ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ: আশুরার দিবসে আল্লাহ্ বসেন আরশে, আশুরার উসিলায় পাপীতাপী মুক্তি পায়; রহমত বর্ষে দুনিয়ায় আশুরার উসিলায়। মহাকালের পালাবদলে ঘুরে আবারও এসেছে পবিত্র মহররম অপরিসীম রহমত ও বরকতের বার্তা নিয়ে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ রাব্বুল আলমিন মহররম মাসের ১০ তারিখে তথা পবিত্র আশুরার দিনে এমন সব ঐতিহাসিক ও অবিস্মরণীয় ঘটনার অবতারণাঐতিহাসিক ঘটনাবহুল আশুরা করেছেন, যা […]আরও পড়ুন
প্রবন্ধ
মুহাম্মদ জহিরুল আলম: মহান আল্লাহ্ নিজেকে প্রকাশ করার লক্ষ্যে বিশ্বজাহান সৃষ্টি করেন। সৃষ্টির শুরু হতেই যুগে যুগে মহামানবগণের মাধ্যমে জগদ্বাসীর নিকট দয়াময় আল্লাহ্ নিজের পরিচয় তুলে ধরেছেন। মহামানবগণ সমকালীন যুগের পথহারা মানুষকে প্রকৃত সত্য শিক্ষাদানের মাধ্যমে মানুষকে মুক্তির মোহনায় পৌঁছে দেন। হিদায়েতের এ ধারাবাহিকতা সৃষ্টির শুরু হতে আজও অব্যাহত রয়েছে। মানুষ যখন স্রষ্টার কোনো নিগুঢ় […]আরও পড়ুন
ড. পিয়ার মোহাম্মদ: ক্রোধ মানব জীবনের চিহ্নিত ছয় শত্রু বা ষড়রিপুর মধ্যে অন্যতম। ক্রোধ শব্দের অর্থ হলো রাগ, রোষ, দ্বেষ, চোট, ক্ষিপ্ততা, প্রকোপ, উষ্মা, গর্জন, উন্মাদনা, কোপ বা প্রতিশোধ নেবার আবেগ। মানুষ ক্রোধের বশীভূত হয়ে অতি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শয়তানের প্ররোচনায় লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলে। যার ফলশ্রুতিতে সে তার নিজের জীবনে, সংসারে ও সমাজে অশান্তি বয়ে […]আরও পড়ুন
মুহাম্মদ জহিরুল আলম– একমাত্র আল্লাহ্ এ বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। সবই তাঁর ইচ্ছার অধীন। তিনি মহা পরাক্রমশালী, যাঁর ডান হাত মোবারকের মুঠোয় সাত আসমান, আর বাম হাত মোবারকের মুঠোয় সাত জমিন। নুরময়সত্তা আল্লাহ্ স্বরূপে বিদ্যমান থেকেই জগত সৃষ্টির মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করলেন। তাই হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন, “আমি ছিলাম গুপ্ত ধনাগার। […]আরও পড়ুন
ড. সাইফুল ইসলামএই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সৃষ্টিকর্তার যত সৃষ্টি আছে, প্রতিটি সৃষ্টিই নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হয়। যে যেই নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে সেটাই তার ধর্ম। ধর্ম শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায় ধৃ+মন=ধর্ম, ধৃ মূল শব্দ, মন হলো প্রত্যয়। ধৃ শব্দের অর্থ ধারণ করা। যে যা ধারণ করে তা-ই ধর্ম। জগতে যত মহামানবের আগমন ঘটেছে প্রত্যেক মহামানবই ঐশ্বরিক বাণী […]আরও পড়ুন
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান নুরে মোহাম্মদীর ধারক ও বাহক, হেদায়েতের আলোকবর্তিকা, বেলায়েতের যুগের শ্রেষ্ঠ সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, ইমামুল হাদি, মানবতার মূর্তপ্রতীক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে ১৪ই ডিসেম্বর, বুধবার ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৩৫৬ বঙ্গাব্দ বিশ্বনবি হযরত রাসুল (সা.)-এর বংশে জন্মগ্রহণ করেন। এ মহামানবের […]আরও পড়ুন
মুহাম্মদ জহিরুল আলমদয়াময় রাব্বুল আলামিন অত্যন্ত ভালোবেসে এ জগৎ সৃষ্টি করেছেন। তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ, তাই মানুষের মাধ্যমেই তাঁর পরিচয় প্রকাশ এবং প্রতিষ্ঠা। মহান আল্লাহ্ মানুষকে যেমন ভালোবাসেন, ঠিক তেমনি মানুষকে দান করেছেন শ্রেষ্ঠত্বের গুণাবলি। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন- “আমি (আল্লাহ্) আমার রুহ থেকে আদমের ভিতরে রুহ ফুঁকে দিলাম।” (সূরা হিজর ১৫: আয়াত ২৯) […]আরও পড়ুন
অধ্যক্ষ মো. নিয়ামুল কবির হযরত রাসুল (সা.)-এর ওফাত লাভের পর আজ প্রায় ১৪৩৩ বছর (হিজরি সাল অনুযায়ী) চলছে। ওদিকে আরব সাগরের পানি বহু দূর গড়িয়েছে। এদিকে গঙ্গা নদীর পানি পদ্মা নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে কত কিউসেক তার ইয়ত্তা নেই! মহানবি (সা.)-এর ওফাত পরবর্তী যা কিছু বিবর্তিত (পরিবেশের পরিবর্তন) হয়েছে সবই বিদআত (নবসৃষ্ট)। ওফাত পরবর্তী […]আরও পড়ুন
ড. মো. আরিফ হোসেন ঈদ অর্থ খুশি বা আনন্দ। ঈদে মিলাদুন্নবি অর্থ হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মের খুশি বা আনন্দ। হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ্ বলেন, “আমি যদি আপনকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না। (তাফসীরে মাজহারী ১০ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮০) আল্লাহ্র এই বাণী থেকে স্পষ্ট হলো, একমাত্র হযরত রাসুল (সা.)-কে সৃষ্টির কারণেই […]আরও পড়ুন
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান পর্ব-০৪ শেখ সাদি (রহ.)-এর অমর কীর্তি ‘গুলিস্তান’ মরমী কবি শেখ সাদি (রহ.) সর্বদা মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তিনি মানব সমাজকে পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও শান্তিময় করার আদর্শ ও শিক্ষা পবিত্র কুরআন, হাদিস ও এলমে তাসাউফ থেকে চয়ন করে বিশ^ সাহিত্যে উপস্থাপন করেছেন। তখনকার দিনের সভাকবিদের মতো তিনি সাহিত্য চর্চা করেননি। তিনি পূর্ববতীর্ রাজা-বাদশাহদের […]আরও পড়ুন