ড. পিয়ার মোহাম্মদ বিশ্ব জাহানের মহান স্রষ্টা ও প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহ্। সৃষ্টির আদিতে মহান আল্লাহ্ জাত-পাকে স্বমহিমায় অবস্থান করছিলেন। তিনি নিজেকে প্রকাশ করার ইচ্ছা করলেন। সে ইচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য তিনি তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে মানবজাতি সৃষ্টি করেন। সে মানুষকে তিনি সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবেও ঘোষণা করলেন। মানুষকে পৃথিবীতে পাঠানোর সাথে সাথে জীবন চলার বিধি বিধানও তিনি […]আরও পড়ুন
নিবন্ধ
আশেকে রাসুল এস এ সুলতান জন্ম হতে মৃত্যু অবধি মানুষ যে সময়টা অতিবাহিত করে, তা তাৎপর্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি। কেননা যে কোনোভাবে জীবন অতিবাহিত করার মাধ্যমে জীবনের কোনো সার্থকতা থাকে না। মানুষের জীবন সার্থক করতে হলে জীবনের উদ্দেশ্য অন্বেষণ করা একান্ত প্রয়োজন। অন্যথায় জীবন হয় অন্ধকারে নিপতিত। অন্ধকার হতে মুক্তির জন্য আলোর অন্বেষণ করে আলোকময় […]আরও পড়ুন
ড. পিয়ার মোহাম্মদ: ‘ঈদ’ শব্দের অর্থ খুশি এবং ‘মিলাদ’ অর্থ জন্মবৃত্তান্ত বা জীবন কাহিনী। সেই হিসাবে ঈদে মিলাদুন্নবি (স.)-এর অর্থ আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর শুভ জন্ম দিনের খুশি। এ খুশির দিনটির সূচনা হয় হিজরিপুর্ব ৫৩ সালে ১২ রবিউল আউয়াল মোতাবেক ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের রোজ সোমবার। ঐ দিন সুবেহ সাদেকের সময় আরবের সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে […]আরও পড়ুন
মুহাম্মদ জহিরুল আলম দয়াময় আল্লাহ্ নিজেকে প্রকাশ করার বাসনা থেকে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেন। সৃষ্টি প্রক্রিয়ায় মহান আল্লাহ্ তাঁর সমস্ত রূপ ও গুণের ধারকরূপে সর্বপ্রথম ‘নুরে মোহাম্মদী’ সৃষ্টি করেন। আর এই ‘নুরে মোহাম্মদী’ হতে সমস্ত বিশ্বজগৎ সৃজিত হয়েছে। মহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেন, “আল্লাহর নিকট থেকে এক নুর ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট এসেছে।” (সূরা আল মায়িদাহ-৫: আয়াত […]আরও পড়ুন
মো. মুযহারুল হান্নান: সকল প্রকার প্রশংসা করুণাময় আল্লাহর জন্য এবং শত কোটি দরুদ ও সালাম হযরত রাসুল (সা.)-এর উপর বর্ষিত হোক। মাটি, পানি, বায়ু ও আগুন এই প্রাকৃতিক চার উপাদান দ্বারা মানুষের এই দৃশ্যমান জড় দেহ গঠিত। মানুষের এই দৃশ্যমান দেহ ছাড়াও মানুষের আরও এক অদৃশ্য সূক্ষ্ম দেহ রয়েছে। এই দেহকে বলা হয় নফস। মানুষের […]আরও পড়ুন
মুহাম্মদ জহিরুল আলমদয়াময় আল্লাহ্ মানবজাতির মুক্তির জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবি, রাসুল ও মহামানব প্রেরণ করেছেন। তাঁরা সকলেই মুসলমান ছিলেন, তাঁদের মতাদর্শই ছিল ইসলাম। সমকালীন যুগে মানুষের কর্তব্য ছিল তাঁদের প্রতি পূর্ণ অনুগত হওয়া। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেন, “আমার সৃষ্টির মাঝে একটি সম্প্রদায় রয়েছে, যারা মানুষকে সৎ পথ দেখান এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন।” (সূরা আরাফ-৭ […]আরও পড়ুন
মো. মুযহারুল হান্নানসারাবিশ্বের মালিক মহান আল্লাহ জাল্লা শানুহু তাঁর সৃষ্টি জগৎকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। একটি হচ্ছে আলমে আমর, যাকে সূক্ষ্ম জগত বা রূহানি জগত বলা হয়। অপরটি হচ্ছে আলমে খালক বা সৃষ্টি জগত, যাকে দৃশ্যমান জগত বলা হয়। প্রত্যেকটির উপাদান পাঁচটি করে।মানব কেন্দ্রিক সূক্ষ্ম জগতের উপাদানগুলো হলো: ক্বালব, রূহ, ছের, খফি এবং আখফা। বস্তু […]আরও পড়ুন
তওবা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে- বাগদাদ নগরীর এক ধনী যুবক সর্বদা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মদের আসরে পড়ে থাকত। একদা সে তার গোলামকে চারটি দিরহাম দিয়ে বাজারে প্রেরণ করে কিছু ফল কিনে আনার জন্য। গোলাম বাজারে গিয়ে দেখল, হযরত মনসুর বিন আম্মার বসরী (রহ.)-এর নিকট এক ফকির কিছু সাহায্য প্রার্থনা করছে। হযরতের নিকট তখন কোনো টাকাকড়ি ছিল […]আরও পড়ুন
আশেকে রাসুল এস এ সুলতানসৃষ্টিকুল মহান আল্লাহর রহমত লাভে সদা ব্যাকুল থাকে। সৃষ্টিজগত রহমত লাভে ব্যর্থ হলে জগতময় গজবে গ্রাস করে নেয়। আল্লাহর করুণা ও দয়া প্রকাশের মাধ্যম হলো রহমত। রহমত আসলে গজব দূর হয়ে যায়। রহমতের মাধ্যমে সৃষ্টিজগত আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করে থাকে। যেমনিভাবে বিরান ভূমি আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির পানিতে সজীব হয়ে উঠে এবং […]আরও পড়ুন
মুহাম্মদ জহিরুল আলমদয়াময় আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যম কোরবানি। আরবি ‘কুরবুন’ শব্দ থেকে ‘কোরবানি’ শব্দের উৎপত্তি- যার আভিধানিক অর্থ হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। কোরবানির মূল শিক্ষাই হলো নিজের ভিতরের পশু প্রবৃত্তিকে বিসর্জন দেওয়া। পশু প্রবৃত্তিকে বিসর্জন দিয়ে নফসের সাথে যুদ্ধ করে বিজয়ী হতে পারলেই মানুষ হয়ে উঠেন আশরাফুল মাখলুকাত বা আল্লাহর প্রতিনিধি। […]আরও পড়ুন