Cancel Preloader
ঐশী দর্পন ফিচার

কোরবানি ও আকিকা – ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা

কোরবানির সংজ্ঞাকোরবানি শব্দটির উৎপত্তি ‘ক্বুরবুন’ মূল শব্দ থেকে। কোরবানি অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, নৈকট্য লাভ করা, উৎসর্গ করা। যেহেতু মুসলমান ব্যক্তি তার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে প্রমাণ করে, সে সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহ্কে বেশি ভালোবাসে এবং এরই মাধ্যমে সে আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, এজন্য এ ইবাদতকে কোরবানি বলে। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট […]আরও পড়ুন

ঐশী দিশারী

হজ পালনের উদ্দেশ্য

মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান [সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান রচিত ‘শান্তি কোন পথে?’ কিতাব থেকে লেখাটি সংকলন করা হয়েছে।-সম্পাদক]হজ শব্দটির আভিধানিক অর্থ সংকল্প করা, ইচ্ছা করা। শরিয়তের পরিভাষায় জিলহজ মাসের ৯ তারিখে কতগুলো নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ইহরামের সাথে বাইতুল্লাহ অর্থাৎ পবিত্র কাবা শরীফ জিয়ারতের সংকল্প […]আরও পড়ুন

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

আরবি ‘হাজ্জুন’ শব্দ থেকে হজ শব্দটির উৎপত্তি। হজের আভিধানিক অর্থ হলো সংকল্প করা, ইচ্ছা করা। ইসলামের পরিভাষায়- মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে জিলহজ মাসের নির্ধারিত দিনসমূহে নির্ধারিত পদ্ধতিতে বায়তুল্লাহ (আল্লাহর ঘর) ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ জিয়ারত করাকে হজ বলে। হজের পারিভাষিক সংজ্ঞা প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষে বলা হয়েছে- “শরিয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট মাসের নির্দিষ্ট তারিখে মক্কার কাবাঘর […]আরও পড়ুন

পুণ্য বাণী

মহান আল্লাহর বাণী মোবারক

নিশ্চয় সর্বপ্রথম যে ঘর মানুষের (ইবাদতের) জন্য স্থাপিত হয়েছিল, তা তো সে ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত। যা বরকতময় এবং বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়েত। এতে রয়েছে অনেক প্রকাশ্য নির্দশন, মাকামে ইব্রাহিম তার অন্যতম। যে কেউ এ ঘরে প্রবেশ করে সে নিরাপদ হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে তার উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ, যার সেখানে যাওয়ার […]আরও পড়ুন

কবিতা

যাবে কোথায়? – আশেকে রাসুল সালাউদ্দিন

ওহে মুসলমানখোঁজ দিল কোরআনগুরুর কৃপা হলেজানবে আত্মতত্ত¡ভেদ রহস্যের দুনিয়ায়ডুবুরির মতো ডুবে যাওসাগর অতলান্ত।পেলেও পেতে পারোমণি, মুক্তা, কাঞ্চন।তোমার মাঝে তুমিআমার মাঝে আমিঅন্তর্দৃষ্টিতে দেখবে সাঁইভেদ রহস্যের কূল কিনারা নাহি পাই।এশকের আগুনে পুুড়েমনের কালিমা মুছেযদি হয় ইসমে আজম জপমালা।লক্ষ্য স্থির করে করো সাধনাকোথায় ছিলে, যাবে কোথায়?সূর্যালোকে জলীয় বাষ্প হয়েউড়ে বেড়াও আকাশে, মেঘমালা হয়ে,হাকিকতের মেঘমালাঘর্ষণ, মন্থন, বিদ্যুৎ চমকানো গর্জনপাহাড়ের […]আরও পড়ুন

কবিতা

মোর্শেদের দরবারে গোলামি – ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন সোহেল

