কোরবানির সংজ্ঞাকোরবানি শব্দটির উৎপত্তি ‘ক্বুরবুন’ মূল শব্দ থেকে। কোরবানি অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, নৈকট্য লাভ করা, উৎসর্গ করা। যেহেতু মুসলমান ব্যক্তি তার প্রিয় বস্তু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে প্রমাণ করে, সে সবকিছুর ঊর্ধ্বে আল্লাহ্কে বেশি ভালোবাসে এবং এরই মাধ্যমে সে আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, এজন্য এ ইবাদতকে কোরবানি বলে। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট […]আরও পড়ুন
ঐশী দর্পন
রোজার সংজ্ঞারোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি শব্দ হলো1 ‘সাওম’। ‘সাওম’ শব্দের আভিধানিক অর্থ1 উপবাস, বিরত থাকা। মোহাম্মদী ইসলামের পরিভাষায় মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে যাবতীয় পানাহার, কামাচার থেকে বিরত থাকাকে সাওম বা রোজা বলা হয়। আরবি বারো মাসের মধ্যে অন্যতম হলো রমজান মাস। এ রমজান মাসে রোজা রাখা […]আরও পড়ুন
ফায়েজের বিবরণ আভিধানিক অর্থ: মহান আল্লাহ্র সাথে যোগাযোগের ৫টি মাধ্যম। তম্মধ্যে অন্যতম মাধ্যম হলো ফায়েজ। ফায়েজ হচ্ছে মহান আল্লাহ্র ঐশ্বরিক শক্তির প্রবাহ। এটি বাহ্যিক জগতের কোনো বস্তু নয়, বরং এটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম জগতের বস্তু। আরবি ‘ফাইজ’ শব্দের অর্থ প্রবহমান, বেগে বহমান, চলমান ইত্যাদি। মহান আল্লাহ্র শক্তি প্রবাহমান ফায়েজ। পবিত্র কুরআনে একে ‘সাকিনা’ অর্থাৎ প্রশান্তি হিসেবে উল্লেখ […]আরও পড়ুন
এমনিভাবে হযরত ইউনুস (আ.) নিনুয়াবাসীকে আল্লাহ্’র ইবাদতের দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি হিজরত করে অন্যত্র গমনকালে মাছের পেটে মহাবিপদে পড়লেন। অতঃপর তিনি মাছের পেট থেকে আল্লাহ্’র সাহায্য কামনা করলেন। মোরাকাবার মাধ্যমে মহাবিপদ থেকে উদ্ধার লাভের জন্য আল্লাহ্’র নিকট এভাবে প্রার্থনা করলেন- “লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ্ব জ্বালিমীন।” অর্থাৎ- “আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। […]আরও পড়ুন
মানুষ আল্লাহর প্রতিনিধি বিধায় আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের গুণ অর্জন করা তার জন্য ফরজ করা হয়েছে। হযরত আদম (আ.)-এর যুগ থেকে শুরু করে মানবিক চরিত্র অর্জন করার বিদ্যা এসেছে ক্বালব থেকে। আল্লাহ্ তায়ালা হযরত আদম (আ.)-কে শিক্ষা দিলেন ক্বালবের জ্ঞান অর্থাৎ যে জ্ঞান ক্বালবের মাধ্যমে সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে লাভ হয়ে থাকে। আল্লাহ্ নিজে হলেন ক্বালবের জ্ঞানের […]আরও পড়ুন
মোরাকাবার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশমহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানব জাতির শান্তি ও মুক্তির পথ প্রদর্শনের জন্য এবং মোরাকাবা বা ধ্যানের মাধ্যমে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ এবং তাঁর সাথে যোগাযোগের জন্য নবুয়তের যুগে ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। বেলায়েতের যুগে অসংখ্য আউলিয়ায়ে কেরাম নবি-রাসুলগণের উত্তরসূরি হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। নবি-রাসুলগণ তাঁরা মোরাকাবা করে আল্লাহ্র সাথে যোগাযোগ করে […]আরও পড়ুন
১ম পর্বপ্রথম নবি হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সর্বশেষ নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত যত নবি-রাসুল জগতের বুকে শুভাগমন করেছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই মোরাকাবার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নবুয়তের যুগের পর বেলায়েতের যুগে আল্লাহর অলীগণ একই পদ্ধতিতে মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেন। মহান আল্লাহর নৈকট্য, দিদার এবং তাঁর সাথে যোগাযোগ মোরাকাবার […]আরও পড়ুন
কারবালার ঘটনা এবং হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদত হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ৬০ হিজরির ৮ই জিলহজ তারিখে তাঁর পরিবার-পরিজন, কিছু সংখ্যক আহলে বাইত প্রেমিকদের সাথে নিয়ে মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশে যাত্রা করেন। কুফাবাসী ইমাম হোসাইন (রা.)-কে বাই‘য়াত গ্রহণ করার জন্য চিঠি প্রেরণের মাধ্যমে বারবার আহŸানের ফলে ইমাম হোসাইন (রা.) কুফার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন। এদিকে ইমাম […]আরও পড়ুন
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা: মোহাম্মদী ইসলামের ইতিহাসে ৬১ হিজরির ১০ই মহররমের কারবালার নির্মম ঘটনা সর্বাপেক্ষা মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। কেননা এই দিনটিতে দোজাহানের বাদশাহ্ রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র এবং শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু ও নবিনন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (রা.)-এর কলিজার টুকরা ও হৃদয়ের ধন সাইয়্যেদিনা ইমাম হোসাইন (রা.)-কে […]আরও পড়ুন
ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদাহজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। হজের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। যে সকল মুসলমান আর্থিক ও শারীরিক দিক থেকে সামর্থবান, তাদের উপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। শরিয়তের পরিভাষায় হজের সংজ্ঞা হলোÑ আল্লাহ্কে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে শরিয়তের নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থান অর্থাৎ কাবাঘর জিয়ারত, আরাফাতের ময়দানে অবস্থান […]আরও পড়ুন