মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাৎ লাভের আশা রাখে না এবং পার্থিব জীবন নিয়েই পরিতুষ্ট রয়েছে এবং তাতেই নিশ্চিন্ত প্রশান্তি অনুভব করে আর যারা আমার আয়াতসমূহের ব্যাপারে গাফেল, এমন লোকদের বাসস্থান দোজখ তাদের কৃতকর্মের দরুন। (সূরা ইউনুস ১০: আয়াত ৭-৮)
হে রাসুল (সা.) আপনি বলে দিন- সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য; যিনি অতি শীঘ্রই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শন (চেহারা মোবারক) দেখাবেন। তখন তোমরা তাঁকে চিনতে পারবে।
(সূরা আন নামল ২৭: আয়াত ৯৩)
যে ব্যক্তি আল্লাহর দিদার লাভের আশা করে, (সে জেনে রাখুক) আল্লাহ্র দিদার লাভের সেই নির্ধারিত সময় আসবেই।
(সূরা আল আনকাবূত ২৯: আয়াত ৫)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) যখন রাত্রিকালীন ইবাদতের জন্য উঠতেন। তখন তিনি বলতেন- “হে আল্লাহ্! আপনি সত্য। আপনার সিদ্ধান্ত সত্য। আপনার দিদার সত্য এবং আপনার বাণী মোবারক সত্য। আপনার জান্নাত ও জাহান্নাম সত্য এবং নবিগণ আর বিচার দিবসও সত্য। হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আত্মসমর্পণ করলাম এবং আপনার প্রতি ইমান আনয়ন করলাম।” ( মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫০ )
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণনা করা হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “(হে আমার সাথিগণ) দ্বিপ্রহরে যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং আকাশে মেঘ না থাকে, তখন কি তোমাদের সূর্য দেখতে কোনো অসুবিধা হয়? আর পূর্ণিমার রাতে যখন আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং আকাশে কোনো মেঘ না থাকে, তখন কি চাঁদ দেখতে তোমাদের কোনো অসুবিধা হয়? তারা জবাব দিলেন- না, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! কোনো অসুবিধা হয় না। আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- এভাবে আল্লাহ্কে দেখতেও তোমাদের কোনো অসুবিধা হবে না।” ( মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১০২ )
হযরত আবু হুরায়রাহ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “যে ব্যক্তি আল্লাহর দিদার লাভের প্রত্যাশা করে, আল্লাহ্ও তাকে আপন দিদার দিতে ভালোবাসেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর দিদার লাভের প্রত্যাশা করে না, আল্লাহ্ও তাকে স্বীয় দিদার দিতে পছন্দ করেন না ।” ( মুসনাদে আহমাদ ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০১ )
মহামানবগণের বাণী মোবারক
আমি এমন প্রতিপালকের ইবাদত করি না, যাঁকে আমি দেখি না।
-শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
আমি মহান প্রতিপালক আল্লাহ্কে স্বপ্নে দেখেছি, অতঃপর আমি বললাম, হে রব! নৈকট্য লাভকারীগণ কোন কর্ম দ্বারা আপনার নৈকট্য লাভ করে থাকে। আল্লাহ্ বললেন- হে আহমদ! আমার কালাম তথা বাণীর মাধ্যমে।
-ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)
দুনিয়ার হায়াতের সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্যই প্রভূর সন্তুষ্টি ও তাঁর দিদার লাভ করা, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ বা তাঁর দর্শন অস্বীকার করে তার ইবাদতসমূহ নিষ্ফল।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
মানুষের সাধনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নিজেকে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় পরিচালিত করা এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
-ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী
গবেষক, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, খতিব, বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।