মহান মোর্শেদের দরবারে করে গোলামি,হৃদয়ে পাওয়া যায় শান্তি জানে অন্তর্যামী। ইমাম কুদরত এ খোদা বলেন যদি করো গোলামি,আমিত্ব তোমার হয়ে দূর, শুদ্ধ মানুষ হবে তুমি। সাধনায় পূর্ণতা লাভের বাধা হলো আমিত্ব অহংকার,গোলামি করে অহংকার থেকে পাওয়া যায় প্রতিকার। নিজের ভিতর যদি থাকে অহংকার আমিত্ব,ক্বালবে আল্লাহ্র নুর হবে না কখনো প্রজ্বলিত। মোর্শেদের দরবারে মুরিদ যদি ভাবে […]আরও পড়ুন

কবিতা

হৃদয়ের ধন – অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া

মহান আল্লাহ্র প্রিয় বন্ধুরাসুলের উত্তরসূরি যিনি,সূফী সম্রাটের ওফাতের পূর্বেইমামতের দায়িত্ব পেলেন তিনি।আশেকে রাসুলদের হৃদয়ের বাতিঘরযিনি প্রাণের চেয়েও আপন,এমনই এক মহামানব তিনিযিনি আশেকদের হৃদয়ের ধন।তিন কোটি আশেকে রাসুলঅতি ভক্তি সহকারে,শোনে তাঁর অমিয় বাণীপরম শ্রদ্ধা ভরে।মানুষের জন্য ব্যাকুল যিনিথাকেন সদা সর্বদা,তিনিই হলেন মহান অলীইমাম ড. কুদরত এ খোদা।আরও পড়ুন

প্রবন্ধ

জীবনচরিত – হযরত শেখ শরফুদ্দিন বু-আলী শাহ কালান্দর পানিপথি (রহ.)

ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়জন সুফিসাধক ইসলাম প্রচার করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হযরত শেখ শরফুদ্দিন বু-আলী শাহ কালান্দর পানিপথি (রহ.)। তিনি চিশতিয়া তরিকার একজন সুফিসাধক। ভারতের পানিপথে তাঁর পবিত্র দরগাহ (মাজার) অবস্থিত, যা একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান। তাঁর আসল নাম শেখ শরফুদ্দিন, কিন্তু তিনি বু-আলী শাহ নামেই অধিক পরিচিত। তাঁর পিতার নাম হযরত শেখ ফখরউদ্দিন (রহ.), যিনি […]আরও পড়ুন

অলৌকিক

অলৌকিক কারামত- মহান মোর্শেদের দয়ায় চাকুরিতে পদোন্নতি

শাহরিয়ার মাহমুদ চৌধুরী: নবুয়তের যুগে নবি-রাসুলগণের মাধ্যমে যে সকল অলৌকিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল তাকে মু‘জিঝা বলা হয়, আর বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণের মাধ্যমে সংঘটিত ঘটনাকে কারামত বলা হয়। অলী-আল্লাহ্গণ আল্লাহ্র ঐশী জ্ঞান ও শক্তির অধিকারী হন, ফলে কী করলে মানুষের সমস্যা দূর হবে সে বিষয়ে তাঁরা পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকেন। সুতরাং বিশ^াসের সাথে তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী চললে, […]আরও পড়ুন

প্রবন্ধ

মহামানবের সান্নিধ্য লাভের প্রয়োজনীয়তা

লুৎফুল্লাহিল মাজিদ: মহান আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে যুগে যুগে মহামানবগণ নবি-রাসুল ও অলী-আল্লাহরূপে প্রেরিত হয়েছেন। বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ প্রেরণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহর প্রেরিত মহামানবগণ ষড়রিপু আক্রান্ত ব্যক্তির অন্তরের কলুষতা দূর করে আত্মশুদ্ধি করার মহান দায়িত্ব পালন করেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির প্রেমের ঐশী বন্ধন রচনায় আল্লাহ্ প্রেরিত প্রতিনিধিদের ভূমিকা সমুজ্জ্বল। তাঁদের জীবনাদর্শ, […]আরও পড়ুন