বছরে চারটি সম্মানিত মাসের মধ্যে জিলহজ মাস অন্যতম। অনেক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এ মাস। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কোরবানির ঈদ পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহ্র বন্ধু হযরত ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (আ.) ও হযরত ইসমাইল (আ.)-এর অতুলনীয় আনুগত্য ও মহান ত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত স্মরণ করে থাকেন। আল্লাহ্ পাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম জাতি প্রতি বছর হজ পালন ও […]আরও পড়ুন
প্রবন্ধ
কোরবানি শব্দটি আরবি ‘কুরবুন’ শব্দ থেকে এসেছে। যার আভিধানিক অর্থ নৈকট্য লাভ করা, নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা, উৎসর্গ করা। যে ইবাদতের মাধ্যমে একজন মানুষ রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ করে তাকে কোরবানি বলা হয়।কোরবানি সুন্নাতে ইব্রাহিম। হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হলেন- “হে ইব্রাহিম! তুমি তোমার প্রিয় বস্তু আমার নামে উৎসর্গ করো।” এরপর […]আরও পড়ুন
মুসলিম বিশ্বের মুসলমানদের বিশ্বব্যাপী মিলনমেলা হলো হজ। গোত্র, জাতি, দেশ, অঞ্চল, ভাষা, দল ও মতপার্থক্য থাকা সত্তে¡ও সকল প্রকার হিংসামুক্ত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাজিগণ আরাফাতের ময়দানের এ মহামিলন মেলায় অংশগ্রহণ করে মহান প্রতিপালক আল্লাহর দরবারে হাজিরা দেন। প্রতিবছর ৯ই জিলহজ আরাফাত দিবসে “লাব্বাইক আলাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারীকালাকা লাব্বাইক ইন্নাল হামদা ওয়ান নি‘মাতা লাকা […]আরও পড়ুন
হযরত আদম (আ.) সর্বপ্রথম যেভাবে অছিয়ত করার নিয়ম চালু করেনহযরত এমরান হোসাইন মাজহারী জগতের বুকে যত ধর্ম রয়েছে এ সমস্ত ধর্ম দয়াময় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাঁর মনোনীত মহামানবগণের মাধ্যমে প্রবর্তন করেছেন। মহামানবগণ অনেক সাধনা রিয়াজত করে এবং বহু ত্যাগ, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন ও নানা বাধা উপেক্ষা করে আল্লাহ্র ইচ্ছা ও নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজে ধর্ম প্রতিষ্ঠা […]আরও পড়ুন
ভারতীয় উপমহাদেশে যে কয়জন সুফিসাধক ইসলাম প্রচার করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হযরত শেখ শরফুদ্দিন বু-আলী শাহ কালান্দর পানিপথি (রহ.)। তিনি চিশতিয়া তরিকার একজন সুফিসাধক। ভারতের পানিপথে তাঁর পবিত্র দরগাহ (মাজার) অবস্থিত, যা একটি ধর্মীয় তীর্থস্থান। তাঁর আসল নাম শেখ শরফুদ্দিন, কিন্তু তিনি বু-আলী শাহ নামেই অধিক পরিচিত। তাঁর পিতার নাম হযরত শেখ ফখরউদ্দিন (রহ.), যিনি […]আরও পড়ুন
লুৎফুল্লাহিল মাজিদ: মহান আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে যুগে যুগে মহামানবগণ নবি-রাসুল ও অলী-আল্লাহরূপে প্রেরিত হয়েছেন। বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ প্রেরণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। আল্লাহর প্রেরিত মহামানবগণ ষড়রিপু আক্রান্ত ব্যক্তির অন্তরের কলুষতা দূর করে আত্মশুদ্ধি করার মহান দায়িত্ব পালন করেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির প্রেমের ঐশী বন্ধন রচনায় আল্লাহ্ প্রেরিত প্রতিনিধিদের ভূমিকা সমুজ্জ্বল। তাঁদের জীবনাদর্শ, […]আরও পড়ুন
হযরত সাব্বির আহমদ ওসমানী: সারা বছরে একটি বরকতময় মাস হচ্ছে রমজান। যে মাসে আমল করা অধিক ফজিলতপূর্ণ কাজ। পবিত্র রমজান মু’মিনের আমলের সঠিক সময়। এ মাসের আমলগুলো যেন সারা বছর অব্যাহত থাকে সেটাই এর প্রধান শিক্ষা। পবিত্র কুরআনে রোজা রাখার নির্দেশের পরই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথা এসেছে। এরশাদ হয়েছে- “তোমাদের সৎপথে পরিচালিত করার দরুন আল্লাহ্র মহিমা […]আরও পড়ুন
হযরত এম. আমিরুল ইসলাম: একমাস রমজানের রোজা রাখার পর পুরস্কারের বা আনন্দের ঈদ তথা শাওয়ালের চাঁদ প্রতিবছর ঘুরে আসে, যা সকল মুসলমানের আনন্দের দিন। তাঁর সাথে আরেকটি খুশি মহান আল্লাহ্ দান করেছেন মোর্শেদ প্রেমিকদেরকে। তা হচ্ছে শাওয়ালের পূর্ণিমার চাঁদে সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজানের নুরানিময় চেহারা মোবারকের প্রতিচ্ছবি চাঁদে দেখান। যা […]আরও পড়ুন
মু‘জিঝাতুল আম্বিয়া (পর্ব-০৫) হযরতুল আল্লাম এমরান হোসাইন মাজহারীমহান রাব্বুল আলামিন হলেন বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা। তিনি যখন একা অবস্থান করছিলেন তখন তিনি কাউকে ভালোবাসবেন এবং কারো ভালোবাসা পাবেন এ অভিলাশে সৃষ্টিজগৎ সৃজন করেছেন। তাই মানুষ যখন তাঁকে ভালোবেসে তাঁর হুকুম-আহকাম মতো পরিচালিত হয়, তখন মহান আল্লাহ্ অত্যন্ত আনন্দিত হন। এর ফলে বান্দার প্রতি দয়াময় আল্লাহ্ তাঁর দয়া […]আরও পড়ুন
হযরত হাজি আলী শাহ বুখারি (রহ.) ভারতের একজন প্রখ্যাত সুফিসাধক। ভারতের মুম্বাইয়ের হিন্দু, মুসলিম তথা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ তাঁকে ভক্তি ও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। ১৪৩১ সালে মুম্বাই শহরে তাঁর দরগাহ প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি উজবেকিস্তানের বুখারা থেকে ভারতে আগমন করেন। পরবর্তীতে সেখানে হাজি আলি শাহ বুখারি (রহ.) দয়াল রাসুল (সা.)-এর আদর্শ মানুষের […]আরও পড়ুন