মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
নিশ্চয় সর্বপ্রথম যে ঘর মানুষের (ইবাদতের) জন্য স্থাপিত হয়েছিল, তা তো সে ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত। যা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়েত। এতে রয়েছে অনেক প্রকাশ্য নির্দশন, মাকামে ইব্রাহিম তার অন্যতম। যে কেউ এ ঘরে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে তার উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ, যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে। (সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ৯৬ ও ৯৭)
আমার নামাজ, আমার যাবতীয় ইবাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য; তাঁর কোনো শরিক নেই, আর আমি এরই জন্য আদিষ্ট হয়েছি এবং আমিই মুসলিমদের মধ্যে প্রথম। (সূরা আন‘আম ৬: আয়াত ১৬২ ও ১৬৩)
আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর (কোরবানিকৃত পশুর) গোশত এবং না এগুলোর রক্ত, বরং তাঁর নিকট পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যেন তোমরা আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা করো, যেহেতু তিনি তোমাদেরকে হিদায়েত দান করেছেন। সুতরাং সুসংবাদ দাও নেককারদেরকে।
(সূরা আল হাজ্জ ২২: আয়াত ৩৭)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেনÑ “আমার ওফাতের পর যে ব্যক্তি হজ সম্পাদন করবে, অতঃপর আমার রওজা জিয়ারত করবে, সে যেন আমার জীবদ্দশায় আমার সাথে সাক্ষাৎ করল।” (ইমাম বায়হাকীর সুনানে কুবরা ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৩)
হযরত উমর (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনÑ “যে ব্যক্তি আমার রওজা জিয়ারত করবে, অথবা তিনি বলেছেনÑ যে ব্যক্তি আমার রওজায় এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করবে, আমি তার জন্য শাফায়াতকারী হবো, অথবা আমি তার জন্য সাক্ষ্যদাতা হবো।” (ইমাম বায়হাকীর সুনানে কুবরা ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪০৩)
হযরত জাবের (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) কোরবানির পশু জবেহ করার সময় বলতেন- “হে আল্লাহ্! (এই পশু) তোমার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত এবং তোমার উদ্দেশে উৎসর্গিত। মোহাম্মদ (সা.)-এর পক্ষ থেকে এবং তাঁর উম্মতের পক্ষ থেকে। আল্লাহ্ তোমার নামে কোরবানি করছি এবং আল্লাহ্ মহান। অতঃপর রাসুল (সা.) জবেহ করতেন।” (আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমি শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১২৮)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
কিছু লোক আছে যারা পুরস্কারের আশায় আল্লাহর ইবাদত করে। নিশ্চয় এটা ব্যবসায়ীদের ইবাদত। আবার কিছু লোক ভয়ে আল্লাহর ইবাদত করে, এটা দাসদের ইবাদত। এরপরও কিছু লোক কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আল্লাহর ইবাদত করে এটা স্বাধীন মানুষের ইবাদত।
-শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু
কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয় বলে এই বিধান হযরত আদম (আ.)-এর সময় থেকে পালিত হয়ে আসছে।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
যদি কেবলমাত্র কিতাবি বিদ্যার দ্বারা রিপু দূর বা দমন হতো এবং আত্মশুদ্ধি হতো, তাহলে হাফেজ, কারি ও মৌলভি সাহেবরা কঠিন কঠিন পাপের কাজ করত না।
-ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)
এ কাবায় হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ্ বসবাস করতেন, আর অলী-আল্লাহর দিল কাবায় মহান প্রভু আল্লাহ্ বসবাস করেন।
-হযরত জালালউদ্দিন রুমী (রহ.)
হজের সময় দয়াল রাসুল (সা.)-এর রওজা শরীফ জিরায়ত করে তাঁর উসিলা নিয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-এর উসিলায় বান্দার হজ কবুল করেন।
-ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী
গবেষক, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, খতিব, বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।