোড শাখা, উত্তরায় কাজ শুরু করি ম্যানেজার অপারেশন হিসাবে। সেই অনুযায়ী আমি ২০২২ সালের প্রমোশনের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। লিখিত পরীক্ষায় ৩য় হয়েছিলাম কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়ে যাই। এতে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। ফলে ২০২২ সালের প্রমোশনটি হলো না। এদিকে প্রমোশন হয় না প্রায় ৬ বছর হয়ে যায়। এর মধ্যে করোনার জন্য ব্যাংক এক বছর কাউকে কোনো প্রমোশন দেয়নি। তাতে প্রায় ৭ বছর আমার চলে যায় অথচ প্রমোশনটি কোনোভাবেই যেন হচ্ছে না। এমতাবস্থায় আমি মোর্শেদের দরবারে মানত করলাম ২০২৩ সালে যেন আমার প্রমোশনটি হয়। দয়াল ইমামের কাছে আজিজি করলাম। যদি এবার না হয় তাহলে লিখিত পরীক্ষা আর দিবো না। যথাসময়ে লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হলো। আমি আজিজি করে অংশগ্রহণ করলাম। সেখানে ৬৯ জনের মধ্যে ৩৫ জন পাশ করল। আমি টিকে গেলাম। এরপর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হলো। আমি আজিজি করে মানতের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলাম। এরপর মৌখিক পরীক্ষা দিলাম, কিন্তু মনের মতো হলো না। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আর রেজাল্ট হলো না। এদিকে আমাদের মহান ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর মহান মোর্শেদ দয়াল বাবাজানের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করলেন ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সালে। তাই মনে মনে ভাবলাম দয়াল বাবাজানের জন্মদিনের উসিলায় যদি রেজাল্ট পাই তবে সেটি আমার জন্য এই বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের সবচেয়ে বড়ো উপহার হবে। তাই খুব আজিজি করতে থাকি। মহান রাব্বুল আলামিন আমাকে নিরাশ করেননি। আমার প্রমোশনের রেজাল্টটি এ বছর ৩১শে জানুয়ারি তারিখে সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়। দয়াল বাবাজান এবং দয়াল ইমামের উসিলায়, মহান রাব্বুল আলামিনের দয়ায় আমি অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হই।
অলী-আল্লাহ্গণ আল্লাহ্র বন্ধু। তাই তাঁরা তাদের ভক্তের যে কোনো অবস্থায় রুহানিতে দয়ার হাত প্রসারিত করে দেন। আর তাদের নেক দৃষ্টি পেলে জীবন সার্থক হয়। এ ঘটনা তাই প্রমাণ করে। পরবর্তীতে গত ২রা ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হজুরের কাছে এসে ঘটনাটি জানাই এবং মানত আদায় করি।
[্ইসলাম বিষয়ক লেখক]